তিতাস একটি নদীর নাম (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:


== কাহিনী সংক্ষেপ ==
== কাহিনী সংক্ষেপ ==
কিশোরী বাসন্তী (কবরী) বিয়ের বয়স হতে থাকে। বড় হতে থাকে । সে তিতাস পাড়ে অপেক্ষায় থাকে খেলার সাথী কিশোর চন্দ্র আর সুবলের জন্য। ওদিকে কিশোর আর বন্ধু সুবল এক সময় বড় হয়ে দূর নদীতে জাল বাইতে যায়। তিতাস পাড়ের গ্রামে মালোদের দোল এর সময় এক ঝামেলায় সহযোগিতার জন্য ওরা মারামরিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোড়লদের ঘরের এক মেয়ে রাজারঝি অজ্ঞান হয়ে যায়। এক আক্রমণকারী রাজারঝিকে আক্রমণ করলে কিশোর তাকে রক্ষা করে। এতে মোড়ল খুশি হয়ে রাজারঝির সাথে সাহসী কিশোরের বিয়ে দেয়। যে দিন বউকে নিজ গাঁয়ে নিয়ে যাবে, রাতে ডাকাতেরা নতুন বউকে চুরির চেষ্টা করে। নতুন বউ পানিতে ঝাপ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। কিন্তু কিশোর রাতের আঁধারে তা দেখতে পায় না। এই ঘটনায় কিশোর পাগল হয়ে যায়। আর নতুন বউ নদীতে ভেসে যায়।

সদ্যবিবাহিত বঊ হারিয়ে কিশোর ( প্রবীর মিত্র) পাগল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বঊ বেঁচে গর্ভের সন্তান সমেত তার গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু কিশোর তাকে চিনতে পারে না। দশ বছর পরে ছেলে অনন্ত সহ ফিরে আসা রাজারঝি আপন পরিচয় গোপন করে, যাতে ডাকাতের হাত থেকে ফিরে আসা বঊকে কেউ ক্ষতির কারণ না মনে করে।

রাজারঝির অন্ন বস্ত্রাদির অভাবে পাশে এসে দাঁড়ায় বাসন্তি। সইয়ের ছেলেকে আপন করে বড় করতে থাকে। আর চোখের সামনে থাকা পাগলের কর্ম দেখে রাজারঝি তাকে পিঠা বানিয়ে খাওয়ায়। পাগল তবুও তার নিজ ঘরণীকে চিনতে পারে না। এমন করে একসময় পাগল তাকে চিনতে পারে। কিন্তু ঠিক তার পরেই তাকে তার স্ত্রীকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়। ছেলে অনন্ত বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মায়ের মুখ খুঁজে মালোপাড়ার প্রতিমায়।


== শ্রেষ্ঠাংশে ==
== শ্রেষ্ঠাংশে ==

২০:১১, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তিতাস একটি নদীর নাম
তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকঋত্বিক ঘটক
প্রযোজকহাবিবুর রহমান খান
রচয়িতাঋত্বিক ঘটক (চিত্রনাট্য)
অদ্বৈত মল্লবর্মণ(মূল কাহিনী)
উৎসঅদ্বৈত মল্লবর্মণ কর্তৃক 
তিতাস একটি নদীর নাম
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারউস্তাদ বাহাদুর খান
চিত্রগ্রাহকবেবী ইসলাম
সম্পাদকবাসীর হুসেন
মুক্তি২৭ জুলাই ১৯৭৩
স্থিতিকাল১৫৯ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩) ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচিত বিখ্যাত উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম অবলম্বনে চলচ্চিত্র উপযোগী করে নির্মিত হয়েছে।

কাহিনী সংক্ষেপ

কিশোরী বাসন্তী (কবরী) বিয়ের বয়স হতে থাকে। বড় হতে থাকে । সে তিতাস পাড়ে অপেক্ষায় থাকে খেলার সাথী কিশোর চন্দ্র আর সুবলের জন্য। ওদিকে কিশোর আর বন্ধু সুবল এক সময় বড় হয়ে দূর নদীতে জাল বাইতে যায়। তিতাস পাড়ের গ্রামে মালোদের দোল এর সময় এক ঝামেলায় সহযোগিতার জন্য ওরা মারামরিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোড়লদের ঘরের এক মেয়ে রাজারঝি অজ্ঞান হয়ে যায়। এক আক্রমণকারী রাজারঝিকে আক্রমণ করলে কিশোর তাকে রক্ষা করে। এতে মোড়ল খুশি হয়ে রাজারঝির সাথে সাহসী কিশোরের বিয়ে দেয়। যে দিন বউকে নিজ গাঁয়ে নিয়ে যাবে, রাতে ডাকাতেরা নতুন বউকে চুরির চেষ্টা করে। নতুন বউ পানিতে ঝাপ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। কিন্তু কিশোর রাতের আঁধারে তা দেখতে পায় না। এই ঘটনায় কিশোর পাগল হয়ে যায়। আর নতুন বউ নদীতে ভেসে যায়।

