সাতৈর মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′১৬″ উত্তর ৮৯°৩৯′৫৬″ পূর্ব / ২৩.৪৩৭৮৭২° উত্তর ৮৯.৬৬৫৫৯৮° পূর্ব / 23.437872; 89.665598
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:ফরিদপুর জেলার মসজিদ যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
Anik Sarker (আলোচনা | অবদান)
স্থানাঙ্ক যোগ
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
{{সূত্র তালিকা|2}}
{{সূত্র তালিকা|2}}
{{বাংলাদেশের মসজিদ}}
{{বাংলাদেশের মসজিদ}}
{{coord|23.437872|N|89.665598|E|display=title}}


[[বিষয়শ্রেণী:স্থাপত্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:স্থাপত্য]]

০৭:৪৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সাতৈর মসজিদ
অবস্থান বাংলাদেশ সাতৈর, বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ[১]
স্থাপত্য তথ্য
নির্মাতা আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্‌
ধরন তুঘলক
আবৃত স্থান ভেতরের দিকে ১৩.৮ মি X ১৩.৮ মি
গম্বুজ
মিনার

একটি সিরিজের অংশ
মসজিদ

স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলী
মসজিদের তালিকা
অন্যান্য

সাতৈর মসজিদ বাংলাদেশের একটি অতি পুরানো মসজিদ। এটি আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ বা শের শাহের আমলে তৈরি করা হয়েছে।

ইতিহাস

আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ (১৪৯৪-১৫১৯) ছিলেন একজন স্বাধীন বাংলার সুলতান। তখন এই সাতৈর গ্রামে বহু আওলিয়ার বসবাস ছিলেন। তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী (রাঃ) এর মুরিদ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর মাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহ মসজিদ শের শাহের (১৪৮৬ - ২২শে মে, ১৫৪৫) আমলের কীর্তি। ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্‌ তাঁর জনৈক পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।

বর্ণনা

বর্গাকার এই মসজিদটি বাইরের দিক থেকে প্রতিপাশে ১৭.৮ মিটার এবং ভেতরের দিক থেকে ১৩.৮ মিটার। পুরবে ভূমি থেকে মসজিদটির মেঝে প্রায় ০.৭৬ মিটুমি উঁচু ছিল, বর্তমানে এটি ০.৬ মিটার উঁচু। মোট নয়টি কন্দ আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির ভেতরে পাথরের তৈরি ৪ টি স্তম্ব, দেয়ালে এবং দেয়ালের গায়ে সংলগ্ন মোট ১২ টি পিলার রয়েছে। গম্ভুজ নির্মাণে পেন্ডেন্টিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিমে তিনটি মিহরাব আছে যার কেন্দ্রটি তুলনামুলক ভাবে বড়।

স্থানীও লোকজ বিশ্বাস

মসজিদটি সম্পর্কে অনেক কাহিনী এলাকায় প্রচলিত আছে। যা বিশ্বাস করেই প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বহু লোক নানা ধরণের মানত নিয়ে আসে। যেমন,
(১) মসজিদ খানা আল্লাহ্‌র হুকুমে এক রাত্রে মাটি ফেটে গজিয়ে ওঠে।
(২) মসজিদের ভিতরের খুঁটি চারটি বিভিন্ন সময়ে হাসি-কান্না করে।
(৩) মসজিদের পিলারগুলোর কাছে কাছে যা আশা করা যায় তাই পাওয় যায়।
(৪) মসজিদের ইট বাড়িতে রাখলে উঁই পোকা লাগে না।
(৫) মসজিদের ধূলি গায়ে মাখলে যে কোন ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(৬) মসজিদে এসে মানত করলে নিঃসন্তানদের সন্তান হয়।

তথ্যসূত্র