আলোকচিত্রগ্রাহী ফিল্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habib Rabbi (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:


==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
১৬৪৫ সালে [[জার্মানি |জার্মান]] [[বিজ্ঞানী]] অ্যাথানাসিউস কিরখের আবিষ্কার করলেন ম্যাজিক লন্ঠন। স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর ছবি এঁকে সেটাকে লেন্সের মধ্য দিয়ে পর্দার প্রতিফলিত করাই ছিল ম্যাজিক লন্ঠনের আসল কায়দা । এভাবে ক্যামেরা বা ফিল্ম তৈরির আগে তৈরি হল [[প্রজেক্টর|প্রজেক্টরের]] আদি সংস্করণ। ১৮১৬ সালে ফরাসী [[রসায়নবিদ]] নিসেফোরে নিপসে প্রথম ফটোগ্রাফ তোলেন। ১৮২৪-এ জোসেফ প্লেটো বেলজিয়ামে আবিষ্কার করেন ক্যামেরা শাটার। এর পরপরই ১৮৩০ সালে বৃটিশ বিজ্ঞানী ফক্স ট্যাবলেট তৈরি করেন প্রথম ফটো নেগেটিভ। এভাবে ক্যামেরা আর ফিল্ম তৈরির পথে মানুষ এক কদম অগ্রসর হয়।
১৬৪৫ সালে [[জার্মানি|জার্মান]] [[বিজ্ঞানী]] অ্যাথানাসিউস কিরখের আবিষ্কার করলেন ম্যাজিক লন্ঠন। স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর ছবি এঁকে সেটাকে লেন্সের মধ্য দিয়ে পর্দার প্রতিফলিত করাই ছিল ম্যাজিক লন্ঠনের আসল কায়দা । এভাবে ক্যামেরা বা ফিল্ম তৈরির আগে তৈরি হল [[প্রজেক্টর|প্রজেক্টরের]] আদি সংস্করণ। ১৮১৬ সালে ফরাসী [[রসায়নবিদ]] নিসেফোরে নিপসে প্রথম ফটোগ্রাফ তোলেন। ১৮২৪-এ জোসেফ প্লেটো বেলজিয়ামে আবিষ্কার করেন ক্যামেরা শাটার। এর পরপরই ১৮৩০ সালে বৃটিশ বিজ্ঞানী ফক্স ট্যাবলেট তৈরি করেন প্রথম ফটো নেগেটিভ। এভাবে ক্যামেরা আর ফিল্ম তৈরির পথে মানুষ এক কদম অগ্রসর হয়।
১৮৭২ সালে একটি মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথম মুভি ক্যামেরা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্ণর লিল্যান্ত ছিলেন ঘোরার রেসের দারুন ভক্ত। ১৮৭২ এ তিনি তার এক বন্ধুর সাথে আজব বাজী ধরলেন। লিল্যান্ত বললেন ঘোড়া দৌড়ানোর সময় কোন এক মুহূর্তে তার সবগুলো পা-ই শূন্যে থাকে। বন্ধু বললেন এটা হতেই পারেনা। বাজীতে জেতার জন্যে লিল্যান্ত ইংরেজ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড মেব্রীজকে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুলতে বললেন। সাতবছরের একটানা গবেষণার পর মেব্রীজ রেসের মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুললেন। সত্যিই দেখা গেল, ছুটন্ত ঘোড়ার সবগুলো পা-ই বিশেষ একটি মুহূর্তও শূন্যে থাকে। এই গবেষণা কাজে লাগিয়ে ১৮৮২ সালে মেব্রীজ ড্রাই প্লেট ফটোগ্রাফিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। এবছর এপদ্ধতি ব্যবহার করে জুল মারে নামে একজন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন ফটোগান। তৈরি হলো প্রথম মুভি ক্যামেরা। সবদিক থেকেই এটি ছিল রাইফেল, শুধু কার্তুজের বদলে এতে থাকতো ফটো- প্লেট । এই রাইফেল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে তুলতেই চলচিত্রে চিত্রগ্রহনের স্থায়ী নাম হয়ে গেল - শুটিং। ১৮৯০ সালে ইস্টম্যান তৈরি করলেন প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফটোফিল্ম। ১৮৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর চলচিত্রের ইতিহাসে এক জ্বলজ্বলে দিন। ফরাসী দু'ভাই - অগুস্ত লুমিয়ের (১৮৬২-১৯৫৪) আর লুই লুমিয়ের ( ১৮৬৪-১৯৪৮) এদিন প্যারিসে আর্কল্যাম্প প্রজেক্টর দিয়ে নিজেদের তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৮৭২ সালে একটি মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথম মুভি ক্যামেরা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্ণর লিল্যান্ত ছিলেন ঘোরার রেসের দারুন ভক্ত। ১৮৭২ এ তিনি তার এক বন্ধুর সাথে আজব বাজী ধরলেন। লিল্যান্ত বললেন ঘোড়া দৌড়ানোর সময় কোন এক মুহূর্তে তার সবগুলো পা-ই শূন্যে থাকে। বন্ধু বললেন এটা হতেই পারেনা। বাজীতে জেতার জন্যে লিল্যান্ত ইংরেজ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড মেব্রীজকে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুলতে বললেন। সাতবছরের একটানা গবেষণার পর মেব্রীজ রেসের মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুললেন। সত্যিই দেখা গেল, ছুটন্ত ঘোড়ার সবগুলো পা-ই বিশেষ একটি মুহূর্তও শূন্যে থাকে। এই গবেষণা কাজে লাগিয়ে ১৮৮২ সালে মেব্রীজ ড্রাই প্লেট ফটোগ্রাফিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। এবছর এপদ্ধতি ব্যবহার করে জুল মারে নামে একজন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন ফটোগান। তৈরি হলো প্রথম মুভি ক্যামেরা। সবদিক থেকেই এটি ছিল রাইফেল, শুধু কার্তুজের বদলে এতে থাকতো ফটো- প্লেট । এই রাইফেল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে তুলতেই চলচিত্রে চিত্রগ্রহনের স্থায়ী নাম হয়ে গেল - শুটিং। ১৮৯০ সালে ইস্টম্যান তৈরি করলেন প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফটোফিল্ম। ১৮৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর চলচিত্রের ইতিহাসে এক জ্বলজ্বলে দিন। ফরাসী দু'ভাই - অগুস্ত লুমিয়ের (১৮৬২-১৯৫৪) আর লুই লুমিয়ের ( ১৮৬৪-১৯৪৮) এদিন প্যারিসে আর্কল্যাম্প প্রজেক্টর দিয়ে নিজেদের তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।

