হাজার বছর ধরে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ifsad (আলোচনা | অবদান)
এটি একক উপন্যাস; কোনো সিক্যুয়াল না।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৭ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:
| series =
| series =
| subject =
| subject =
| genre = সামাজিক [[উপন্যাস]]
| genre = সামাজিক উপন্যাস
| published = {{plainlist|
| published = {{plainlist|
* অনুপম প্রকাশনী (১৯৯৮)
* অনুপম প্রকাশনী (১৯৯৮)
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
| dewey =
| dewey =
| congress =
| congress =
| preceded_by = [[শেষ বিকেলের মেয়ে]]
| preceded_by =
| followed_by = [[আরেক ফাল্গুন]]
| followed_by =
| wikisource =
| wikisource =
}}
}}


'''হাজার বছর ধরে''' প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার [[জহির রায়হান]] রচিত একটি কালজয়ী [[উপন্যাস|সামাজিক উপন্যাস]]। ১৯৬৪ সালে তিনি উপন্যাসটি লেখেন।
'''হাজার বছর ধরে''' প্রখ্যাত বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার [[জহির রায়হান]] রচিত একটি কালজয়ী [[উপন্যাস|সামাজিক উপন্যাস]]। ১৯৬৪ সালে এ উপন্যাসটির জন্য তিনি ''আদমজী পুরষ্কারে'' সম্মানিত হন।


== কাহিনী সংক্ষেপ ==
== কাহিনী সংক্ষেপ ==

০৯:১১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাজার বছর ধরে
অনুপম প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত উপন্যাসের প্রচ্ছদ
লেখকজহির রায়হান
মূল শিরোনামহাজার বছর ধরে
প্রচ্ছদ শিল্পীধ্রুব এষ
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
ধরনসামাজিক উপন্যাস
প্রকাশিত
  • অনুপম প্রকাশনী (১৯৯৮)
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত গ্রন্থ
পৃষ্ঠাসংখ্যা৬৪
আইএসবিএন৯৭৮৯৮৪৪০৪৩৫৭২

হাজার বছর ধরে প্রখ্যাত বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান রচিত একটি কালজয়ী সামাজিক উপন্যাস। ১৯৬৪ সালে এ উপন্যাসটির জন্য তিনি আদমজী পুরষ্কারে সম্মানিত হন।

কাহিনী সংক্ষেপ

নদী বয়ে চলেছে আপন গতিতে। গাছে গাছে ফুল ফোটে। আকাশে পাখি উড়ে- আপন মনে গান গায়। হাজার বছর ধরে যেই জীবনধারা বয়ে চলেছে, তাতে আশা-নিরাশা, প্রেম-ভালবাসা, চাওয়া-পাওয়ার খেলা চললেও তা সহজে চোখে পড়ে না, অন্ধকারে ঢাকা থাকে। কঠিন অচলায়তন সমাজে আর যাই থাকুক, নারীর কোন অধিকার নাই। নারী হাতের পুতুল মাত্র। পুরুষ তাকে যেমন নাচায় তেমন নাচে। নিজের ইচ্ছেতে কাউকে বিয়ে করাটা এমন সমাজে অপরাধ, গুরুতর অপরাধ। অন্ধকার এই সমাজে আনাচে কানাচে বাস করে কুসংস্কার, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, নারী নির্যাতন। পরীর দীঘির পাড়ের একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনী। কখন এই গ্রামের গোড়াপত্তন হয়েছিল কেউ বলতে পারে না। এক বন্যায় “কাষেম শিকদার” আর তার বউ বানের পানিতে ভেলায় ভাসতে ভাসতে এসে ঠাই নিয়েছিল এই জায়গায়। সেই থেকে এখানে পত্তন হয়েছিল শিকদার বাড়ির।

