অনুরাধা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫০ নং লাইন: ৫০ নং লাইন:
|box_width =
|box_width =
}}
}}
'''অনুরাধা গান্ধী''' (১৯৫৪ — ১২ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]], লেখক, এবং বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)|মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির]] সদস্য ছিলেন।<ref name="Banned List">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://www.mha.gov.in/uniquepage.asp?Id_Pk=292 | title=List of banned organisations | publisher=Ministry of Home Affairs (India) | work=[[Ministry of Home Affairs (India)|Ministry of Home Affairs]] | language=ইংরেজি | সংগ্রহের-তারিখ=২৬ নভেম্বর ২০১৮ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130425132802/http://mha.gov.in/uniquepage.asp?id_pk=292# | আর্কাইভের-তারিখ=২৫ এপ্রিল ২০১৩ | অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তিনি বেশিরভাগ প্রচারণার সাথে, এবং সিপিআই এর শহরাঞ্চলের মধ্যে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন।<ref name="Indian Express">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |author=Manoj Prasad, Zahid Rafiq |title= Maoist who went to school in Doon, London |url= http://www.indianexpress.com/news/maoist-who-went-to-school-in-doon-london/520448/ |work= [[The Indian Express]] |date= 23 September 2009 |accessdate=28 September 2009|language=ইংরেজি}}</ref> তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন।<ref name="The Hindu">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://www.hindu.com/2008/04/29/stories/2008042956290700.htm | title=Maoist leader Anuradha dead | author=Special Correspondent | work=[[The Hindu]] | date= April 29, 2008|language=ইংরেজি}}</ref>
'''অনুরাধা গান্ধী''' (১৯৫৪ — ১২ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]], লেখক, এবং বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)|মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির]] সদস্য ছিলেন।<ref name="Banned List">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.mha.gov.in/uniquepage.asp?Id_Pk=292 | শিরোনাম=List of banned organisations | প্রকাশক=Ministry of Home Affairs (India) | কর্ম=[[Ministry of Home Affairs (India)|Ministry of Home Affairs]] | ভাষা=ইংরেজি | সংগ্রহের-তারিখ=২৬ নভেম্বর ২০১৮ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130425132802/http://mha.gov.in/uniquepage.asp?id_pk=292# | আর্কাইভের-তারিখ=২৫ এপ্রিল ২০১৩ | অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তিনি বেশিরভাগ প্রচারণার সাথে, এবং সিপিআই এর শহরাঞ্চলের মধ্যে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন।<ref name="Indian Express">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |লেখক=Manoj Prasad, Zahid Rafiq |শিরোনাম= Maoist who went to school in Doon, London |ইউআরএল= http://www.indianexpress.com/news/maoist-who-went-to-school-in-doon-london/520448/ |কর্ম= [[The Indian Express]] |তারিখ= 23 September 2009 |সংগ্রহের-তারিখ=28 September 2009|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন।<ref name="The Hindu">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.hindu.com/2008/04/29/stories/2008042956290700.htm | শিরোনাম=Maoist leader Anuradha dead | লেখক=Special Correspondent | কর্ম=[[The Hindu]] | তারিখ= April 29, 2008|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>


[[মার্কসবাদ|মার্কসবাদী আন্দোলন]] দ্বারা খসড়াকৃত নীতিগত কাগজপত্রের ভেতরে অনুরাধা বর্ণবিভেদ এবং "[[নারীবাদ]] এবং মার্কসবাদ"-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি [[দণ্ডকারণ্য|দণ্ডকারন্যের]] মতো কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্রিক এলাকায় গেরিলাদেরকে সম্ভাব্য শ্রমিক সমবায় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করেন। তিনি পার্টিতে প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক ধারণার আধিপত্যের উপর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন।<ref name="OPEN">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | url=http://www.openthemagazine.com/article/nation/the-rebel | title=The Rebel | author=Rahul Pandita | journal=[[OPEN (Indian magazine)|OPEN]] | date=September 26, 2009|language=ইংরেজি}}</ref>
[[মার্কসবাদ|মার্কসবাদী আন্দোলন]] দ্বারা খসড়াকৃত নীতিগত কাগজপত্রের ভেতরে অনুরাধা বর্ণবিভেদ এবং "[[নারীবাদ]] এবং মার্কসবাদ"-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি [[দণ্ডকারণ্য|দণ্ডকারন্যের]] মতো কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্রিক এলাকায় গেরিলাদেরকে সম্ভাব্য শ্রমিক সমবায় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করেন। তিনি পার্টিতে প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক ধারণার আধিপত্যের উপর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন।<ref name="OPEN">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.openthemagazine.com/article/nation/the-rebel | শিরোনাম=The Rebel | লেখক=Rahul Pandita | সাময়িকী=[[OPEN (Indian magazine)|OPEN]] | তারিখ=September 26, 2009|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>


