উমর (টিভি ধারাবাহিক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:
|last_aired =
|last_aired =
|preceded_by =
|preceded_by =
|followed_by = [[আল-ইমাম (টিভি ধারাবাহিক|আহমাদ ইবনে হাম্বল]]
|followed_by = [[আল-ইমাম (টিভি ধারাবাহিক)|আহমাদ ইবনে হাম্বল]]
|budget = ২০০ মিলিয়ন [[SAR]]
|budget = ২০০ মিলিয়ন [[SAR]]
|related =
|related =

০১:১৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উমর
চিত্র:Omar (TV Series).jpg
ধরনইতিহাস, জীবনী, নাটক
লেখকওয়ালিদ সাঈফ
পরিচালকহাতেম আলী
অভিনয়েঘাসান মাসউদ, সামির ইসমাইল
কণ্ঠ প্রদানকারীআসাদ খালিফা
সুরকারফাহির আতাকোগলু
মূল দেশআরব বিশ্ব
মূল ভাষাআরবী
মৌসুমের সংখ্যা
পর্বের সংখ্যা৩১
নির্মাণ
প্রযোজকমিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার, কাতার টিভি, নিসমা টিভি
নির্মাণের স্থানসৌদি আরব, মরোক্কো
ব্যাপ্তিকাল৪৫ মিনিট
নির্মাণব্যয়২০০ মিলিয়ন SAR
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কমিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১
ছবির ফরম্যাটএইচডিটিভি
মূল মুক্তির তারিখটেমপ্লেট:তারিখের ছক বাছাই-এ ত্রুটি: '2012' বৈধ যুগের কোড নয় ('BC', 'BCE', 'AD' or 'CE' আশা করা হচ্ছে)
ক্রমধারা
পরবর্তীআহমাদ ইবনে হাম্বল

ওমর (ইংরেজি: Omar); (আরবি: عُمَرْ) অথবা ফারুক ওমর (ফার্সি: عمر فاروق) হল একটি ঐতিহাসিক আরব টেলিভিশন ড্রামা সিরিজ যেটি প্রযোজনা এবং সম্প্রচার করেছিল মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার-১। সিরিজটি পরিচালনা করেন সিরিয়ান পরিচালক হাতিম আলী।

একত্রিশ পর্বের এই সিরিজটি ইসলাম ধর্মের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর জীবনের আঠারো বছর থেকে শুরু করে মৃত্যুকালীন সময়ের মধ্যকার প্রবাহমান প্রাসঙ্গিক ও পারিপার্শীয় সমসাময়িক ঘটনাবলির উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়। এই ধারাবাহিকটি ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসূফ আল-কারযাভি ও সালমান আল আওদাহ-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়, পাশাপাশি পুরো আরব ও ইসলামিক বিশ্বজুড়ে এটি ব্যাপক বিতর্ক এবং আলোচনা-সমালচনার জন্ম দেয়। মরোক্কোতেই সিরিজটি্র সকল দৃশ্যের শ্যুটিং হয় এবং মারাক্কেশ, তাঞ্জিয়ার, এল জাদিদা, কাসাব্লাংকা এবং মহাম্মাদিয়ায় এর প্রধান দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়। ২০১২ সালের ২০শে জুলাই থেকে অর্থাৎ রমজানের ত্রিশদিন ব্যাপী মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে এবং একইসঙ্গে তুরস্কের এটিভিইন্দোনেশিয়ার এমএনসিটিভিতে প্রচারিত হয়। এছাড়াও ইউটিউবে এর পর্বগুলো টেলিভিশনে প্রচারের পরপরই ইংরেজি সাবটাইটেল সহ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, ২০ কোটি সৌদি রিয়াল ব্যয়ে নির্মিত এ টিভি ধারাবাহিকটি হল এপর্যন্ত নির্মিত আরবি ভাষার সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিভি ধারাবাহিক ও আরব বিশ্বে এযাবতকালে নির্মিত সবচেয়ে বড় মাপের টিভি নাট্যকর্ম।[১][২]

