ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′০″ উত্তর ৯০°২২′৩০″ পূর্ব / ২৩.৭০০০০° উত্তর ৯০.৩৭৫০০° পূর্ব / 23.70000; 90.37500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Datashareplus (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস ও ঐতিহ্য: ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পাদনা লালবাগের কেল্লা মোঘল আমলের একটি স্থাপনা ১৮৯৫-১৯০০ সময়কালে পিলখানা এলাকায় হাতির পালের দৌড়। ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা দখল করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জী...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Datashareplus-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 2A03:2880:FF:17:0:0:FACE:B00C-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১২৮ নং লাইন: ১২৮ নং লাইন:


১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও [[সুবা বাংলা|সুবা বাংলার]] রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার শাহ সুজা]] রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মীর জুমলা]] আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান]] রাজধানী [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো [[নায়েবে নাজিম]]দের শাসন, যা চলেছিল ১৭৯৩ সালে<ref name="WDL">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://www.wdl.org/en/item/2385/|শিরোনাম=The Romance of an Eastern Capital}}</ref> ব্রিটিশ শাসন শুরু হবার আগে পর্যন্ত। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে [[কলকাতা]]কে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে [[আসাম]] ও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও [[সুবা বাংলা|সুবা বাংলার]] রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার শাহ সুজা]] রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মীর জুমলা]] আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান]] রাজধানী [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো [[নায়েবে নাজিম]]দের শাসন, যা চলেছিল ১৭৯৩ সালে<ref name="WDL">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://www.wdl.org/en/item/2385/|শিরোনাম=The Romance of an Eastern Capital}}</ref> ব্রিটিশ শাসন শুরু হবার আগে পর্যন্ত। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে [[কলকাতা]]কে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে [[আসাম]] ও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