জ্যোতি পানোয়ানি লিখেছিলেন "নকশাল হুমকি', [[মনমোহন সিংহ]] বলেন, 'দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি'। কিন্তু আমি মনে করি একটি মেয়ে যে সবসময় হাসত এবং যে সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধ জীবন ছেড়ে দিয়েছিল অন্যদের জীবনকে পরিবর্তন করতে"। জ্যোতি পানোয়ানি হচ্ছেন অনুরাধার ১৯৭০-এর দশকে কলেজের বন্ধু, যে তার মৃত্যু সম্বন্ধে লিখেছিলেন।<ref name="TOI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://timesofindia.indiatimes.com/home/sunday-toi/Memories-of-a-Naxalite-Friend/articleshow/2964822.cms | title=Memories of a Naxalite friend | work=[[The Times of India]] | date=April 20, 2008 | author=Jyoti Punwani|language=ইংরেজি}}</ref>
জ্যোতি পানোয়ানি লিখেছিলেন "নকশাল হুমকি', [[মনমোহন সিংহ]] বলেন, 'দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি'। কিন্তু আমি মনে করি একটি মেয়ে যে সবসময় হাসত এবং যে সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধ জীবন ছেড়ে দিয়েছিল অন্যদের জীবনকে পরিবর্তন করতে"। জ্যোতি পানোয়ানি হচ্ছেন অনুরাধার ১৯৭০-এর দশকে কলেজের বন্ধু, যে তার মৃত্যু সম্বন্ধে লিখেছিলেন।<ref name="TOI">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/home/sunday-toi/Memories-of-a-Naxalite-Friend/articleshow/2964822.cms | শিরোনাম=Memories of a Naxalite friend | কর্ম=[[The Times of India]] | তারিখ=April 20, 2008 | লেখক=Jyoti Punwani|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>


==শৈশব==
==শৈশব==
৬৪ নং লাইন: ৬৪ নং লাইন:


==রাজনৈতিক কর্মজীবন==
==রাজনৈতিক কর্মজীবন==
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলন|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে ওয়রলি দাংগা প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি এফ্রো- আমেরিকান বিপ্লবী সংগঠনের আদলে গড়া ওঠা ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সিভিল লিবার্টি কনফারেন্সে রাজনৈতিক বন্দীমুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন CPDR এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের ভেতর তিনি ছিলেন একজন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব পড়ানোর কাজে যুক্ত থাকায় বহু ছাত্র ও শিক্ষক তার দ্বারা বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়। [[নাগপুর]] ছাড়াও কাম্পতি, খাপারখোলা, জবলপুর, অমরাবতী এলাকায় বিড়ি, ঠিকা ও রেলশ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি এই সময় প্রায় বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হন, যার ফলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।<ref name = "OPEN"/><ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|title=রাসমনি থেকে অনুরাধা|last=সেইসব শহীদেরা|first=পিনাকী বিশ্বাস|publisher=অতিরিক্ত পাবলিকেশন|year=২০১৪|isbn=978-81-928741-0-4|location=কলকাতা|pages=২৪, ২৫}}</ref>
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলন|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে ওয়রলি দাংগা প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি এফ্রো- আমেরিকান বিপ্লবী সংগঠনের আদলে গড়া ওঠা ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সিভিল লিবার্টি কনফারেন্সে রাজনৈতিক বন্দীমুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন CPDR এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের ভেতর তিনি ছিলেন একজন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব পড়ানোর কাজে যুক্ত থাকায় বহু ছাত্র ও শিক্ষক তার দ্বারা বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়। [[নাগপুর]] ছাড়াও কাম্পতি, খাপারখোলা, জবলপুর, অমরাবতী এলাকায় বিড়ি, ঠিকা ও রেলশ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি এই সময় প্রায় বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হন, যার ফলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।<ref name = "OPEN"/><ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রাসমনি থেকে অনুরাধা|শেষাংশ=সেইসব শহীদেরা|প্রথমাংশ=পিনাকী বিশ্বাস|প্রকাশক=অতিরিক্ত পাবলিকেশন|বছর=২০১৪|আইএসবিএন=978-81-928741-0-4|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=২৪, ২৫}}</ref>


