আবুল হোসেন (কবি): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
দৈনিক প্রথম আলোর ইউআরএল সংশোধন
সম্প্রসারণ
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
| image =Abul_Hossain.jpg
| image =Abul_Hossain.jpg
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|১৯২২|০৮|১৫}}
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|১৯২২|০৮|১৫}}
| birth_place = [[বাগেরহাট জেলা]]
| birth_place = [[ফকিরহাট উপজেলা]], [[বাগেরহাট জেলা]]
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|২০১৪|০৬|২৯|১৯২২|০৮|১৫}}
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|২০১৪|০৬|২৯|১৯২২|০৮|১৫}}
| death_place = ঢাকা, বাংলাদেশ
| death_place = [[ঢাকা]], বাংলাদেশ
| known = কবি
| known = কবি
| occupation =
| occupation =
| birth name =
| party =
| party =
| spouse =
| spouse =
২৩ নং লাইন: ২২ নং লাইন:
}}
}}


'''আবুল হোসেন''' (আগস্ট ১৫, ১৯২২ - জুন ২৯, ২০১৪) বাংলাদেশের একজন কবি। ত্রিশের দশকে অবিভক্ত ভারতে তাঁর লেখালিখির সূত্রপাত। ৪০ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম স্বীকৃতির [[একুশে পদক]]
'''আবুল হোসেন''' ([[১৫ আগস্ট]], [[১৯২২]] - [[২৯ জুন]], [[২০১৪]]) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি। ত্রিশের দশকে অবিভক্ত ভারতে তাঁর লেখালিখির সূত্রপাত। ৪০ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের কবিতা শাখায় তাঁর অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে [[বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]] লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক|একুশে পদকে]] ভূষিত করে।


== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
আবুল হোসেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আরুয়াডাঙা গ্রামে ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন।<ref name="prothom-alo1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author=নিজস্ব প্রতিবেদক |url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/254884 |title=কবি আবুল হোসেন চলে গেলেন |publisher=Prothom-alo.com |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> তার মায়ের নাম মেহেরুন নেসা।<ref name="gunijan1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=213 |title=:: Welcome to GUNIJAN :: The Eminent :: Largest electronic journal of bangladeshi eminents : |publisher=Gunijan.org.bd |date= |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> তাঁর পৈতৃক নিবাস খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে ।তাঁর শৈশব কাটে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণ নগরে, এরপর কলকাতায় পরবর্তীকালে বাংলাদেশে। তিনি ১৯২৯ সালে সাত বছর বয়সে কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।<ref name="gunijan1"/> ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
আবুল হোসেন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট [[বাগেরহাট জেলা]]র [[ফকিরহাট উপজেলা]]র আরুয়াডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="prothom-alo1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/254884 |title=কবি আবুল হোসেন চলে গেলেন|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> তার মায়ের নাম মেহেরুন নেসা।<ref name="gunijan1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=213 |title=:: Welcome to GUNIJAN :: The Eminent :: Largest electronic journal of bangladeshi eminents : |publisher=Gunijan.org.bd |date= |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে পাকিস্তানিরা সৈন্যদের হাতে নিহত হন। তার ছোট ভাই আমজাদ হোসেন একসময় পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন।<ref name="শ্যামল চন্দ্র নাথ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=নাথ|প্রথমাংশ1=শ্যামল চন্দ্র|শিরোনাম=‘দেশভাগ না হলে হয়তো আরও ভালো লিখতে পারতাম’|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/art-and-literature/article/1521041/‘দেশভাগ-না-হলে-হয়তো-আরও-ভালো-লিখতে-পারতাম’|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ জুন ২০১৮|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=২৯ জুন ২০১৮}}</ref>

হোসেনের পৈতৃক নিবাস খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কাটে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণ নগরে, এরপর কলকাতায় ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশে। তিনি ১৯২৯ সালে সাত বছর বয়সে কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।<ref name="gunijan1"/> অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন এই স্কুল ম্যাগাজিনে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।<ref name="শ্যামল চন্দ্র নাথ"/> ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==
৩৩ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
প্রথমযৌবনে লেখক হিসেবে দাঁড়িয়ে-পড়া এই শিল্পী ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।<ref name="prothom-alo1"/>
প্রথমযৌবনে লেখক হিসেবে দাঁড়িয়ে-পড়া এই শিল্পী ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।<ref name="prothom-alo1"/>


১৯৫৮ সালে তিনি প্রখ্যাত লেখক আকবর উদ্দিনের জেষ্ঠ কন্যা সাহানার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৫৮ সালে তিনি প্রখ্যাত লেখক [[আকবর উদ্দীন|আকবর উদ্দিনের]] জেষ্ঠ কন্যা সাহানার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাহানা ১৯৯৪ সালে মারা যান।<ref name="শ্যামল চন্দ্র নাথ"/>


