বাণ্ডা সাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৬° দক্ষিণ ১২৭° পূর্ব / ৬° দক্ষিণ ১২৭° পূর্ব / -6; 127
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫৯ নং লাইন: ৫৯ নং লাইন:
|chapter=Chapter II (Geology of Timor-Leste)
|chapter=Chapter II (Geology of Timor-Leste)
|date=24 December 2003 |deadurl=yes }}
|date=24 December 2003 |deadurl=yes }}
</ref>


== ভূকম্পন ==

[[File:USS George Washington operations 150705-N-XO220-004.jpg|thumb|ইউএসএস বান্ডা সাগর অতীক্রম করছে]]
এই অঞ্চলে ইউরেশীয়, প্রশান্ত এবং [[ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাত|ইন্দো-অস্ট্রেলীয়]] ভূত্বকীয় পাতের সংগমস্থল হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে অধিক পরিমানে ভূমিকম্প হয়।

* ১৯৩৮-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ১লা ফেব্রুয়ারী বান্ডা সমুদ্র অঞ্চলে ঘটে। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেলে এটির মাপ ছিল ৮.৪ এবং মেরকাল্লি তীব্রতা স্কেলে মাপ ছিল VII (অতি তীব্র) । এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছে, কিন্তু কোন মানুষই হারিয়ে যায়নি। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।<ref name=Engdahl>
{{cite book
|title=International Handbook of Earthquake & Engineering Seismology
|series=Part A, Volume 81A
|chapter=Global seismicity: 1900–1999
|first=E. R. |last=Engdahl |first2=A. |last2=Vallaseñor
|year=2002
|url=https://earthquake.usgs.gov/data/centennial/centennial.pdf
publisher=[[Academic Press]]
|edition=First
|isbn=978-0124406520 |page=677}}
</ref>
* ২০০৬-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ২৬শে জানুয়ারি ঘটে। এর মাপ ছিল ৭.৬, এবং এটির উৎপত্তি স্থল ছিল আম্বন দ্বীপের ২০০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পূর্ব তিমুরের ৪৪৫ কি.মি উত্তরে, ভূত্বকের থেকে ৩৯৭ কি.মি. নীচে। এই ভূকম্পনটির কারণ ছিল তিমুর খাতে তিমুর পাতের নীচে অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলন। <ref name=Intensity>
{{cite web
|title=M7.6 - Banda Sea
|url=https://earthquake.usgs.gov/earthquakes/eventpage/usp000e8ys#general_summary
|author=USGS|publisher=[[United States Geological Survey]]}}
</ref>
</ref>



১৪:৫৮, ২৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বান্ডা সাগর
বান্ডা সাগরে রুন দ্বীপ (বাঁদিকে) এবং নাইলাকা দ্বীপ (ডানদিকে)
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় বান্ডা সাগরের অবস্থান
ধরনসাগর
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহপ্রশান্ত মহাসাগর, টিমর সাগর, মলুক্কা সাগর, সেরাম সাগর
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য১,০০০ কিমি (৬২০ মা)
সর্বাধিক প্রস্থ৫০০ কিমি (৩১০ মা)

বান্ডা সাগর প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপপুঞ্জের একটি সাগর, যেটি শতাধিক দ্বীপপুঞ্জ, হালমাহেরা সাগর এবং সেরাম সাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০০ কি.মি. (৬২০ মাইল) এবং উত্তর থেকে দক্ষিনে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ কি.মি. (৩১০ মাইল)

ব্যাপ্তি

আন্তর্জাতিক জল সর্বেক্ষণ সংগঠন (ইং: International Hydrographic Organization বা IHO বা আইএইচও) বান্ডা সাগরকে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলের জল হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। আইএইচও নিম্নোলিখিত ভাবে বান্ডা সাগরের সীমানা নির্ধারন করেছে:[১]

উত্তরে মোলুক্কা সাগরের দক্ষিণ সীমান্ত এবং সেরাম সাগরের পশ্চিম এবং দক্ষিণ সীমান্ত।

