শেখ হাসিনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hiwamy (আলোচনা | অবদান)
বাংলাদেশ
Hiwamy (আলোচনা | অবদান)
ছবি
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:hasina.jpg|frame|শেখ হাসিনা]]
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী, [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] সভানেত্রী, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুথ্বানে তিনি ও তার বোন [[শেখ রেহানা]] বাদে তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। বোনদ্বয় সেইসময় পড়াশুনার জন্য [[পশ্চিম জার্মানী|পশ্চিম জার্মানীতে]] অবস্থান করছিলেন।
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী, [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] সভানেত্রী, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুথ্বানে তিনি ও তার বোন [[শেখ রেহানা]] বাদে তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। বোনদ্বয় সেইসময় পড়াশুনার জন্য [[পশ্চিম জার্মানী|পশ্চিম জার্মানীতে]] অবস্থান করছিলেন।



১৯:২৪, ১৩ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চিত্র:Hasina.jpg
শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) বাংলাদেশের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুথ্বানে তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা বাদে তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। বোনদ্বয় সেইসময় পড়াশুনার জন্য পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করছিলেন।

শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ছেলেদের মৃত্যুতে নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতায় আরোহনকে অবৈধ ঘোষনা করলেও তার দল ১৯৮৬ সালে এই সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে, যা থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিরত ছিল।

১৯৯৬ সালে তার দল আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য বামপন্থী দলগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে হরতাল, ধর্মঘট, ও অবরোধ কর্মসূচীর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাধ্য করে। সে'বছর সাধারন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।

বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি (নাজিউর রহমান মঞ্জু), ও ইসলামী ঐক্যজোট এর নির্বাচনী জোটের কাছে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। শেখ হাসিনা দলের এই পরাজয়ের জন্য দায়ী করেন তারই মনোনীত তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ, সাবেক প্রধান বিচাপতি এবং তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান, ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদকে

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জুন ২০০৪ পর্যন্ত সংসদ বর্জন করেছে এবং বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহনসহ সকল প্রকার গনতান্ত্রিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকেছে। এখন পর্যন্ত তার দলের মূল দাবী হলো অবিলম্বে জোট সরকারের পতন এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই সংসদ নির্বাচন। সম্প্রতি তিনি তত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া পরিবর্তনেরও দাবী জানিয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেড হামলায় এই নেত্রী অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান। উক্ত হামলায় তার দেহরক্ষী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরন করেন ও শতাধিক আহত হন। বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে এই হামলাকে বিদেশী ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়।