হানাফী (মাযহাব): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Imo0on (আলোচনা | অবদান)
→‎ফতোয়ার কিতাব: লিংক সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Imo0on (আলোচনা | অবদান)
→‎ফতোয়ার কিতাব: লিংক সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
==হাদিসের কিতাব==
==হাদিসের কিতাব==
মুসনাদ ইমাম আজম
মুসনাদ ইমাম আজম

==ফতোয়ার কিতাব==
১. রাদ্দুল-মহতার
২.তানবিরুল-আবসার
৩. ফতোয়ায়ে-আলমগিরি
৪. তাহাবী শরীফ


== আকীদার কিতাব ==
== আকীদার কিতাব ==

১৩:৪৩, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হানাফি (আরবি: الحنفي) হল সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি মাযহাব। এই মতাবলম্বী মানুষেরা ইমাম আবু হানিফার অনুসারী। ইমাম আবু হানিফার দুই ভক্ত আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ আল সায়বানীর অধীনে এই মতবাদ ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র অনারব মুসলিম দেশে এই মতবাদ প্রচলিত। ইমাম আবু হানিফার বাস ছিল বাগদাদ শহরে। সৌদি আরবের উত্তরে যে সব দেশে স্থলপথে ইসলাম প্রবেশ করেছিল সে সব দেশে এই মতবাদ প্রচলিত। [১]

বিস্তার

তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, এবং বাংলাদেশের এক অংশে এই মতাবলম্বী মানুষ আছেন। [২]

গ্রন্থের তালিকা

হাদিসের কিতাব

মুসনাদ ইমাম আজম

আকীদার কিতাব

ফতোয়ার কিতাব

ফতোয়ার কিতাব সমূহের ব্যাখ্যা

তানবিরুল আবসার কিতাবের লেখক মুহাম্মদ বিন আলী। তিনি হাসকাফি উপনামেও পরিচিত। তিনি ১০২৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১০৮৮ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন। তানবিরুল আবসারের ব্যাখ্যার নাম আদ-দূর-রুল-মুখতার। তিনি সহিহ আল বুখারীর বর্ণিত হাদিসের বিরূপ সমালোচনায় সংক্ষিপ্ত টিকা (তালিকা) লিখেছিলেন। মুসলিম মিল্লাত তা প্রত্যাখ্যান করায় পৃথিবীতে আজ আর তা কোনো পুস্তকালয় বা জাদুঘরেও পাওয়া যায় না। এই দূর-রুল-মুখতারের ব্যাখ্যা হলো রাদ্দুল-মুহতার। অর্থাত এতে ৩টি কিতাব আছে। ১. তান-বিরুল-আবসার ২. দূর-রুল-মুখতার। ৩. রাদ্দুল-মুহতার।

সমালোচনা

অনারব মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয় হলেও আরব দেশে হানাফি মাযহাব জনপ্রিয় হতে পারেনি।[৪]

মুফতি মাউলানা আব্দুর রউফ তার ব‌ই হানাফি ফিকহের ইতিহাস ও পরিচয় এ লিখেছিলেন যারা ইসলামকে বিকৃত করতে চেয়েছে তারা অনারব মুসলিম দেশগুলো বেছে নিয়েছে। এর সুবিধা ২ টি।

১) সত্যতা যাচাই করতে মক্কা মদিনায় যাওয়া সম্ভব নয়। বিকৃতকারীগন যা বলবে তাই মেনে নেবে।

২) অন্যটা হলো ভাষা অনারব দেশের মানুষের ভাষা আরবী নয়। তাই তারা কোরআন হাদিস বুঝতে পারে নাই। তাদের দেশের অনারব যারা আরবী জানতো তারাই ছিল তাদের নিকট বড় আলেম। যেমন বাংলাদেশ। এই দেশের মুসলিমরা আরবী জানেন না। তাই দেশের যারা আরবী জানতেন তারাই ছিলেন বড় আলেম। এই আলেম নামধারী প্রাণীগুলো কোরআন ও হাদিসকে কতো অমান্য করে চলতো তারা জানতো না। এমনি অনারব দেশে ইসলামের শত্রুরা মাদ্রাসা খুলে বসলো। কিন্তু বহু মুসলমান বিষয়টি বুঝল না। এরা কোরআন ও হাদিসের পরিবর্তে মানুষের মতামত মাদ্রাসার পড়তে শুরু করল। মতামতের ক্ষেত্রে মুসলিম সমাজের বিখ্যাত ইমামদের মতামত পড়াত। এদের মধ্যে একজন হলেন ইমাম আবু হানিফা। মক্কা মদিনার বহিরাগত ছাড়া ইমাম আবু হানিফার কোন অনুসারী ছিল না। বহু কথা অনারব জগতে প্রচার হয়েছে যা শিক্ষিত আরব পন্ডিত ও হাদিসের ইমামদের বিক্ষুব্ধ করেছে। অথচ ঐ কথা ইমাম আবু হানিফার কোন সনদ ভিত্তিক কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু ইমাম আবু হানিফার কথাগুলো তার ভক্তরাই প্রচার করছে তাই তারা ধরেই নিয়েছে যে কথাগুলো ইমামের। তাই তারা ইমাম আবু হানিফার প্রতি বিরূপ। ভাষার অগত্যার জন্য অনারব দেশগুলোতে হানাফী মাযহাবের অনুসারী বেশি। অন্য দিকে অনেক চালাক চতুর লোকেরা কখনো হানাফী ফিকার কিতাবগুলি স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করে না কারণ যাতে মানুষ ইমাম আবু হানিফার ফিকাহ সম্পর্কে অবগত হতে না পারে। ওরা আগেও বলতো এখনো বলে ইমাম আবু হানিফা কোরআন ও হাজার হাজার হাদীস মন্থন করে মতামত দিয়েছেন, মাযহাব তৈরি করেছেন তার মতামতের অর্থই হলো আসল কোরআন হাদিস। মূর্খ মুসলিমগন তাই বিশ্বাস করতো এবং আজও করে অথচ প্রচলিত হানাফী মাযহাবের সাথে ইমাম আবু হানিফার কোন সম্পর্ক নাই তা তারা কোন দিনও জানতে পারে নাই আর অধিকাংশ মানুষ আজও জানে না।[৫]

বহিঃসংযোগ

  1. মুফতি মাউলানা আব্দুর রউফ। হানাফি ফিকহের ইতিহাস ও পরিচয় 
  2. মুফতি মাউলানা আব্দুর রউফ। হানাফি ফিকহের ইতিহাস ও পরিচয় 
  3. আল-ফিকহুল আকবার বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা — ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
  4. মুফতি মাউলানা আব্দুর রউফ। হানাফি ফিকহের ইতিহাস ও পরিচয় 
  5. মুফতি মাউলানা আব্দুর রউফ। হানাফি ফিকহের ইতিহাস ও পরিচয়