ইসরায়েল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৩১° উত্তর ৩৫° পূর্ব / ৩১° উত্তর ৩৫° পূর্ব / 31; 35
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান ও Ashiq Shawon-এর করা 3137097 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
|symbol_type = জাতীয় প্রতীক
|symbol_type = জাতীয় প্রতীক
|national_anthem = হাতিকভাহ<br /><small>''আশা''</small><br />
|national_anthem = হাতিকভাহ<br /><small>''আশা''</small><br />
<center>[[চিত্র:]]</center>
<center></center>
|image_map = ISR orthographic.svg
|image_map = ISR orthographic.svg
|official_languages = [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]], [[আরবি ভাষা|আরবি]]
|official_languages = [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]], [[আরবি ভাষা|আরবি]]
১৭ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:
| ৪.৪% অন্যান্য
| ৪.৪% অন্যান্য
}}
}}
|demonym = [[ইসরায়েল ]]
|demonym = ইসরায়েল
|capital = [[জেরুসালেম]]<ref group=টীকা>[[Positions on Jerusalem|Internationally recognized by the Czech Republic, Taiwan, the United States, and Vanuatu]]।</ref>
|capital = [[জেরুসালেম]]<ref group=টীকা>[[Positions on Jerusalem|Internationally recognized by the Czech Republic, Taiwan, the United States, and Vanuatu]]।</ref>
|{{coor dm|31|47|N|35|13|E}}
|{{coor dm|31|47|N|35|13|E}}
|largest_city = রাজধানী
|largest_city = রাজধানী
|government_type = [[সংসদীয় গণতন্ত্র]]<ref name="cia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/is.html |publisher=Central Intelligence Agency |work=The World Factbook |accessdate=2007-07-20 |date=[[2007-06-19]] |title=Israel}}</ref>
|government_type = [[সংসদীয় গণতন্ত্র]]<ref name="cia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/is.html |প্রকাশক=Central Intelligence Agency |কর্ম=The World Factbook |সংগ্রহের-তারিখ=2007-07-20 |তারিখ=[[2007-06-19]] |শিরোনাম=Israel}}</ref>
|leader_title1 = [[ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]]
|leader_title1 = [[ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]]
|leader_name1 = [[রিউভেন রিভলিন]]
|leader_name1 = [[রিউভেন রিভলিন]]
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:
|sovereignty_note = [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] [[সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ]] মেন্ডেট থেকে
|sovereignty_note = [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] [[সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ]] মেন্ডেট থেকে
|established_event1 = [[ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা|ঘোষণা]]
|established_event1 = [[ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা|ঘোষণা]]
|established_date1 = [[১৪ই মে]] [[১৯৪৮]]<ref name=status-qp>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.qposter.com/2015/05/Israeli-Military.html |title=ইসরাইলের সমরশক্তি |author=Qposter-লেখকঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান |website=www.qposter.com |accessdate=3 September 2016}}</ref>
|established_date1 = [[১৪ই মে]] [[১৯৪৮]]<ref name=status-qp>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.qposter.com/2015/05/Israeli-Military.html |শিরোনাম=ইসরাইলের সমরশক্তি |লেখক=Qposter-লেখকঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান |ওয়েবসাইট=www.qposter.com |সংগ্রহের-তারিখ=3 September 2016}}</ref>
|area_km2 = 22072
|area_km2 = 22072
|area_sq_mi = 8522
|area_sq_mi = 8522
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
|FR_foot4 = &nbsp;{{smallsup|1}}
|FR_foot4 = &nbsp;{{smallsup|1}}
|percent_water = ~২%
|percent_water = ~২%
|population_estimate = ৮,৫৪১,০০০{{smallsup|2}}<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.cbs.gov.il/publications16/yarhon0716/pdf/b1.pdf|title=|date=|publisher=[[Israel Central Bureau of Statistics]] |accessdate=2009-10-26}}</ref>
|population_estimate = ৮,৫৪১,০০০{{smallsup|2}}<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cbs.gov.il/publications16/yarhon0716/pdf/b1.pdf|শিরোনাম=|তারিখ=|প্রকাশক=[[Israel Central Bureau of Statistics]] |সংগ্রহের-তারিখ=2009-10-26}}</ref>
|population_estimate_year = ২০১৬
|population_estimate_year = ২০১৬
|population_estimate_rank = ৯৮তম
|population_estimate_rank = ৯৮তম
|population_census = ৭,৪১২,২০০<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.cbs.gov.il/www/mifkad/mifkad_2008/profiles/rep_e_000000.pdf|title=|date=|publisher=[[Israel Central Bureau of Statistics]] |accessdate=2009-10-26}}</ref>
|population_census = ৭,৪১২,২০০<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cbs.gov.il/www/mifkad/mifkad_2008/profiles/rep_e_000000.pdf|শিরোনাম=|তারিখ=|প্রকাশক=[[Israel Central Bureau of Statistics]] |সংগ্রহের-তারিখ=2009-10-26}}</ref>
|population_census_year = ২০০৮
|population_census_year = ২০০৮
|population_density_km2 = ৩৮৭.৬৩
|population_density_km2 = ৩৮৭.৬৩
৪৬ নং লাইন: ৪৬ নং লাইন:
|population_density_rank = ৩৪তম
|population_density_rank = ৩৪তম
|GDP_PPP_year = ২০১৬
|GDP_PPP_year = ২০১৬
|GDP_PPP = $২৯৭.০৪৬ বিলিয়ন<ref name=imf2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.imf.org/external/pubs/ft/weo/2016/02/weodata/weorept.aspx?pr.x=49&pr.y=15&sy=2016&ey=2017&scsm=1&ssd=1&sort=country&ds=.&br=1&c=436&s=NGDPD%2CNGDPDPC%2CPPPGDP%2CPPPPC&grp=0&a= |title=Israel|publisher=International Monetary Fund|accessdate=2016-10-01}}</ref> <!--Do not edit!-->
|GDP_PPP = $২৯৭.০৪৬ বিলিয়ন<ref name=imf2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.imf.org/external/pubs/ft/weo/2016/02/weodata/weorept.aspx?pr.x=49&pr.y=15&sy=2016&ey=2017&scsm=1&ssd=1&sort=country&ds=.&br=1&c=436&s=NGDPD%2CNGDPDPC%2CPPPGDP%2CPPPPC&grp=0&a= |শিরোনাম=Israel|প্রকাশক=International Monetary Fund|সংগ্রহের-তারিখ=2016-10-01}}</ref> <!--Do not edit!-->
|GDP_PPP_rank = ৫৫তম
|GDP_PPP_rank = ৫৫তম
|GDP_PPP_per_capita = $৩৪,৮৩৩<ref name=imf2/>
|GDP_PPP_per_capita = $৩৪,৮৩৩<ref name=imf2/>
৫৮ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
| Gini_change = <!--increase/decrease/steady-->
| Gini_change = <!--increase/decrease/steady-->
| Gini = 42.8 <!--number only-->
| Gini = 42.8 <!--number only-->
| Gini_ref =<ref name="wb-gini">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2172.html |title=Gini Index |publisher= |deadurl=no |archiveurl= |archivedate=16 February ২০১৬|accessdate= }}</ref>
| Gini_ref =<ref name="wb-gini">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2172.html |শিরোনাম=Gini Index |প্রকাশক= |অকার্যকর-ইউআরএল=no |আর্কাইভের-ইউআরএল= |আর্কাইভের-তারিখ=16 February ২০১৬|সংগ্রহের-তারিখ= }}</ref>
| Gini_rank = ১০৫তম
| Gini_rank = ১০৫তম
|HDI_year = ২০১৪
|HDI_year = ২০১৪
|HDI_change = increase <!--increase/decrease/steady-->
|HDI_change = increase <!--increase/decrease/steady-->
|HDI = 0.894 <!--number only-->
|HDI = 0.894 <!--number only-->
|HDI_ref =<ref name="UN">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://hdr.undp.org/sites/default/files/hdr_2015_statistical_annex.pdf|title=Human Development Report 2015.|publisher=The United Nations|accessdate=2016-10-10}}</ref>
|HDI_ref =<ref name="UN">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://hdr.undp.org/sites/default/files/hdr_2015_statistical_annex.pdf|শিরোনাম=Human Development Report 2015.|প্রকাশক=The United Nations|সংগ্রহের-তারিখ=2016-10-10}}</ref>
|HDI_rank = ১৮তম
|HDI_rank = ১৮তম
|HDI_category = <span style="color:#090">high</span>
|HDI_category = <span style="color:#090">high</span>
৮৫ নং লাইন: ৮৫ নং লাইন:
|official_website= [https://www.gov.il/ জাতীয় বাতায়ন]
|official_website= [https://www.gov.il/ জাতীয় বাতায়ন]
}}
}}
'''ইসরায়েল''' ({{lang-he-n|מְדִינַת יִשְׂרָאֵל}} ''{{শব্দ|He-Medinat Israel.ogg|''মেদিনাত্‌ য়িস্‌রা'এল্‌''|help=no}}''; {{lang-ar|دَوْلَةْ إِسْرَائِيل}} ''দাউলাত্‌ ইস্‌রা'ঈল্‌'') [[পশ্চিম এশিয়া]] তথা [[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যের]] একটি রাষ্ট্র। এটি [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরের]] দক্ষিণ-পূর্ব তীরে ও [[লোহিত সাগর|লোহিত সাগরের]] উত্তর তীরে অবস্থিত। দেশটির উত্তর স্থলসীমান্তে [[লেবানন]], উত্তর-পূর্বে [[সিরিয়া]], পূর্বে [[জর্দান]] ও [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত ভূখন্ড]] [[পশ্চিম তীর]], পশ্চিমে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড [[গাজা উপত্যকা]] এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে [[মিশর]] অবস্থিত।
'''ইসরায়েল''' ({{lang-he-n|מְדִינַת יִשְׂרָאֵל}} ''{{শব্দ|He-Medinat Israel.ogg|''মেদিনাত্‌ য়িস্‌রা'এল্‌''|help=no}}''; {{lang-ar|دَوْلَةْ إِسْرَائِيل}} ''দাউলাত্‌ ইস্‌রা'ঈল্‌'') [[পশ্চিম এশিয়া]] তথা [[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যের]] একটি রাষ্ট্র। এটি [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরের]] দক্ষিণ-পূর্ব তীরে ও [[লোহিত সাগর|লোহিত সাগরের]] উত্তর তীরে অবস্থিত। দেশটির উত্তর স্থলসীমান্তে [[লেবানন]], উত্তর-পূর্বে [[সিরিয়া]], পূর্বে [[জর্দান]] ও [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত ভূখন্ড]] [[পশ্চিম তীর]], পশ্চিমে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড [[গাজা উপত্যকা]] এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে [[মিশর]] অবস্থিত।