০৬:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ডেভেলপ না করা ৩৫ mm, আইএসও 125/22°, কালো ও সাদা নেগেটিভ ফিল্ম

আলোকচিত্রগ্রাহী ফিল্ম (ইংরেজি: Photographic film) হলো স্বচ্ছ প্লাস্টিক ফিল্ম বেসের একটি স্ট্রিপ বা শীট যার একপাশে প্লিপ্ত থাকে জিলেটিন ইমালশন যাতে থাকে ছোট ছোট আণুবীক্ষণিক আলোক-সংবেদী সিলভার হ্যালাইড স্ফটিক। স্ফটিকের আকার ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ফিল্মের সেনসিটিভিটি, কনট্রাস্ট এবং রেজুলেশন নির্ধারিত হয়।

ইতিহাস

১৬৪৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী অ্যাথানাসিউস কিরখের আবিষ্কার করলেন ম্যাজিক লন্ঠন। স্বচ্ছ মাধ্যমের ওপর ছবি এঁকে সেটাকে লেন্সের মধ্য দিয়ে পর্দার প্রতিফলিত করাই ছিল ম্যাজিক লন্ঠনের আসল কায়দা । এভাবে ক্যামেরা বা ফিল্ম তৈরির আগে তৈরি হল প্রজেক্টরের আদি সংস্করণ। ১৮১৬ সালে ফরাসী রসায়নবিদ নিসেফোরে নিপসে প্রথম ফটোগ্রাফ তোলেন। ১৮২৪-এ জোসেফ প্লেটো বেলজিয়ামে আবিষ্কার করেন ক্যামেরা শাটার। এর পরপরই ১৮৩০ সালে বৃটিশ বিজ্ঞানী ফক্স ট্যাবলেট তৈরি করেন প্রথম ফটো নেগেটিভ। এভাবে ক্যামেরা আর ফিল্ম তৈরির পথে মানুষ এক কদম অগ্রসর হয়। ১৮৭২ সালে একটি মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথম মুভি ক্যামেরা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্ণর লিল্যান্ত ছিলেন ঘোরার রেসের দারুন ভক্ত। ১৮৭২ এ তিনি তার এক বন্ধুর সাথে আজব বাজী ধরলেন। লিল্যান্ত বললেন ঘোড়া দৌড়ানোর সময় কোন এক মুহূর্তে তার সবগুলো পা-ই শূন্যে থাকে। বন্ধু বললেন এটা হতেই পারেনা। বাজীতে জেতার জন্যে লিল্যান্ত ইংরেজ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড মেব্রীজকে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুলতে বললেন। সাতবছরের একটানা গবেষণার পর মেব্রীজ রেসের মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে ছুটন্ত ঘোড়ার পায়ের ছবি তুললেন। সত্যিই দেখা গেল, ছুটন্ত ঘোড়ার সবগুলো পা-ই বিশেষ একটি মুহূর্তও শূন্যে থাকে। এই গবেষণা কাজে লাগিয়ে ১৮৮২ সালে মেব্রীজ ড্রাই প্লেট ফটোগ্রাফিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। এবছর এপদ্ধতি ব্যবহার করে জুল মারে নামে একজন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন ফটোগান। তৈরি হলো প্রথম মুভি ক্যামেরা। সবদিক থেকেই এটি ছিল রাইফেল, শুধু কার্তুজের বদলে এতে থাকতো ফটো- প্লেট । এই রাইফেল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে তুলতেই চলচিত্রে চিত্রগ্রহনের স্থায়ী নাম হয়ে গেল - শুটিং। ১৮৯০ সালে ইস্টম্যান তৈরি করলেন প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফটোফিল্ম। ১৮৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর চলচিত্রের ইতিহাসে এক জ্বলজ্বলে দিন। ফরাসী দু'ভাই - অগুস্ত লুমিয়ের (১৮৬২-১৯৫৪) আর লুই লুমিয়ের ( ১৮৬৪-১৯৪৮) এদিন প্যারিসে আর্কল্যাম্প প্রজেক্টর দিয়ে নিজেদের তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।