== বিপ্লবী কর্মকান্ড ==
== বিপ্লবী কর্মকান্ড ==
৭০ নং লাইন: ৭০ নং লাইন:


==ব্যক্তিগত জীবন==
==ব্যক্তিগত জীবন==
অনুরাধা শনবাগ ১৯৮৩ সালে কোবাদ গান্ধীকে বিয়ে করেন,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |author= Kobad Ghandy |title= Letter to the Editor |url= http://www.openthemagazine.com/article/nation/letter-to-the-editor |work = [[OPEN (Indian magazine)|OPEN]] |date= 8 May 2010 |language=ইংরেজি}}</ref> যিনি একটি গুজরাটি পার্সি পরিবারের সদস্য ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |author= Nauzer Bharucha |title= Kobad's father backed cause: Brother-in-law |url= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-09-24/mumbai/28098945_1_kobad-anuradha-worli |work= [[The Times of India]] |date= 24 September 2009 |language=ইংরেজি}}</ref>
অনুরাধা শনবাগ ১৯৮৩ সালে কোবাদ গান্ধীকে বিয়ে করেন,<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |লেখক= Kobad Ghandy |শিরোনাম= Letter to the Editor |ইউআরএল= http://www.openthemagazine.com/article/nation/letter-to-the-editor |কর্ম = [[OPEN (Indian magazine)|OPEN]] |তারিখ= 8 May 2010 |ভাষা=ইংরেজি}}</ref> যিনি একটি গুজরাটি পার্সি পরিবারের সদস্য ছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |লেখক= Nauzer Bharucha |শিরোনাম= Kobad's father backed cause: Brother-in-law |ইউআরএল= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2009-09-24/mumbai/28098945_1_kobad-anuradha-worli |কর্ম= [[The Times of India]] |তারিখ= 24 September 2009 |ভাষা=ইংরেজি}}</ref>


==মৃত্যু==
==মৃত্যু==
অনুরাধা ১২ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে [[ম্যালেরিয়া]] ফ্যালসিপেরাম এর সাথে সম্পর্কিত রোগে মারা যান। তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যা একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতা বয়ে আনে; ফলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়।<ref name="Parsiana">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | url=http://parsiana.com/archives/details.asp?article_id%3D2614%26search_for%3D |title=A Comrade and Companion |date=April 21, 2010 |work= [http://parsiana.com/ Parsiana]|language=ইংরেজি}}</ref> এটা ঘটেছিল তাঁর ঝাড়খণ্ডে অবস্থানের সময়, যখন তিনি সমাজে নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের শিক্ষাদান করছিলেন, তখন তিনি সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।<ref name="OPEN"/> তাঁর শেষ দিনগুলোতে, তিনি নারী ক্যাডারদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশের জন্য তিনি প্রশিক্ষণ দিতেছিলেন।
অনুরাধা ১২ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে [[ম্যালেরিয়া]] ফ্যালসিপেরাম এর সাথে সম্পর্কিত রোগে মারা যান। তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যা একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতা বয়ে আনে; ফলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়।<ref name="Parsiana">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://parsiana.com/archives/details.asp?article_id%3D2614%26search_for%3D |শিরোনাম=A Comrade and Companion |তারিখ=April 21, 2010 |কর্ম= [http://parsiana.com/ Parsiana]|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> এটা ঘটেছিল তাঁর ঝাড়খণ্ডে অবস্থানের সময়, যখন তিনি সমাজে নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের শিক্ষাদান করছিলেন, তখন তিনি সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।<ref name="OPEN"/> তাঁর শেষ দিনগুলোতে, তিনি নারী ক্যাডারদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশের জন্য তিনি প্রশিক্ষণ দিতেছিলেন।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৭:৩৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অনুরাধা গান্ধী
Anuradha Ghandy
জন্ম
অনুরাধা শনবাগ

