কুরআন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা |
অ 103.73.107.247-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
== উৎপত্তি == |
== উৎপত্তি == |
||
[[আরবি ভাষা|আরবি ব্যাকরণে]] ''কুরআন'' শব্দটি মাসদার তথা [[ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য]] হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি قرأ ''ক্বরা'আ'' [[ক্রিয়া পদ]] থেকে এসেছে যার অর্থ ''পাঠ করা'' বা ''আবৃত্তি করা''। এই ক্রিয়াপদটিকেই কুরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।<ref>BYU Studies, vol. 40, number 4, 2001. Page 52</ref> এই শব্দটির [[মিটার (সঙ্গীত)| |
[[আরবি ভাষা|আরবি ব্যাকরণে]] ''কুরআন'' শব্দটি মাসদার তথা [[ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য]] হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি قرأ ''ক্বরা'আ'' [[ক্রিয়া পদ]] থেকে এসেছে যার অর্থ ''পাঠ করা'' বা ''আবৃত্তি করা''। এই ক্রিয়াপদটিকেই কুরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।<ref>BYU Studies, vol. 40, number 4, 2001. Page 52</ref> এই শব্দটির [[মিটার (সঙ্গীত)|মিটার]] বা "মাসদার" (الوزن) হচ্ছে غفران তথা "গুফরান"। এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত ভাব, অধ্যবসায় বা কর্ম সম্পাদনার মধ্যে একাগ্রতা। উদাহরণস্বরুপ, غفر নামক ক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে "ক্ষমা করা"; কিন্তু এর আরেকটি মাসদার রয়েছে যার যা হলো غفران, এই মাসদারটি মূল অর্থের সাথে একত্রিত করলে দাঁড়ায় ক্ষমা করার কর্মে বিশেষ একাগ্রতা বা অতি তৎপর বা অতিরিক্ত ভাব। সেদিক থেকে কুরআন অর্থ কেবল পাঠ করা বা আবৃত্তি করা নয় বরং আরেকটি অর্থ হচ্ছে একাগ্র ভঙ্গীতে পাঠ বা আবৃত্তি করা। কুরআনের মধ্যেও এই অর্থেই কুরআন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কুরআনের [[সূরা আল-কিয়ামাহ|সূরা আল-কিয়ামাহের]] (৭৫ নং সূরা) ১৮ নং আয়াতে এই শব্দটি উল্লেখিত আছে: |
||
{{cquote|অতঃপর, আমি যখন তা পাঠ করি (ক্বুরা'নাহু), তখন আপনি সেই পাঠের (কুরআ'নাহ্) অনুসরণ করুন।<ref name="মাআরিফুল কুরআন">মাআরিফুল কুরআনের বাংলা অনুবাদ।</ref>}}<ref>{{cite quran|75|18|s=ns}}</ref> |
{{cquote|অতঃপর, আমি যখন তা পাঠ করি (ক্বুরা'নাহু), তখন আপনি সেই পাঠের (কুরআ'নাহ্) অনুসরণ করুন।<ref name="মাআরিফুল কুরআন">মাআরিফুল কুরআনের বাংলা অনুবাদ।</ref>}}<ref>{{cite quran|75|18|s=ns}}</ref> |
১৬:০৮, ৩০ মার্চ ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কুরআন | |
---|---|
তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
যুগ | ৬০৯–৬৩২ |
কুরআন |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
কুরআন মাজীদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।[১] ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়।[২][৩][৪][৫] মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:
“ | আমি স্বয়ং এ উপদেশগ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।[৬] | ” |