ইসরায়েল সমগ্র [[জেরুসালেম]] শহরকে তার রাজধানী হিসেবে দাবী করে আসছে, যদিও [[জেরুসালেমের মর্যাদা|এই মর্যাদা]] সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই স্বীকার করে না।<ref>{{Citation |title=Why Jerusalem Isn't Recognized as Israel's Capital |author=Kate Samuelson |date=December 16, 2016 |publisher=Time Magazine |url=http://time.com/4604739/david-friedman-jerusalem-jewish-israel/}}</ref> শহরের [[পশ্চিম জেরুসালেম|পশ্চিমভাগ]] ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে দেশটির সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত।<ref group=টীকা>The [[Jerusalem Law]] states that "Jerusalem, complete and united, is the capital of Israel" and the city serves as the seat of the government, home to the President's residence, government offices, supreme court, and [[Knesset|parliament]]. The [[United Nations]] and most countries do not accept the Jerusalem Law (see {{harvnb|Kellerman|1993|p=140}}) and maintain their embassies in other cities such as [[Tel Aviv]], [[Ramat-Gan]], and [[Herzliya]](see the [https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/is.html CIA Factbook] and [http://www.un.org/Depts/Cartographic/map/profile/israel.pdf Map of Israel]) The [[Palestinian Authority]] sees [[East Jerusalem]] as the capital of a future [[Palestinian State]] and the city's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see [http://www.publicpolicy.umd.edu/IPPP/Fall97Report/negotiating_jerusalem.htm "Negotiating Jerusalem", University of Maryland]). See [[Positions on Jerusalem]] for more information.</ref> অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্পপ্রধান রাষ্ট্র। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত [[তেল আভিভ]] দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র এবং বৃহত্তম নগর এলাকা।<ref>https://www.algemeiner.com/2015/09/30/tel-aviv-ranked-among-worlds-top-financial-centers/</ref> [[স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদন|স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের]] হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি [[অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা]]র সদস্যরাষ্ট্র। [[বিশ্বব্যাংক|বিশ্বব্যাংকের]] হিসাবমতে [[জাপান]] ও [[দক্ষিণ কোরিয়া]]র সাথে এটি এশিয়ার ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। [[আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল|আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের]] মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।
ইসরায়েল সমগ্র [[জেরুসালেম]] শহরকে তার রাজধানী হিসেবে দাবী করে আসছে, যদিও [[জেরুসালেমের মর্যাদা|এই মর্যাদা]] সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই স্বীকার করে না।<ref>{{Citation |title=Why Jerusalem Isn't Recognized as Israel's Capital |author=Kate Samuelson |date=December 16, 2016 |publisher=Time Magazine |url=http://time.com/4604739/david-friedman-jerusalem-jewish-israel/}}</ref> শহরের [[পশ্চিম জেরুসালেম|পশ্চিমভাগ]] ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে দেশটির সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত।<ref group=টীকা>The [[Jerusalem Law]] states that "Jerusalem, complete and united, is the capital of Israel" and the city serves as the seat of the government, home to the President's residence, government offices, supreme court, and [[Knesset|parliament]]. The [[United Nations]] and most countries do not accept the Jerusalem Law (see {{harvnb|Kellerman|1993|p=140}}) and maintain their embassies in other cities such as [[Tel Aviv]], [[Ramat-Gan]], and [[Herzliya]](see the [https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/is.html CIA Factbook] and [http://www.un.org/Depts/Cartographic/map/profile/israel.pdf Map of Israel]) The [[Palestinian Authority]] sees [[East Jerusalem]] as the capital of a future [[Palestinian State]] and the city's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see [http://www.publicpolicy.umd.edu/IPPP/Fall97Report/negotiating_jerusalem.htm "Negotiating Jerusalem", University of Maryland]). See [[Positions on Jerusalem]] for more information.</ref> অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্পপ্রধান রাষ্ট্র। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত [[তেল আভিভ]] দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র এবং বৃহত্তম নগর এলাকা।<ref>https://www.algemeiner.com/2015/09/30/tel-aviv-ranked-among-worlds-top-financial-centers/</ref> [[স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদন|স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের]] হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি [[অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা]]র সদস্যরাষ্ট্র। [[বিশ্বব্যাংক|বিশ্বব্যাংকের]] হিসাবমতে [[জাপান]] ও [[দক্ষিণ কোরিয়া]]র সাথে এটি এশিয়ার ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। [[আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল|আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের]] মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।


ইসরায়েলে প্রায় ৮৩ লক্ষ লোকের বাস। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮১ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬১ লক্ষ [[ইহুদী]] জাতি ও ধর্মাবলম্বী এবং ১৭ লক্ষ [[আরব]] জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ [[মুসলমান]])। এটিই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে ইহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়। ইসরায়েলের জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।<ref>{{cite web |title=OECD.Stat Education and Training > Education at a Glance > Educational attainment and labor-force status > Educational attainment of 25-64 year-olds |publisher=OECD |url=http://stats.oecd.org/#}}</ref> দেশটির জীবনযাত্রার মান সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ, এশিয়াতে ৫ম এবং বিশ্বে ১৯তম।<ref name="HDI">{{cite report |title=Human Development Index and its components |url=http://hdr.undp.org/en/composite/HDI |publisher=United Nations Development Programme |access-date=22 June 2017}}</ref>
ইসরায়েলে প্রায় ৮৩ লক্ষ লোকের বাস। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮১ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬১ লক্ষ [[ইহুদী]] জাতি ও ধর্মাবলম্বী এবং ১৭ লক্ষ [[আরব]] জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ [[মুসলমান]])। এটিই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে ইহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়। ইসরায়েলের জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=OECD.Stat Education and Training > Education at a Glance > Educational attainment and labor-force status > Educational attainment of 25-64 year-olds |প্রকাশক=OECD |ইউআরএল=http://stats.oecd.org/#}}</ref> দেশটির জীবনযাত্রার মান সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ, এশিয়াতে ৫ম এবং বিশ্বে ১৯তম।<ref name="HDI">{{cite report |title=Human Development Index and its components |url=http://hdr.undp.org/en/composite/HDI |publisher=United Nations Development Programme |access-date=22 June 2017}}</ref>


ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। এর এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম
ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। এর এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম
ক্নে‌সেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
ক্নে‌সেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।


ইসরায়েলের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি [[মধ্যপ্রাচ্য সংকট|মধ্যপ্রাচ্য সংকটের]] সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই ইসরায়েল প্রতিবেশী [[আরব রাষ্ট্র]]গুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। দেশটি ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬১টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ৩১টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং দেশটির সাথে তাদের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের অনেকের মতে ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনের]] একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী [[মিশর]] ও [[জর্দান|জর্দানের]] সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ও দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।
ইসরায়েলের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি [[মধ্যপ্রাচ্য সংকট|মধ্যপ্রাচ্য সংকটের]] সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই ইসরায়েল প্রতিবেশী [[আরব রাষ্ট্র]]গুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। দেশটি ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬১টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ৩১টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং দেশটির সাথে তাদের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের অনেকের মতে ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনের]] একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী [[মিশর]] ও [[জর্দান|জর্দানের]] সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ও দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।


==নামকরণের ইতিহাস==
==নামকরণের ইতিহাস==
১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমনঃ ইরেটস, যায়োন অথবা জুডিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবী দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নাম রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।<ref>{{cite news |work=The Palestine Post |location=Jerusalem |date=7 December 1947 |page=1 |title=Popular Opinion |url=http://www.jpress.org.il/Repository/getFiles.asp?Style=OliveXLib:LowLevelEntityToSaveGifMSIE_TAUEN&Type=text/html&Locale=english-skin-custom&Path=PLS/1947/12/07&ChunkNum=-1&ID=Ar00105&PageLabel=1 |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20120815030044/http://www.jpress.org.il/Repository/getFiles.asp?Style=OliveXLib%3ALowLevelEntityToSaveGifMSIE_TAUEN&Type=text%2Fhtml&Locale=english-skin-custom&Path=PLS%2F1947%2F12%2F07&ChunkNum=-1&ID=Ar00105&PageLabel=1 |archivedate=15 August 2012 |df=dmy-all }}</ref>
১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমনঃ ইরেটস, যায়োন অথবা জুডিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবী দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নাম রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |কর্ম=The Palestine Post |অবস্থান=Jerusalem |তারিখ=7 December 1947 |পাতা=1 |শিরোনাম=Popular Opinion |ইউআরএল=http://www.jpress.org.il/Repository/getFiles.asp?Style=OliveXLib:LowLevelEntityToSaveGifMSIE_TAUEN&Type=text/html&Locale=english-skin-custom&Path=PLS/1947/12/07&ChunkNum=-1&ID=Ar00105&PageLabel=1 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120815030044/http://www.jpress.org.il/Repository/getFiles.asp?Style=OliveXLib%3ALowLevelEntityToSaveGifMSIE_TAUEN&Type=text%2Fhtml&Locale=english-skin-custom&Path=PLS%2F1947%2F12%2F07&ChunkNum=-1&ID=Ar00105&PageLabel=1 |আর্কাইভের-তারিখ=15 August 2012 |df=dmy-all }}</ref>


== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
সপ্তম শতকে মুসলিমরা ইসরায়েল ভূখণ্ডটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়, ১০৯৯ সালে এটি খ্রিস্টানদের দখলে যায়, ১১৮৭ সালে এটি আবার [[আইয়ুবীয় রাজবংশ]] এর অধীনে চলে যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসরায়েল [[মামলুক সালতানাত (কায়রো)|মিশরের মামলুক সুলতান]] এর নিয়ন্ত্রণে আসে, ১৫১৭ সালে এটি [[উসমানীয় সাম্রাজ্য]]ভুক্ত হয়; ইহুদীরা সপ্তম শতাব্দী থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং পরে তারা ইউরোপ মহাদেশে পাড়ি জমায়।<ref>{{cite web|url=http://www.jafi.org.il/education/100/concepts/aliyah1.html |title="Aliyah": The Word and Its Meaning |publisher= |date=2005-05-15 |accessdate=2013-04-29 |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20091219161417/http://www.jafi.org.il/education/100/concepts/aliyah1.html |archivedate=2009-12-19 }}</ref>
সপ্তম শতকে মুসলিমরা ইসরায়েল ভূখণ্ডটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়, ১০৯৯ সালে এটি খ্রিস্টানদের দখলে যায়, ১১৮৭ সালে এটি আবার [[আইয়ুবীয় রাজবংশ]] এর অধীনে চলে যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসরায়েল [[মামলুক সালতানাত (কায়রো)|মিশরের মামলুক সুলতান]] এর নিয়ন্ত্রণে আসে, ১৫১৭ সালে এটি [[উসমানীয় সাম্রাজ্য]]ভুক্ত হয়; ইহুদীরা সপ্তম শতাব্দী থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং পরে তারা ইউরোপ মহাদেশে পাড়ি জমায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.jafi.org.il/education/100/concepts/aliyah1.html |শিরোনাম="Aliyah": The Word and Its Meaning |প্রকাশক= |তারিখ=2005-05-15 |সংগ্রহের-তারিখ=2013-04-29 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091219161417/http://www.jafi.org.il/education/100/concepts/aliyah1.html |আর্কাইভের-তারিখ=2009-12-19 }}</ref>


প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইসরায়েল ভূখণ্ডটি ব্রিটিশরা তাদের অধীনে নিয়ে নেয় এবং নাম রাখে '[[মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন]]'।<ref>{{cite web |url=https://unispal.un.org/UNISPAL.NSF/0/2FCA2C68106F11AB05256BCF007BF3CB |title=League of Nations decision confirming the Principal Allied Powers' agreement on the territory of Palestine |archiveurl=https://web.archive.org/web/20131125014738/http://unispal.un.org/UNISPAL.NSF/0/2FCA2C68106F11AB05256BCF007BF3CB |archivedate=2013-11-25}}</ref> ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইসরায়েল ভূখণ্ডটি ব্রিটিশরা তাদের অধীনে নিয়ে নেয় এবং নাম রাখে '[[মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন]]'।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://unispal.un.org/UNISPAL.NSF/0/2FCA2C68106F11AB05256BCF007BF3CB |শিরোনাম=League of Nations decision confirming the Principal Allied Powers' agreement on the territory of Palestine |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131125014738/http://unispal.un.org/UNISPAL.NSF/0/2FCA2C68106F11AB05256BCF007BF3CB |আর্কাইভের-তারিখ=2013-11-25}}</ref> ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।


১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এই অঞ্চলে ইহুদীরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, নরওয়ে, পোল্যান্ড, গ্রীস এবং সুইজাল্যান্ডে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে নেতারা আহ্বান জানান ইসরায়েলে বসতি গড়তে। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইহুদীদেরকে তাদের নিজস্ব ভূমি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদী মানুষ ইসরায়েল ভূখণ্ডে পাড়ি জমায়।<ref>{{cite web|url=http://www.transferagreement.com/ |title=Transfer Agreement |publisher=Transfer Agreement |date= |accessdate=2013-04-29}}</ref>
১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এই অঞ্চলে ইহুদীরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, নরওয়ে, পোল্যান্ড, গ্রীস এবং সুইজাল্যান্ডে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে নেতারা আহ্বান জানান ইসরায়েলে বসতি গড়তে। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইহুদীদেরকে তাদের নিজস্ব ভূমি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদী মানুষ ইসরায়েল ভূখণ্ডে পাড়ি জমায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.transferagreement.com/ |শিরোনাম=Transfer Agreement |প্রকাশক=Transfer Agreement |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2013-04-29}}</ref>


