স্বীকারোক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Epìdosis (আলোচনা | অবদান)
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় আইন অপসারণ; বিষয়শ্রেণী:ভারতের আইন যোগ
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
উদ্ধৃতি টেমপ্লেটের তারিখ সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''স্বীকারোক্তি''' (Confession) হল যে কোনো সময় দেওয়া এমন একধরনের স্বীকৃতি (Admission) বা বক্তব্য যার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধ কবুল করে। [[ভারতীয় সাক্ষ্য আইন|ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে]] (Indian Evidence Act - 1872) স্বীকারোক্তির সংজ্ঞা না দেওয়া থাকলেও ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।
'''স্বীকারোক্তি''' (Confession) হল যে কোনো সময় দেওয়া এমন একধরনের স্বীকৃতি (Admission) বা বক্তব্য যার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধ কবুল করে। [[ভারতীয় সাক্ষ্য আইন|ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে]] (Indian Evidence Act - 1872) স্বীকারোক্তির সংজ্ঞা না দেওয়া থাকলেও ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।


এই আইন (ধারা নং ২৪ - ৩০) অনুযায়ী স্বীকারোক্তি ফৌজদারী মামলায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়রূপে চিহ্নিত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.legalservicesindia.com/article/article/confession-under-indian-evidence-act-1547-1.html|title=Confession under Indian Evidence Act|last=Shraddha7|first=|date=11 July, 2013|website=|publisher=|access-date=23.01.17}}</ref>।
এই আইন (ধারা নং ২৪ - ৩০) অনুযায়ী স্বীকারোক্তি ফৌজদারী মামলায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়রূপে চিহ্নিত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.legalservicesindia.com/article/article/confession-under-indian-evidence-act-1547-1.html|title=Confession under Indian Evidence Act|last=Shraddha7|first=|date=11 July 2013|website=|publisher=|access-date=23.01.17}}</ref>।


== প্রকারভেদ ==
== প্রকারভেদ ==

২১:১৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্বীকারোক্তি (Confession) হল যে কোনো সময় দেওয়া এমন একধরনের স্বীকৃতি (Admission) বা বক্তব্য যার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধ কবুল করে। ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে (Indian Evidence Act - 1872) স্বীকারোক্তির সংজ্ঞা না দেওয়া থাকলেও ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

এই আইন (ধারা নং ২৪ - ৩০) অনুযায়ী স্বীকারোক্তি ফৌজদারী মামলায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়রূপে চিহ্নিত[১]

প্রকারভেদ

১) ফৌজদারী আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে দেওয়া স্বীকারোক্তি (Judicial confession)

২) ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের সম্মুখে ছাড়া অন্য কোথাও দেওয়া স্বীকারোক্তি ( Extra judicial confession)

প্রাসঙ্গিক ধারাসমূহ

সাক্ষ্য আইনের ২৪ নং ধারা : প্রলোভন, হুমকি, প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদায় করা স্বীকারোক্তি আদালতের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হবে যদি আদালত মনে করেন তা দ্বারা স্বীকারকারী ব্যক্তি কোনো সুবিধা পাবে বা খারাপ কিছু এড়াতে পারবে।

সাক্ষ্য আইনের ২৫ নং ধারা : পুলিশের কাছে প্রদেয় স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমান হিসেবে আনা যাবেনা।

সাক্ষ্য আইনের ২৬ নং ধারা : পুলিশের হেফাজতে থাকা ব্যক্তির স্বীকারোক্তি প্রমান হিসেবে আনা যাবেনা, যদিনা তা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষাতে দেওয়া হয়

সাক্ষ্য আইনের ২৭ নং ধারা : পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি থেকে পাওয়া সংবাদের পরিমানস্বরূপ যে তথ্য আবিষ্কৃত হয় তার সাথে স্বীকারোক্তির সম্পর্ক প্রমান করা যাবে।

সাক্ষ্য আইনের ২৮ নং ধারা : প্রলোভন, হুমকি প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি দেওয়ার ফলে মনে তার যে প্রভাব পড়ে, সেটা দূর হয়ে যাওয়ার পরে প্রাপ্ত স্বীকারোক্তি প্রাসঙ্গিক হয়।

সাক্ষ্য আইনের ২৯ নং ধারা : অন্যথায় প্রাসঙ্গিক স্বীকারোক্তি গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি ইত্যাদির কারনে অপ্রাসঙ্গিক হবেনা।

সাক্ষ্য আইনের ৩০ নং ধারা : প্রমানিত স্বীকারোক্তি, যা স্বীকারকারী ও একই অপরাধে অভিযুক্ত বিচারাধীন অভিযুক্তকে প্রভাবিত করে তখন তা আদালতের বিবেচনায় আসতে পারে।[২]

তথ্যসূত্র

  1. Shraddha7 (11 July 2013)। "Confession under Indian Evidence Act"। সংগ্রহের তারিখ 23.01.17  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Critical analysis on Confession"। Legal Service India। সংগ্রহের তারিখ 23.01.17  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)