সদ্যবিবাহিত বঊ হারিয়ে কিশোর ( প্রবীর মিত্র) পাগল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বঊ বেঁচে গর্ভের সন্তান সমেত তার গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু কিশোর তাকে চিনতে পারে না। দশ বছর পরে ছেলে অনন্ত সহ ফিরে আসা রাজারঝি আপন পরিচয় গোপন করে, যাতে ডাকাতের হাত থেকে ফিরে আসা বঊকে কেউ ক্ষতির কারণ না মনে করে।

রাজারঝির অন্ন বস্ত্রাদির অভাবে পাশে এসে দাঁড়ায় বাসন্তি। সইয়ের ছেলেকে আপন করে বড় করতে থাকে। আর চোখের সামনে থাকা পাগলের কর্ম দেখে রাজারঝি তাকে পিঠা বানিয়ে খাওয়ায়। পাগল তবুও তার নিজ ঘরণীকে চিনতে পারে না। এমন করে একসময় পাগল তাকে চিনতে পারে। কিন্তু ঠিক তার পরেই তাকে তার স্ত্রীকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়। ছেলে অনন্ত বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মায়ের মুখ খুঁজে মালোপাড়ার প্রতিমায়।

শ্রেষ্ঠাংশে

  • ফকরুল হাসান বৈরাগী - নিবারণ
  • নারায়ণ চক্রবর্তী - মোড়ল
  • বনানী চৌধুরী - মোড়লের গিন্নী
  • কবরী চৌধুরী - রাজার ঝি
  • চেতনা দাস
  • ঋত্বিক ঘটক - তিলকচাঁদ
  • শফিকুল ইসলাম - অনন্ত
  • সিরাজুল ইসলাম - মাগন সরদার
  • রওশন জামিল - মা
  • এম এ খায়ের - বাসন্তির বাবা
  • প্রবীর মিত্র - কিশোর (প্রবীর মিত্র)
  • গোলাম মুস্তাফা - রামপ্রসাদ এবং কাদের মিয়া
  • সুফিয়া রুস্তম - উদয়তারা
  • রোজী সামাদ - বাসন্তী
  • রানী সরকার - মুংলি

প্রেক্ষাপট

অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম শীর্ষক উপন্যাসের কাহিনীকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্রস্রষ্টা ঋত্বিক কুমার ঘটক ১৯৭৩ সালে তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহের কারণ হিসেবে ঋত্বিক কুমার ঘটক বলেন,[১]

তিতাস পূর্ব বাংলার একটা খণ্ডজীবন, এটি একটি সৎ লেখা। ইদানীং সচরাচর বাংলাদেশে (দুই বাংলাতেই) এ রকম লেখার দেখা পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আছে প্রচুর নাটকীয় উপাদান, আছে দর্শনধারী ঘটনাবলী, আছে শ্রোতব্য বহু প্রাচীন সঙ্গীতের টুকরো - সব মিলিয়ে একটা অনাবিল আনন্দ ও অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করা যায়। ব্যাপারটা ছবিতে ধরা পড়ার জন্য জন্ম থেকেই কাঁদছিল। ... অদ্বৈতবাবু অনেক অতিকথন করেন। কিন্তু লেখাটা একেবারে প্রাণ থেকে, ভেতর থেকে লেখা। আমি নিজেও বাবুর চোখ দিয়ে না দেখে ওইভাবে ভেতর থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। অদ্বৈতবাবু যে সময়ে তিতাস নদী দেখেছেন, তখন তিতাস ও তার তীরবর্তী গ্রামীণ সভ্যতা মরতে বসেছে। বইয়ে তিতাস একটি নদীর নাম। তিনি এর পরের পুণর্জীবনটা দেখতে যাননি। আমি দেখাতে চাই যে, মৃত্যুর পরেও এই পুণর্জীবন হচ্ছে। তিতাস এখন আবার যৌবনবতী। আমার ছবিতে গ্রাম নায়ক, তিতাস নায়িকা।


সম্মাননা

২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক জরীপে দর্শক, চলচ্চিত্র সমালোচকদের ভোটে এটি সবার সেরা ১০টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করে।[১][২]

সংগীত

তিতাস একটি নদীর নাম ছবির সংগীত পরিচালনা করেন উস্তাদ বাহাদুর খান

গানের তালিকা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো, ছুটির দিনে, তিতাস একটি নদীর নাম, মুদ্রিত সংস্করণ, ৭ জানুয়ারি, ২০১২
  2. Top 10 Bangladeshi Films, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