১৯২১ সালে ইহুদীরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে।<ref>{{cite web|url=https://www.jewishvirtuallibrary.org/jsource/History/defense.html|title=The Role of Jewish Defense Organizations in Palestine (1903–1948)|publisher=Jewish Virtual Library}}</ref> এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা আধা-সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং স্বাধীনতার পরে এই বাহিনী ইসরায়েলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে।<ref>[[#pappé|Ilan Pappé (2000)]], p.79</ref>
১৯২১ সালে ইহুদীরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jewishvirtuallibrary.org/jsource/History/defense.html|শিরোনাম=The Role of Jewish Defense Organizations in Palestine (1903–1948)|প্রকাশক=Jewish Virtual Library}}</ref> এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা আধা-সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং স্বাধীনতার পরে এই বাহিনী ইসরায়েলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে।<ref>[[#pappé|Ilan Pappé (2000)]], p.79</ref>


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরো ইহুদী মানুষ ইসরায়েলে আসে এবং তাদের অনেককেই হাগানাহ সহ অন্যান্য বাহিনীতে নেওয়া হয় ভবিষ্যৎ যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য।<ref>{{citation|title=Immigrants in Turmoil: Mass Immigration to Israel and Its Repercussions in the 1950s and After|first=Devorah|last=Hakohen|publisher=Syracuse University Press|year=2003|isbn=9780815629696|page=267|url=https://books.google.com/books?id=hCw6v0TFhdMC&pg=PA267}}</ref>
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরো ইহুদী মানুষ ইসরায়েলে আসে এবং তাদের অনেককেই হাগানাহ সহ অন্যান্য বাহিনীতে নেওয়া হয় ভবিষ্যৎ যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য।<ref>{{citation|title=Immigrants in Turmoil: Mass Immigration to Israel and Its Repercussions in the 1950s and After|first=Devorah|last=Hakohen|publisher=Syracuse University Press|year=2003|isbn=9780815629696|page=267|url=https://books.google.com/books?id=hCw6v0TFhdMC&pg=PA267}}</ref>


১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।<ref>{{cite web |url= https://www.un.org/en/ga/search/view_doc.asp?symbol=A/RES/181(II) |title=A/RES/181(II) of 29 November 1947 |publisher=United Nations |year=1947 |accessdate=8 December 2012}}</ref> এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। [[ড্যাভিড বেন গুরিয়ন]] ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।<ref>{{cite book | last1 = Brenner | first1 = Michael | last2 = Frisch | first2 = Shelley | title = Zionism: A Brief History | publisher=Markus Wiener Publishers | date = April 2003 | page = 184 | accessdate =13 July 2011}}</ref>
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.un.org/en/ga/search/view_doc.asp?symbol=A/RES/181(II) |শিরোনাম=A/RES/181(II) of 29 November 1947 |প্রকাশক=United Nations |বছর=1947 |সংগ্রহের-তারিখ=8 December 2012}}</ref> এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। [[ড্যাভিড বেন গুরিয়ন]] ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | শেষাংশ১ = Brenner | প্রথমাংশ১ = Michael | শেষাংশ২ = Frisch | প্রথমাংশ২ = Shelley | শিরোনাম = Zionism: A Brief History | প্রকাশক=Markus Wiener Publishers | তারিখ = April 2003 | পাতা = 184 | সংগ্রহের-তারিখ =13 July 2011}}</ref>


১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।<ref>{{Cite book|author=Hashim S. H. Behbehani|title=The Soviet Union and Arab nationalism, 1917-1966|year=1986|page=69|publisher=Routledge|isbn=978-0-7103-0213-7}}</ref> ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক সরকার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ছিলো।<ref name="washingtoninstitute1">{{cite web|url=http://www.washingtoninstitute.org/documents/44edf1a5d337f.pdf |title=Timeline of Turkish-Israeli Relations, 1949–2006 |access-date=6 February 2016 |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20090319134207/http://www.washingtoninstitute.org/documents/44edf1a5d337f.pdf |archive-date=19 March 2009 }}</ref><ref name="autogenerated1">{{cite web|url=http://www.smi.uib.no/pao/hawas.html|title=Turkey and Israel|publisher=SMI|access-date=6 May 2010|deadurl=yes|archiveurl=https://web.archive.org/web/20110222112048/http://www.smi.uib.no/pao/hawas.html|archivedate=22 February 2011|df=dmy-all}}</ref>
১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Hashim S. H. Behbehani|শিরোনাম=The Soviet Union and Arab nationalism, 1917-1966|বছর=1986|পাতা=69|প্রকাশক=Routledge|আইএসবিএন=978-0-7103-0213-7}}</ref> ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক সরকার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ছিলো।<ref name="washingtoninstitute1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.washingtoninstitute.org/documents/44edf1a5d337f.pdf |শিরোনাম=Timeline of Turkish-Israeli Relations, 1949–2006 |সংগ্রহের-তারিখ=6 February 2016 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090319134207/http://www.washingtoninstitute.org/documents/44edf1a5d337f.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=19 March 2009 }}</ref><ref name="autogenerated1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.smi.uib.no/pao/hawas.html|শিরোনাম=Turkey and Israel|প্রকাশক=SMI|সংগ্রহের-তারিখ=6 May 2010|অকার্যকর-ইউআরএল=yes|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110222112048/http://www.smi.uib.no/pao/hawas.html|আর্কাইভের-তারিখ=22 February 2011|df=dmy-all}}</ref>


== রাজনীতি ==
== রাজনীতি ==
ইসরায়েলের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত।<ref name="cia2">{{cite journal |url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2077.html |publisher=Central Intelligence Agency |work=The World Factbook |title=Field Listing&nbsp;— Executive Branch |accessdate=20 July 2007 |date=19 June 2007 }}</ref> আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেসেট নামের আইনসভার উপর ন্যস্ত।<ref>{{cite journal |url=https://www.knesset.gov.il/description/eng/eng_mimshal_beh.htm |publisher=The Knesset |accessdate=8 August 2007 |title=The Electoral System in Israel }}</ref> বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন।<ref name="judiciary">{{cite journal |url=http://www.mfa.gov.il/MFA/Government/Branches%20of%20Government/Judicial/The%20Judiciary-%20The%20Court%20System |publisher=Israel Ministry of Foreign Affairs |accessdate=5 August 2007 |date=1 August 2005 |title=The Judiciary: The Court System }}</ref>
ইসরায়েলের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত।<ref name="cia2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2077.html |প্রকাশক=Central Intelligence Agency |কর্ম=The World Factbook |শিরোনাম=Field Listing&nbsp;— Executive Branch |সংগ্রহের-তারিখ=20 July 2007 |তারিখ=19 June 2007 }}</ref> আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেসেট নামের আইনসভার উপর ন্যস্ত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.knesset.gov.il/description/eng/eng_mimshal_beh.htm |প্রকাশক=The Knesset |সংগ্রহের-তারিখ=8 August 2007 |শিরোনাম=The Electoral System in Israel }}</ref> বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন।<ref name="judiciary">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.mfa.gov.il/MFA/Government/Branches%20of%20Government/Judicial/The%20Judiciary-%20The%20Court%20System |প্রকাশক=Israel Ministry of Foreign Affairs |সংগ্রহের-তারিখ=5 August 2007 |তারিখ=1 August 2005 |শিরোনাম=The Judiciary: The Court System }}</ref>


==বিদেশ নীতি==
==বিদেশ নীতি==
ইসরায়েলের সঙ্গে ১৭০টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে।<ref>{{cite web |url=http://mfa.gov.il/MFA/AboutTheMinistry/Pages/Israel-s%20Diplomatic%20Missions%20Abroad.aspx |title=Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations |publisher=Israel Ministry of Foreign Affairs |access-date=25 April 2016 |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20160420071334/http://mfa.gov.il/MFA/AboutTheMinistry/Pages/Israel-s%20Diplomatic%20Missions%20Abroad.aspx |archivedate=20 April 2016 |df=dmy-all }}</ref> তবে [[ফিলিস্তিন]] বিবাদের জন্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈরাগ সম্পর্ক রয়েছে।<ref>{{cite web|author= |url=http://www.haaretz.com/israel-news/.premium-1.688235?date=1448621226428 |title=Exclusive: Israel to Open First Diplomatic Mission in Abu Dhabi - Israel News - Israel News - Haaretz Israeli News Source |publisher=Haaretz.com |date= |accessdate=2015-11-28}}</ref>
ইসরায়েলের সঙ্গে ১৭০টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://mfa.gov.il/MFA/AboutTheMinistry/Pages/Israel-s%20Diplomatic%20Missions%20Abroad.aspx |শিরোনাম=Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations |প্রকাশক=Israel Ministry of Foreign Affairs |সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2016 |অকার্যকর-ইউআরএল=yes |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160420071334/http://mfa.gov.il/MFA/AboutTheMinistry/Pages/Israel-s%20Diplomatic%20Missions%20Abroad.aspx |আর্কাইভের-তারিখ=20 April 2016 |df=dmy-all }}</ref> তবে [[ফিলিস্তিন]] বিবাদের জন্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈরাগ সম্পর্ক রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|লেখক= |ইউআরএল=http://www.haaretz.com/israel-news/.premium-1.688235?date=1448621226428 |শিরোনাম=Exclusive: Israel to Open First Diplomatic Mission in Abu Dhabi - Israel News - Israel News - Haaretz Israeli News Source |প্রকাশক=Haaretz.com |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-11-28}}</ref>


== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==
== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==
ইসরায়েলে ছয়টি জেলা আছে, এগুলো হলোঃ জেরুসালেম জেলা, উত্তর জেলা, হায়ফা জেলা, মধ্য জেলা, তেল আবিব জেলা এবং দক্ষিণ জেলা এবং জুডিয়া এ্যান্ড সামারিয়া এলাকা।<ref>{{cite journal |publisher=Central Bureau of Statistics |title=Introduction to the Tables: Geophysical Characteristics |url=http://www.cbs.gov.il/shnaton53/download/st_eng01.doc |format=doc |accessdate=4 September 2007 }}</ref>
ইসরায়েলে ছয়টি জেলা আছে, এগুলো হলোঃ জেরুসালেম জেলা, উত্তর জেলা, হায়ফা জেলা, মধ্য জেলা, তেল আবিব জেলা এবং দক্ষিণ জেলা এবং জুডিয়া এ্যান্ড সামারিয়া এলাকা।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |প্রকাশক=Central Bureau of Statistics |শিরোনাম=Introduction to the Tables: Geophysical Characteristics |ইউআরএল=http://www.cbs.gov.il/shnaton53/download/st_eng01.doc |বিন্যাস=doc |সংগ্রহের-তারিখ=4 September 2007 }}</ref>


== সামরিক বাহিনী ==
== সামরিক বাহিনী ==
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস, সংক্ষেপে আইডিএফ) তিনটি মিলিটারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত।<ref>{{cite journal |url=http://www.mfa.gov.il/MFA/Facts+About+Israel/State/THE+STATE-+Israel+Defense+Forces+-IDF-.htm |publisher=Israel Ministry of Foreign Affairs |title=The State: Israel Defense Forces (IDF) |accessdate=9 August 2007 |date=13 March 2009}}</ref> সংস্থাগুলো হচ্ছে স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী।<ref name=status-qp/> তিন বাহিনীকে এক বাহিনী ধরা হয়; এই বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। অফিশিয়ালি ইসরায়েল সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালের ২৬ মে কেবিনেটের সিদ্ধান্তক্রমে। এ জন্য লিখিত আদেশ দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক ইহুদিকে এই বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়াও ইহুদিদের তিনটি সংগঠন হাগানাহ, ইরগান ও লেহির সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়।<ref>{{cite web|author=Speedy |url=http://thespeedymedia.blogspot.com/2011/09/idfs-history.html#.U4ei6F4ZffM |title=The Speedy Media: IDF's History |publisher=Thespeedymedia.blogspot.com |date=12 September 2011 |accessdate=3 August 2014}}</ref> যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় এই বাহিনীকে।<ref name=status-qp/>
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস, সংক্ষেপে আইডিএফ) তিনটি মিলিটারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.mfa.gov.il/MFA/Facts+About+Israel/State/THE+STATE-+Israel+Defense+Forces+-IDF-.htm |প্রকাশক=Israel Ministry of Foreign Affairs |শিরোনাম=The State: Israel Defense Forces (IDF) |সংগ্রহের-তারিখ=9 August 2007 |তারিখ=13 March 2009}}</ref> সংস্থাগুলো হচ্ছে স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী।<ref name=status-qp/> তিন বাহিনীকে এক বাহিনী ধরা হয়; এই বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। অফিশিয়ালি ইসরায়েল সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালের ২৬ মে কেবিনেটের সিদ্ধান্তক্রমে। এ জন্য লিখিত আদেশ দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক ইহুদিকে এই বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়াও ইহুদিদের তিনটি সংগঠন হাগানাহ, ইরগান ও লেহির সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|লেখক=Speedy |ইউআরএল=http://thespeedymedia.blogspot.com/2011/09/idfs-history.html#.U4ei6F4ZffM |শিরোনাম=The Speedy Media: IDF's History |প্রকাশক=Thespeedymedia.blogspot.com |তারিখ=12 September 2011 |সংগ্রহের-তারিখ=3 August 2014}}</ref> যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় এই বাহিনীকে।<ref name=status-qp/>


বিভিন্ন দেশের সাথে এই বাহিনীর অস্ত্র ও প্রযুক্তির বেশ পার্থক্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মারকাভা মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, উজি সাব মেশিনগান এবং গালিল ও টাভর অ্যাসল্ট রাইফেল। আইডিএফ’র উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অর্থসহযোগিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাত হচ্ছে এফ-১৫১ জেট বিমান, টিএইচ।<ref name=status-qp/>
বিভিন্ন দেশের সাথে এই বাহিনীর অস্ত্র ও প্রযুক্তির বেশ পার্থক্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মারকাভা মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, উজি সাব মেশিনগান এবং গালিল ও টাভর অ্যাসল্ট রাইফেল। আইডিএফ’র উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অর্থসহযোগিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাত হচ্ছে এফ-১৫১ জেট বিমান, টিএইচ।<ref name=status-qp/>
১৩২ নং লাইন: ১৩২ নং লাইন:


== অর্থনীতি ==
== অর্থনীতি ==
ইসরায়েলের অর্থনীতি আধুনিক পশ্চিমা অর্থনীতির সমপর্যায়ের। ইসরায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে, তবে ১৯৯৮-এর পর এই অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। ইসরায়েল ও.ই.সি.ডি. (অরগ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো - অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য। দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং ২০১২ সাল অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।<ref name="Chua 2003 219–220">{{Cite book |title=World On Fire |last=Chua |first= Amy |publisher=Knopf Doubleday Publishing |year=2003 |isbn=978-0385721868 |pages=219–220}}</ref><ref>{{cite web|url=https://books.google.com/books?id=Up_7Bh8SbDcC&q=%22israel+is+the+most+industrialized%22&dq=%22israel+is+the+most+industrialized%22&hl=en&sa=X&ei=jUIEVe2HE5Tgas65gJgM&ved=0CCUQ6AEwAQ|title=Northern and Western Asia|publisher=}}</ref> ইসরায়েলের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারের ভালো সদিচ্ছা থাকার কারণে দেশটিতে বেকারত্ব খুবই কম।<ref name="David Adler">{{cite web | url=http://monitor.icef.com/2014/03/ambitious-israeli-students-look-to-top-institutions-abroad/ | title=Ambitious Israeli students look to top institutions abroad | publisher=ICEF | date=10 March 2014 | accessdate=20 January 2015 | author=David Adler}}</ref>
ইসরায়েলের অর্থনীতি আধুনিক পশ্চিমা অর্থনীতির সমপর্যায়ের। ইসরায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে, তবে ১৯৯৮-এর পর এই অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। ইসরায়েল ও.ই.সি.ডি. (অরগ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো - অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য। দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং ২০১২ সাল অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।<ref name="Chua 2003 219–220">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=World On Fire |শেষাংশ=Chua |প্রথমাংশ= Amy |প্রকাশক=Knopf Doubleday Publishing |বছর=2003 |আইএসবিএন=978-0385721868 |পাতাসমূহ=219–220}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=Up_7Bh8SbDcC&q=%22israel+is+the+most+industrialized%22&dq=%22israel+is+the+most+industrialized%22&hl=en&sa=X&ei=jUIEVe2HE5Tgas65gJgM&ved=0CCUQ6AEwAQ|শিরোনাম=Northern and Western Asia|প্রকাশক=}}</ref> ইসরায়েলের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারের ভালো সদিচ্ছা থাকার কারণে দেশটিতে বেকারত্ব খুবই কম।<ref name="David Adler">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://monitor.icef.com/2014/03/ambitious-israeli-students-look-to-top-institutions-abroad/ | শিরোনাম=Ambitious Israeli students look to top institutions abroad | প্রকাশক=ICEF | তারিখ=10 March 2014 | সংগ্রহের-তারিখ=20 January 2015 | লেখক=David Adler}}</ref>