অবশ্য এ নিয়ে সংশয় রয়েছে যে, এই শব্দটি আসলেই আরবি ভাষার মূল থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে নাকি সিরিয়াক থেকে এসেছে। এই সংশয়টি প্রথম উত্থাপন করেন জার্মান সেমিটিক বিশেষজ্ঞ থিওডর নোলদেকে। তিনি ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে Geschichte des Qorâns (কুরআনের ইতিহাস)[৭] নামীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে আরবি কুরআন শব্দটি সিরিয়াক ভাষায় ব্যবহৃত বিশেষ্য পদ ܩܪܝܢܐ qeryānâ (কেরিয়ানা) থেকে এসে থাকতে পারে। সিরিয়াক ভাষার এই শব্দটি আবার সিরিয়াক ক্রিয়াপদ ܩܪܐ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ পাঠ করা বা আবৃত্তি করা।[৮] নোলদেকের উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যেতে পারে,
“ | "পাঠ কর" -এর মতো একটি ক্রিয়াপদ প্রাক-সেমিটীয় হতে পারে না, আমরা ধারণা করতে পারি শব্দটি আরবিতে প্রবেশ করেছে, খুব সম্ভবত উত্তরাঞ্চলের কোনো ভাষা থেকে ... যেহেতু সিরিয়াক ভাষায় קּרא নামক ক্রিয়া এবং "কেরিয়ানা" নামীয় একটি বিশেষ্যও রয়েছে যার অর্থ ἀνάγνωσις (পাঠ করা) এবং ἀνάγνωσμα (ভাষণ) উভয়টিই হতে পারে, এবং উপর্যুক্ত সকল ধারণার কারণেই এই সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় যে, কুরআন আরবি ভাষার নিজসৃষ্ট কোনো শব্দ নয় যার অর্থ একই রকম হতে পারে, বরং এটি সিরিয়াক ভাষা থেকে ধার করা শব্দ হতে পারে যা fulʻān ধরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে থাকবে।[৯] | ” |
এসম্বন্ধে সবচেয়ে আধুনিক মতগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টোফ লুক্সেনবার্গ কর্তৃক প্রদত্ত মত।[১০] লুক্সেনবার্গের মতে কুরআন প্রকৃতপক্ষে একটি সিরিয়াক ভাষার লেকশনারি (বাইবেলের খণ্ডাংশ সম্বলিত বই) ছিল, যা পরে আরবিতে অনুদিত হয়।
উৎপত্তি
আরবি ব্যাকরণে কুরআন শব্দটি মাসদার তথা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি قرأ ক্বরা'আ ক্রিয়া পদ থেকে এসেছে যার অর্থ পাঠ করা বা আবৃত্তি করা। এই ক্রিয়াপদটিকেই কুরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[১১] এই শব্দটির মিটার বা "মাসদার" (الوزن) হচ্ছে غفران তথা "গুফরান"। এর অর্থ হচ্ছে অতিরিক্ত ভাব, অধ্যবসায় বা কর্ম সম্পাদনার মধ্যে একাগ্রতা। উদাহরণস্বরুপ, غفر নামক ক্রিয়ার অর্থ হচ্ছে "ক্ষমা করা"; কিন্তু এর আরেকটি মাসদার রয়েছে যার যা হলো غفران, এই মাসদারটি মূল অর্থের সাথে একত্রিত করলে দাঁড়ায় ক্ষমা করার কর্মে বিশেষ একাগ্রতা বা অতি তৎপর বা অতিরিক্ত ভাব। সেদিক থেকে কুরআন অর্থ কেবল পাঠ করা বা আবৃত্তি করা নয় বরং আরেকটি অর্থ হচ্ছে একাগ্র ভঙ্গীতে পাঠ বা আবৃত্তি করা। কুরআনের মধ্যেও এই অর্থেই কুরআন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। কুরআনের সূরা আল-কিয়ামাহের (৭৫ নং সূরা) ১৮ নং আয়াতে এই শব্দটি উল্লেখিত আছে:
“ | অতঃপর, আমি যখন তা পাঠ করি (ক্বুরা'নাহু), তখন আপনি সেই পাঠের (কুরআ'নাহ্) অনুসরণ করুন।[১২] | ” |
সংজ্ঞা
মুসলমানদের মতে এটি আল্লাহর বাণী বা বক্তব্য, যা ইসলামের নবী ও রাসূল মুহাম্মদের উপর আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়। তাদের মতে এটি একটি মুজিজা বা অলৌকিক গ্রন্থ যা মানব জাতির পথনির্দেশক। মুসলমানদের বিশ্বাস, কুরআনে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।[১৪]
কুরআনের গড়ন
কুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর সাহিত্যিক অর্থ নিদর্শন) সংখ্যা প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)।[১৫] প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে; তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এমন নামও পাওয়া যায়, যা সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয় নি, যেমন: সূরা ফাতিহা, ফাতিহা শব্দটি সূরার কোনো স্থানে নেই। সূরাগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয় নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো; অবশ্য এটিও পুরোপুরি সঠিক নয়, প্রকৃত সজ্জার কারণ কারও জানা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বড় সূরাও ছোট সূরার পরে এসেছে। তবে একটি সূরা বা তার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকতার সাথেই অবতীর্ণ হয়েছিল বলে মুসলমানদের ধারণা। এই সজ্জাটি মুখস্থকরণের সুবিধার সৃষ্টি করেছে।
বিভাজন: হিজ্ব বা মানজিল
হিজ্ব বা মানজিল হচ্ছে কুরআনের প্রথম সূরা (সূরা ফাতিহা) ব্যতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেণি। হিজ্ব মুফাস্সিল একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করা। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে।[১৬] মানজিলগুলো হচ্ছে:
- মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২—৪
- মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫—৯
- মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০—১৬
- মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭—২৫
- মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬—৩৬
- মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭—৪৯
- মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০—১১৪
পারা
কুরআনে মোট ৩০ টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। ১১৪ টি পূর্নাঙ্গ সূরা রয়েছে। সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান আকারের। কুরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে সাধারণতম পারা অনুযায়ী শিক্ষা করানো হয়। যে সকল স্থানে সমগ্র কুরআন পাঠের আয়োজন করা হয় সেখানেও এই পারা অনুযায়ী করা হয়।
কুরআনের অলৌকিকতা
মুসলমানরা বিশ্বাস করে আল কুরআন একটি ঐশি গ্রন্থ যা কোনো মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়।
কুরআনের সাহিত্যিক গঠন
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্য এবং ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ইসা বাউলাতা কুরআনের সাহিত্যিক গঠনপ্রণালি সম্বন্ধে নিম্ন প্রকারের মন্তব্য করেছেন।[১৭]
“ | কুরআনের বার্তাগুলো বিভিন্ন সাহিত্যিক গঠনে প্রকাশিত হয়েছে, যা আরবি সাহিত্যের সবচেয়ে নিখুঁত লিখিত রচনা হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। কুরআনের ভাষার উপর ভিত্তি করেই আরবি ব্যাকরণ রচিত হয়েছে, এবং মুসলিম অলঙ্কার শাস্ত্রবিদদের বর্ণনামতে, কুরআনের বাগধারাগুলো ভীষণ সুন্দর এবং মহিমান্বিত হিসেবে বিবেচিত হয়... উপসংহারে একথা বলা যেতে পারে যে, কুরআন এর বার্তা প্রকাশ করার নিমিত্তে বিপুল প্রকার ও শ্রেণির সাহিত্যিক উপাদানের সফল প্রয়োগ ঘটিয়েছে। | ” |
বিভিন্ন বিষয়ক আয়াত
- আদেশমূলক আয়াত= ১০০০
- নিষেধমূলক আয়াত= ১০০০
- ভীতিমূলক আয়াত= ১০০০
- প্রতিজ্ঞামূলক আয়াত= ১০০০
- দৃষ্টান্তমূলক আয়াত=১০০০
- ইতিহাসমূলক আয়াত= ১০০০
- প্রশংসামূলক আয়াত= ২৫০
- পুর্ণতামূলক আয়াত=১০০
- উদ্দেশ্যমূলক আয়াত=২৫০
- অন্যান্য= ৬৬
- মোট= ৬৬৬৬[১৮]
বিভিন্ন সুরা ও আয়াতের খেতাব
- সূরা আর-রাহমান = কুরানের মুকুট
- সূরা আল-বাকারা = কুর'আনের সিংহাসন
- সূরা ইয়াসীন = কুর'আনের মন
- সূরা আল-ফাতিহা = কুর'আনের জননী
- আয়াতুল কুরসী =কুর'আনের বন্ধু
কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা
কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে। এগুলো হলো :
- ১. আল ফাতিহা (সূচনা)
- ২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
- ৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
- ৪. আন নিসা (নারী)
- ৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
- ৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
- ৭. আল আরাফ (উঁচু স্থানসমূহ),
- ৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
- ৯. আত-তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
- ১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
- ১১. হুদ (নবী হুদ),
- ১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
- ১৩. আর রা'দ (বজ্রপাত),
- ১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
- ১৫. সূরা আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
- ১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
- ১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদি জাতি),
- ১৮. আল কাহফ (গুহা),
- ১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
- ২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
- ২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
- ২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
- ২৩. আল-মু'মিনূন (মুমিনগণ),
- ২৪. আন-নূর (আলো),
- ২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
- ২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
- ২৭. আন নম্ল (পিপীলিকা),
- ২৮. আল কাসাস (কাহিনি),
- ২৯. আল-আনকাবূত (মাকড়শা),
- ৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
- ৩১. লোক্মান (একজন জ্ঞানী ব্যক্তি),
- ৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
- ৩৩. আল-আহযাব (জোট),
- ৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
- ৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
- ৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
- ৩৭. আস ছাফ্ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
- ৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
- ৩৯. আয্-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
- ৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
- ৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
- ৪২. আশ্-শূরা (পরামর্শ),
- ৪৩. আয্-যুখরুফ (সোনাদানা),
- ৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
- ৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
- ৪৬. আল আহ্ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
- ৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ (সা.) ),
- ৪৮. আল ফাত্হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
- ৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমূহ),
- ৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
- ৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
- ৫২. আত্ব-তূর (তূর পাহাড়),
- ৫৩. আন-নাজম (তারা),
- ৫৪. আল-ক্বামার (চন্দ্র)
- ৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
- ৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)
- ৫৭. আল-হাদীদ (লোহা)
