আইয়ুব বাচ্চু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shoreful (আলোচনা | অবদান)
ভুল সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
| alias = এ বি
| alias = এ বি
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|mf=yes|১৯৬২|০৮|১৬}}
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|mf=yes|১৯৬২|০৮|১৬}}
| birth_place = [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]], [[পূর্ব পাকিস্তান]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
| birth_place = [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]],[[বাংলাদেশ]]
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|2018|10|18|1962|08|16|mf=y}}
| death_place = স্কয়ার হাসপাতাল, [[ঢাকা]]।
| genre = [[হার্ডরক]], [[ব্লুজ]], [[সাইকেডেলিক রক]], [[সফট রক]], [[অল্টারনেটিভ রক]] <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.newagebd.com/detail.php?date=2012-04-02&nid=5886 |title=New Age &#124; Newspaper |publisher=নিউ এজ |date=২ এপ্রিল ২০১২ |accessdate=২৭ জুন ২০১২}}</ref>
| occupation = [[গিটার বাদক]], [[সঙ্গীতশিল্পী]], [[সঙ্গীতজ্ঞ]], [[গীতিকার]]
| instrument = [[গীটার]], [[ভোকাল]], [[গীটার|বেজ গিটার]], [[কি-বোর্ড]]
| years_active = [[১৯৭৭]]–[[২০১৮]]
| label = এ বি কিচেন
| website = {{URL|http://www.ablrb.net/}}
| notable_instruments = [[ইবানেজ]], [[ইএসপি গিটার]]
}}

'''আইয়ুব বাচ্চু''' (জন্ম: ১৬ আগস্ট ১৯৬২; মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ২০১৮<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1561740/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87|শিরোনাম=আইয়ুব বাচ্চু আর নেই|কর্ম=প্রথম আলো|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-18|ভাষা=bn}}</ref>) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। [[এল আর বি]] ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |url=http://www.thedailystar.net/star-weekend/mad-genius/ayub-bachchu-1268182 |title=Ayub Bachchu |work=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |date=১১ আগস্ট ২০১৬ | accessdate=১১ আগস্ট ২০১৬}}</ref> এর আগে তিনি দশ বছর [[সোলস]] ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সঙ্গীতজগতে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংসের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তাঁর শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত। তাঁর ডাক নাম '''রবিন'''। মূলত রক ঘরানার কন্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকাল ৯.৫৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। "কীর্তিমানের মৃত্যু নেই"৷


==প্রাথমিক জীবন==
==প্রাথমিক জীবন==

০৭:৫২, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

{{Infobox musical artist | name = আইয়ুব বাচ্চু | image = Ayub_Bachchu.jpg | caption = উইন্টার গার্ডেনের কনসার্টে আইয়ুব বাচ্চু | background = solo_singer | alias = এ বি | birth_date = (১৯৬২-০৮-১৬)১৬ আগস্ট ১৯৬২ | birth_place = চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ

প্রাথমিক জীবন

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১]

সঙ্গীত জীবন

বাচ্চুর সঙ্গীতজগতে যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের সাথে ১৯৭৮ সালে। তাঁর কন্ঠ দেয়া প্রথম গান "হারানো বিকেলের গল্প"। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত রক্তগোলাপ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। এই অ্যালবামটি তেমন একটা সাফল্য পায়নি। আইয়ুব বাচ্চুর সফলতার শুরু তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ময়না (১৯৮৮) এর মাধ্যমে।[২]

১৯৯১ সালে বাচ্চু এল আর বি ব্যান্ড গঠন করে। এই ব্যান্ডের সাথে তার প্রথম ব্যান্ড অ্যালবাম এল আর বি প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের "শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি", "ঘুম ভাঙ্গা শহরে", "হকার" গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম সুখতবুও বের হয়। সুখ অ্যালবামের "সুখ, "চলো বদলে যাই", "রূপালি গিটার", "গতকাল রাতে" উল্লেখযোগ্য গান। "চলো বদলে যাই" বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন বাচ্চু নিজেই। ১৯৯৫ সালে তিনি বের করেন তৃতীয় একক অ্যালবাম কষ্ট। সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামের একটি বলে অবিহিত কড়া হয় এটিকে। এই অ্যালবামের প্রায় সবগুলো গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে "কষ্ট কাকে বলে", "কষ্ট পেতে ভালোবাসি", "অবাক হৃদয়", ও "আমিও মানুষ"। একই বছর তার চতুর্থ ব্যান্ড অ্যালবাম ঘুমন্ত শহরে প্রকাশিত হয়। তিনি অনেক বাংলা ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। "অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে" বাংলা ছবির অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তাঁর গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান।[২]