== জনসংখ্যা ==
== জনসংখ্যা ==
ইসরায়েলের জনসংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন।
ইসরায়েলের জনসংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন।
=== ভাষা ===
=== ভাষা ===
ইসরায়েল ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্র। এথনোলগের ১৫শ সংস্করণ অনুসারে ইসরায়েলে ৩৩টির মত ছোট-বড় ভাষা ও উপভাষা প্রচলিত<ref>[http://www.ethnologue.com/show_country.asp?name=IL]</ref>। ইসরায়েলি নাগরিকেরা নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের জন্য মূলত আধুনিক হিব্রু ভাষা ব্যবহার করেন। আধুনিক হিব্রু ভাষাটি ১৯শ শতকের শেষ দিকে প্রাচীন হিব্রু ভাষার বিভিন্ন উপভাষার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছিল এবং এতে [[স্লাভীয় ভাষাসমূহ|স্লাভীয়]] ও [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয় ভাষাসমূহের]] কিছু প্রভাব আছে। ভাষার সরকারি মর্যাদা ও ভাষা সংক্রান্ত নীতিমালার উপর ইসরায়েলে বেশ কিছু আইন আছে। বর্তমানে [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]] ও [[আরবি ভাষা|আরবি]] ইসরায়েলের সরকারি ভাষা।<ref>{{cite book|last=Spolsky|first=Bernard|title=Round Table on Language and Linguistics |url= https://books.google.com/books?id=ljumbfV_7y0C&pg=PA169&dq=#v=onepage&q&f=false |year=1999|publisher=Georgetown University Press|location=Washington, D.C. |isbn=0-87840-132-6 |pages=169–70 |quote=In 1948, the newly independent state of Israel took over the old British regulations that had set English, Arabic, and Hebrew as official languages for Mandatory Palestine but, as mentioned, dropped English from the list. In spite of this, official language use has maintained a de facto role for English, after Hebrew but before Arabic.}}</ref>
ইসরায়েল ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্র। এথনোলগের ১৫শ সংস্করণ অনুসারে ইসরায়েলে ৩৩টির মত ছোট-বড় ভাষা ও উপভাষা প্রচলিত<ref>[http://www.ethnologue.com/show_country.asp?name=IL]</ref>। ইসরায়েলি নাগরিকেরা নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের জন্য মূলত আধুনিক হিব্রু ভাষা ব্যবহার করেন। আধুনিক হিব্রু ভাষাটি ১৯শ শতকের শেষ দিকে প্রাচীন হিব্রু ভাষার বিভিন্ন উপভাষার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছিল এবং এতে [[স্লাভীয় ভাষাসমূহ|স্লাভীয়]] ও [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয় ভাষাসমূহের]] কিছু প্রভাব আছে। ভাষার সরকারি মর্যাদা ও ভাষা সংক্রান্ত নীতিমালার উপর ইসরায়েলে বেশ কিছু আইন আছে। বর্তমানে [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]] ও [[আরবি ভাষা|আরবি]] ইসরায়েলের সরকারি ভাষা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Spolsky|প্রথমাংশ=Bernard|শিরোনাম=Round Table on Language and Linguistics |ইউআরএল= https://books.google.com/books?id=ljumbfV_7y0C&pg=PA169&dq=#v=onepage&q&f=false |বছর=1999|প্রকাশক=Georgetown University Press|অবস্থান=Washington, D.C. |আইএসবিএন=0-87840-132-6 |পাতাসমূহ=169–70 |উক্তি=In 1948, the newly independent state of Israel took over the old British regulations that had set English, Arabic, and Hebrew as official languages for Mandatory Palestine but, as mentioned, dropped English from the list. In spite of this, official language use has maintained a de facto role for English, after Hebrew but before Arabic.}}</ref>


== সংস্কৃতি ==
== সংস্কৃতি ==
ইসরায়েলের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার।<ref>{{cite web |url=http://www.hse.ru/en/news/28331917.html |publisher=National Research University Higher School of Economics |title=Asian Studies: Israel as a 'Melting Pot' |accessdate=18 April 2012}}</ref>
ইসরায়েলের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.hse.ru/en/news/28331917.html |প্রকাশক=National Research University Higher School of Economics |শিরোনাম=Asian Studies: Israel as a 'Melting Pot' |সংগ্রহের-তারিখ=18 April 2012}}</ref>
=== পর্যটন ===
=== পর্যটন ===
ইসরায়েলের পর্যটন মূলত ইহুদী ধর্মের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দেশটির সর্বত্র ইহুদী ধর্মের ও সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইহুদীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানদেরও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল জেরুজালেম শহর। জেরুজালেমের ইহুদী মন্দির ও পশ্চিম দেওয়াল বিখ্যাত। এছাড়া আছে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেম, বাসস্থান নাজারেথ।এখানে হারাম আল শরীফ তথা আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত।ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসাবে পরিচিত। ভূমধ্যসাগরের তীর জুড়ে রয়েছে অনেক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। আরও আছে লবণাক্ত মৃত সাগর, যার পানিতে ভেসে থাকা যায়। লোহিত সাগরের উপকূল এবং গ্যালিলির সাগরের উপকূলেও অনেক অবকাশ কেন্দ্র আছে।<ref>{{cite news |url=http://www.jpost.com/LandedPages/PrintArticle.aspx?id=71992 |newspaper=The Jerusalem Post |title=Tourist visits above pre-war level |last=Burstein |first=Nathan |date=14 August 2007 |accessdate=20 March 2012}}</ref>
ইসরায়েলের পর্যটন মূলত ইহুদী ধর্মের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দেশটির সর্বত্র ইহুদী ধর্মের ও সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইহুদীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানদেরও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল জেরুজালেম শহর। জেরুজালেমের ইহুদী মন্দির ও পশ্চিম দেওয়াল বিখ্যাত। এছাড়া আছে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেম, বাসস্থান নাজারেথ।এখানে হারাম আল শরীফ তথা আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত।ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসাবে পরিচিত। ভূমধ্যসাগরের তীর জুড়ে রয়েছে অনেক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। আরও আছে লবণাক্ত মৃত সাগর, যার পানিতে ভেসে থাকা যায়। লোহিত সাগরের উপকূল এবং গ্যালিলির সাগরের উপকূলেও অনেক অবকাশ কেন্দ্র আছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.jpost.com/LandedPages/PrintArticle.aspx?id=71992 |সংবাদপত্র=The Jerusalem Post |শিরোনাম=Tourist visits above pre-war level |শেষাংশ=Burstein |প্রথমাংশ=Nathan |তারিখ=14 August 2007 |সংগ্রহের-তারিখ=20 March 2012}}</ref>


== গ্যালারি ==
== গ্যালারি ==

০৯:১২, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইসরায়েল
מְדִינַת יִשְׂרָאֵל(হিব্রু)
دَوْلَةُ إِسْرَائِيل (আরবি)
জাতীয় সঙ্গীত: হাতিকভাহ
আশা
ইসরায়েলের অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
জেরুসালেম[টীকা ১]
সরকারি ভাষাহিব্রু, আরবি
নৃগোষ্ঠী
জাতীয়তাসূচক বিশেষণইসরায়েল
সরকারসংসদীয় গণতন্ত্র[১]
রিউভেন রিভলিন
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
আইন-সভানেসেট
স্বাধীনতা 
১৪ই মে ১৯৪৮[২]
আয়তন
• মোট 1
২২,০৭২ কিমি (৮,৫২২ মা) (১৪৯তম)
• পানি (%)
~২%
জনসংখ্যা
• ২০১৬ আনুমানিক
৮,৫৪১,০০০2[৩] (৯৮তম)
• ২০০৮ আদমশুমারি
৭,৪১২,২০০[৪]
• ঘনত্ব
৩৮৭.৬৩/কিমি (১,০০৪.০/বর্গমাইল) (৩৪তম)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৬ আনুমানিক
• মোট
$২৯৭.০৪৬ বিলিয়ন[৫] (৫৫তম)
• মাথাপিছু
$৩৪,৮৩৩[৫] (৩৩তম)
জিডিপি (মনোনীত)২০১৬ আনুমানিক
• মোট
$৩১১.৭৩৯ বিলিয়ন[৫] (৩৫তম)
• মাথাপিছু
$৩৬,৫৫৬[৫] (২৩তম)
জিনি (২০১২)42.8[৬]
মাধ্যম · ১০৫তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪)বৃদ্ধি 0.894[৭]
অতি উচ্চ · ১৮তম
মুদ্রাইসরায়েলি শেকেল (₪) (ILS)
সময় অঞ্চলইউটিসি+2 (ইসরায়েলি মান সময়)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+3 (ইসরায়েলি গ্রীষ্ম সময়)
তারিখ বিন্যাস
গাড়ী চালনার দিকডান
কলিং কোড+৯৭২
ইন্টারনেট টিএলডি.il
.ישראל
ওয়েবসাইট
জাতীয় বাতায়ন

