যুগোস্লাভিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: ভাঙ্গন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
নাৎসি জার্মানী যুগোশ্লাভিয়ার ওপর ১৯৪১ সালে হামলা করে। যুগোশ্লাভিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক নেতাগন জার্মানীর কাছে পরাজয় বরন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার রাজা তাঁর সরকার বিদেশে স্থাপন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার ওপর তখন জার্মানী সামরিক দখল কায়েম করে। যুগোশ্লাভিয়ার অনেক ভূখন্ড দখল করে নেয় বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও ইতালি। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি টিটোর দিক নির্দেশনায় দৃঢ়ভাবে বিদেশী আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি সারাদেশের জনগণকে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্যে আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা গঠন করে প্রতিরোধ করে।
নাৎসি জার্মানী যুগোশ্লাভিয়ার ওপর ১৯৪১ সালে হামলা করে। যুগোশ্লাভিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক নেতাগন জার্মানীর কাছে পরাজয় বরন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার রাজা তাঁর সরকার বিদেশে স্থাপন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার ওপর তখন জার্মানী সামরিক দখল কায়েম করে। যুগোশ্লাভিয়ার অনেক ভূখন্ড দখল করে নেয় বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও ইতালি। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি টিটোর দিক নির্দেশনায় দৃঢ়ভাবে বিদেশী আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি সারাদেশের জনগণকে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্যে আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা গঠন করে প্রতিরোধ করে।
১৯৪৩ সালে টিটোর নেতৃতে যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা প্রতিষ্ঠা করে অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুগোশ্লাভিয়ার জাতীয় বাহিনী ৭ বার আক্রমণ প্রতিরোধ করে জার্মান বাহিনীর এবং ১৯৪৪ সালের যুদ্ধে সারাদেশের অধিকাংশ মুক্ত করে। পরে সোভিয়েট ইউনিয়নের বাহিনী আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সম্মিলিত ভাবে যুগোশ্লাভিয়াকে মুক্ত করার যুদ্ধ শুরু করে। রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত হয় , যুদ্ধে মোট ১৫ হাজার জার্মান সেনা মারা যায়, ৯ হাজারকে আটক করা হয় । ১৯৪৫ সালে যুগোশ্লাভিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকার স্থাপন করেন। সোভিয়েট ইউনিয়ন আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সারাদেশকে মুক্ত করে।
১৯৪৩ সালে টিটোর নেতৃতে যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা প্রতিষ্ঠা করে অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুগোশ্লাভিয়ার জাতীয় বাহিনী ৭ বার আক্রমণ প্রতিরোধ করে জার্মান বাহিনীর এবং ১৯৪৪ সালের যুদ্ধে সারাদেশের অধিকাংশ মুক্ত করে। পরে সোভিয়েট ইউনিয়নের বাহিনী আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সম্মিলিত ভাবে যুগোশ্লাভিয়াকে মুক্ত করার যুদ্ধ শুরু করে। রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত হয় , যুদ্ধে মোট ১৫ হাজার জার্মান সেনা মারা যায়, ৯ হাজারকে আটক করা হয় । ১৯৪৫ সালে যুগোশ্লাভিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকার স্থাপন করেন। সোভিয়েট ইউনিয়ন আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সারাদেশকে মুক্ত করে।
পরে নব্বইয়ের দশকে একে একে চারটি যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া আর স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয়ে যায়। সার্বিয়া আর মন্টেনিগ্রো ‘ফেডারেল রিপাবলিক অব যুগোস্লাভিয়া’ নাম নিয়ে কিছুকাল টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে মন্টেনিগ্রো স্বাধীন হয়ে গেলে ইতিহাসে বিলীন হয়ে যায় যুগোস্লাভিয়া নামের দেশটি।
পরে নব্বইয়ের দশকে একে একে চারটি যুদ্ধের মাধ্যমে [[ক্রোয়েশিয়া]], [[মেসিডোনিয়া]], [[বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা]] আর [[স্লোভেনিয়া]] স্বাধীন হয়ে যায়। [[সার্বিয়া]] আর [[মন্টেনিগ্রো]] ‘ফেডারেল রিপাবলিক অব যুগোস্লাভিয়া’ নাম নিয়ে কিছুকাল টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে [[মন্টেনিগ্রো]] স্বাধীন হয়ে গেলে ইতিহাসে বিলীন হয়ে যায় যুগোস্লাভিয়া নামের দেশটি।পরবর্তীতে সার্বিয়া ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র হয়। একটি [[সার্বিয়া]] অপরটি [[কসোভো]]।

===== স্বাধীন হয়ে যাওয়া দেশসমূহ =====
১. [[ক্রোয়েশিয়া]]
২. [[মেসিডোনিয়া]]
৩. [[বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা]]
৪. [[স্লোভেনিয়া]]
৫. [[মন্টেনিগ্রো]]
৬. [[সার্বিয়া]]
৭. [[কসোভো]]