- ৫৮. আল-মুজাদালাহ (অনুযোগকারিণী),
- ৫৯. আল-হাশর (সমাবেশ),
- ৬০. আল-মুমতাহিনাহ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
- ৬১. আস-সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
- ৬২. আল-জুমুআ (সম্মেলন/শুক্রবার),
- ৬৩. আল-মুনাফিকুন (কপট বিশ্বাসীগণ),
- ৬৪. আত-তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
- ৬৫. আত-তালাক (তালাক),
- ৬৬. আত-তাহরীম (নিষিদ্ধকরণ),
- ৬৭. আল-মুলক (সার্বভৌম কর্তৃত্ব),
- ৬৮. আল-কলম (কলম),
- ৬৯. আল-হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
- ৭০. আল-মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
- ৭১. নূহ (নবী নূহ)
- ৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
- ৭৩. আল মুজাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
- ৭৪. আল মুদ্দাস্সির (পোশাক পরিহিত),
- ৭৫. আল-কিয়ামাহ (পুনরুত্থান),
- ৭৬. আদ-দাহর (সময়),
- ৭৭. আল-মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
- ৭৮. আন নাবা (মহাসংবাদ),
- ৭৯. আন-নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
- ৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
- ৮১. আত-তাকভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
- ৮২. আল-ইনফিতার (বিদীর্ণ করা),
- ৮৩. আত-মুত্বাফ্ফিফীন (প্রতারণা করা),
- ৮৪. আল ইনশিকাক (খণ্ড-বিখণ্ড করণ),
- ৮৫. আল-বুরুজ (নক্ষত্রপুঞ্জ),
- ৮৬. আত-তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
- ৮৭. আল আ’লা (সর্বোন্নত),
- ৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
- ৮৯. আল ফাজ্র (ভোরবেলা),
- ৯০. আল বালাদ (নগর),
- ৯১. আশ শামস (সূর্য),
- ৯২. আল লাইল (রাত্রি),
- ৯৩. আদ দুহা (পূর্বাহ্নের সূর্যকিরণ),
- ৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
- ৯৫. আত-ত্বীন (ডুমুর),
- ৯৬. আল আলাক (রক্তপিণ্ড),
- ৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
- ৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
- ৯৯. আল যিলযাল (ভূমিকম্প),
- ১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
- ১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
- ১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
- ১০৩. আল আছর (সময়),
- ১০৪. আল হুমাজাহ (পরনিন্দাকারী),
- ১০৫. আল ফিল (হাতি),
- ১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
- ১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
- ১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
- ১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
- ১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
- ১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অঙ্গার),
- ১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
- ১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
- ১১৪. আন নাস (মানবজাতি)
বাংলা ভাষায় কুরআনের অনুবাদসমূহ
- গিরিশ চন্দ্র সেন
- তাফসীরে মা‘রিফুল কুরআন অনুবাদক: মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
- আব্বাস আলী (পশ্চিমবঙ্গ)
- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
- রফিকুর রহমান চৌধুরী, ২০১১ (আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী অনূদিত কুরআনের ইংরেজী অনুবাদের বাংলা অনুবাদ )
- বিচারপতি হাবিবুর রহমান
- মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা
- তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন
- তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন
- তাফসীরে কানযূল ইরফান
- তাফসীরে হিদায়াতুল কুরআন
- তাফসীরে বুরহানুল কুরআন
- তাফসীরে তাহেরী
- হক্বানী তাফসীর
- তাফসীরে মাজহারী
- তাফসীরে ইবনে কাসীর
- তাফসীরে ইবনে আব্বাস [২০]
সাংখ্যিক তাৎপর্য
- মোট "পারা" - ৩০ টি
- মোট "সূরা" - ১১৪ টি
- মোট "সিজদা" - ১৪ টি
- মোট "রুকু" - ৫৪০ টি
- মোট "ওয়াক্ফ" - ১,০৫,৬৪৮ টি
- মোট "তাশদীদ" - ১,২৫২ টি
- মোট "মদ্" - ১,৭৭১ টি
- মোট "নোক্তা" - ১,০৬,১৮৮ টি
- মোট "পেশ" - ৮,৮০৪ টি
- মোট "জের" - ৩৯,৫৮২ টি
- মোট "যবর" - ৫৩,২৪২ টি
- মোট আয়াত" - ৬,২৩৬ টি
- মোট "হরফ" - ৩,৫০,১২৭ টি
- মোট "আলীফ" - ৪৮,৮৭২ টি
- মোট "বা" - ১১,১২৮ টি
- মোট "তা" - ১,১৯৯ টি
- মোট "ছা" - ১,২৭৬ টি
- মোট "জ্বীম" - ৩,২৭৩ টি<
- মোট "হা" - ৭৭৩ টি
- মোট "খা" - ২,৪১৬ টি
- মোট "দাল" - ৫,৬৪২ টি
- মোট "জাল" - ৪,৬৯৭ টি
- মোট "রা" - ১,২৮৯ টি
- মোট "যোয়া" - ১,৫৯০ টি
- মোট "ছীন" - ৫,৮৯০ টি
- মোট "শীন" - ২,২৫৩ টি
- মোট "ছোয়াদ" - ২,০১৩ টি
- মোট "দোয়াত" - ১,৬০৭ টি
- মোট "তোয়া" - ১,২৭৪ টি
- মোট "জোয়া" - ৮৪৬ টি
- মোট "আইন" - ৯২,২০০ টি
- মোট "গাইন" - ২,২০৮ টি
- মোট "ফা" - ৮,৪৯৯ টি
- মোট "ক্কাফ" - ৬,৮১৩ টি
- মোট "কাফ" - ৯,৫১২ টি
- মোট "লাম" - ৩,৪৩২ টি
- মোট "মীম" - ২৬,৫৩৫ টি
- মোট "নূন" - ২৬,৫৫০ টি
- মোট "ওয়াও" - ২৫,৫৩৬ টি
- মোট "হা" - ১৯,০৬০ টি
- মোট "লাম-আলীফ" - ৩,৭২০ টি
- মোট "হামজা" - ৪,১১৫ টি
- মোট "ইয়া" ২৫,৯১৯ টি
উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্য
ধবংসপ্রাপ্ত জাতিসমূহের নাম
- আ’দ,
- সামূদ,
- লূত,
- নূহ,
- সাবা,
- তুব্বা,
- বনী ইসরাঈল,
- আসহাবে কাহফের সাথে সংশ্লিষ্ট,
- আসহাবে সাবত,
- আসহাবে কারিয়াহ,
- আসহাবে আইকা,
- আসহাবে উখদুদ,
- আসহাবে রাস,
- আসহাবে ফিল,[২১]
- ইনকাতিয়া জনপদ।
কুরআনে উল্লেখিত মহিলাসমূহ
- হাওয়া
- নূহ ও লূতের স্ত্রী
- লূতের কন্যা
- ইবরাহিমের (আ.) স্ত্রী (সারাহ)
- আজিজ ওয়াইফর স্ত্রী (জুলাইখা)
- মূসার মাতা ও বোন
- মূসার স্ত্রী
- ফেরাউনের স্ত্রী (আছিয়া)
- ক্বাওমে সাবা'র রানী (বিলকিস)
- ইমরানের স্ত্রী
- মরিয়ম (ঈসার মাতা )
- মুহাম্মদের (সা.) স্ত্রী
- মুহাম্মদের (সা.) মেয়ে
- যে স্ত্রী মুহাম্মাদকে (সা.) অভিযোগ করেছিলেন
- আবু লাহাবের স্ত্রী
আরও দেখুন
টীকা
- ^[টী১] সাহিত্যিক আরবি উচ্চারণ আঞ্চলিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। প্রথম স্বরের শব্দ "ও" বা "উ" হতে পারে, আর দ্বিতীয় স্বরের শব্দ "অ্যা" বা "আ" হতে পারে। উদাহরণে : মিশরে উচ্চারণ হবে "কোর'আন" আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে উচ্চারণ হবে "কুর'অ্যান"।
তথ্যসূত্র
- ↑ Nasr, Seyyed Hossein (২০০৭)। "Qurʼān"। Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৪।
- ↑ Chejne, A. (1969) The Arabic Language: Its Role in History, University of Minnesota Press, Minneapolis.
- ↑ Nelson, K. (1985) The Art of Reciting the Quran, University of Texas Press, Austin
- ↑ Speicher, K. (1997) in: Edzard, L., and Szyska, C. (eds.) Encounters of Words and Texts: Intercultural Studies in Honor of Stefan Wild. Georg Olms, Hildesheim, pp. 43–66.