ইসরায়েল (হিব্রু ভাষায়: מְדִינַת יִשְׂרָאֵלমেদিনাত্‌ য়িস্‌রা'এল্‌ ; আরবি: دَوْلَةْ إِسْرَائِيل দাউলাত্‌ ইস্‌রা'ঈল্‌) পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। এটি ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব তীরে ও লোহিত সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত। দেশটির উত্তর স্থলসীমান্তে লেবানন, উত্তর-পূর্বে সিরিয়া, পূর্বে জর্দানফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত ভূখন্ড পশ্চিম তীর, পশ্চিমে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড গাজা উপত্যকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশর অবস্থিত।

ইসরায়েল সমগ্র জেরুসালেম শহরকে তার রাজধানী হিসেবে দাবী করে আসছে, যদিও এই মর্যাদা সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রই স্বীকার করে না।[৮] শহরের পশ্চিমভাগ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে দেশটির সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি অবস্থিত।[টীকা ২] অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল একটি অত্যন্ত উন্নত শিল্পপ্রধান রাষ্ট্র। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত তেল আভিভ দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র এবং বৃহত্তম নগর এলাকা।[৯] স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হিসেবে ইসরায়েল বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে জাপানদক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এটি এশিয়ার ৩টি উচ্চ-আয়ের রাষ্ট্রগুলির একটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে এটি বিশ্বের ৩৯টি অগ্রসর অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলির একটি।

ইসরায়েলে প্রায় ৮৩ লক্ষ লোকের বাস। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮১ জন অধিবাসী বাস করে। এদের মধ্যে ৬১ লক্ষ ইহুদী জাতি ও ধর্মাবলম্বী এবং ১৭ লক্ষ আরব জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান)। এটিই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে ইহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়। ইসরায়েলের জনগণ অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত; এখানকার প্রায় অর্ধেক জনগণের (২৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে) বিশ্ববিদ্যালয় বা তার সমপর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, যা বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ।[১০] দেশটির জীবনযাত্রার মান সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ, এশিয়াতে ৫ম এবং বিশ্বে ১৯তম।[১১]

ইসরায়েল নিজেকে একটি ইহুদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করে। এখানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। এর এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ক্নে‌সেত। প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

ইসরায়েলের জন্ম, ইতিহাস ও রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই ইসরায়েল প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলির সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। দেশটি ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা সামরিকভাবে দখল করে আছে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৬১টি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ৩১টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং দেশটির সাথে তাদের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের অনেকের মতে ইসরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের একটি অংশের অবৈধ দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশরজর্দানের সাথে ইসরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ও দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে।

নামকরণের ইতিহাস

১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের সময় নাম রাখা হয় 'স্টেট অব ইসরায়েল', হিব্রু ভাষায় নাম রাখার কথা ভাবা হয়েছিলো যেমনঃ ইরেটস, যায়োন অথবা জুডিয়া। তবে ইসরায়েল নামটি হিব্রু এবং আরবী দুটো ভাষারই হওয়াতে এই নাম রাখারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।[১২]

ইতিহাস

সপ্তম শতকে মুসলিমরা ইসরায়েল ভূখণ্ডটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়, ১০৯৯ সালে এটি খ্রিস্টানদের দখলে যায়, ১১৮৭ সালে এটি আবার আইয়ুবীয় রাজবংশ এর অধীনে চলে যায়, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইসরায়েল মিশরের মামলুক সুলতান এর নিয়ন্ত্রণে আসে, ১৫১৭ সালে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্যভুক্ত হয়; ইহুদীরা সপ্তম শতাব্দী থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছে এবং পরে তারা ইউরোপ মহাদেশে পাড়ি জমায়।[১৩]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর ইসরায়েল ভূখণ্ডটি ব্রিটিশরা তাদের অধীনে নিয়ে নেয় এবং নাম রাখে 'মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন'।[১৪] ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।

১৯২৩ সালে স্বাধীন তুরস্কের জন্ম হলে এই অঞ্চলে ইহুদীরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, নরওয়ে, পোল্যান্ড, গ্রীস এবং সুইজাল্যান্ডে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে নেতারা আহ্বান জানান ইসরায়েলে বসতি গড়তে। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইহুদীদেরকে তাদের নিজস্ব ভূমি ছেড়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদী মানুষ ইসরায়েল ভূখণ্ডে পাড়ি জমায়।[১৫]

১৯২১ সালে ইহুদীরা 'হাগানাহ' নামের এক বাহিনী তৈরি করে।[১৬] এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা আধা-সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং স্বাধীনতার পরে এই বাহিনী ইসরায়েলের মূল সামরিক বাহিনী গঠন করে।[১৭]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ থেকে আরো ইহুদী মানুষ ইসরায়েলে আসে এবং তাদের অনেককেই হাগানাহ সহ অন্যান্য বাহিনীতে নেওয়া হয় ভবিষ্যৎ যুদ্ধের মোকাবেলা করার জন্য।[১৮]

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৯] এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ড্যাভিড বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।[২০]

১৯৪৮ সালের ১৭ মে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[২১] ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক সরকার ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ছিলো।[২২][২৩]

রাজনীতি

ইসরায়েলের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত।[২৪] আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেসেট নামের আইনসভার উপর ন্যস্ত।[২৫] বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন।[২৬]

বিদেশ নীতি

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৭০টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে।[২৭] তবে ফিলিস্তিন বিবাদের জন্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈরাগ সম্পর্ক রয়েছে।[২৮]

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

ইসরায়েলে ছয়টি জেলা আছে, এগুলো হলোঃ জেরুসালেম জেলা, উত্তর জেলা, হায়ফা জেলা, মধ্য জেলা, তেল আবিব জেলা এবং দক্ষিণ জেলা এবং জুডিয়া এ্যান্ড সামারিয়া এলাকা।[২৯]

সামরিক বাহিনী

ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস, সংক্ষেপে আইডিএফ) তিনটি মিলিটারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত।[৩০] সংস্থাগুলো হচ্ছে স্থলবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী।[২] তিন বাহিনীকে এক বাহিনী ধরা হয়; এই বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। অফিশিয়ালি ইসরায়েল সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালের ২৬ মে কেবিনেটের সিদ্ধান্তক্রমে। এ জন্য লিখিত আদেশ দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক ইহুদিকে এই বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ছাড়াও ইহুদিদের তিনটি সংগঠন হাগানাহ, ইরগান ও লেহির সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠন করা হয়।[৩১] যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা আর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় এই বাহিনীকে।[২]

বিভিন্ন দেশের সাথে এই বাহিনীর অস্ত্র ও প্রযুক্তির বেশ পার্থক্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মারকাভা মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, উজি সাব মেশিনগান এবং গালিল ও টাভর অ্যাসল্ট রাইফেল। আইডিএফ’র উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অর্থসহযোগিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাত হচ্ছে এফ-১৫১ জেট বিমান, টিএইচ।[২]

ভূগোল

ইসরায়েল পশ্চিম এশিয়াতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল ধরে সমভূমি অবস্থিত। ইসরায়েলের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল নেগেভ মরুভূমি আর উত্তরে আছে বরফাবৃত পর্বতমালা। দক্ষিণে লোহিত সাগরে এক চিলতে প্রবেশপথ আছে।[১][৩২]