ঢাকা বিভাগ''' [[বাংলাদেশ]] এর আটটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম। এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমানে ঢাকা ও [[বরিশাল]] বিভাগের সাথে সীমান্তবর্তী কোন জেলা নেই৷ আয়তনে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তম জেলা [[টাঙ্গাইল]]।
== বিভাগের ঐতিহ্য ==
আহসান মঞ্জিলআহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৯০৬ সালে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৮৭২। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর।ইতিহাসঃঅষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জালালপুর পরগনার জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র রংমহলটি এক ফরাসি বণিকের নিকট বিক্রি করে দেন। বাণিজ্য কুটির হিসাবে এটি দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল। এরপরে ১৮৩৫-এ বেগমবাজারে বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গণির পিতা খাজা আলীমুল্লাহ এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। নওয়াব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে প্রাসাদটি নতুন করে নির্মাণ করান। নতুন ভবন নির্মাণের পরে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৯৭ সালে ১২ই জুন ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণের বারান্দাসহ ইসলামপুর রোড সংলগ্ন নহবত খানাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীকালে নবাব আহসানুল্লাহ তা পুনঃনির্মান করেন।স্থাপত্যশৈলীঃএই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে। লালবাগের কেল্লালালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে লালবাগের কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। বর্তমানে ( প্রেক্ষিত ২০১২ ) বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।নির্মাণঃপ্রথমে এই কেল্লার নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। আর এই কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দেঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মাত্র এক বছর পরেই দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। এসময় একটিমসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এ দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পরী বিবিকে দরবার হল এবং মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত করা হয়। শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এ সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানকার স্থাপনার অন্তর্গতঃ পরীবিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য। এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন। প্রশস্ত এলাকা নিযে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-Ø কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানাØ পরীবিবির সমাধিØ উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদএছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক, এবং দক্ষিণ দেয়ালের ছাদের উপরে বাগান রয়েছে। বর্তমানে রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। সপ্তাহের বাকী ছয়দিন এই কেল্লা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।পরীবিবির সমাধিএই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি। মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের পুর্বে নির্মিত। তবে এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর্মেনীয় গীর্জাআর্মেনীয় গীর্জা পুরানো ঢাকার একটি প্রাচীন খ্রিস্ট ধর্মের উপাসনালয়। এটি ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পুরানো ঢাকার আর্মানীটোলায় অবস্থিত।ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকে ঢাকায় অনেক আর্মেনীয় ব্যক্তির আগমণ ঘটে। গীর্জা নির্মানের পূর্বে ঐ স্থানে ছিলো আর্মেনীয়দের একটি কবরস্থান। এই গীর্জার জন্য জমি দান করেন আগা মিনাস ক্যাটচিক। ১৮৮০ সালে আর্থিক অনটনে পড়ে গীর্জার ঘণ্টাটি বাজানো বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে গীর্জার ঘড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। গীর্জার অঙ্গনে আর্মেনীয়দের কবরস্থান অবস্থিত। এ.এ.এইচ তৌফিক ঢাকা শহরে ভিবিন্ন উলেখযোগ্য বিষয় বস্তুু
ইন্টারনেটে যুক্তকরে অারও প্রচার মুখি করে তুলেন।
নবাব আবদুল গনি(১৮৩০- ১৮৯৬) ঢাকার বড় জমিদারদের মধ্যে অন্যতম একজন। যিনি উনিশ শতকের শেষার্ধেপূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ঢাকার জমিদার নবাব খাজাআহসানউল্লাহ্‌ ছিলেন তাঁর পুত্র এবং নবাব সলিমুল্লাহ ছিলেন তাঁর নাতি।ঢাকার এই নবাব পরিবারের সদস্যরা আজীবন ঢাকাতেই বাস করেছেন এবং ঢাকাতেই তারাপরলোকগমন করেছিলেন। নবাব আবদুল গনি পূর্বপুরুষেরা ছিলেন কাশ্মিরী। এপরিবারটি ঢাকাবাসীর কাছে 'নবাব পরিবার' ও 'খাজা পরিবার' হিসেবে পরিচিত ছিল।জন্ম ও শিক্ষাজীবননবাবআবদুল গনির জন্ম ১৮৩০ সালে। তাঁকে নবাব উপাধিতে ভূষিত এবং তা বংশানুক্রমেব্যবহার করার অধিকার দিয়েছিলেন তৎকালীন বৃটিশ সরকার। তার জমিদারি এবংবৃটিশ সরকারের সাথে সু-সসম্পর্ক তাকে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছিল। তাঁরবাসভবন আহসান মঞ্জিলে দরবার ছিল যেখান থেকে তিনি পঞ্চায়েত এর মধ্যমে তারজমিদারির প্রজাদের সহ ঢাকার মুসলমানদের নিয়ন্ত্রন করতেন। তিনি বর্তমানঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের আদি ছাত্রদের একজন। তার সহপাঠীদের মধ্যে, ঢাকাব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ব্রজসুন্দর মিত্র, জনিদার নিকি পোগজ, জমিদারমৌলভী আব্দুল আলী ছিলেন অন্যতম। আবদুল গনিকে মাত্র আঠারো বয়সে পরিবারেরকর্তৃত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল।কর্মজীবননবাবআবদুল গনির ইংরেজ শাসকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন মাত্র সাতশ বছর বয়সে।১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় তিনি ইংরেজদের অর্থ, হাতি, ঘোড়া, নৌকাসবকিছু দিয়ে খুবই সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছিলেন। সে জন্য বাংলার শাসকহ্যালিডের রিপোর্টে গনি মিয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৮৬০সালে ঢাকায় মুসলমান শিয়া-সুন্নীদের দাঙ্গা যখন ইংরেজ সরকার থামাতে ব্যর্থহয়েছিল তখন নবাব আবদুল গনি নিজের চেষ্টায় তিন দিনের মধ্যে ঢাকা শহরকেশান্ত করেছিলেন। এ জন্য সরকার তাঁকে সি.এস.আই (কম্পানিয়ন অব দি অর্ডার অফদি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। ১৮৬৭ সালে ভাইসরয় তাঁকেআইন পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। ১৮৭৫ সালে তাঁকে বংশানুক্রমিক'নবাব' উপাধি দেওয়া হয়। ১৮৬৮ সালে কে.সি.এস.আই (কিং কম্পানিয়ন অব দিঅর্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধি লাভ করেন।ঢাকা শহরেনবাব আবদুল গনির প্রভাব প্রতিপত্তের প্রতীক ছিল আলী মিয়ার কেনা রংমহল। যাবর্তমানে 'আহসান মঞ্জিল' নামে পরিচিত। তিনি বাড়ীটিকে মেরামত করে ছেলেরআসহানউল্লাহ্‌ এর নামে নামকরণ করেন। বাড়ীটি ঢাকাবাসীর কাছে 'নবাব বাড়ী' হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল। ঢাকা শহরের শাহবাগ, বেগুনবাড়ী সহ অনেকাংশেরইমালিক ছিলেন নবাব আবদুল গনি। তিনি বেগুনবাড়ীতে চা বাগান করেছিলেন। ঢাকায়পেশাদারী ঘোড়দৌড় শুরু করেছিলেন বলে অনেকের মতে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানওনাকি নবাব আবদুল গনির সম্পত্তি ছিল। তখন ঘোড়দৌড় ঢাকায় শহুরে বিনোদনহিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।নবাবআবদুল গনিই ঢাকা শহরে প্রথম বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।১৮৭৯ সালে নবাব আবদুল গনির কে.সি.এস.আই উপাধি পাওয়া এবং প্রিন্স অফওয়েলসের সুস্থ হয়ে ওঠা উপলক্ষে সরকারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেছিলেন।তখন একটি কমিটি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ঢাকাবাসীর জন্য বিশুদ্ধ খাবারপানির ব্যবস্থা করা হবে। নবাব আবদুল গনি আরও প্রায় দুই লক্ষ টাকা দানকরেছিলেন এই প্রকল্পে।ব্যক্তিগতজীবনে আবদুল গনি দুই বার বিয়ে করেছিলেন। তার সন্তানাদির সংখ্যা ছিল ছয়জন। ১৮৭৭ সালে খাজা পরিবারের দায়িত্বভার দিয়েছিলেন পুত্র আহসান উল্লাহেরউপর। ১৮৯৬ সালে যেদিন তিনি পরলোকগমন করেন সেদিন ঢাকার সকল স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ ছিল।
খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ
খাজা সলিমুল্লাহবা নবাব সলিমুল্লাহ(জন্ম:জুন ৭,১৮৭১-মৃত্যু:জানুয়ারি ১৬,১৯১৫) ঢাকার নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাবখাজা আহসানউল্লাহ ও দাদা নবাব খাজা আব্দুল গনি তিনি নিখিল ভারত মুসলিমলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষভূমিকা পালন করেন। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি ঢাকাররমনা এলাকায় নিজ জমি দান করেন।বঙ্গভঙ্গ এবং খাজা সলিমুল্লাহ১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে নওয়াব সলিমুল্লাহ পূর্ববাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ওদিকে আসামের উৎপাদিত চা ও অন্যান্য পণ্যবিদেশে রপ্তানীর ব্যাপারে পরিবহন ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে কোলকাতার বদলেচট্টগ্রামবন্দর ব্যবহারের চিন্তা করে বৃটিশরা, এই সাথে বেঙ্গলপ্রেসিডেন্সীর প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনাও চলতে থাকে। বৃটিশদেরবাণিজ্যিক স্বার্থ এবং নবাবের আবেদন যুক্ত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেবাংলা বিভাজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর প্রেক্ষিতে কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবি ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিবাদ সত্বেও ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা হল।বঙ্গ ভঙ্গ নিয়েবাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।মুসলিম লীগ গঠন১৮৭৭ সালে আমীর আলীর উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল মোহামেডান এ্যাসোসিয়েশন’ গঠনেরসাথে স্যার সৈয়দ আহমদ দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি মুসলমানদেরকে রাজনীতি থেকেবিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস আত্মপ্রকাশ করার পর হিন্দিএবং উর্দুর বিরোধ সৃষ্টি হলে মুসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে সৈয়দ আহমদসচেতন হয়ে উঠেন এবং ১৮৮৯ সালে রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডিফেন্স এ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেন (১৮৮৯)। ১৮৯৩ সালেউত্তর ভারতে মোহমেডান ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ডিফেন্স অরগানাইজেশন অব আপারইনডিয়া’ গঠিত হয়। ১৯০৩ সালে সাহরানপুরে মুসলিম রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়।১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাঞ্জাবে ‘মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিকসংস্থা গঠিত হয়। এদিকে বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দুজনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষের ঝড় বয়ে যাওয়ায় স্যারসলিমুল্লাহকে দারুণভাবে ভাবিয়ে তোলে। তিনি সর্বভারতীয় পর্যায়ে মুসলিমঐক্যের কথা ভাবতে শুরু করেন। ১৯০৬ সালের নভেম্বরে সলিমুল্লাহ সমগ্রভারতেরবিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের নিকট পত্রালাপে নিজের অভিপ্রায় তুলে ধরলেন এবংসর্বভারতীয় মুসলিম সংঘের প্রস্তাব রাখলেন। ১৯০৬ সালের ২৮-৩০শে ডিসেম্বরসর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আহুত হল। শাহবাগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সমগ্রভারতের প্রায় ৮ হাজার প্রতিনিধি যোগ দিলেন। নবাব সলিমুল্লাহ ‘অল ইন্ডিয়ামুসলিম কনফেডারেন্সী’ অর্থাৎসর্বভারতীয় মুসলিম সংঘ গঠনের প্রস্তাব দেন; হাকিম আজমল খান, জাফর আলী এবং আরো কিছু প্রতিনিধি প্রস্তাবটিকে সমর্থনকরেন। কিছু প্রতিনিধির আপত্তির প্রেক্ষিতে কনফেডারেন্সী শব্দটি পরিত্যাগকরে লীগ শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়ামুসলিম লীগ গঠিত হয়। ঢাকায় এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে বঙ্গভঙ্গ সমর্থন এবংবঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নিন্দা করা হয়। এ সংগঠনের ব্যাপারে শুরু থেকেইহিন্দু জনগোষ্ঠী বিরূপ অবস্থান নেয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী সম্পাদিত দিবেঙ্গলীপত্রিকা নবগঠিত মুসলিম লীগকে সলিমুল্লাহ লীগ হিসেবে অভিহিত করে।
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর(২৬এপ্রিল, ১৮৯৫–২১ নভেম্বর, ১৯৫৮) ঢাকার পঞ্চম এবং শেষ নবাব। তাঁর পিতাছিলেন নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর। তার শাসনামলেই ঢাকার নবাবপরিবারের সম্পদ ও জৌলুশ কমতে থাকে এবং ১৯৫২ সালে ইস্ট পাকিস্তান এস্টেটঅ্যাকিউজিশন অ্যাক্ট দ্বারা যা চূড়ান্তভাবে বর্জন করতে হয়।নবাব হাবিবুল্লাহ বার বার চেষ্টা করেনতার পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিন্তু পরিবারেরঅন্য সদস্য খাজা খায়রুদ্দিন এবং স্যার খাজা নাজিমুদ্দিনের শক্তিশালীরাজনৈতিক শক্তি ভিত্তির কারণে তিনি ব্যর্থ হন। নবাব হাবিবুল্লাহ এসেম্বলিনির্বাচনে বাংলা থেকে স্বতন্ত্রপার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।কিন্তু তিনি তাঁরই আত্মীয় এবং মুসলিম লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত খাজাখায়রুদ্দিনের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।শেষের দিকে অসুস্থতার কারণে তিনিরাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। তিনি আহসান মঞ্জিলের প্রাসাদ ছেড়ে দেন এবংঢাকার পরিবাগে অবস্থিত গ্রীন হাউস নামে নবাবদের আরেক বাসস্থানে বাস করাশুরু করেন। ২১শে নভেম্বর ১৯৫৮ তারিখে নবাব হাবিবুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে, ঢাকার বেগমবাজারে নবাবদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে তার পিতার পাশে সমাহিতকরা হয়।
শামসুর রাহমান
শামসুর রাহমান: (জন্মঃ অক্টোবর ২৩, ১৯২৯, মাহুতটুলি,
ঢাকা - মৃত্যু : আগস্ট ১৭, ২০০৬ )বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। বিংশ শতাব্দীরদ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। তিনিএকজন নাগরিক কবি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁরদুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়।জন্ম, শৈশব ও শিক্ষাজন্মনানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। পিতার বাড়িনরসিংদী জেলার রায়পুরায় পাড়াতলী গ্রামে। কবিরা ভাই বোন ১৩ জন। কবি ৪র্থ।পুরোনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৭ সালে ঢাকাইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিবিষয়ে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাসও করেছিলেন সেখানে। শেষ পর্যন্তআর মূল পরীক্ষা দেননি। পাসকোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম এ(প্রিলিমিনারী) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষপর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।পেশাশামসুররাহমান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরুকরেন দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিওপাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন তার পুরানোকর্মস্থল দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। তিনি সেখানে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্তসহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নভেম্বর, ১৯৬৪ থেকে শুরু করেসরকারি দৈনিক দৈনিক পাকিস্তান এর সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭এর জানুয়ারি পর্যন্ত (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা)। ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনিদৈনিক বাংলাওসাপ্তাহিকবিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকেঁপদত্যাগ বাধ্য করা হয়।অতঃপর তিনি অধুনা নামীয় মাসিক সাহিত্য পত্রিকারসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।সাহিত্যধারাবিংশশতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধানপুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কেবল বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং পশ্চিমবঙ্গেরকবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় : বিংশ শতকের শেষার্ধে তুলনীয় কাব্যপ্রতিভারস্বাক্ষর রেখেছেন বলে ধাণা করা হয়। আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় ওআন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিতকবিতা১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিকসোনার বাংলাপত্রিকায়। শামসুর রাহমান বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়লিখতে গিয়ে নানা ছন্দনাম নিয়েছেন তিনি যেগুলো হচ্ছে: সিন্দবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক। পাকিস্তান সরকারের আমলেকলকাতার একটি সাহিত্য পত্রিকায় মজলুম আদিব : (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা ছাপাহয় যা দিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক আবু সায়ীদ আইয়ুব।ব্যক্তিগত জীবন১৯৫৫সালের ৮ই জুলাই শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। কবির তিন ছেলে ওদুই মেয়ে। তাদের নাম সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।প্রতিবাদী কবিশামসুররাহমান স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফরসম্পাদিত সমকাল (পত্রিকা) পত্রিকায় লেখেন 'হাতির শুঁড়' নামক কবিতা।বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাঁকেউদ্দেশ্য করে লেখেন অসাধারণ কবিতা 'টেলেমেকাস' (১৯৬৬ বা ১৯৬৭ সালে)। ১৯৬৭সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানেরবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলে শামসুর রাহমান তখন সরকারনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগতঅনিশ্চয়তার তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকরেন যাতে আরো স্বাক্ষর করেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন, ফজলশাহাবুদ্দীন । ১৯৬৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমানহরফ চালু করার প্রস্তাব করেন আইয়ুব খান যার প্রতিবাদে আগস্টে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধেবিবৃতি দেন যাদের একজন ছিলেন শামসুর রাহমানও। কবি ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেনমর্মস্পর্শী কবিতা 'বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা' । ১৯৬৯ সালের ২০জানুয়ারি গুলিস্তানে একটি মিছিলের সামনে একটি লাঠিতে শহীদ আসাদের রক্তাক্তশার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে মানসিকভাবে মারাত্মক আলোড়িত হন শামসুররাহমান এবং তিনি লিখেন 'আসাদের শার্ট' কবিতাটি।১৯৭০ সালের ২৮ নভেম্বরঘূর্ণিদুর্গত দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুতেকাতর কবি লেখেন 'আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে' নামক কবিতা । ১৯৭১ সালেমুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে।এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি লেখেন যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় আক্রান্ত ও বেদনামথিতকবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা' । শামসুররাহমান ১৯৮৭ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে দৈনিক বাংলার প্রধানসম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী চার বছরের তিনি প্রথমবছরে 'শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা', দ্বিতীয় বছরে 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা', তৃতীয় বছরে 'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা' এবং চতুর্থ বছরে'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা' লেখেন । ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর লেখেন'গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা'। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীমদরদ তাঁর চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্কতুলেছে কূপমণ্ডুক মৌলবাদীরা। তাঁকে হত্যার জন্য বাসায় হামলা করেছে।এতকিছুর পরও কবি তাঁর বিশ্বাসের জায়াগায় ছিলেন অনড়।মৃত্যুকবিশামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩৫মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানীকবরস্থানে, তাঁর মায়ের কবরে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।প্রকাশিত গ্রন্থশামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থপ্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগেপ্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালেপ্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা
কাব্যগ্রন্থ - ৬৬
উপন্যাস - ৪
প্রবন্ধগ্রন্থ - ১
ছড়ার বই - ১।এলাটিং বেলাটিং, ৮
অনুবাদ - ৬
সম্মাননা ও পুরস্কার
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার
একুশে পদক
নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক
জীবনানন্দ পুরস্কার
আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার
মিতসুবিসি পুরস্কার (সাংবাদিতার জন্য)
স্বাধীনতা পদক
আনন্দ পুরস্কার
ভারতেরযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
আজম খান
আজম খান(জন্ম: ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০; মৃত্যু: ৫ই জুন, ২০১১, সম্মিলিত সামরিকহাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী গায়ক। তাঁর পুরো নাম"মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান"। তাঁকে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সঙ্গীতের একজনঅগ্রপথিক বাগুরুহিসেবে গণ্য করা হয়।আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে -বাংলাদেশ(রেল লাইনের ঐ বস্তিতে), ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলেইত্যাদি। সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন। প্রথম কনসার্টপ্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে।ছেলেবেলাআজম খান১৯৫০ সালে আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম "মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিনখান", মা "জোবেদা খাতুন"। সেখানে তারা ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারেথাকতেন। তার বাবা ছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, সেক্রেটারিয়েট হোমডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চিকিত্সক ছিলেন। তার তিন ভাই ওএক বোন ছিল। বড় ভাই "সাইদ খান" (সরকারি চাকরিজীবী), মেজো ভাই "আলম খান"(সুরকার), ছোট ভাই "লিয়াকত আলী খান" (মুক্তিযোদ্ধা) এবং ছোট বোন "শামীমাআক্তার খানম"। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে বেবিতেভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান। এরপর থেকে সেখানে বসতিতাদের। সেখানে তিনি কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে এসে ভর্তিহন। তারপর ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এইস্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকেবাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায়আর অগ্রসর হতে পারেননি।মুক্তিযোদ্ধা আজম খান১৯৬৯সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেঅবস্থান নেন। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবংপাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন। ১৯৭১ সালেআজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবেছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭১সালে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান। আগরতলার পথে সঙ্গীহন তার দুই বন্ধু। এসময় তার লক্ষ্য ছিল সেক্টর২ এ খালেদ মোশাররফের অধীনেযুদ্ধে যোগদান করা। আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তারগাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণ যোগাতো। তিনি প্রাথমিকপ্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে। যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনিকুমিল্লায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সমুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন।কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি পুণরায়আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ারজন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ। আর সেক্টরকমান্ডার ছিলেন কর্ণেল খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবেঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলতযাত্রাবাড়ি-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত "অপারেশান তিতাস"।তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষকরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন হোটেল), হোটেল পূর্বাণী'রগ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশীরাযাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তার বাম কানেআঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীতে তার শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়। আজম খান তারসঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি।এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিতকরেন।গায়ক আজম খানআজম খানেরকর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ষাটের দশকের শুরুতে। ১৯৭১ সালের পর তারব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ (লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ) ভাতৃদ্বয়দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকেগিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। ১৯৭২সালে বিটিভিতে সেই অনুষ্ঠানেরএতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রেওচার কালেমা সাক্ষী দেবেগান দু'টি সরাসরি প্রচার হলো প্রচার হলো। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুলজনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দু'টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল।১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনেবাংলাদেশ(রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন। তার পাড়ারবন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেনতারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রকঘরানার গানজীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে!তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক!পারিবারিক জীবন১৯৮১সালের ১৪ই জানুয়ারি ঢাকার মাদারটেকে তিনি "সাহেদা বেগম" কে বিয়ে করেন।তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। তার এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম"ইমা খান" এবং দ্বিতীয় সন্তানের "হৃদয় খান" এবং তৃতীয় সন্তানের নাম"অরণী খান"। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবনযাপন তার। আজম খান দুইমেয়ে এবং এক ছেলের জনক। এছাড়া আছেন চার ভাই ও এক বোন।অন্যান্য ভূমিকায় আজম খান১৯৯১-২০০০সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটখেলতেন। তিনি গড ফাদার নামক একটি বাংলা সিনেমায় ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয়করেন। এ ছাড়াও তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেন।মৃত্যুপপসম্রাটআজম খান দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধির সাথে লড়াই করে ৫ই জুন, ২০১১ইং তারিখ, রবিবার সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিটে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিকহাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোঃ তৌফিক হোসাইন (জন্ম ৪,ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) বাংঙ্গালী কৃতী সন্তান এবং বাংলাদেশ সমাজ সেবক, সামাজিক উন্নয়ন মূলক চিন্তাভাবনা চেতনা অনুরাগী ব্যক্তি । স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।
সম্মানিত শিক্ষক এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল করিম এবং ফাতেমা বেগম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র।
আল-আরাফাত হাসান তৌফিক
নাম : মোঃ তৌফিক হোসাইন।
ডাক নাম : তৌফিক।
জন্ম তারিখ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯.
জন্ম স্থান : বারিষাব,
কাপাসিয়া,গাজীপুর,ঢাকা,বাংলাদেশ,এশিয়া.
জাতীয়তা : বাংলাদেশ বাংলাদেশী.
অন্য নাম : অা.অা.হ.তৌফিক (ইন-=এ.এ.এইচ তৌফিক )
জাতিসত্তা : বাঙালি.
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ বাংলাদেশী.
পেশা : কবি,ছাত্র, বাণিজ্য উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়েব ডিজাইন & ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব তথ্য যোগ - শেয়ারিং.(ভাগ)
উল্লেখযোগ্য কাজ : আল্লাহ্ রাস্তায় ৪০ দিন। ৩দিন ৩দিন সময় দিয়েছেন। সামাজিক উন্নয়ন। সমাজ সেবা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাত্ত যোগ (শেয়ারিং) ইত্যাদি। . শিক্ষিত জাতি গঠন।
অারও...
বাংলালিংক কম্পানি।
পদবি
ব্যবসা উন্নয়ন অফিসার।
(বাংলাদেশ)
ওয়েব ডিজাইন & ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কাজের মেয়াদ
২০১২ - বর্তমান
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাত্ত, তথ্য শেয়ারিং (যোগ)
'পদবি'
' সম্পাদক"
কাজের মেয়াদ
২০১২ - বর্তমান
পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কাজের ধরণ : শিক্ষা প্রধান।
কাজের মেয়াদ
২০১৮..
(সমাজ সেবা)
২০০৫ - বর্তমান
প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা :
তিনি গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার বারিষাব গ্রামে ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল করিম ছিলেন বাংলাদেশের ছেলদিয়া আ: মান্নান ভূইয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক তাছাড়া তিনি মসজিদের ইমাম. মা ফাতেমা বেগম মেডিকেল সেবিকার দায়িত্ব পালন করেন.। ২ ভাই এর মধ্যে তৌফিক সবার বড় ছেলে.।
ছোট ভাই ফাহিম পড়াশোনা করছে চরদুলর্ভ খাঁ মনিরুল উলুম সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা।
অারও...
শিক্ষাজীবন :
পাচুয়া বর্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
এ সময় তার বাবা শিক্ষকতা ছেড়ে বিদেশ চলে যান.। তাই
তার মা ~ তাকে কে নিয়ে তার নানার বাড়িতে চলে আসেন.। তার মামার বাড়ি থেকে কাছে হওয়ার কারণে এখানে ভর্তি করা হয়.।
গিয়াসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
বাবা বিদেশ থেকে চলে আসালে।
তার মা ~ তাদের নিজ বাড়িতে তওফিক কে নিয়ে ছলে আসে তাকে প্রথমে কেজি স্কুলে পরে গিয়াসপুর সঃ.প্রাঃ.বিঃ ভর্তি করা হয়.।
এখানে তার পিতামাতার সাথে তার নিজ বাড়িতে সময় ভালো যাচ্ছিল স্কুলের বিভিন্ন প্রতি যোগীতায় লেখাপড়া খেলাধূলায় প্রথম ও দ্বিতীয় হয়.।
~
তার বাবা কিছু দিন পর. সৌদি-অারব চলে যাওয়ায়.।
তাকে পুনরায় মায়ের সাথে মায়ের বাবার বাড়ি চলে যেতে হয়.।
তার মায়ের সাথে.।
এবং তার কিছু দিন পর তার বাবা দেশে ফিরে এসে পুনরায় শিক্ষকতা কে পেশা হিসেবে বেছে নেন.।
~ আর তার পরপর তার মা দেশের বাহিরে চলে যায় এবং মেডিকেলে সেবিকা হিসেবে নিয়োগ নেন.।
তারাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়.।
নানা বাড়ি থেকে নদীর ঐপারে নরসিংদী,মনোহরদী উপজেলার,লেবুতলা ইউনিয়নের,তারাকান্দি ভর্তি হয়.।
চরদুর্লভ খান আঃ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়.