১৯৫৪
মৃত্যু১২ এপ্রিল ২০০৮(2008-04-12) (বয়স ৫৩–৫৪)
মৃত্যুর কারণফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামনর্মদা, বর্ষা, রমা, অনু, জানকী
মাতৃশিক্ষায়তনএলফিনস্টোন কলেজে, মুম্বাই
পরিচিতির কারণভারতে মাওবাদী আন্দোলনের বিশিষ্ট ব্যক্তি
দাম্পত্য সঙ্গীকোবাদ গান্ধী (বি. ১৯৮৩)
পিতা-মাতাকুমুদ (মা)
গণেশ (বাবা)

অনুরাধা গান্ধী (১৯৫৪ — ১২ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় সাম্যবাদী, লেখক, এবং বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।[১] তিনি বেশিরভাগ প্রচারণার সাথে, এবং সিপিআই এর শহরাঞ্চলের মধ্যে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন।[২] তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন।[৩]

মার্কসবাদী আন্দোলন দ্বারা খসড়াকৃত নীতিগত কাগজপত্রের ভেতরে অনুরাধা বর্ণবিভেদ এবং "নারীবাদ এবং মার্কসবাদ"-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি দণ্ডকারন্যের মতো কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্রিক এলাকায় গেরিলাদেরকে সম্ভাব্য শ্রমিক সমবায় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করেন। তিনি পার্টিতে প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক ধারণার আধিপত্যের উপর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন।[৪]

জ্যোতি পানোয়ানি লিখেছিলেন "নকশাল হুমকি', মনমোহন সিংহ বলেন, 'দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি'। কিন্তু আমি মনে করি একটি মেয়ে যে সবসময় হাসত এবং যে সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধ জীবন ছেড়ে দিয়েছিল অন্যদের জীবনকে পরিবর্তন করতে"। জ্যোতি পানোয়ানি হচ্ছেন অনুরাধার ১৯৭০-এর দশকে কলেজের বন্ধু, যে তার মৃত্যু সম্বন্ধে লিখেছিলেন।[৫]

শৈশব

আগের প্রজন্মের সাম্যবাদী, গণেশ ও কুমুদ শনবাগের[৪] মুম্বাই সিপিআই অফিসে বিবাহ হয় এবং এরকম একটি পরিবারে অনুরাধার জন্ম হয়।[৪] তারা ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত পার্টিতে ছিলেন, তখনও বর্তমানের মতো মাওবাদী ও মার্কসবাদী দলের মধ্যে ভাগ ছিল না।[৪] পরে গণেশ প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্য হন, এবং কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতেন।[৪] কুমুদ একজন সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবে তার জীবন কাটিয়েছেন, এবং বর্তমানে তিনি এক নারী দলের সঙ্গে জড়িত আছেন।

তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এমনভাবে লালনপালন করেন যে, তারা পরে বিপ্লবী হয়ে ওঠে। অনুরাধার ভাই, বিশিষ্ট মুম্বাই-ভিত্তিক নাট্যকার, প্রগতিশীল নাটক লিখতেন। অনুরাধা সান্তাক্রুজে জে বি ক্ষুদে স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেই স্কুলটি শিশুদের বৈচিত্রময় মতামত এবং ধারনার উন্মুক্ত ছিল এবং সেখানে অনেক পড়তে উৎসাহিত করা হতো। সেখানে যেমন ধ্রুপদী নাচ এবং থিয়েটারের ক্ষেত্রে বিকাশের আয়োজন ছিলো।[৪]

পরিবারটি খুবই কমিউনিস্ট ভাবাপন্ন ছিলো, যেখানে অনুরাধা কলেজে পড়ার সময় রাজনীতিতে যুক্ত হন। সেই সময়টি ছিলো ভারতে সাম্যবাদ প্রচারের প্রধান সময়, যখন অন্যান্য সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সংগে ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায়, চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পক্ষে তুমুল প্রচারণা চলছিলো। এটা সেই সময় যখন নকশালবাড়ি অস্তিত্বে এসেছিল,[২] যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বিপ্লবের আগুন জ্বেলেছিল, অনুরাধা তখন PROYOM নামে একটি বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন নকশাল আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে ওয়রলি দাংগা প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি এফ্রো- আমেরিকান বিপ্লবী সংগঠনের আদলে গড়া ওঠা ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সিভিল লিবার্টি কনফারেন্সে রাজনৈতিক বন্দীমুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন CPDR এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের ভেতর তিনি ছিলেন একজন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব পড়ানোর কাজে যুক্ত থাকায় বহু ছাত্র ও শিক্ষক তার দ্বারা বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়। নাগপুর ছাড়াও কাম্পতি, খাপারখোলা, জবলপুর, অমরাবতী এলাকায় বিড়ি, ঠিকা ও রেলশ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি এই সময় প্রায় বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হন, যার ফলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।[৪][৬]