প্রাপ্তি

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ: নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ
সালমান আল আওদা ইউসূফ আল-কারযাভি সালিহ আল ফাউজান[৩] সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি[৩]
আদিল আল কালবানি মুহাম্মাদ আল দিদো আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ[৪]
আবদুল ওয়াহাব আল তুরাওয়ারী আলী আল সাল্লাবী মুহাম্মদ আল মুনাজিদ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান[৫]
সালেহ আল মাঘামসি মোহাম্মদ হাসান)

অভিনয়ে

ট্রিভিয়া

সিরিজটির ২ জন অভিনেতা, হাসান আল-জুন্দি ও মুনা ওয়াসেফ, উভয়েই আবু জাহল এবং হিন্দ বিন্ত উতবাহ চরিত্রে মোস্তফা আক্কাদের মুহাম্মদ, মেসেঞ্জার অফ গড চলচ্চিত্রের আরবী সংস্করণে অভিনয় করেছিলেন।

আবহ সঙ্গীত

ধারাবাহিকটির আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেন তুর্কি মিউজিশিয়ান ফাহির আতাকোগলু, যিনি জনপ্রিয় তুর্কি ধারাবাহিক সুলতান সুলেমানের সঙ্গীতায়োজনের জন্য প্রসিদ্ধ। সিরিজের শেষ পর্বে ওমর(রাঃ) এর ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর মৃত্যূর পূর্বমূহুর্ত দৃশ্যায়নে "সালামুন" শিরোনামে একটি নাশিদ আবহসঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে কন্ঠ দিয়েছেন কুয়েতের বিখ্যাত ক্বারী, তারাবীহ ইমাম ও নাশিদশিল্পী মিশারী রাশিদ আল-আফাসি

আন্তর্জাতিক সম্প্রচার

সিরিজটি সমসাময়িকভাবে এবং পরবর্তীতে ইরান, মিশর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া সহ বিভিন্ন দেশের টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়।

দেশ টিভি চ্যানেল সম্প্রচার শুরু
 Arab League এমবিসি১, কাতার টিভি জুলাই ২০, ২০১২
 Indonesia এমএনসিটিভি জুলাই ২০, ২০১২
 Tunisia নেসমা টিভি জুলাই ২০, ২০১২
 Turkey এটিভি, ক্যানাল ৭ জুলাই ২০, ২০১২; ৭ জুন ২০১৬
 Iran নূর টিভি আগস্ট, ২০১৩

ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক সত্যতা ও দৃশ্যায়ন-সম্পর্কিত সমালোচনা

সিরিজটি নিয়ে অধিক বিতর্কের প্রধান কারণ ছিল চার খলিফার প্রত্যক্ষ চরিত্রায়ন, যা পূর্বের কোন সিরিয়ালে করা হয় নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সময়কালের দৃশ্যায়নে, তার স্ত্রীগণ ও সন্তানগণকে দেখানো হয় নি কিন্তু তার অনেক কর্ম বা কথা পরোক্ষভাবে তার নিকটস্থ সাহাবার কথা ও কাজের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, কারণ ইসলামী বিশ্বে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তার পরিবারের চিত্রায়ন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্মানের খাতিরে যথাসম্ভব সীমিত এবং সমগ্র বিশ্বেই তা ব্যাপক অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আবু বকরের মৃত্যুর পূর্বের একটি দৃশ্যে আয়েশা (রাঃ) কে ছায়া আকারে তার পিতার সঙ্গে নিঃশব্দে আলাপরত অবস্থায় দেখানো হয়। গোড়ালির নিচে পুরুষ সাহাবীদের কাপড় পরিহিত দেখানো হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইয়ামামার যুদ্ধে খালিদ ও অন্যান্য সাহাবা, ইয়া মুহাম্মাদা বা হে মুহাম্মাদ বলে তাকবীর দেয়, যার ঐতিহাসিক সত্যতা সালাফি আলেমদের নিকট বিতর্কিত, কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে তাকবীর বলা শিরকের অন্তর্ভূক্ত। ঐতিহাসিক সূত্রে বলা আছে উমাইয়া ইবনে খালাফকে বদরের যুদ্ধে দুজন আনসার সাহাবী বিলাল (রাঃ)-র নির্দেশনা অনু্যায়ী হত্যা করেছিল, কিন্তু সিরিজে উমাইয়াকে বিলাল কর্তৃক নিজ হাতে নিহত হতে দেখানো হয়েছে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