তারাকান্দী যোগাযোগ মাধ্যম ভালো না হওয়ায় ভর্তি হন.।~
শাহাবউদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমী.।

তৌফিক অাল তানভীর এর নিজ ইচ্ছায় এবং তার মায়ের ইচ্ছায়.।
এম এ মাজিদ বিজ্ঞান কলেজ

তার ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার.। তিনি ছেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে তাই
ভর্তির সময় শেষ মুহূর্তে জরিমানা দিয়ে ভর্তি হয়.।
........................................................... ....
তার ইচ্ছাই এবং মায়ের সম্মতিতে এখানে ভর্তি হন.।
ঢাকা মেডিকেল ইন্সটিটিউট
২০১৮ - বর্তমান.
অারও...
কর্মজীবন : বাংলালিংক কম্পানি তে বাণিজ্য উন্নয়ন কর্মকর্তা অফিসার পদে ২০৮সাল থেকে.।
পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
২০১৮ সালে জাতি কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যলয়ের এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র - ছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন.। এই কাজে তাকে সাহায্য করেন. তার সহপাঠী / বন্ধু ১। রাকিব মিয়া ২। সাহাদাত হোসাইন ৩।মনির মিয়া (প্রিয় ছোট্ট ভাই এলাকার)
৪। বিদ্যালয়ের শিক্ষক / শিক্ষিকা বৃন্দ.।
প্রথমে নানার বাড়ি এবং প্রথম স্কুল ছিল পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এইটা তিনি তার কর্ম জীবনের ১ম ঊলেখ যুগ্য সমাজ সেবা / কর্ম ছিল.।
তার ছাত্র - ছাত্রী পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাচুয়া বর্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরদুলর্ভ খাঁ মনিরুল উলুম সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা.।
সহ বিভিন্ন মাদ্রাসা / স্কুল / মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
শিক্ষা প্রধানের স্থান : তার নানা বাড়ি, নিজ বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে.। এতে করে তিনি সমাজে অনেক ক্ষেতি অর্জন করেন.।
তাকে ছোট ছোট ছেলে- মেয়ে থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা প্রতেকে অনেক সম্মান এবং ভালোবাসতেন. তার কৃতিত্বের জন্য.।
এই ভাবে তিনি জনপ্রিয় হয়ে
ওঠে.। অনেকের কাছে তিনি মহান / মহানুভব হয়ে ওঠেন।
অারও...
'" পারিবারিক জীবন"'
আরও...
তথ্যসূত্র : উনার স্লোগান হল..
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করোন
আব্দুর রহমান বয়াতী
আব্দুর রহমান বয়াতী (জন্ম: ১৯৩৯ - মৃত্যু: ১৯ আগস্ট, ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীতশিল্পী। তিনি একাধারে অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকারএবং সংগীত পরিচালক৷জন্মঃ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতী।বিখ্যাত গানঃএপর্যন্ত তার প্রায় পাঁচশ একক গানের অ্যালবাম বের হয়েছে। পাশাপাশি তিনটিমিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে‘মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’, ‘আমি ভুলি ভুলি মনেকরি প্রাণে ধৈর্য্য মানে না’ প্রভৃতি।সম্মাননা এবং পুরস্কার
লোকসংগীতেঅসামাণ্য অবদানের জন্য পেয়েছেন, সিটিসেল চ্যানেল আই অ্যাওয়ার্ড, সোলসঅ্যাওওয়ার্ড, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম কর্তৃক লাইফ টাইম এ্যাচিভমেন্টঅ্যাওয়ার্ড, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গুণীজন সংবর্ধনা, নজরুলএকাডেমি সম্মাননা ২০০৪, সমর দাস স্মৃতি সংসদ অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ বাউলসমিতি আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতি আজীবনসম্মাননা অ্যাওয়ার্ড, ইউএসএ জাগরনী শিল্পীগোষ্ঠী অ্যাওয়ার্ড, স্বরবীথিথিয়েটার বাংলা নববর্ষ ১৪১২ উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সম্মাননা, কায়কোবাদ সংসদআজীবন সম্মাননা, স্পেল বাউন্ড বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ বাউল সংগঠনেরগুণীজন সম্মাননা পদক, বিক্রমপুর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, জাতীয় যুবসাংস্কৃতিক সংস্থার সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক ও আজীবনসম্মাননা-২০০৫, সিটি কালচারাল সেন্টার কর্তৃক গুণীজন সম্মাননা পদক, বাউলএকাডেমি পদক, একতা অ্যাওয়ার্ড, লোকসঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ লোকজ বাউলমেলা পদক ২০০৪ ও ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমিসম্মাননা পদক ২০০৬ ও শ্রেষ্ঠ বাউলশিল্পী অডিও ক্যাসেট পুরস্কার।আমেরিকারসাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র- এর আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসের একজমকালো অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। মৃত্যুঃ১৯আগস্ট ২০১৩ সালে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের জাপান-বাংলাদেশফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।...
নবাব খাজা আহসান উল্লাহ
খাজা আহসানুল্লাহ(১৮৪৬-১৯০১)ঢাকার নওয়াব। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট ঢাকার বিখ্যাত নওয়াব পরিবারেতাঁর জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম খাজা আব্দুল গণি এবং পিতামহের নাম খাজাআলীমুল্লাহ। বাল্যকালে তিনি গৃহশিক্ষকের নিকট উর্দু-আরবি শেখেন এবং পরবর্তীজীবনে ফারসি ও ইংরেজিতেও বুৎপত্তি লাভ করেন।নওয়াবআহসানুল্লাহ অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও ধীরস্থির প্রকৃতির লোক ছিলেন। মাত্র বাইশবছর বয়সে তিনি ঢাকা নওয়াব এস্টেট পরিচালনার দায়িত্বপান। ঢাকার গোবিন্দপুরপরগনা কিনে তিনি এস্টেটের আয়তন বৃদ্ধি করেন। ১৮৭২ সালে ঢাকার নওয়াবদেরবাসভবনের পুননির্মাণ কাজ শেষ হলে তাঁর নামে প্রাসাদটির নামকরণ করা হয় আহসানমঞ্জিল। ১৮৬৪ সাল থেকে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার ওঅনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ঢাকা পৌর এলাকায় গোরস্থানসমূহ নির্মাণ ওউন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আহসানুল্লাহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলককাজে ৫০ লক্ষাধিক টাকা দান করেন। এতদঞ্চলে এমন কোন মসজিদ, দরগাহ কিংবাজনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ছিল না যা তাঁর দান থেকে বঞ্চিত হয়েছে।তাঁরউল্লেখযোগ্য দানের মধ্যে ছিল ঢাকার হোসেনী দালান পুননির্মাণে (১৮৯৭) ১ লক্ষটাকা, ঢাকায় প্লেগ নিবারণে (১৮৯৮) ১ লক্ষ টাকা, কুমিল্লা শহর উন্নয়নে(১৮৯৮) ৮০ হাজার টাকা, বড়লাটের দুভির্ক্ষ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা, মক্কায়নহরে জুবায়দা সংস্কারে ৬০ হাজার টাকা, মিটফোর্ড হাসপাতালে বিভিন্ন দানপ্রায় ১ লক্ষ টাকা ও লেডি ডাফরিন মহিলা হাসপাতাল (ঢাকা) নির্মাণে (১৮৮৮) ৫০হাজার টাকা ইত্যাদি। ঢাকার সার্ভে স্কুলটিকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে উন্নীতকরার জন্য তিনি ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দানের ওয়াদা করেন। তাঁর পুত্র নওয়াবখাজা সলিমুল্লাহ ১৯০২ সালে এ অর্থ প্রদান করেন। প্রতিবছর ৩০/৪০ জন হাজীতাঁর অর্থে হজ্বে যেতেন। তিনি পটুয়াখালী বেগম হাসপাতাল (১৯০০), মাদারীপুরমসজিদ ও মাদ্রাসা (১৮৮৬-৮৭) এবং বাইগুন বাড়ী মসজিদ নির্মাণ করেন। ঢাকারসাতগম্বুজ মসজিদ, খাজা আম্বর মসজিদ, শাহজালাল দাখিনীর মসজিদ, লালবাগ শাহীমসজিদ, কলতাবাজার মসজিদ, বেগম বাজার মসজিদ, ফতুল্লা মসজিদ, হাইকোর্ট (চিশতিবেহেশতির ) মাযার, পীর ইয়ামেনীর দরগাহ, শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাযার, শাহ মসউদও পীর জঙ্গীর দরগাহ, মগবাজার খানকাহ, বাবুপুরা দরগাহ, বিবিকা রওজা, মীরপুরের শাহ আলীর মসজিদ ও মাযার, নারায়নগঞ্জের কদম রসুল দরগাহ ইত্যাদিসংস্কর ও পুর্ননির্মাণে তিনি অর্থ সাহায্য দেন।তিনি সাড়েচার লক্ষ টাকা ব্যয় করে ঢাকা শহরে প্রথম বিজলিবাতি দানের ব্যবস্থা করেন।১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর উক্ত বিদ্যুৎব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। তিনি ১৮৯৯সালে ঢাকা মোহামেডান ইউনিয়ন স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠায় পৃষ্টপোষকতা দেন।তিনি কলকাতার সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন এবং এশিয়াটিকসোসাইটি এর সদর্স ছিলেন। ঢাকায় তিনি মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি এর শাখাপ্রতিষ্ঠা করেন।কর্মব্যস্ততার ফাকেঁ ফাকেঁ তিনি উর্দু ও ফারসি ভাষায় কবিতা রচনা করতেন।আহসানুল্লাহর কাব্যনাম শাহীন"""(রাজপাখী)। ‘কুল্লিয়াতে শাহীন’ নামে তারঁ একটিউর্দু-ফারসি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর নির্দেশনায় ঢাকা থেকে ১৮৮৪সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ‘আহসানুল কাসাস’ নামক একটি উর্দু পত্রিকা প্রকাশিতহয়। তিনি নিয়মিত ডাইরি লিখতেন। তাঁর লেখা ‘তারিখে খান্দানে কাশ্মীরিয়াহ’ নামক গ্রন্থটির (অপ্রকাশিত) একটি পান্ডুলিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থগারেরয়েছে।তিনিগীতিকার, নাট্যকার ও কন্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি প্রচুর ঠুমরী গান রচনা করেন।তাঁর উর্দু নাটকগুলি নওয়াব বাড়ির মঞ্চে অভিনয় করা হতো। তিনি একজন সৌখিনফটোগ্রাফার ছিলেন এবং কলকাতার ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্য হয়েছিলেন। রাজনীতিরক্ষেত্রে তিনি স্যার সৈয়দ আহমদের ন্যায় মুসলিম স্বাতন্ত্র্যে বিশ্বাসীছিলেন।খাজাআহসানুল্লাহ ১৮৭১ সালে খান বাহাদুর, ১৮৭৫ সালে নওয়াব, ১৮৯১ সালে সি.আই.ই, ১৮৯২ সালে নওয়াব বাহাদুর এবং ১৮৯৭ সালে কে.সি.আই.ই উপাধি পান। তিনি দুবার(১৮৯০ ও ১৮৯৯ ) বড়লাটের আইন সভার সদস্য মনোনীত হন। তাঁর নামে ঢাকারকুমারটুলির একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৯০১ সালের ১৬ ডিসেম্বরসন্ধ্যায় ঢাকায় পরলোক গমন করেন। বেগম বাজারে পারিবারিক গোরস্থানে তাকেঁসমাহিত করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্ক১৯৫৭ সালের পূর্বে পুরানো ঢাকায় লক্ষ্মী বাজার এলাকায় অবস্থিত বাহাদুর শাহ পার্কটি ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’নামে পরিচিত ছিল। বাহাদুর শাহ পার্কের প্রাক ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ইতিপূর্বে এটি ছিল আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের একটি ক্লাবঘর, যা আল্টাঘর নামে খ্যাত ছিল। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজরা এটি আর্মেনীয়দের নিকট থেকে কিনে নিয়ে পার্কের রূপ দেয়। সে সময়ে পার্কের দড়্গিণে ইংরেজরা আর একটি ক্লাবঘর তৈরি করে যা ঢাকার নওয়াব খাজা আঃ গনি ও খাজা আহসান উলস্নাহ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলতো। এখানে ইংরেজরা বিলিয়ার্ড র‌্যাকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলতেন। অনেক সময় সেখানে পার্টি ফ্যাংশনও হতো। পরবর্তীকালে রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কারণে ইংরেজগণ ঐ ক্লাবঘরটি স্থানানত্মরিত করে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় নিয়ে আসেন যা বর্তমানে ‘ঢাকা ক্লাব’নামে পরিচিত।
সিপাহী বিদ্রোহ দমনের পর ইংরেজরা নিহত ইংরেজ সৈন্যদের স্মরণে আল্টাঘর আঙ্গিনায় একটি স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরি করেছিল। ১৮৫৭ সালের পূর্বে ভারতের শাসনভার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে ছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরে ইস্ট ইন্ডিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার সরাসরি মহারাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেয়। এ সংক্রানত্ম মহারাণীর একটি ঘোষণাপত্র ১৮৫৭ সালের নভেম্বর মাসে বাদুঘর শাহ পার্ক সংলগ্ন ময়দানে বহুসংখ্যক দেশী-বিদেশী লোকের সমাবেশে ঢাকার তৎকালীন কমিশনার সাহেব পাঠ করে শোনান। তারপর থেকে এ পার্কের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক।
ভিক্টোরিয়া পার্কের সাথে ঢাকার নওয়াব পরিবারের একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ঢাকার নওয়াব বাহাদুর খাজা আহসান উলস্নাহর জৈষ্ঠ্য পুত্র খাজা হাফিজুলস্নাহ ১৮৮৪ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। পুত্রশোকে খাজা আহসান উলস্নাহ রোগাক্রানত্ম হয়ে শয্যাশায়ী হন। তৎকালীন সময়ে ঢাকাস্থ ইংরেজদের বিনোদনের বেশিরভাগ ব্যয়ভার বহন করতেন ঢাকার নওয়াবগণ। কিন্তু কিশোর হাফিজুলস্নাহর মৃত্যুর পর নওয়াব পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাতে ইংরেজরা সব ধরনের বিনোদনের ড়্গেত্রে বড় ধাক্কা খেল। এ পরিস্থিতির উত্তোরণে নওয়াব সাহেবদের মন জয় এবং খাজা হাফিজুলস্নাহর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ইংরেজগণ খাজা হাফিজুলস্নাহর স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরির উদ্যোগ নেয়। তা বাসত্মবায়নের জন্য ভিক্টোরিয়া পার্কটি বেছে নেয়। ১৮৮৫ সালের ১৭ ফেব্রম্নয়ারি পূর্ববঙ্গের ছোট লাট সাহেব ঐ স্মৃতিসত্মম্ভটি উদ্বোধন করেন।