বিপ্লবী কর্মকান্ড

আত্মগোপন থাকাকালীন তাঁর বাস্তারের গোন্দ আদিবাসীদের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের ভেতর তিনবছর থেকে আদিবাসী সমস্যা, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতিকে অধ্যয়ন করেন ও তাদের কাছের মানুষ হিসেবে রাজনৈতিক শিবির, শিক্ষা শিবির, স্বাস্থ্য শিবির ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতন করতে থাকেন। আদতে তিনি একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। রাইফেল তৈরীর কাজটিও নিজে হাতে শিখে নিয়েছিলেন। পশ্চিম বস্তারের ন্যাশনাল পার্ক অঞ্চলে তীব্র দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ১৯৭৭ সালে, তখন তিনি প্রথমবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন। সুস্থ হয়ে পূনরায় বিপ্লবী কাজকর্ম চালান। পাশাপাশি লেখালিখিও করেছেন হিন্দি ইংরেজি মারাঠি ইত্যাদি ভাষায়। স্বনামে ও ছদ্মনামে পিপলস মার্চ, জনসংগ্রাম, কলম পত্রিকায় লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন দক্ষিন ভারতের বিপ্লবী কবি চেরবান্দারাজুর কবিতা। ভারতে জাতপাত প্রশ্নে তার পলিসি পেপার পূর্বতন CPI(ML) (Peoples War) পার্টি দলিল হিসেবে গৃহীত হয়।[৬] তিনি পার্টির নারী শাখার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন, এবং তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে কাজ করে গেছেন।[৪] ২০০৭ সালের ঐক্য কংগ্রেসে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য হিসেবে যোগ দেন।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন

অনুরাধা শনবাগ ১৯৮৩ সালে কোবাদ গান্ধীকে বিয়ে করেন,[৭] যিনি একটি গুজরাটি পার্সি পরিবারের সদস্য ছিলেন।[৮]

মৃত্যু

অনুরাধা ১২ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে ম্যালেরিয়া ফ্যালসিপেরাম এর সাথে সম্পর্কিত রোগে মারা যান। তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যা একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতা বয়ে আনে; ফলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়।[৯] এটা ঘটেছিল তাঁর ঝাড়খণ্ডে অবস্থানের সময়, যখন তিনি সমাজে নারীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের শিক্ষাদান করছিলেন, তখন তিনি সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।[৪] তাঁর শেষ দিনগুলোতে, তিনি নারী ক্যাডারদের নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশের জন্য তিনি প্রশিক্ষণ দিতেছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. "List of banned organisations"Ministry of Home Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। Ministry of Home Affairs (India)। ২৫ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. Manoj Prasad, Zahid Rafiq (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Maoist who went to school in Doon, London"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  3. Special Correspondent (এপ্রিল ২৯, ২০০৮)। "Maoist leader Anuradha dead"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। 
  4. Rahul Pandita (সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৯)। "The Rebel"OPEN (ইংরেজি ভাষায়)। 
  5. Jyoti Punwani (এপ্রিল ২০, ২০০৮)। "Memories of a Naxalite friend"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. সেইসব শহীদেরা, পিনাকী বিশ্বাস (২০১৪)। রাসমনি থেকে অনুরাধা। কলকাতা: অতিরিক্ত পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৪, ২৫। আইএসবিএন 978-81-928741-0-4 
  7. Kobad Ghandy (৮ মে ২০১০)। "Letter to the Editor"OPEN (ইংরেজি ভাষায়)। 
  8. Nauzer Bharucha (২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Kobad's father backed cause: Brother-in-law"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। 
  9. "A Comrade and Companion"Parsiana (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ২১, ২০১০।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)