শিকদার বাড়ীতে বাস করে বৃদ্ধ “মকবুল” (এটিএম শামসুজ্জামান) ও তার তিন স্ত্রী সহ “আবুল” (সিরাজ হায়দার), “রশিদ”, “ফকিরের মা” (নাজমা আনয়ার) ও “মন্ত” (রিয়াজ) এবং আরো অনেকে। বৃদ্ধ মকবুলের অষ্টাদশি বউ টুনির (শশী) মনটা মকবুলের শাসন মানতে চায় না। সে চায় খোলা আকাশের নিচে বেড়াতে, হাসতে, খেলতে। তাই সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় অল্প বয়সী সঠামদেহী মন্তকে। মন্ত বাবা-মা হারা অনাত। বিভিন্ন কাজ করে বেড়ায়। টুনি আর মন্ত সকলের অগোচরে রাতের বেলায় বেরিয়ে পড়ে মাছ ধরতে। বর্ষায় যায় শাপলা তুলতে। এমনি করে দুজন দুজনার কাছে এসে যায়। অব্যক্ত ভালবাসার জোয়ারে ভাসে ওরা দু’জন। কিন্ত কেউ মুখ ফুঁটে বলতে পারেনা মনের কথা, লোক লজ্জার ভয়ে। সমাজের রক্ত চক্ষু ওদের দুরে রাখে।

গাঁও গেরামে যা হয়, কলেরা বসন্তের মড়ক লাগলে উজাড় হয়ে যায় কয়েক ঘর মানুষ। ডাক্তার না দেখিয়ে টুকটাক তাবিজ করে, এভাবেই দিন চলে। মকবুলের আকস্মিক মৃত্যর পর মন্ত যখন মনের কথা টুনিকে খুলে বলে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। গুন মোল্লা, আবলি, রশদ, ফকিরের মা, সালেহা কেই নেই। টুনির সঙ্গে মন্তর অনেক দিন দেখা হয়নি। টুনি হারিয়ে গেছে ওর জীবন থেকে। তবুও টুনিকে মাঝে মাঝে মনে পড়ে মন্তর। এমনি করে অনেকটা সময় পার হয়েছে। রাতের বেলা সুরত আলীর ছেলে ওর বাপের মতোই পুঁথি করে- “শোন শোন বন্ধুগনে শোন দিয়া মন, ভেলুয়ার কথা কিছু শান সর্বজন।” ভেলুয়া সুন্দরীর কথা সবাই শানে। একই তালে, একই সুরে হাজার বছরের অন্ধকার এক ইতিহাস নিয়ে এগিয়ে চলে সবাই। হাজার বছরের পুরনো জোত্স্না ভরা রাতে একই পুঁথির সুর ভেসে বেড়ায় বাতাসে।

কালের আবর্তে সময় গড়ায়। প্রকৃতিতেও পরিবর্তন আসে। শুধু পরিবর্তন আসেনা অন্ধকার, কুসংস্কারাছন্ন গ্রাম বাংলার আচলায়াতন সমাজে।

চরিত্রসমূহ

  • বুড়ো মকবুল - শিকদার বাড়ির প্রধান ও মুরব্বি
  • আমেনা - বুড়ো মকবুলের প্রথমা স্ত্রী
  • ফাতেমা - বুড়ো মকবুলের দ্বিতীয়া স্ত্রী
  • টুনি - বুড়ো মকবুলের তৃতীয়া স্ত্রী ও গল্পের নায়িকা
  • মন্তু - গল্পের নায়ক
  • আম্বিয়া - (গল্পের শেষ পর্যায়ে মন্তুর স্ত্রী)
  • ফকিরের মা - প্রতিবেশি
  • আবুল - প্রতিবেশি
  • হালিমা - আবুলের স্ত্রী
  • গনু মোল্লা - ধর্মীয় ব্যক্তি (প্রতিবেশি)

পুরস্কার ও সম্মাননা

জহির রায়হান হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

রূপায়ন

চলচ্চিত্র

২০০৫ সালে জহির রায়হানের প্রথমা স্ত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা হাজার বছর ধরে উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[১] এ চলচ্চিত্রে প্রধান দুটি চরিত্র মন্ত ও টুনির ভুমিকায় রিয়াজ ও শশী অভিনয় করেন। এছাড়াও শাহনুর, সুচন্দা, এটিএম শামসুজ্জামান বিভিন্ন চরিত্র চিত্রায়িত করেছেন। চলচ্চিত্রটি সমালোচক ও দর্শকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়। সেবছর এটি ছয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়।[২] এছাড়াও তিনটি বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করে।

তথ্যসূত্র

  1. "জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে'র টুনি"দৈনিক প্রথম আলো। ৩০ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "হাজার বছর ধরে"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-৩০ 

বহিঃসংযোগ