- ↑ Taji-Farouki, S. (ed.) (2004) Modern Muslim Intellectuals and the Quran, Oxford University Press, Oxford
- ↑ Qur'ān, Chapter 15, Verse 9
- ↑ কুরআনের ইতিহাস।
- ↑ Payne Smith, Jessie (Ed.) (1903). A compendious Syriac dictionary founded upon the Thesaurus Syriacus of R. Payne Smith. Oxford University Press, reprinted in 1998 by Eisenbraums. আইএসবিএন ১-৫৭৫০৬-০৩২-৯. Page 516, 519
- ↑ Now read a word such as culture "can not be the Primal Semites, we may assume that it has migrated into Arabia, and qeryānā although probably from the North ... Now the Syrian קּרא next to the verb, the noun, in ἀνάγνωσις the double meaning (reading, reading aloud) and ἀνάγνωσμα (reading, reading), it gains in connection with the same Erörteten, the presumption of Wahrscheinlichkkeit that the term non-Arab Qoran is a development from the equivalent infinitives, but a borrowing from that Syria's words at the same time align with the type Fulan. "Noldeke, Theodore (1860) History of qoran. Göttingen. Part I, page 33.
- ↑ Christoph Luxenberg (2004) -- Die Syro-Aramäische Lesart des Koran: Ein Beitrag zur Entschlüsselung der Koransprache. Berlin: Verlag Hans Schiler. 20054 আইএসবিএন ৩-৮৯৯৩০-০২৮-৯. Page 81-84.
- ↑ BYU Studies, vol. 40, number 4, 2001. Page 52
- ↑ মাআরিফুল কুরআনের বাংলা অনুবাদ।
- ↑ কুরআন ৭৫:১৮
- ↑ আল-ইহকাম, আল-আমিদি
- ↑ Sydney Nettleton Fisher, The Middle East: a history, p.55
- ↑ Jaffer, Abbas (২০০৯)। An introduction to Qurʼanic sciences = ʻUlūm al-Qurʼan (ইংরেজি ভাষায়)। ICAS Press। পৃষ্ঠা 16। আইএসবিএন 9781904063308।
- ↑ ইসা বাউলাতা, Literary Structure of Qur'an, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য কুরআন, vol.3 p.192, 204
- ↑ চাদ ও কুরান, জাকির নায়েক, মল্লিক ব্রাদারস
- ↑ চাদ ও কুরান, জাকির নায়েক, বাংলা অনুবাদ, মল্লিক ব্রাদারস
- ↑ ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ, হাফেজ মুনীর উদ্দিন আহমদ; ভুমিকা পৃষ্ঠা-২০
বহিঃসংযোগ
- কুরআন, ডিএমওজেড -এ কুরআনের নির্দেশিকা।
- কুরআনে কারিমের বাংলা অনুবাদ
অনুবাদসমূহ
- Al-Quran প্রকল্পের Zohurul Hoque এবং Muhiuddin Khan দ্বারা বাংলা অনুবাদ অন্তর্ভুক্ত এবং বিভিন্ন ভাষায় অন্যদের 140.
- কুরআনের ইংরেজি অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা, মাআরিফুল কুরআন, মুফতি তাকী উসমানী কর্তৃক লিখিত।
- Global Quran - ৩০ টির বেশী ভাষায় কুরআনের অনুবাদ।
- কুরআন - তিনটি অনুবাদ (ইউসুফ আলী, সাকির এবং পিকথাল) সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর ভূমিকাসহ।
- ব্যাখ্যাসহ কোরআনের অনুবাদপিডিএফ (৭.৪২ এমবি) ব্যাখ্যাসহ ইউসসুফ আলীর অনুবাদ।
- কুরআন - ইন্টারনেট স্যাক্রেড টেক্সট আর্কাইভ
- Most ওয়ান ইসলামের পবিত্র কুরআন - One-Islam.Org. কুরআনের একটি অনুবাদ।
- পুনর্জাগরিক ইসলাম - ১১ জন প্রসিদ্ধ অনুবাদকের মাধ্যমে শব্দ অনুযায়ী কুরআনের প্রতিবর্ণীকরণ এবং অনুবাদ।
- তাফহীমুল কুরআন অনলাইন
- অনলাইন অনুবাদ
তথ্যানুসন্ধান
- quran.gov.bd গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রনয়নকৃত কুরআন ওয়েবসাইট