== সাহিত্যকর্ম ==
== সাহিত্যকর্ম ==
তিনি কবিতাচর্চা শুরু করেছিলেন স্কুল জীবন থেকেই। তখন থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা আর সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠনের লালনে তিনি সময় দিয়েছেন । তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির কার্যকরী পরিষদ, পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। রবীন্দ্র চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন। তার গ্রন্থসংখ্যা ২৫টি। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ নববসন্ত ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author=Joint Collaboration of Manab Zamin IT Team and ZTech Communication(www.ztechbd.com) |url=http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzAxOTg=&s=Mw== |title=Daily Manab Zamin &#124; নববসন্ত’র কবি আবুল হোসেন আর নেই |publisher=Mzamin.com |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref>
তিনি কবিতাচর্চা শুরু করেছিলেন স্কুল জীবন থেকেই। তখন থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা আর সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠনের লালনে তিনি সময় দিয়েছেন। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর লেখালেখির শুরুর সময়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতা হল ডাইনামো, ট্রেন, ডি এইচ রেলওয়ে, ঘোড়সওয়ার, ও বাংলার মেয়ে।<ref name="শ্যামল চন্দ্র নাথ"/> বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির কার্যকরী পরিষদ, পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। রবীন্দ্র চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন। তার গ্রন্থসংখ্যা ২৫টি। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ নববসন্ত ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzAxOTg=&s=Mw== |title=নববসন্ত’র কবি আবুল হোসেন আর নেই |publisher=[[দৈনিক মানবজমিন]]|date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref>


তার প্রকাশিত বইগুলির মধ্যে রয়েছে:<ref name="gunijan1"/>
তার প্রকাশিত বইগুলির মধ্যে রয়েছে:<ref name="gunijan1"/>
৪৯ নং লাইন: ৫০ নং লাইন:


এছাড়াও তাঁর আরও অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও তাঁর আরও অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।

== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার|বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]], ১৯৮০ সালে [[একুশে পদক]] পান।<ref name="prothom-alo1"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.samakal.net/2014/06/30/69511 |title=চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন &#124; প্রথম পাতা &#124; Samakal Online Version |publisher=Samakal.net |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> এছাড়া তিনি জাতীয় কবিতা পুরস্কার নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, পদাবলী পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাহ পুরস্কার ও স্বর্ণপদক, আবুল হাসানাৎ সাহিত্য পুরস্কার, জনবার্তা স্বর্ণপদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, জনকন্ঠ গুণীজন সম্মাননা ও জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।<ref name="gunijan1"/>


== মৃত্যু ==
== মৃত্যু ==
২০১৪ সালের ২৯ জুন, তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।<ref name="prothom-alo1"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/303483.html |title=কবি আবুল হোসেন আর নেই |publisher=Banglanews24.com |date= |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author=নিজস্ব প্রতিবেদক&nbsp; বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |url=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article813223.bdnews |title=চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন - bdnews24.com |publisher=Bangla.bdnews24.com |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref>
২০১৪ সালের ২৯ জুন, তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।<ref name="prothom-alo1"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/303483.html |title=কবি আবুল হোসেন আর নেই |publisher=Banglanews24.com |date= |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article813223.bdnews |title=চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন |publisher=[[বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]] |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref>

== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার|বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার]], ১৯৮০ সালে [[একুশে পদক]] পান।<ref name="prothom-alo1"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.samakal.net/2014/06/30/69511 |title=চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন |publisher=[[দৈনিক সমকাল]] |date=২৯ জুন ২০১৪ |accessdate=২৯ জুন ২০১৪}}</ref> এছাড়া তিনি জাতীয় কবিতা পুরস্কার নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, পদাবলী পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাহ পুরস্কার ও স্বর্ণপদক, আবুল হাসানাৎ সাহিত্য পুরস্কার, জনবার্তা স্বর্ণপদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, জনকন্ঠ গুণীজন সম্মাননা ও জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।<ref name="gunijan1"/>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
৬৫ নং লাইন: ৬৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:একুশে পদক বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাগেরহাট জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী]]

১৪:২৭, ২৯ জুন ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আবুল হোসেন
চিত্র:Abul Hossain.jpg
জন্ম(১৯২২-০৮-১৫)১৫ আগস্ট ১৯২২
মৃত্যু২৯ জুন ২০১৪(2014-06-29) (বয়স ৯১)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পরিচিতির কারণকবি
পুরস্কারএকুশে পদক

আবুল হোসেন (১৫ আগস্ট, ১৯২২ - ২৯ জুন, ২০১৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি। ত্রিশের দশকে অবিভক্ত ভারতে তাঁর লেখালিখির সূত্রপাত। ৪০ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের কবিতা শাখায় তাঁর অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আবুল হোসেন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার আরুয়াডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার মায়ের নাম মেহেরুন নেসা।[২] তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে পাকিস্তানিরা সৈন্যদের হাতে নিহত হন। তার ছোট ভাই আমজাদ হোসেন একসময় পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন।[৩]