== ভূগোল ==
== ভূগোল ==

১৯:৪১, ১২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ঢাকা
রাজধানী
প্রথম সারি: জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয় সারি: আহসান মঞ্জিল, কার্জন হল, নিমতলী কুঠি, তৃতীয় সারি: গুলশান, উত্তরা, চতুর্থ সারি: বনানী, মতিঝিল, পঞ্চম সারি: সদরঘাট
প্রথম সারি: জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয় সারি: আহসান মঞ্জিল, কার্জন হল, নিমতলী কুঠি, তৃতীয় সারি: গুলশান, উত্তরা, চতুর্থ সারি: বনানী, মতিঝিল, পঞ্চম সারি: সদরঘাট
ডাকনাম: মসজিদের শহর, বিশ্বের রিক্‌শা রাজধানী
বাংলাদেশে ঢাকার অবস্থান
বাংলাদেশে ঢাকার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′০″ উত্তর ৯০°২২′৩০″ পূর্ব / ২৩.৭০০০০° উত্তর ৯০.৩৭৫০০° পূর্ব / 23.70000; 90.37500
দেশবাংলাদেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাঢাকা জেলা
প্রতিষ্ঠাকাল১৬০৮ খ্রিস্টাব্দ
শহরের মর্যাদা প্রদান১৯৪৭
সরকার
 • ধরনসিটি কর্পোরেশন
 • শাসকঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
 • মহানাগরিকশূন্য
সাঈদ খোকন (দক্ষিণে)
আয়তন
 • রাজধানী৩০৬.৩৮ বর্গকিমি (১১৮.২৯ বর্গমাইল)
 • মহানগর২,১৬১.১৭ বর্গকিমি (৮৩৪.৪৩২ বর্গমাইল)
উচ্চতা[১]৪ মিটার (১৩.১২ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৩)[২]
 • রাজধানী১,৪৩,৯৯,০০০
 • জনঘনত্ব৪৫,০০০/বর্গকিমি (১,১৫,২০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর৭০,০০,৯৪০ (২০০৮)
 • স্বাক্ষরতার হার৯৫.৭%
বিশেষণঢাকাইয়া বা ঢাকাই
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড১০০০, ১১০০, ১২xx, ১৩xx
দেশের টেলিফোন কোড+৮৮০
এলাকার টেলিফোন কোড০২
ওয়েবসাইটঢাকা উত্তর
ঢাকা দক্ষিণ

ঢাকা (উচ্চারণ: [ɖʱaka]) বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহর। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ।[৪] এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম[৫] এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরটি ’মসজিদের শহর ’ নামেও পরিচিত।[৬] এখানে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। এছাড়া ঢাকা ’বিশ্বের রিকশা রাজধানী ’ নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে।[৭] বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।[৮]

সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরানো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী[৯] ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। আধুনিক ঢাকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকঅর্থনৈতিক জীবনের প্রধান কেন্দ্র।[১০] এটা প্রশংসিত জাতীয় দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন জাতীয় সংসদ ভবন,ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় শহীদ মিনার, লালবাগের কেল্লা , আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ[১১] ইত্যাদির মূলস্থান।

এই শহরের নগরাঞ্চলীয় অবকাঠামোটি বিশ্বে সর্বোন্নত হলেও দূষণ, যানজট এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যথেষ্ট পরিষেবার অভাব ইত্যাদি শহুরে সমস্যাগুলি এখানে প্রকট। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ঢাকার পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গণপূর্ত ব্যবস্থায় যে আধুনিকীকরণ হয়েছে, তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বর্তমানে এই শহর প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ টানতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকায় আসেন জীবন ও জীবিকার সন্ধানে। এ কারণে ঢাকা হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান নগরী, এই লক্ষ বাস্তবায়নে মালয়েশিয়া, জাপান, চীন সহ বিভিন্ন দেশ অর্থ সহযোগীতা ও বিনিয়োগ করছে।[১২][১৩]

নামকরণের ইতিহাস

পুরান ঢাকার আর্মেনিয়ান গির্জার প্রবেশপথ

ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো। ঢাকা নগরীকে বর্তমানে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে - ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।

ইতিহাস ও ঐতিহ্য

লালবাগের কেল্লা মোঘল আমলের একটি স্থাপনা
১৮৯৫-১৯০০ সময়কালে পিলখানা এলাকায় হাতির পালের দৌড়।

ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গগৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা দখল করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবিতকাল পর্যন্ত এ নাম বজায় ছিলো।

এর আগে সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল। সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে করতলগত করতে ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

সুবেদার ইসলাম খান চিশতী দায়িত্ব নেবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বারো ভূঁইয়ার পতন ঘটে ও বর্তমান চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে পুরো সুবে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।

১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও সুবা বাংলার রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো নায়েবে নাজিমদের শাসন, যা চলেছিল ১৭৯৩ সালে[১৪] ব্রিটিশ শাসন শুরু হবার আগে পর্যন্ত। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

ভূগোল

জাতীয় সংসদ ভবন

ঢাকা মধ্য বাংলাদেশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ২৩°৪২' থেকে ২৩°৫৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০' থেকে ৯০°২৮' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমিতে অবস্থিত এই শহরের মোট আয়তন ৩০০ বর্গকিলোমিটার (১২০ মা)।[১৫] ঢাকায় মোট ৫০ টি থানা আছে। এগুলো হলো -চকবাজার, লালবাগ, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, হাজারীবাগ, রমনা, মতিঝিল, পল্টন, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী, শাহ আলী, তুরাগ, সবুজবাগ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ডেমরা, শ্যামপুর, বাড্ডা, কাফরুল, কামরাঙ্গীর চর, খিলগাঁও ও উত্তরা। ঢাকা শহরটি মোট ১৩০টি ওয়ার্ড ও ৭২৫টি মহল্লায় বিভক্ত। ঢাকা জেলার আয়তন ১৪৬৩.৬০ বর্গ কিলোমিটার (৫৬৫ বর্গমাইল)। এই জেলাটি গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জমানিকগঞ্জ জেলা দ্বারা বেষ্টিত।[১৬] ক্রান্তীয় বৃক্ষ, আর্দ্র মৃত্তিকা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে সমান সমতলভূমি এই জেলার বৈশিষ্ট্য। এই কারণে বর্ষাকালে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঢাকা জেলায় প্রায়শই বন্যা দেখা যায়।[১৭]