পূর্বে নোয়েহোয়ে তিয়োএত কাই বেসারের উত্তর বিন্দু তগ বোরাং থেকে এই দ্বীপ বরাবর দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর এই দ্বীপ বরাবর ফোরদাতার উত্তর-পূর্ব বিন্দু অবধি, এবং লারাতের এর উত্তরপূর্ব বিন্দু টানিম্বার দ্বীপ (৭°০৬′ দক্ষিণ ১৩১°৫৫′ পূর্ব / ৭.১০০° দক্ষিণ ১৩১.৯১৭° পূর্ব / -7.100; 131.917) দিয়ে য়ামদেনা দ্বীপের পূর্ব উপকূল বরাবর তার দক্ষিণ বিন্দু অবধি, তারপর আঙ্গারমাসার মধ্যে দিয়ে সেলারোয়ের উত্তর বিন্দু অবধি, এবং তারপর এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে তার দক্ষিণ বিন্দু তগ আরো ওয়েসোয়ে (৮°২১′ দক্ষিণ ১৩০°৪৫′ পূর্ব / ৮.৩৫০° দক্ষিণ ১৩০.৭৫০° পূর্ব / -8.350; 130.750) অবধি।

দক্ষিণে তানজং আরো ওয়েসোয়ে বরাবর, তারপর সেরমাটার মধ্যে দিয়ে লাকোর sic (লাকোভ), মোয়া এবং লেতি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব বিন্দু তানজং নজাদোরা থেকে লেতির পশ্চিম বিন্দু তানজং তোয়েত পাতেহ অবধি, তারপর তিমুরের পূর্ব সীমান্তে তানজং সেউইরাওয়া বরাবার, এবং উত্তর উপকূল বরাবর ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবধি।

মালুকু দ্বীপপুঞ্জের অন্তবর্তী এলাকায় বান্ডা সাগর

পশ্চিমে ১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে তিমুরের উত্তর উপকূলের এক বিন্দু থেকে আলোর দ্বীপ অবধি, তারপর আলোর, পান্তার, লোমব্লেন এবং আদোয়েনারা দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব দিক ঘুরে উত্তর উপকূল বরাবর, তারপর ফ্লোরেস প্রনালীর উত্তর প্রান্তের মধ্যে দিয়ে ফ্লোরেসের পূর্ব সীমান্ত তানজং সেরবেতে অবধি, তারপর তার উত্তর বিন্দুর (৮°০৪′ দক্ষিণ ১২২°৫২′ পূর্ব / ৮.০৬৭° দক্ষিণ ১২২.৮৬৭° পূর্ব / -8.067; 122.867) এক সীমারেখা থেকে কালাওতোয়া দ্বীপ (৭°২৪′ দক্ষিণ ১২১°৫২′ পূর্ব / ৭.৪০০° দক্ষিণ ১২১.৮৬৭° পূর্ব / -7.400; 121.867) অবধি, এবং পুলো সালায়ার এবং এর অন্তবর্তী দ্বীপমালার মধ্যে দিয়ে, এই দ্বীপের মধ্যে দিয়ে প্রনালী বরাবর সেলেবেসের তাজং লাস্সা (৫°৩৭′ দক্ষিণ ১২০°২৮′ পূর্ব / ৫.৬১৭° দক্ষিণ ১২০.৪৬৭° পূর্ব / -5.617; 120.467) অবধি, তারপর বোনির উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর সেলেবেসের পূর্ব উপকূল হয়ে তানজং বোতোক (১°০৪′ দক্ষিণ ১২৩°১৯′ পূর্ব / ১.০৬৭° দক্ষিণ ১২৩.৩১৭° পূর্ব / -1.067; 123.317) অবধি।

দ্বীপসমূহ

বান্ডা সাগরের সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলি হল পশ্চিমে সুলাওয়েসি, পূর্বে বুরু, আমবোন, সেরাম, আরু, বারাট ডায়া, টানিমবার, কাই এবং তিমুর. যদিও ছোট ছোট পাথুরে দ্বীপের জন্য সমুদ্রের সীমানা নৌচালনার জন্য বিপজ্জনক, সমুদ্রের মধ্যবর্তী এলাকা অপেক্ষাকৃত উন্মুক্ত। সমুদ্রের মধ্যে দ্বীপমালাগুলির মধ্যে বান্ডা দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। বান্ডা সাগরের কয়েকটি দ্বীপ, যেমন গুনুং আপি এবং মানুক, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি

বান্ডা সাগরের ভূত্বকীয় পাতসমূহের ক্রিয়াকলাপ

বান্ডা সাগরীয় পাতের মানচিত্র

বান্ডা বৃত্তচাপ তার ১৮০° বক্রতার জন্য বিখ্যাত, তিমুরে অবস্থিত, এবং সর্বজনীনভাবে অনুমোদিত যে অস্ট্রলীয় মহাদেশীয় প্রান্তের সঙ্গে একটি আগ্নেয় বৃত্তচাপের ধাক্কার ফলে এর সৃষ্টি হয়েছিল।[২][৩] বান্ডা সাগরীয় পাতের প্রধান অংশ বান্ডা সাগর দ্বারা পরিব্যাপ্ত। সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত নিম্নস্খলনীয় এলাকার উপরের দ্বীপ বৃত্তচাপ দ্বারা গঠিত। সুন্ডা খাতের পূর্বে তিমুর খাত অবস্থিত, টানিম্বার খাত টানিম্বার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত এবং আরু খাত আরু দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত। এই খাতগুলি বান্ডা সাগরীয় পাতের নীচে ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চল, এবং এখানে ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতটি উত্তরদিকে অপসারিত হয়। ইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাত দ্বারা ধীরে উত্তরদিকে বাহিত অগ্র-বৃত্তচাপীয় পলি ভাঁজ এবং চ্যুত হয়ে তিমুর দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর-পূর্বে রয়েছে পশ্চিম পাপুয়ার পক্ষীশীর পাতের নিম্নস্খলনীয় অঞ্চলের উপর অবস্থিত সেরাম দ্বীপ[৪]


ভূকম্পন

ইউএসএস বান্ডা সাগর অতীক্রম করছে

এই অঞ্চলে ইউরেশীয়, প্রশান্ত এবং ইন্দো-অস্ট্রেলীয় ভূত্বকীয় পাতের সংগমস্থল হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে অধিক পরিমানে ভূমিকম্প হয়।

  • ১৯৩৮-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ১লা ফেব্রুয়ারী বান্ডা সমুদ্র অঞ্চলে ঘটে। মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেলে এটির মাপ ছিল ৮.৪ এবং মেরকাল্লি তীব্রতা স্কেলে মাপ ছিল VII (অতি তীব্র) । এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছে, কিন্তু কোন মানুষই হারিয়ে যায়নি। এটি ১.৫ মিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক সুনামির সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।[৫]
  • ২০০৬-এর বান্ডা সাগরের ভূমিকম্পটি ২৬শে জানুয়ারি ঘটে। এর মাপ ছিল ৭.৬, এবং এটির উৎপত্তি স্থল ছিল আম্বন দ্বীপের ২০০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পূর্ব তিমুরের ৪৪৫ কি.মি উত্তরে, ভূত্বকের থেকে ৩৯৭ কি.মি. নীচে। এই ভূকম্পনটির কারণ ছিল তিমুর খাতে তিমুর পাতের নীচে অস্ট্রেলীয় পাতের নিম্নস্খলন। [৬]

তথ্যসূত্র

  1. "Limits of Oceans and Seas, 3rd edition" (পিডিএফ)। International Hydrographic Organization। ১৯৫৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. Carter, D. J., Audley-Charles, M. G. & Barber, A. J. Stratigraphical analysis of island arc-continental margin collision in eastern Indonesia. J. Geol. Soc. Lond. 132, 179�189 (1976).
  3. Hamilton, W. Tectonics of the Indonesian Region Vol. 1078 (US Geol. Soc. Prof. Pap., 1979).
  4. "Chapter II (Geology of Timor-Leste)"। Atlas of mineral resources of the ESCAP region Volume 17 Geology and Mineral Resources of Timor-Leste (পিডিএফ)। United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৩। ২০ মে ২০০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. Engdahl, E. R.; Vallaseñor, A. (২০০২)। "Global seismicity: 1900–1999"। [https://earthquake.usgs.gov/data/centennial/centennial.pdf publisher=%5b%5bAcademic Press%5d%5d International Handbook of Earthquake & Engineering Seismology] |url= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Part A, Volume 81A (First সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 677। আইএসবিএন 978-0124406520  line feed character in |url= at position 60 (সাহায্য)
  6. USGS। "M7.6 - Banda Sea"United States Geological Survey 

গ্রন্থপঞ্জি

  • পন্ডার, এইচ. ডাব্লিউ. (১৯৪৪) ইন জাভানিজ ওয়াটার্স; সাম সাইডলাইটস অন আ ফিউ অফ দ্য কাউন্টলেস লাভলি, লিটল নোন আইল্যান্ডস স্ক্যাটার্ড ওভার দ্য বান্ডা সী অ্যান্ড সাম গ্লীম্পসেস অফ দেয়ার স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড স্টর্মী হিস্ট্রি, লন্ডন, সীলে, সার্ভিস অ্যান্ড কোং লিমিটেড।
  • প্যাট্রিক ডি. নান (১৯৯৪), ওশেনিক আইল্যান্ডস, অক্সফোর্ড, গ্রেট ব্রিটেন, ব্ল্যাকওয়েল