===== অর্থনীতি =====
===== অর্থনীতি =====

১০:৫৩, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

যুগস্লাভিয়া (সার্বিয়ান, ক্রোয়েশিয়ান, বসনিয়ান, ম্যাসেডোনিয়ান, স্লোভেনিয়া: Jugoslavija; সিরিলিক লিপি: Југославија; ইংরেজি: "দক্ষিণ স্লাভিয়া" অথবা "দক্ষিণ স্লাভসের ভূমি") একটি শব্দ যা তিনটি রাজনৈতিক সত্ত্বা বর্ণনা করে, যা বিংশ শতাব্দীতে সর্বাপেক্ষা ইউরোপের পশ্চিমী অংশে বলকেন উপদ্বীপে ক্রমাগতভাবে বিদ্যমান ছিল।

ইতিহাস

১৯১৮ সালে দক্ষিণ ইউরোপে সার্বিয়া, মন্টেনিগ্রো, স্লোভানিয়া, মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া আর বসনিয়া-হার্জেগোভিনা মিলে গঠন করে নতুন রাষ্ট্র যুগোস্লাভিয়া। যুগোস্লাভিয়া নামের অর্থ দক্ষিণ স্লাভদের দেশ। পূর্ব ইউরোপের বাসিন্দাদের বেশির ভাগই নৃতাত্ত্বিক দিক দিয়ে বৃহত্তর স্লাভ জাতির অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির কাছে পরাজিত যুগোস্লাভিয়া যুদ্ধের পরে মার্শাল টিটোর নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। নাৎসি জার্মানী যুগোশ্লাভিয়ার ওপর ১৯৪১ সালে হামলা করে। যুগোশ্লাভিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক নেতাগন জার্মানীর কাছে পরাজয় বরন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার রাজা তাঁর সরকার বিদেশে স্থাপন করেন। যুগোশ্লাভিয়ার ওপর তখন জার্মানী সামরিক দখল কায়েম করে। যুগোশ্লাভিয়ার অনেক ভূখন্ড দখল করে নেয় বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও ইতালি। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি টিটোর দিক নির্দেশনায় দৃঢ়ভাবে বিদেশী আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি সারাদেশের জনগণকে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্যে আগ্রাসনকারীদের প্রতিরোধ করে। যুগোশ্লাভিয়া কমিউনিস্ট পার্টি যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা গঠন করে প্রতিরোধ করে। ১৯৪৩ সালে টিটোর নেতৃতে যুগোশ্লাভিয়া জাতীয় মুক্তি মোর্চা প্রতিষ্ঠা করে অস্থায়ী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। যুগোশ্লাভিয়ার জাতীয় বাহিনী ৭ বার আক্রমণ প্রতিরোধ করে জার্মান বাহিনীর এবং ১৯৪৪ সালের যুদ্ধে সারাদেশের অধিকাংশ মুক্ত করে। পরে সোভিয়েট ইউনিয়নের বাহিনী আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সম্মিলিত ভাবে যুগোশ্লাভিয়াকে মুক্ত করার যুদ্ধ শুরু করে। রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত হয় , যুদ্ধে মোট ১৫ হাজার জার্মান সেনা মারা যায়, ৯ হাজারকে আটক করা হয় । ১৯৪৫ সালে যুগোশ্লাভিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকার স্থাপন করেন। সোভিয়েট ইউনিয়ন আর যুগোশ্লাভিয়ার যৌথ বাহিনী সারাদেশকে মুক্ত করে। পরে নব্বইয়ের দশকে একে একে চারটি যুদ্ধের মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা আর স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয়ে যায়। সার্বিয়া আর মন্টেনিগ্রো ‘ফেডারেল রিপাবলিক অব যুগোস্লাভিয়া’ নাম নিয়ে কিছুকাল টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে মন্টেনিগ্রো স্বাধীন হয়ে গেলে ইতিহাসে বিলীন হয়ে যায় যুগোস্লাভিয়া নামের দেশটি।পরবর্তীতে সার্বিয়া ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র হয়। একটি সার্বিয়া অপরটি কসোভো

স্বাধীন হয়ে যাওয়া দেশসমূহ

১. ক্রোয়েশিয়া ২. মেসিডোনিয়া ৩. বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ৪. স্লোভেনিয়া ৫. মন্টেনিগ্রো ৬. সার্বিয়া ৭. কসোভো

অর্থনীতি
  • কৃষি সম্পদঃ গম, ভূট্টা, বার্লি, সূর্যমুখিবীজ, তেলবীজ. আলু প্রভৃতি।
  • খনিজ সম্পদঃ ম্যাঙ্গানিজ, লোহা, কয়লা ও লবন ।
  • বনজ সম্পদঃ বনাঞ্চলের পরিমাণ ৩৮৫,৬৮,০০০ হেক্টর।
  • মৎস্য সম্পদঃ গড়ে বছরে ১,১৫,৬০০ টন মংস আহরিত করা হয়।
  • শিল্প ও বানিজ্যঃ প্রধান শিল্প হচ্ছে ইস্পাত, সার কারখানা, চিনি।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