আবহাওয়া ও জলবায়ু

ঢাকার জলবায়ু প্রধানত উষ্ণ, বর্ষণমুখর এবং আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয়। কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ এর অধীনে, ঢাকার জলবায়ু ক্রান্তীয় সমভাবাপন্ন। এই শহরের একটি স্বতন্ত্র মৌসুম রয়েছে, এখানে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস(৮১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং জানুয়ারী থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে তাপমাত্রা ১৯.৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের(৬৭ থেকে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মধ্যে থাকে।[১৮] মে থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে গড়ে প্রায় ২১২১ মিলিমিটার(৮৩.৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যা সারাবছরের মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৮৭%।[১৮] যানজট এবং এবং শিল্প কারখানার অপরিকল্পিত বর্জ্য নির্গমনের ফলে প্রতিনিয়ত বায়ু এবং পানি দূষণ বাড়ছে, ফলে শহরের জনস্বাস্থ্য এবং জীবন মান মারাত্বকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।[১৯] ঢাকার চারপাশে জলাশয় এবং জলাভূমি গুলি ধ্বংসের সম্মুখীন কারণ, এগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে বহুতল ভবন এবং অন্যান্য আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে। দূষণের ফলে প্রকৃতির যে ক্ষতি হচ্ছে তার ফলে এই এলাকার জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন।[২০]

বর্তমান ঢাকা

ঢাকা স্কাইলাইন

স্থানীয় সরকার

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এর সমাধি, চন্দ্রিমা উদ্যান
ঢাকায় সূর্যোদয়।

ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১ আগস্ট, ১৮৬৪ সালে এবং পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে এটি "কর্পোরেশন"-এ উন্নীত করা হয়।[২৪] ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নামের স্ব-শাসিত সংস্থা ঢাকা শহরের পরিচালনের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এই শহর ৯০টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন কমিশনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন। প্রতি ৫ বছর পরপর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একজন মেয়র নির্বাচন করা হয়, যিনি প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসাবে কাজ করেন।[২৫] ওয়ার্ড কমিশনারও ৫ বছরের জন্য সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। এছাড়াও মহিলাদের জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩০টি সংরক্ষিত কমিশনার পদ রয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সকল সরকারী স্কুল এবং অধিকাংশ বেসরকারী স্কুলের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে। তবে মাদ্রাসা এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলসমূহ এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়।[২৬][২৭] বাংলাদেশের সকল মাদ্রাসা একটি কেন্দ্রীয় বোর্ডের মাধ্যমে এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল সমূহ একটি পৃথক শিক্ষাবোর্ড এবং প্রশাসনিক কাঠামোর অধিনে পরিচালিত হয়।[২৮]

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মোট ১২টি পুলিশ স্টেশনে প্রায় ৬০০০ এরও বেশি পুলিশ সদস্য ছিলেন।[২৯] শহরের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশবাহিনীতে সদস্য সংখ্যা ২৩০০০ এ উন্নীত করা হয়, এবং এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ৩৩টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে নতুন আরও ১৮টি পুলিশ স্টেশন তৈরীর কাজ চলছে।

ঢাকা শহর ২৫টি সংসদীয় এলাকায় বিভক্ত। এখানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হল আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলরমনায় সচিবালয় অবস্থিত এবং এখানেই সরকারের প্রায় সকল মন্ত্রণালয় রয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং ঢাকা হাই কোর্ট এই শহরে অবস্থিত। বঙ্গভবন ভারতের গভর্নর-জেনারেল, পূর্ব পাকিস্তান গভর্নর এবং বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[৩০] জাতীয় সংসদ ভবন বাংলাদেশ সরকারের এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ কার্যক্রমের কাজে ব্যবহৃত হয়। খ্যাতনামা স্থপতি লুইস কান এই জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি ছিলেন।[৩১]বায়তুল মুকাররম এদেশের জাতীয় মসজিদ, মক্কার কাবা শরিফের নকশায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই মসজিদের ডিজাইন করা হয়েছে।[৩২] এই শহরের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে বড় কাটরা, লালবাগ কেল্লা, হোসেনী দালান, আহসান মঞ্জিল, বাহাদুর শাহ পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি।[৩৩]

ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকলেও মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৫% এই ব্যবস্থার আওতাভুক্ত , এর পাশাপাশি আরও ৩০% এই সুবিধা ব্যবহার করে সেপটিক ট্যাঙ্কের মাধ্যমে।[৩৪] মাত্র দুই তৃতীয়াংশ লোক শহরে সরবরাহকৃত পানি ব্যবহার করতে পারে। এখানে প্রতি বছর ৯৭ লক্ষ টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সরকারী এবং বেসরকারী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সফলতার সাথে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয়ভাবে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কয়েকটি স্থান রয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো কাছাকাছি নিচু এলাকায় অথবা জলাশয়ে ফেলা হয়ে থাকে।[১৯][৩৪]

পৌর প্রশাসন

ঢাকা মহানগরীর প্রশাসনিক কেন্দ্র - নগর ভবন

ঢাকা পৌরসভা ১৮৬৪ সালের ১ই আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং ১৯৭৮ সালে কর্পোরেশন অবস্থা উন্নীত হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একটি স্বায়ত্ত কর্পোরেশন যা শহর বিষয়াবলি চালায় (অর্থাত ২০১১ সাল থেকে), ঢাকা সিটি করপোরেশন বর্তমানে দুই প্রশাসনিক অংশে বিভক্ত করা হয়েছে - এইগুলো হলো (১) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং (২) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন - ভাল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। এই দুটি কর্পোরেশন প্রশাসকদের দ্বারা চালিত হয়। অন্তর্ভূক্ত এলাকায়গুলো কয়েকটি পৌরসভায় বিভক্ত করা হয়েছে, যা কমিশনার নির্বাচিত করেছেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব ও নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত সরকারী স্কুল এবং অধিকাংশ বেসরকারী স্কুলগুলো চালানো হয়, শুধুমাত্র ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো এবং মাদ্রাসাগুলো ছাড়া।[৩৫][৩৬] বাংলাদেশে সকল মাদ্রাসা একটি কেন্দ্রীয় বোর্ড দ্বারা পরিচালিত যখন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো পৃথক শিক্ষা ও শাসন কাঠামোর অধীনে হয়ে থাকে।[৩৭]

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেইসময় ৬,০০০ পুলিশ-বাহিনী মোট ১২টি পুলিশ থানায় কর্মরত ছিল। শহর দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, বর্তমানে পুলিশ-বাহিনী উত্থাপিত হয়েছে প্রায় ২৬,৬৬১ জনে এবং ৪৯টি পুলিশ থানা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।[৩৮]

ক্রমবর্ধমান যানজট এবং জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবিলায় জাতীয় সরকার সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী এলাকার দ্রুত নগরায়নের একটি নীতি বাস্তবায়ন করেছে। ঢাকা মহানগরীকে কেন্দ্র করে বিশেষত বর্তমানে দ্রুত জনবিষ্ফোরণের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ২০২০ সালের মধ্যে নগরীর জনসংখ্যা ৩ কোটিকেও ছুঁয়ে ফেলতে পারে। ফলে স্বাভাবিক নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে। তাই ঢাকা শহরকে ঘিরে একদিকে বর্তমানে বিভিন্ন উপনগরীর প্রবর্তন করে ও অন্যদিকে সমগ্র দেশ জুড়েই দারিদ্রের যথাসাধ্য মোকাবিলা করে নগরমুখী লাগামছাড়া জনস্রোতকে কিছুটা মোকাবিলা করাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।[৩৯]

প্রশাসনিক সংস্থা

বিশ্বের অন্যান্য মেগা শহরগুলো থেকে ভিন্ন, ঢাকা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চার বার সরকার প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সেবা নিয়েছে। দুই কর্পোরেশন, উত্তর এবং দক্ষিণ, দুই ক্ষমতাহীন মেয়রদের নেতৃত্বে চালিত হয় যখন তাদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাছাড়া, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সকল ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন, একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং তারা শহর রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে যায়।[৪০]

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবন
প্রতিনিধিত্ব সেবা জনকসংস্থা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
জনসেবা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
 ∟ স্থানীয় সরকার বিভাগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন প্রয়োগকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
 ∟ বাংলাদেশ পুলিশ
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড
বিদ্যুৎ বিতরণ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
 ∟ বিদ্যুৎ বিভাগ
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
 ∟ স্থানীয় সরকার বিভাগ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নগর পরিকল্পনা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা
স্কুল শিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিবহন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়
 ∟সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগ

পানি ব্যবস্থাপনা

ঢাকায় একটি জলবাহিত নিকাশী ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু এই জনসংখ্যার মাত্র ২২% স্থল অপরদিকে ৩০% সেপ্টিক ট্যাঙ্ক দ্বারা পরিবেশিত হয়,[৪১]

অর্থনীতি

সিটি সেন্টার বাংলাদেশ হল ঢাকার সবচেয়ে উঁচু অট্টালিকা

ঢাকা বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।[৪২] শহরে উঠতি মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি আধুনিক ভোক্তা এবং বিলাস পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবেই এই শহরে অভিবাসী শ্রমিকদের আকৃষ্ট করে আসছে।[৪৩][৪৪][৪৫] হকার, ছোটো দোকান, রিকশা, রাস্তার ধারের দোকান শহরের মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ।[৪৪][৪৬] শুধুমাত্র রিকশা চালকের সংখ্যাই ৪০০০০০ এর বেশি।[৪৭] কর্মপ্রবাহের প্রায় অর্ধেকই গৃহস্থালি অথবা অপরিকল্পিত শ্রমজীবী হিসাবে কর্মরত আছেন। যদিও টেক্সটাইল শিল্পে প্রায় ৮০০,০০০ এরও বেশি মানুষ কাজ করছেন। তারপরও এখানে বেকারত্বের হার প্রায় ১৯%।[৪৮] ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরের স্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।[৪৯] বার্ষিক ৬.২% প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ২১ হাজার ৫০০কোটিতে উন্নীত হবে।[৪৯] ঢাকার বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৩৫০ মার্কিন ডলার এবং এখানে প্রায় ৩৪% মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে [৫০] বসবাস করে। এই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের সন্ধানে গ্রাম থেকে শহরে এসেছে[৪৩] এবং এদের অনেকেরই দৈনিক আয় ৫ মার্কিন ডলারের কম।[৫১]

শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাগুলো হলো মতিঝিল, চকবাজার, নবাবপুর, নিউ মার্কেট, ফার্মগেট ইত্যাদি এবং প্রধান শিল্প এলাকা গুলো হল তেজগাঁও, হাজারীবাগলালবাগ[৫২] বসুন্ধরা-বারিধারা একটি উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক এলাকা এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই এলাকায় উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পকারখানা, কর্পোরেশন এবং শপিং মল তৈরী করা হবে।[৪৩] ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল প্রধানত গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে উদ্বুদ্ধ করর লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছিল। ঢাকায় মোট দুটি ইপিজেড-এ মোট ৪১৩টি শিল্প স্থাপনা রয়েছে। এখানকার অধিকাংশ কর্মীই নারী।[৫৩] এই শহরের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের অন্যতম বৃহত স্টক এক্সচেঞ্জ, এখানে তালিকাভুক্ত বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটিগ্রুপ, এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ, জেপি মর্গান চেজ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক (বাংলাদেশ), আমেরিকান এক্সপ্রেস, শেভরন, এক্সন মবিল, টোটাল, ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম, ইউনিলিভার, নেসলে, ডিএইচএল, ফেডএক্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো ইত্যাদি। স্থানীয় বড় আকারের শিল্পগ্রুপ যেমন কনকর্ড গ্রুপ, র‌্যাংগস গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, টি কে শিল্প গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, নাভানা গ্রুপ, জামান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিম আফরোজ ইত্যাদি প্রতিষ্টানের প্রধান বাণিজ্যিক কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। এই শহরেই নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক[৫৪], ব্র্যাক এবং বাংলাদেশের প্রথম ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (প্রগতি ব্যাংক) এর প্রধান কার্যালয় ঢাকা বিভাগেই অবস্থিত।[৫৫] নগরায়নের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শহরের উন্নয়ন চলছে, নতুন নতুন বহুতল ভবন তৈরী হচ্ছে ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শহরের পরিবর্তন হয়েছে।[৪৩] ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, শিল্পোৎপাদন, টেলিযোগাযোগ এবং সেবা খাতে বিশেষভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যটন এবং হোটেল রেস্তোরাঁর উন্নয়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ।[৪৪]

পরিবহন

নিউ মার্কেট এলাকার যানবাহন
রিক্সা
বিআরটিসি পরিচালিত দ্বিতল বাস
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স Boeing 777-300ER উড্ডয়ন
সদরঘাট নদীবন্দরে স্টিমারের চলাচল