অর্থনীতি

ইসরায়েলের অর্থনীতি আধুনিক পশ্চিমা অর্থনীতির সমপর্যায়ের। ইসরায়েলের নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ খুব কম। দেশটি ১৯৭০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছে, তবে ১৯৯৮-এর পর এই অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়। ইসরায়েল ও.ই.সি.ডি. (অরগ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো - অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য। দেশটির মানুষের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত এবং ২০১২ সাল অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।[৩৩][৩৪] ইসরায়েলের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারের ভালো সদিচ্ছা থাকার কারণে দেশটিতে বেকারত্ব খুবই কম।[৩৫]

জনসংখ্যা

ইসরায়েলের জনসংখ্যা প্রায় ৯ মিলিয়ন।

ভাষা

ইসরায়েল ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্র। এথনোলগের ১৫শ সংস্করণ অনুসারে ইসরায়েলে ৩৩টির মত ছোট-বড় ভাষা ও উপভাষা প্রচলিত[৩৬]। ইসরায়েলি নাগরিকেরা নিজেদের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের জন্য মূলত আধুনিক হিব্রু ভাষা ব্যবহার করেন। আধুনিক হিব্রু ভাষাটি ১৯শ শতকের শেষ দিকে প্রাচীন হিব্রু ভাষার বিভিন্ন উপভাষার উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছিল এবং এতে স্লাভীয়জার্মানীয় ভাষাসমূহের কিছু প্রভাব আছে। ভাষার সরকারি মর্যাদা ও ভাষা সংক্রান্ত নীতিমালার উপর ইসরায়েলে বেশ কিছু আইন আছে। বর্তমানে হিব্রুআরবি ইসরায়েলের সরকারি ভাষা।[৩৭]

সংস্কৃতি

ইসরায়েলের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার।[৩৮]

পর্যটন

ইসরায়েলের পর্যটন মূলত ইহুদী ধর্মের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দেশটির সর্বত্র ইহুদী ধর্মের ও সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইহুদীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানদেরও গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল জেরুজালেম শহর। জেরুজালেমের ইহুদী মন্দির ও পশ্চিম দেওয়াল বিখ্যাত। এছাড়া আছে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহেম, বাসস্থান নাজারেথ।এখানে হারাম আল শরীফ তথা আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত।ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ যা মুসলিমদের প্রথম কিবলা হিসাবে পরিচিত। ভূমধ্যসাগরের তীর জুড়ে রয়েছে অনেক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। আরও আছে লবণাক্ত মৃত সাগর, যার পানিতে ভেসে থাকা যায়। লোহিত সাগরের উপকূল এবং গ্যালিলির সাগরের উপকূলেও অনেক অবকাশ কেন্দ্র আছে।[৩৯]

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

  1. Internationally recognized by the Czech Republic, Taiwan, the United States, and Vanuatu
  2. The Jerusalem Law states that "Jerusalem, complete and united, is the capital of Israel" and the city serves as the seat of the government, home to the President's residence, government offices, supreme court, and parliament. The United Nations and most countries do not accept the Jerusalem Law (see Kellerman 1993, পৃ. 140) and maintain their embassies in other cities such as Tel Aviv, Ramat-Gan, and Herzliya(see the CIA Factbook and Map of Israel) The Palestinian Authority sees East Jerusalem as the capital of a future Palestinian State and the city's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see "Negotiating Jerusalem", University of Maryland). See Positions on Jerusalem for more information.
  1. "Israel"The World Factbook। Central Intelligence Agency। 2007-06-19। সংগ্রহের তারিখ 2007-07-20  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. Qposter-লেখকঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। "ইসরাইলের সমরশক্তি"www.qposter.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. (পিডিএফ)Israel Central Bureau of Statistics http://www.cbs.gov.il/publications16/yarhon0716/pdf/b1.pdf। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২৬  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  4. (পিডিএফ)Israel Central Bureau of Statistics http://www.cbs.gov.il/www/mifkad/mifkad_2008/profiles/rep_e_000000.pdf। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২৬  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  5. "Israel"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 
  6. "Gini Index" 
  7. "Human Development Report 2015." (পিডিএফ)। The United Nations। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-১০ 
  8. Kate Samuelson (ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬), Why Jerusalem Isn't Recognized as Israel's Capital, Time Magazine 
  9. https://www.algemeiner.com/2015/09/30/tel-aviv-ranked-among-worlds-top-financial-centers/
  10. "OECD.Stat Education and Training > Education at a Glance > Educational attainment and labor-force status > Educational attainment of 25-64 year-olds"। OECD। 
  11. Human Development Index and its components (প্রতিবেদন)। United Nations Development Programme। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 
  12. "Popular Opinion"The Palestine Post। Jerusalem। ৭ ডিসেম্বর ১৯৪৭। পৃষ্ঠা 1। ১৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. ""Aliyah": The Word and Its Meaning"। ২০০৫-০৫-১৫। ২০০৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯ 
  14. "League of Nations decision confirming the Principal Allied Powers' agreement on the territory of Palestine"। ২০১৩-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. "Transfer Agreement"। Transfer Agreement। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-২৯ 
  16. "The Role of Jewish Defense Organizations in Palestine (1903–1948)"। Jewish Virtual Library। 
  17. Ilan Pappé (2000), p.79
  18. Hakohen, Devorah (২০০৩), Immigrants in Turmoil: Mass Immigration to Israel and Its Repercussions in the 1950s and After, Syracuse University Press, পৃষ্ঠা 267, আইএসবিএন 9780815629696 
  19. "A/RES/181(II) of 29 November 1947"। United Nations। ১৯৪৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২ 
  20. Brenner, Michael; Frisch, Shelley (এপ্রিল ২০০৩)। Zionism: A Brief History। Markus Wiener Publishers। পৃষ্ঠা 184। 
  21. Hashim S. H. Behbehani (১৯৮৬)। The Soviet Union and Arab nationalism, 1917-1966। Routledge। পৃষ্ঠা 69। আইএসবিএন 978-0-7103-0213-7 
  22. "Timeline of Turkish-Israeli Relations, 1949–2006" (পিডিএফ)। ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  23. "Turkey and Israel"। SMI। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০ 
  24. "Field Listing — Executive Branch"The World Factbook। Central Intelligence Agency। ১৯ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০০৭ 
  25. "The Electoral System in Israel"। The Knesset। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০০৭ 
  26. "The Judiciary: The Court System"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১ আগস্ট ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০০৭ 
  27. "Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  28. "Exclusive: Israel to Open First Diplomatic Mission in Abu Dhabi - Israel News - Israel News - Haaretz Israeli News Source"। Haaretz.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৮ 
  29. "Introduction to the Tables: Geophysical Characteristics" (doc)। Central Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ 
  30. "The State: Israel Defense Forces (IDF)"। Israel Ministry of Foreign Affairs। ১৩ মার্চ ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০০৭ 
  31. Speedy (১২ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "The Speedy Media: IDF's History"। Thespeedymedia.blogspot.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  32. Skolnik 2007, পৃ. 132–232
  33. Chua, Amy (২০০৩)। World On Fire। Knopf Doubleday Publishing। পৃষ্ঠা 219–220। আইএসবিএন 978-0385721868 
  34. "Northern and Western Asia" 
  35. David Adler (১০ মার্চ ২০১৪)। "Ambitious Israeli students look to top institutions abroad"। ICEF। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫ 
  36. [১]
  37. Spolsky, Bernard (১৯৯৯)। Round Table on Language and Linguistics। Washington, D.C.: Georgetown University Press। পৃষ্ঠা 169–70। আইএসবিএন 0-87840-132-6In 1948, the newly independent state of Israel took over the old British regulations that had set English, Arabic, and Hebrew as official languages for Mandatory Palestine but, as mentioned, dropped English from the list. In spite of this, official language use has maintained a de facto role for English, after Hebrew but before Arabic. 
  38. "Asian Studies: Israel as a 'Melting Pot'"। National Research University Higher School of Economics। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১২ 
  39. Burstein, Nathan (১৪ আগস্ট ২০০৭)। "Tourist visits above pre-war level"The Jerusalem Post। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১২ 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