হোসেনের পৈতৃক নিবাস খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কাটে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণ নগরে, এরপর কলকাতায় ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশে। তিনি ১৯২৯ সালে সাত বছর বয়সে কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।[২] অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন এই স্কুল ম্যাগাজিনে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।[৩] ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন

সরকারি চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কর্মজীবনে তিনি উচ্চপ্রদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে প্রথম তিনি কলকাতা আয়কর কমিশনারের অফিসে, এক্সামিনার অব অ্যাকাউন্টস পদে যোগ দেন। ভারত ভাগের পর তিনি ময়মনসিংহে সহকারী বিক্রয় কর অফিসার হিসেবে আসেন।এর দুই-আড়াই বছর পর ১৯৫০ সালের মাঝামাঝিতে তিনি ঢাকার রেডিও পাকিস্তানে একটি সমপর্যায়ের চাকরিতে যোগ দেন। এরপর তিনি ব্যাংককে সিটো পাবলিক ইনফরমেশন অফিসে ইন্টারন্যাশনাল স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরে তিনি জনসংযোগ বিভাগে যোগ দেন এবং

প্রথমযৌবনে লেখক হিসেবে দাঁড়িয়ে-পড়া এই শিল্পী ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।[১]

১৯৫৮ সালে তিনি প্রখ্যাত লেখক আকবর উদ্দিনের জেষ্ঠ কন্যা সাহানার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাহানা ১৯৯৪ সালে মারা যান।[৩]

সাহিত্যকর্ম

তিনি কবিতাচর্চা শুরু করেছিলেন স্কুল জীবন থেকেই। তখন থেকেই তিনি সাহিত্যচর্চা আর সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠনের লালনে তিনি সময় দিয়েছেন। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর লেখালেখির শুরুর সময়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতা হল ডাইনামো, ট্রেন, ডি এইচ রেলওয়ে, ঘোড়সওয়ার, ও বাংলার মেয়ে।[৩] বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির কার্যকরী পরিষদ, পাকিস্তান রাইটার্স গিল্ডের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। রবীন্দ্র চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন। তার গ্রন্থসংখ্যা ২৫টি। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ নববসন্ত ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়।[৪]

তার প্রকাশিত বইগুলির মধ্যে রয়েছে:[২]

  • ১৯৬৯ - বিরস সংলাপ
  • ১৯৮২ - হাওয়া তোমার কি দুঃসাহস
  • ১৯৮৫ - দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে
  • ১৯৯৭ - এখনও সময় আছে
  • ২০০০ - আর কিসের অপেক্ষা
  • ২০০৪ - রাজকাহিনী

২০০৭ সালে 'আবুল হোসেনর ব্যঙ্গ কবিতা' ও গদ্যের বই 'দুঃস্বপ্নের কাল', ২০০৮ সালে 'প্রেমের কবিতা' ও 'কালের খাতায়', ২০০৯ সালে গদ্য 'স্বপ্ন ভঙ্গের পালা' বইগুলি প্রকাশিত হয়।[২] তাঁর অনুবাদ করা কবিতাগুলি হচ্ছে- 'ইকবালের কবিতা', 'আমার জন্মভূমি', 'অন্য ক্ষেতের ফসল'। ২০০০ সালে তিনি 'আমার এই ছোট ভুবন', ২০০৫ সালে 'আর এক ভুবন' নামে দুটি স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ লিখেন। তাঁর অনুবাদ করা উপন্যাস হচ্ছে 'অরণ্যের ডাক'। 'পার্বত্যের পথে' নামক ভ্রমণ কাহিনীও লিখেছেন তিনি।

এছাড়াও তাঁর আরও অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।

মৃত্যু

২০১৪ সালের ২৯ জুন, তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।[১][৫][৬]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান।[১][৭] এছাড়া তিনি জাতীয় কবিতা পুরস্কার নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, পদাবলী পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাহ পুরস্কার ও স্বর্ণপদক, আবুল হাসানাৎ সাহিত্য পুরস্কার, জনবার্তা স্বর্ণপদক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, জনকন্ঠ গুণীজন সম্মাননা ও জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।[২]

তথ্যসূত্র

  1. "কবি আবুল হোসেন চলে গেলেন"দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 
  2. ":: Welcome to GUNIJAN :: The Eminent :: Largest electronic journal of bangladeshi eminents :"। Gunijan.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 
  3. নাথ, শ্যামল চন্দ্র (২৯ জুন ২০১৮)। "'দেশভাগ না হলে হয়তো আরও ভালো লিখতে পারতাম'"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮ 
  4. "নববসন্ত'র কবি আবুল হোসেন আর নেই"দৈনিক মানবজমিন। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 
  5. "কবি আবুল হোসেন আর নেই"। Banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 
  6. "চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 
  7. "চলে গেলেন কবি আবুল হোসেন"দৈনিক সমকাল। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