ঢাকা বিশ্বের মধ্যে রিক্সার রাজধানী নামে পরিচিত।[৫৬][৫৭][৫৮] প্রতিদিন গড়ে এখানে প্রায় ৪,০০,০০০ রিক্সা চলাচল করে।[৫৯] রিক্সা এবং ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা ঢাকার অন্যতম প্রধান বাহন, আর এই শহরে যে প্রায় ৪০০০০০০ এর বেশি রিক্সা চলাচল করে, তা অন্য সকল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ[৬০][৬১] যদিও সরকারি হিসাব মতে ঢাকা শহরের জন্য মোট ৮৫,০০০ রিক্সার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।[৪৪][৬২] রিক্সা ঢাকা শহরের রাস্তার যানজটের অন্যতম কারণ এবং কিছু বড় বড় রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পরিচালিত বাস ঢাকা শহরের পরিবহনের আরেকটি জনপ্রিয় উপায়। এছাড়া রয়েছে বহু বেসরকারী বাস সার্ভিস। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ঢাকা শহরে পেট্রোল ও ডিজেলচালিত কিছু যানবাহন (বেবি ট্যাক্সি, টেম্পো ইত্যাদি) বন্ধ করে দেওয়া হয় ও পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস (Compressed Natural Gas - CNG) বা সিএনজিচালিত সবুজ অটোরিক্সা চালু হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষণ অনেক কমে এসেছে।

স্কুটার, ট্যাক্সি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যানবাহনগুলো শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরকার দুই স্ট্রোক ইঞ্জিন বিশিষ্ট অটো রিকশার প্রতিস্থাপন করে "সবুজ অটোরিকশা" চালু করেছে যা সিএনজি অটোরিকশার বা বেবি-ট্যাক্সি নামে পরিচিত এগুলোতে পরিবেশ বান্ধব সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।[৬৩] ঢাকা রাস্তা চলাচলকারী ট্যাক্সিগুলো দুই ধরনের হয়। হলুদ ট্যাক্সিগুলো কিছুটা উচ্চ মান সম্পন্ন হয়ে থাকে যদিও এটি ব্যয়বহুল। এই ট্যাক্সিগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত; টয়োটা করোলা এর, টয়োটা প্রিমিও এর এবং টয়োটা এলিয়ন মডেলের গাড়িগুলো ট্যক্সি হিসাবে ব্যবহার করা হয় এখানে। ২০১৩ সালে এই সেবাটি প্রথমে ২০০-২৫০০ টি ট্যক্সি নিয়ে শুরু করা হয়েছিলো।[৬৪] সরকার ১,৫০০সিসি ক্ষমতা বিশিষ্ট ইঞ্জিনের আরও ৫,০০০ নতুন ট্যাক্সি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ধরনের ট্যাক্সির সংখ্যা ১৮,০০০ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।[৬৪]

১৯৮৬-এর হিসাব অনুযায়ী , ঢাকার ১,৮৬৮ কিলোমিটার (১,১৬১ মা) রাস্তাগুলো বাঁধানো ছিলো।[৬৫] সড়কপথ, রেলপথের মাধ্যমে ঢাকা শহর দেশের অন্যন্য অংশের সাথে সংযুক্ত আছে। ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতাআগরতলা ​​শহরে যাতায়াতের জন্য বিআরটিসি পরিচালিত নিয়মিত বাস সার্ভিস রয়েছে।[৬৬]

ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে, বনানী রেলওয়ে স্টেশনে, তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন, ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে এবং গ্যান্ডারিয়া রেলওয়ে স্টেশন, রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ রেলওয়ে শহরতলি এবং জাতীয় রুটে সেবা প্রদান করে থাকে।[৬৭] বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে একটি নিয়মিত আন্তর্জাতিক ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা করে থাকে। ঢাকা থেকে অন্যান্য শহরতলি এলাকায় রেল যোগাযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে DEMU ট্রেনের মাধ্যমে নিয়মিত রেলসেবা পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।[৬৮]

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সদরঘাট বন্দরের মাধ্যমে নদীর অপর পারে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন স্থানে যাত্রী এবং মালপত্র পরিবহন করা হয়।[৬৯]

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা শহরের কেন্দ্রে থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত, এটি দেশের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর।[৭০] দেশের মোট বিমান আগমন এবং প্রস্থানের ৫২% পরিচালনা করা হয় এখানে। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, কক্সবাজার, যশোর, বরিশাল, সৈয়দপুরে অভ্যন্তরীণ সেবা এবং এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের প্রধান শহরগুলোতে আন্তর্জাতিক সেবাপরিচালনা করা হয়।[৭১][৭২]

নাগরিক পরিষেবা

ঢাকায় নাগরিক পরিষেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। ঢাকা শহরের পানির চাহিদা পূরণের জন্য ঢাকা ওয়াসা, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ডেসা এবং ডেসকো, গ্যাস সরবারহ করার জন্য তিতাস গ্যাস প্রভৃতি সেবামূলক সংস্থা নিয়োজিত রয়েছে।

জনগোষ্ঠী

ঢাকার তোপখানা রোডের কাছে ফেরিওয়ালারা, জুলাই ২০০১

ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহর যা বাঙালি সংস্কৃতির একটি ছবিও বলা চলে। ঢাকায় বসবাসকারীদের কিছু অংশের পূর্বপুরুষরা ভারতীয়। তারা অনেকেই ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ বিভাগের সময় ভারত থেকে এসেছিলেন। এদের মধ্যে কিছু বিহারী মুসলমানও ছিলেন। এদের সংখ্যা বর্তমানে কয়েক লক্ষ। এখানকার বেশিরভাগ লোক মুসলমান সম্প্রদায়ের, এদের সংখ্যা শতকরা ৯০% । কিন্তু সাথে বহু হিন্দু এরা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শতকরা ৭%, খ্রিস্টান , বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন। ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর মাঝে হরিজন, ঋষি ও বাহাই সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। ঢাকায় বসবাসকারী প্রায় সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলেন, পুরনো ঢাকা'র লোকেরা উর্দুতেও কথা বলে থাকেন। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের অনেকেই ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করে। ঢাকা নগরী অনেকগুলো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে যারা ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। কিছু ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীরা হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও ভোজপুরী ভাষাও ব্যবহার করে।

পুরনো ঢাকার স্থানীয় আদি অধিবাসীদের 'ঢাকাইয়া' বলা হয়। তাদের আলাদা উপভাষা এবং সংস্কৃতি রয়েছে। ঢাকা রাজধানী হওয়ায় সারা বাংলাদেশ থেকেই এখানে লোকজন উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে আসে।

সংস্কৃতি

রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কে মূল ধরে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা হচ্ছে ঢাকা শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা একাডেমি, চারুকলা ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগারজাতীয় জাদুঘর এলাকা সংস্কৃতি-কর্মীদের চর্চা ও সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর মূল ক্ষেত্র। এর বাইরে বেইলি রোডকে নাটকপাড়া বলা হয় সেখানকার নাট্যমঞ্চগুলোর জন্য। এছাড়াও নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল এবং অন্যান্য মঞ্চসমূহ নাট্য ও সঙ্গীত উৎসবে সব সময়ই সাংস্কৃতিক চর্চাকে অব্যাহত ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে নাট্যোৎসব ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটা জুড়ে বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়। বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ সারাদিন গোটা অঞ্চলে সাংস্কৃতিক উৎসব চলে। সাংস্কৃতিক হৃদ্যতার ধারাবাহিকতায় সেগুনবাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরও সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর কেন্দ্রস্থলের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য

১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের সময় হতেই ঢাকা এই প্রাদেশিক রাজধানীর শিক্ষার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই সময়ই ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৮০'র দশক পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এর আশেপাশের এলাকাকে এডুকেশন ডিস্ট্রিক্ট বলা হতো।১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ ঢাকার মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও ১৯৬৮ সালে জুনিয়র স্কুল এবং ১৯৭২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ হাই স্কুলে উন্নীত হয়৷ ১৯৭৩ সালে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়৷ পরবর্তীকালে ১৯৯০-৯১ শিক্ষা বছরে সরকারের নির্দেশে মতিঝিল ক্যাম্পাসে স্কুল ভবনের পূর্বদিকে ছাত্রীদের জন্য কলেজ শাখা চালু করা হয় ।এই এডুকেশন ডিস্ট্রিক্টের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ , গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,ভিকারুননেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ, উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা কলেজ, নটর ডেম কলেজ, তেজগাঁও কলেজ(পূর্বে নাইট কলেজ), ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুল, ইডেন মহিলা কলেজ, ইষ্ট এন্ড হাই স্কুল, অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস স্কুল, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ঢাকা আর্ট কলেজ (চারুকলা ইন্সটিটিউট),রঙ্গন একাডেমী,উত্তরা প্রভৃতি।

ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি।

ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম সৃষ্টি হয়েছিলো বৃটিশ শাসনামলে। তখন একে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হতো। বুদ্ধদেব বসুর মতো ছাত্র এবং বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের মতো শিক্ষক তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলটি সভ্যতার স্বাক্ষর বহন করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে আয়োজিত হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। অন্যদিকে পুরান ঢাকায় ১৮৫৮ সাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে চলে আসছে। সাভারে অবস্থিত ৬৯৭.১৩ একর জায়গাসম্পন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি, যেখানে দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারটি অবস্থিত।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত তিনটি মূল ধারা রয়েছে; এগুলোর প্রথমটি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত পাঠক্রম (যা বাংলা অথবা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করা যায়), দ্বিতীয়টি হচ্ছে বেসরকারি কেজি লেভেল হতে এ লেভেল পর্যন্ত ইংরেজি মিডিয়ামের বৃটিশ পাঠক্রম এবং তুতীয়টি হচ্ছে মূলত আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষানির্ভর মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা। মাদ্রাসাভিত্তিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটি সরকার নির্ধারিত পাঠক্রম এবং কোনো কোনোটি নিজস্ব পাঠক্রম ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদান করে। শেষোক্ত এশ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর সরকারের কোনো প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নেই। এই একই চিত্র ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রায় একশভাগ প্রযোজ্য।

বলা বাহুল্য নয় যে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ঢাকায় অবস্থিত। আশির দশক পর্যন্ত ঢাকাসহ বাংলাদেশে পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষাক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি ছিলো। এর পর হতেই বেসরকারি খাতে কিন্ডারগার্টেন ও স্কুলের প্রসার হতে শুরু করে। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তার সংশোধন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে এক বাঁধভাঙ্গা জোয়ার নিয়ে আসে। এযাবত প্রায় ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। লক্ষণীয় বিষয় হলো এর মধ্যে প্রায় ৪৫টিই হলো ঢাকা বিভাগে।

ঢাকার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট ৩৫টি পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি হচ্ছে ঢাকায়।[৭৩] এগুলো হলো:

  1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯২১);
  2. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৬২);
  3. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৭০) ;
  4. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৯৭);
  5. শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ২০০১);
  6. বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ২০১০);
  7. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৫৮/২০০৫);
  8. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (স্থাপিত ৫ জুন, ২০০৮)।

বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ৪৫টিই হলো ঢাকা বিভাগে।

ঢাকার উল্লেখযোগ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

  1. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
  2. ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
  3. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
  4. অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ
  5. আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  6. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলোজি
  7. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
  8. ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ
  9. স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ
  10. প্রাইম ইউনিভার্সিটি
  11. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
  12. প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি
  13. ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগরিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি
  14. সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি
  15. নটর ডেম ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ
  16. উত্তরা ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ
  17. ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

গণমাধ্যম

ঢাকা থেকে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইত্তেফাক, সংবাদ, প্রথম আলো, আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, আমার দেশ, জনকণ্ঠ, যুগান্তর, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, সমকাল, মানবজমিন, পূর্বাঞ্চল, সংগ্রাম, কালের কণ্ঠ‌।
ইংরেজি দৈনিক পত্রিকাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলাদেশ টুডে, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, নিউ এইজ, নিউ নেশন, ডেইলি স্টার, নিউজ টুডে। ঢাকায় অবস্থিত সংবাদ সংস্থাগুলো হলো বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ, (ইউ.এন.বি)

অনলাইন পত্রিকার গুলোর মদ্ধে উল্লেখযোগ্য বিডিনিউজ২৪.কম, বাংলানিউজ২৪.কম , প্রিয়.কম, বাংলা মেইল, দর্পণ বাংলা ২৪.কম

স্থানীয় টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভি। এছাড়া স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিটিভি ওয়ার্ল্ড, মাই টিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, এনটিভি, চ্যানেল ওয়ান, আরটিভি, বৈশাখী টিভি, বাংলাভিশন, দিগন্ত টিভি, দেশ টিভি, একুশে টেলিভিশন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, দর্পণ বাংলা টিভি
ঢাকার রেডিও চ্যানেল (সরকারি ও বেসরকারি) বাংলাদেশ বেতার (সরকারি রেডিও চ্যানেল),রেডিও ভূমি, রেডিও ফুর্তি, রেডিও টুডে, রেডিও আমার, এবিসি রেডিও, বাংলাদেশ বেতারের ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম

খেলাধুলা

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামও

ক্রিকেট এবং ফুটবল ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এই খেলাগুলো শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয়, বরং পুরো বাংলাদেশেই এই খেলাগুলোর জনপ্রিয়তা রয়েছে।[৭৪] মোহামেডান এবং আবাহনী ঢাকার দুটি বিখ্যাত ক্লাব যারা ফুটবল এমন ক্রিকেটে নিয়মিত সাফল্য অর্জন করে আসছে।[৭৫] বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট জাতীয় ক্রিকেট লীগে ঢাকার দল হিসাবে ঢাকা মেন্ট্রোপলিটন ক্রিকেট দল অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়া ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট লীগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলায় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দল অংশ নিয়ে থাকে।

ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলার দৃশ্য

সারা বাংলাদেশের খেলাধুলার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) (সাবেক ঢাকা স্টেডিয়াম) ও এর আশেপাশের এলাকা। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি হলেও ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, হকি, হ্যান্ডবলসহ আরো অনেক খেলা ঢাকায় নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এক সময় প্রতি বছর ঢাকা স্টেডিয়ামে আগা খান গোল্ড কাপ-এর মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট সারাদেশের মানুষকে উদ্দীপিত করে রাখতো। অল্প কিছু সময় প্রেসিডেন্টস গোল্ড কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এছাড়াও ঢাকা স্টেডিয়ামে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছিলো এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব ২১ ফুটবল টুর্নামেন্ট।

বর্তমানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় অন্যান্য খেলাধুলা ম্রীয়মান হয়ে গেছে বলা যায়। স্বাধীনতা পূর্বের ন্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পুনরায় আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্টেডিয়ামগুলোতে এখন নিয়মিতভাবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের খেলাধুলার সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া কাউন্সিল। এর সদর দপ্তর হচ্ছে ঢাকায়। এছাড়াও প্রায় ৩০টি ক্রীড়া ফেডারেশন ঢাকার সদরদপ্তর হতেই জেলা ক্রীড়া সমিতিগুলোর মাধ্যমে সারা দেশের খেলাধুলার কার্যক্রম দেখাশোনা ও পরিচালনা করে। এই ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন যার সদরদপ্তরও ঢাকায় অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো হলো: বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন, বাংলাদেশ আর্চারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ এ্যামেচার এথলেটিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশন, বাংলাদেশ তাইকুন্ডু ফেডারেশন।

ঢাকার উল্লেখযোগ্য খেলাধুলার কেন্দ্রগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম, ন্যাশনাল সুইমিংপুল, মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম, মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম, উডেনফ্লোর জিমনেশিয়াম, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি; মিরপুর জাতীয় ষ্টেডিয়াম ও তা সংলগ্ন সুইমিংপুল কমপ্লেক্স; মিরপুর জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়াম; বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম ও নৌবাহিনীর সুইমিং কমপ্লেক্স। এছাড়াও ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠ, ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ এবং কলাবাগান ক্লাব মাঠেও সারা বছর ধরে বিভিন্ন লীগ ও টুর্নামেন্টের খেলা চলে।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকের একাংশ
ঢাকার দর্শনীয় স্থানসমূহের অবস্থান ও সময়সূচী

ঐতিহাসিক স্থানসমূহ: লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারিবাজার, হোসেনী দালান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, কার্জন হল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন), ঢাকেশ্বরী মন্দির, তারা মসজিদ, মীর জুমলা গেট, পরীবিবির মাজার

পার্ক , বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ রমনা পার্ক, বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঢাকা শিশু পার্ক, বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, বলধা গার্ডেন

স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ জাতীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভাস্কর্য আসাদ গেইট

আধুনিক স্থাপত্যঃ জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, ভাসানী নভো থিয়েটার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা বহুমুখী সেতু,যমুনা ফিউচার পার্ক, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

হ্রদঃ ধানমন্ডী হ্রদ, গুলশান হ্রদ, বনানী হ্রদ, ডিয়া বাড়ি হ্রদ,

ঢাকার প্রথম

  • মসজিদ : ১৪৫৬-৫৭ সালে নির্মিত নারিন্দার বিনত বিবির মসজিদই সম্ভবত ঢাকার প্রথম মসজিদ।
  • মন্দির : ঢাকার প্রথম মন্দির সম্ভবত বকশিবাজারের ঢাকেশ্বরী মন্দির। ধারণা করা হয় এ মন্দিরের নাম থেকেই এই শহরের নামকরণ হয়েছে 'ঢাকা'।
  • মুসলিম শিলালিপি : নারিন্দার বিনত বিবি মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপিটিই সম্ভবত ঢাকার প্রথম মুসলিম শিলালিপি।
  • গির্জা : পর্যটক তাভারনিয়ার ও মানরিকের বর্ণনায় প্রাপ্ত গির্জাটি ১৬১২ সালের দিকে অগাস্টিয়ানদের নির্মিত বলে জানা গেলেও এর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
  • নির্বাক চলচ্চিত্র : ১৯৩১ সালে নির্মিত ঢাকার প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাক চলচ্চিত্র দি লাস্ট কিস
  • পাবলিক মার্কেট : ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান নবাব ইউসুফজান ১৯১৩ সালে ঢাকায় প্রথম পাবলিক মার্কেট স্থাপন করেন।
  • খেলাফত কমিটির অধিবেশন : নবাব সলিমুল্লার জ্যেষ্ঠপুত্র খাজা হাবিবুল্লাহর উদ্যোগে ডিসেম্বর ১৯২০ সালে আহসান মঞ্জিলে ঢাকা খেলাফত কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
  • পৌরসভা : ১৮৬৪ সালে ঢাকায় প্রথম পৌরসভা গঠিত হয়।
  • ব্যালট পেপারে নির্বাচন : ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ সালের পরের নির্বাচনে ঢাকায় প্রথম ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হয়।
  • ঘোড়াগাড়ির প্রবর্তক : আরমেনিয়ান জিএম সিরকোর প্রথম ঢাকায় ঘোড়াগাড়ি প্রবর্তন করেন বলে ধারণা করা হয়। তার প্রবর্তিত ঘোড়াগাড়ি ঢাকায় পরিচিতি পায় ঠিকাগাড়ি নামে।
  • জেনারেটরে বৈদ্যুতিক বাতি : ৭ ডিসেম্বর ১৯০১ সালে নবাব আহসান উল্লাহর আমন্ত্রণে ছোট লাটের সেক্রেটারি বোলটন ঢাকায় আসেন। বোলটন আহসান মঞ্জিলে হেমন্তের এক শনিবার বিকাল ৫টার সময় সুইচ টিপে ব্যক্তিগত জেনারেটর চালু করে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালান।
  • ম্যাজিস্ট্রেট : সম্ভবত ইংরেজ মি. ডে ঢাকার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট।
  • নির্বাচিত চেয়ারম্যান : জনগণের ভোটে নির্বাচিত ঢাকার প্রথম চেয়ারম্যান আনন্দ চন্দ্র রায়
  • হাসপাতাল : কলকাতার দেশীয় হাসপাতালের শাখা হিসেবে ১৮০৩ সালে ঢাকার প্রথম হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
  • ডিপার্টমেন্টাল স্টোর : ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা নাজিমউদ্দিন ও খাজা শাহাবউদ্দিন ২৩ মার্চ ১৯২৩ সালে ঢাকায় প্রথম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলেন।
  • জজ : ১৭৭৮ সালে ঢাকার প্রথম জজ নিযুক্ত হন মি. ডানকানসান।
  • ইমামবাড়া : বেশ কয়েকটি প্রাচীন ইমামবাড়ার কথা জানা গেলেও ঢাকার প্রথম ইমামবাড়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না।
  • গুরুদুয়ারা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারের পশ্চিম পাশে তপুর শিখ সঙ্গত নামে স্থাপিত শিখ মন্দির। এটি গুরুদুয়ারা নানক শাহী নামে পরিচিত।
  • ব্রাহ্মসমাজ মন্দির : পাটুয়াটুলীর মুখে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের পাশে ২২ আগস্ট ১৮৬৯ সালে ঢাকা ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরটি নির্মিত হয়।
  • বিদ্যালয় : ১৮১৬ সালের এপ্রিলে ছোট কাটরায় স্থাপিত লিওনার্দোর স্কুল।
  • সরকারি বিদ্যালয় : ১৫ জুলাই ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজিয়েট স্কুলটিই ঢাকার প্রথম সরকারি বিদ্যালয়।
  • বালিকা বিদ্যালয় : ১৮৭৩ সালে ব্রাহ্মসমাজের উদ্যোগে ফরাশগঞ্জের একটি বাড়িতে মাত্র দুজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকার প্রথম বালিকা বিদ্যালয়।
  • কারিগরি বিদ্যালয় : ১৮৭৬ সালে ঢাকায় প্রথম সার্ভে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটিই ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।
  • সরকারি কলেজ : ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকার প্রথম সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ
  • বেসরকারি কলেজ : ঢাকার প্রথম বেসরকারি কলেজ জগন্নাথ কলেজ।
  • নৈশ্য কলেজ : ১৯৬১ সালে স্হাপিত বকশিবাজারে অবস্থানরত নাইট কলেজ। বর্তমানে ফার্মগেটে স্থানান্তরিত তেজগাঁও কলেজ।
  • মেডিকেল কলেজ : ঢাকার প্রথম মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল কলেজ।
  • মাদ্রাসা-মক্তব : ঢাকা শহরে অনেক মসজিদের সঙ্গেই ছিল মক্তব ও মাদ্রাসা। সরকারের স্বীকৃত মাদ্রাসা হিসেবে ঢাকা মাদ্রাসাই সম্ভবত ঢাকার প্রথম মাদ্রাসা।
  • বেতার কেন্দ্র : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৩৯ সালে নাজিমউদ্দিন রোডে খান বাহাদুর নাজির উদ্দিন সাহেবের ভাড়া বাড়িতে দুটি স্টুডিও নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিও ঢাকার বেতার সম্প্রচার শুরু করে।
  • ফটোগ্রাফিক স্টুডিও : ১৯১০ সালে ১৬ নম্বর নবাবপুর রোডে আর সি দাস অ্যান্ড সন্স নামে ঢাকায় প্রথম ফটোগ্রাফিক স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • মোটরগাড়ি : ১৯০৫ সালে ঢাকায় প্রথম মোটরগাড়ি চালু করেন নবাব সলিমুল্লাহ।
  • রিকশা : সম্ভবত ১৯৩৬-৩৭ সালে ঢাকার মৌলভীবাজারের দুই ব্যক্তি ব্যবসায়িক উদ্দেশে কলকাতার চন্দননগর থেকে ১৮০ টাকায় ঢাকায় দুটি সাইকেল রিকশা আমদানি করেন।
  • মুদ্রণযন্ত্র : ঢাকার প্রথম মুদ্রণযন্ত্র বাংলা মুদ্রণযন্ত্র। মুদ্রণযন্ত্রটি ঢাকায় ১৮৬০ সালে স্থাপন করা হয়।
  • বই : মুনতাসীর মামুনের মতে, ঢাকার ছোট কাটরা থেকে ১৮৪৯ সালে কাটরা প্রেস থেকে ব্যাপটিস্ট মিশনারির প্রকাশিত The first report of the East bengal Missionary Society MDCC-CXL VIII, with an Appendix etc. রিপোর্টিই ঢাকার প্রকাশিত প্রথম বই।
  • সংবাদপত্র : ঢাকার প্রথম সংবাদপত্র ঢাকা নিউজ।
  • বাংলা সংবাদপত্র : ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ঢাকা প্রকাশ
  • ইংরেজি সংবাদপত্র : ঢাকার প্রথম সংবাদপত্র ঢাকা নিউজ।
  • উর্দু সংবাদপত্র : ১৯০৬ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় উর্দু সংবাদপত্র আল মাশরিক।
  • বিজ্ঞান পত্রিকা : জানুয়ারি ১৮৮১ সালে ঢাকার প্রথম বিজ্ঞান পত্রিকা ভিষক প্রকাশিত হয়।
  • থিয়েটার : ঢাকার প্রথম থিয়েটার সম্ভবত পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি। প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে মতভেদ থাকলেও ধারণা করা হয় ১৮৬১ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • নাটক : ঢাকায় প্রথম মঞ্চস্থ নাটক নিয়ে দ্বিধা থাকলেও এক্ষেত্রে দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণকেই প্রথম মানা হয়।
  • যাত্রা : সম্ভবত 'সীতার বনবাস' যাত্রাপালাটি ঢাকায় প্রদর্শিত প্রথম যাত্রা।
  • বায়োস্কোপ : ১৮৯৮ সালে নবাব আহসানউল্লাহ কলকাতা থেকে বায়োস্কোপ এনে পরিবার ও ঢাকাবাসীকে দেখানোর ব্যবস্থা করেন।
  • সিনেমা হল : ঢাকার পিকচার হাউস নাট্যমঞ্চটি (শাবিস্তান হল) ১৯১৪ সালে সিনেমা হলে রূপান্তরিত হয়।
  • বাণিজ্যিক ব্যাংক : ঢাকার প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক ছিল ঢাকা ব্যাংক।
  • বিদ্যুৎ বাতি : ৭ ডিসেম্বর-১৯০১ সালে নবাব আহসানউল্লাহর অর্থায়নে ঢাকার বেশকিছু রাস্তায় বিদ্যুৎ বাতির ব্যবস্থা করা হয়।
  • তেলের বাতি : ১৮৭১ সালে সাধারণ ঢাকাবাসীর চাঁদায় শহরে সর্বপ্রথম ১০০টি ল্যাম্পপোস্ট আর তেলের বাতি চালু করা হয়।
  • শ্মশান : আদিতে ঢাকার নদী ও খালপাড়ে মরদেহ পোড়ানো হতো। ঢাকার আদি স্বীকৃত শ্মশানের মধ্যে দয়াগঞ্জ শ্মশানঘাট, পোস্তগোলা ও লালবাগের শ্মশানের কথা জানা যায়।
  • কবরস্থান : আদি ঢাকায় যত্রতত্র কবর দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। ১৮৮২ সালে ঢাকার পুরনো নাখাসে মিউনিসিপ্যালিটির তত্ত্বাবধানে প্রথম কবরস্থান স্থাপন করা হয়।
  • ডক্টরেট-পিএইচডি : নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় বাংলার যাত্রাপালা নিয়ে গবেষণা করে সুইজারল্যান্ড থেকে প্রথম ঢাকাবাসী হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
  • নায়েব নাজিম : ঢাকার প্রথম নায়েব নাজিম মুহম্মদ আলী খান।
  • মুসলমান গ্র্যাজুয়েট : আদিনাথ সেনের মতে, ঢাকার প্রথম মুসলমান গ্র্যাজুয়েট খাজা মুহম্মদ আসগর।
  • নারী চিত্রশিল্পী : নবাব পরিবারের মেহেরবানু খানমই সম্ভবত ঢাকার প্রথম নারী চিত্রশিল্পী।
  • ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র : ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা আদিল ও খাজা আজমল ঢাকার প্রথম ছবি সুকুমারী নির্মাণ করেন। এ চলচ্চিত্রটি ছিল পরীক্ষামূলক।