২০০৯ সালে তার একক অ্যালবাম বলিনি কখনো প্রকাশিত। ২০১১ সালে এল আর বি ব্যান্ড থেকে বের করেন ব্যান্ড অ্যালবাম যুদ্ধ[৩] এই অ্যালবামে ১০টি গান রয়েছে। ছয় বছর পর তার পরবর্তী একক অ্যালবাম জীবনের গল্প (২০১৫) বাজারে আসে। এই অ্যালবামে ১০টি গান রয়েছে। গানের কথা লিখেছেন সাজ্জাদ হোসাইন এবং সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আইয়ুব বাচ্চু নিজে।[৪]

গিটারে তিনি সারা ভারতীয় উপমহাদেশে বিখ্যাত। জিমি হেন্ড্রিক্স এবং জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় তিনি দারুনভাবে অণুপ্রাণিত। আইয়ুব বাচ্চুর নিজের একটি স্টুডিও আছে। ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত এই মিউজিক স্টুডিওটির নাম এবি কিচেন। তিনি ২০১০ সালে ঈদের জন্য নির্মিত ট্রাফিক সিগন্যাল ও হলুদ বাতি শিরোনামের নাটকে অভিনয় করেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন

২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর বাচ্চু ফুসফুসে পানি জমার কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন।[৬] সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি সুস্থ হন।[৭]

২০১৪ সালের ১৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৪'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে 'বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট'-এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন নিয়ে মাইলস ব্যান্ডের হামিন-এর সাথে বাচ্চুর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের সূত্রে বাচ্চু ও তার ব্যান্ড এল আর বি বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সদস্যপদ প্রত্যাহার করে।[৮]

অ্যালবাম

তিনি একক ও ব্যান্ড দুই ধরনের অ্যালবামই বের করেছেন। সেগুলো হলঃ

একক অ্যালবাম

  1. রক্তগোলাপ (১৯৮৬)
  2. ময়না (১৯৮৮)
  3. কষ্ট (১৯৯৫)
  4. সময় (১৯৯৮)
  5. একা (১৯৯৯)
  6. প্রেম তুমি কি! (২০০২)
  7. দুটি মন (২০০২)
  8. কাফেলা (২০০২)
  9. প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩)
  10. পথের গান (২০০৪)
  11. ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬)
  12. জীবন (২০০৬)
  13. সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭)
  14. রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮)
  15. বলিনি কখনো (২০০৯)
  16. জীবনের গল্প (২০১৫)

ব্যান্ড অ্যালবাম

  • এলআরব (১৯৯২)
  • সুখ (১৯৯৩)
  • তবুও (১৯৯৪)
  • ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫)
  • ফেরারী মন (১৯৯৬)
  • স্বপ্ন (১৯৯৬)
  • যুদ্ধ (২০১১)

নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী

মৃত্যু

২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগে শেষ কনসার্ট করেন রংপুরে জিলা স্কুল মাঠে ১৬ অক্টোবরে। নাম ছিল শেকড়ের সন্ধানে৷[৯] [১০]

তথ্যসূত্র

  1. "হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চু"যায়যায়দিন। ২৯ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  2. http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/08/09/38177
  3. "গ্রামীণফোনে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬ 
  4. কবীর, আলমগির (৬ জুলাই ২০১৫)। "ছয় বছর পর একক অ্যালবাম নিয়ে আইয়ুব বাচ্চু"দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  5. "অভিনয়ে আইয়ুব বাচ্চু"দৈনিক প্রথম আলো। ৭ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬ 
  6. "শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চু"দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  7. "Ayub Bachchu hospitalised"দ্য ডেইলি স্টার। ২৯ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  8. "তা র কা স ং ঘ র্ষ: মুখোমুখি বাচ্চু-হামিন"যায়যায়দিন। ২৬ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  9. "আইয়ুব বাচ্চু আর নেই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮ 
  10. "জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৮ 

বহিঃসংযোগ