বিখ্যাত অধিবাসী

সমালোচনামূলক ব্যক্তিত্ব

  • তাজউদ্দিন আহমেদ [বিএল] (মৃত্যু), বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
  • Aah.Towfiq

কাপাসিয়া প্রথম উন্নয়ন প্রচারক, বাংলাদেশ

  • ফকির শাহবাদিন, বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল
  • ব্রিগেডিয়ার এএসএম হান্নান শাহ [বিএনপি] (মৃত্যু), বাংলাদেশ পাটমন্ত্রী মো
  • আল আরাফাত হাসান তৌফিক [২], সাবেক সমাজকর্মী (সমাজ বিজ্ঞানী)
  • শেখ মুজিবুর রহমান [বিএল) ( মৃত্যু ) বাংলাদেশর রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন।

আরোও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Dhaka, Bangladesh Map" (ইংরেজি ভাষায়)। National Geographic Channel। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-০৬ 
  2. "No. 1: Dhaka, Bangladesh – In Photos: The World's Densest Megacities" (ইংরেজি ভাষায়)। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৩ 
  3. http://www.thedailystar.net/2005/01/19/d501192501107.htm
  4. "Statistical Pocket Book, 2008" (PDF) (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh Bureau of Statistics। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৫ 
  5. 2010 World Bank Country Assistance Strategy (Page 4) http://siteresources.worldbank.org/BANGLADESHEXTN/Resources/295759-1271081222839/BDCAS.pdf
  6. "everything about our city" (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka City। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-০৮ 
  7. Lawson, Alastair (২০০২-১০-০৫)। "Dhaka's beleaguered rickshaw wallahs" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-১৯ 
  8. World Bank (30 July 2010). Country Assistance Strategy for the People's Republic of Bangladesh for the Period FY11-14, page 4.
  9. http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_sections_detail.php?id=957&sections_id=29343
  10. "Price Information of Essential Commodities" (php)। National Web Portal, Government of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২৭ 
  11. http://www.huffingtonpost.com/anushay-hossain/branding-bangladesh-india_b_4671353.html
  12. http://www.worldbank.org.bd/WBSITE/EXTERNAL/COUNTRIES/SOUTHASIAEXT/BANGLADESHEXTN/0,,contentMDK:21384826~pagePK:141137~piPK:141127~theSitePK:295760,00.html
  13. "Danger in Dhaka, the fastest-growing city"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৭-০৭। 
  14. "The Romance of an Eastern Capital" 
  15. "Area, Population and Literacy Rate by Paurashava" (পিডিএফ)। Bangladesh Bureau of Statistics। ২০০১। ২০০৮-০৬-২৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-২৯ 
  16. Banglapedia (২০০৬-০৯-২৭)। "Dhaka Division"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-১১ 
  17. Hough, Michael (২০০৪)। Cities and natural process। Routledge। পৃষ্ঠা 64–65। আইএসবিএন 0-415-29855-5 
  18. "Weatherbase: Historical Weather for Dhaka, Bangladesh"। weatherbase.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৫ 
  19. Lawson, Alistair (২০০২-১০-৩০)। "Dhaka 'winning' waste disposal battle"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  20. মন্ডল, মোঃ আব্দুল লতিফ (২০০৬-০৯-২৭)। "Our Cities: 15th Anniversary Special" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  21. "Weatherbase: Historical Weather for Dhaka, Bangladesh"। Weatherbase। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  22. "Bangladesh – Dacca" (স্পেনীয় ভাষায়)। Centro de Investigaciones Fitosociológicas। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  23. "Average Conditions – Bangladesh – Dhaka" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  24. Dhaka City Corporation। "City Corporation" (PHP)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২৭ 
  25. Dhaka City Corporation (২০০৬-০৯-১০)। "Mayor" (PHP)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-১০ 
  26. "East Pakistan Intermediate and Secondary Education Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. XXXIII of 1961)"। Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-৩১ 
  27. "Education Board Bangladesh"। Ministry of Education, Intermediate and Secondary Education Boards, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-৩১ 
  28. "THE MADRASAH EDUCATION ORDINANCE, 1978 (ORDINANCE NO. IX OF 1978)."। Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-৩১ 
  29. "History of the DMP"। Dhaka Metropolitan Police। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-৩০ 
  30. "Bangabhaban"Banglapedia 
  31. Richards, John (২০০২)। "Calcutta and Dhaka: A tale of two cities"। Inroads। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  32. "Baitul Mukarram-the National Mosque of Bangladesh"। Bangladesh Embassy, Bhutan। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-৩১ 
  33. Marika McAdam (২০০৪)। Bangladesh। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 46–52। আইএসবিএন 1-74059-280-8 
  34. Mondo, M. Abdul Latif (২০০৬-০৯-২৭)। "Our Cities: 15th Anniversary Special"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  35. "East Pakistan Intermediate and Secondary Education Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. XXX population III of 1961)"। Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৯ 
  36. "Education Board Bangladesh"। Ministry of Education, Intermediate and Secondary Education Boards, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৯ 
  37. "THE MADRASAH EDUCATION ORDINANCE, 1978 (ORDINANCE NO. IX OF 1978)."। Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৯ 
  38. "DMP – New Initiatives"। Dhaka Metropolitan Police। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ 
  39. "Town planning for Bangladesh: Vision 2020"The Daily Star। ৮ নভেন্মর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ 15 December 2008  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  40. "What should we do for better civic services"। ২৩ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৬ 
  41. "Our Cities: 15th Anniversary Special"thedailystar.netদ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০০৭ 
  42. "Dhaka"। Encyclopedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৩ 
  43. Lawson, Alistair (২০০২-০৬-০১)। "Good times for bourgeois Bangladeshis"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-০২ 
  44. McGee, Terry (২০০৬-০৯-২৭)। "Urbanization Takes on New Dimensions in Asia's Population Giants"। Population Reference Bureau। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  45. Chowdhury, A.M. (২০০৭-০৪-২৩)। "Dhaka"। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৩ 
  46. "Does Dhaka need rickshaws?"। BBC News। ১৯৯৮-০৭-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  47. Robert Cervero (২০০০)। Informal Transport in the Developing World। UN-HABITAT। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 92-1-131453-4 
  48. Dhaka City Corporation। "Economy" (PHP)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২৭ 
  49. "Global city GDP rankings 2008–2025"। Pricewaterhouse Coopers। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  50. "Asian City Development Strategies: Dhaka" (পিডিএফ)। Fukuoka Conference 2000, Cities Alliance। সেপ্টেম্বর ৯, ২০০৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৪ 
  51. Rizwanul, Islam; Muqtada, M. (১৯৮৬)। Bangladesh, selected issues in employment and development। International Labour Organisation, Asian Employment Programme (ARTEP)। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 92-2-105769-0 
  52. "Dhaka City State of Environment" (PDF)। Regional Resource Center for Asia and the Pacific, United Nations Environment Programme। ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৪ 
  53. "Dhaka clothes factories to reopen"। BBC News। ২০০৬-০৬-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৭ 
  54. "Poverty Alleviation: Yunus calls for major reforms in World Bank"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৭-১১-০৫। 
  55. "Blind eye to urban poor to spell social disaster:Conference on the poor told"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৭-১২-০৫। 
  56. Lawson, Alastair (১০ মে ২০০২)। "Dhaka's beleaguered rickshaw wallahs"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  57. "rickshaw: Dhaka"Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  58. Menchetti, Peter (২৪ মার্চ ২০০৫)। "Cycle Rickshaws in Dhaka, Bangladesh" (PDF)। Thesis for Amsterdam University। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০০৮ 
  59. Lawson, Alastair (৫ অক্টোবর ২০০২)। "Dhaka"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  60. Lawson, Alistair (১ জুন ২০০২)। "Good times for bourgeois Bangladeshis"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০০৬ 
  61. "Does Dhaka need rickshaws?"। BBC News। ২০ জুলাই ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ 
  62. Rizanuzzaman Laskar (৪ মার্চ ২০০৭)। "Rickshaw pullers get licences"দ্য ডেইলি স্টার 
  63. Rahman, Mushfiqur (২০০৩)। "Compressed Natural Gas"। Islam, SirajulBanglapedia: National encyclopedia of Bangladesh। Dhaka: Asiatic Society of Bangladesh। আইএসবিএন 984-32-0576-6ওসিএলসি 52727562। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ 
  64. "Govt to import 5,000 taxis"দ্য ডেইলি স্টার (Bangladesh)। ১০ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৩ 
  65. Sharif Uddin Ahmed (১৯৮৬)। Dacca: A Study in Urban History and Development। Curzon Press। পৃষ্ঠা 108। আইএসবিএন 0-913215-14-7 
  66. Lawson, Alastair (১৩ অক্টোবর ২০০৩)। "Passengers shun Dhaka-India bus"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ 
  67. Marika McAdam (২০০৪)। Bangladesh। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 1-74059-280-8 
  68. "PM inaugurates Dhaka-Narayanganj DEMU train"Bdnews24.com। ২৪ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩ 
  69. Economic and Social Commission for Asia and the Pacific. (২০০৫)। "Dhaka"। Asian Highway Handbook। United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific, United Nations Publications। পৃষ্ঠা 28। আইএসবিএন 92-1-120170-5 
  70. Alam, Jobair Bin (২০০৩)। "Air Transport"। Islam, SirajulBanglapedia: National encyclopedia of Bangladesh। Dhaka: Asiatic Society of Bangladesh। আইএসবিএন 984-32-0576-6ওসিএলসি 52727562। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০০৮ 
  71. "Biman's Destination: International Destinations"Biman Bangladesh Airlines 
  72. "Dhaka – Zia International Airport (DAC)"World Executive। OE Interactive। 
  73. কোন পথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাঃ শানজিদ অর্ণব, সর্বশেষ সংস্করনঃ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১.
  74. Robert MacHenry, সম্পাদক (১৯৯৩)। "Bangladesh"। The New Encyclopædia Britannica। Encyclopædia Britannica। পৃষ্ঠা 717। আইএসবিএন 0-85229-571-5 
  75. Al Musabbir Sadi (১৭ জুন ২০০৭)। "Tasty derby drawn"দ্য ডেইলি স্টার 

আরোও পড়ুন

বহিঃসংযোগ