রজনীকান্ত সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে

রৈখিক

১৮:২০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রজনীকান্ত সরকার মানভূমে বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।^[১] তিনি বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য শরৎচন্দ্র সেন এবং গুণেন্দ্রনাথ রায় জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল লোকসেবক সঙ্ঘ গড়ে তোলেন। পেশায় পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবি ছিলেন।^[১]

আন্দোলন

মানভূমে বাংলা ভাষা আন্দোলন ১৯১২ সালে শুরু হয়। ১৯৫৬ সালের আগে পুরুলিয়া বিহারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজনৈতিক ভাবে বিহারের স্কুল-কলেজ-সরকারি দপ্তরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।^[১] সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আন্দোলন করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু, বাংলা ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অবশেষে পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবী রজনীকান্ত সরকার, শরৎচন্দ্র সেন এবং গুণেন্দ্রনাথ রায় জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল লোকসেবক সঙ্ঘ গড়ে তোলেন। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে তাঁদের সুদৃঢ় আন্দোলন করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ এই আন্দোলন তীব্র ভাবে প্রতিভাত হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার মানভূম জেলা ভেঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সঙ্গে একটি নতুন জেলা (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলা) সংযুক্ত করতে বাধ্য করেন।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

↑ ^ক ^খ ^গ নন্দদুলাল আচার্য (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "ভাষা আন্দোলনে মানভূম"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৩।

[:ভাষা_আন্দোলনে_মানভূম-1] ক ^খ ^গ নন্দদুলাল আচার্য (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "ভাষা আন্দোলনে মানভূম"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৩।

[১]

@@ ১ নং লাইন: / ১ নং লাইন: @@
-'''রজনীকান্ত সরকার''' মানভূমে বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য [[শরৎচন্দ্র সেন]] এবং [[গুণেন্দ্রনাথ রায়]] [[জাতীয় কংগ্রেস]] ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল '''লোকসেবক সঙ্ঘ''' গড়ে তোলেন। পেশায় পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবি ছিলেন।
+'''রজনীকান্ত সরকার''' মানভূমে [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] ভাষার অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।<ref name=":ভাষা আন্দোলনে মানভূম" /> তিনি [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] ভাষার অধিকারের জন্য [[শরৎচন্দ্র সেন]] এবং [[গুণেন্দ্রনাথ রায়]] [[জাতীয় কংগ্রেস]] ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল '''লোকসেবক সঙ্ঘ''' গড়ে তোলেন। পেশায় [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া]] কোর্টের আইনজীবি ছিলেন।<ref name=":ভাষা আন্দোলনে মানভূম" />
 ==আন্দোলন==
-মানভূমে '''বাংলা ভাষা আন্দোলন''' ১৯১২ সালু শুরু হয়। ১৯৫৬ সালের আগে পুরুলিয়া বিহারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজনৈতিক ভাবে বিহারের স্কুল-কলেজ-সরকারি দপ্তরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।<ref name=":ভাষা আন্দোলনে মানভূম">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.anandabazar.com/state/do-we-still-remember-the-bengali-language-movement-of-manbhum-1.759167|title=ভাষা আন্দোলনে মানভূম|last=নন্দদুলাল আচার্য|first=|date=২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮|work=|newspaper=আনন্দবাজার পত্রিকা|language=bn|access-date=2018-02-23|via=}}</ref> সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আন্দোলন করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু, বাংলা ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অবশেষে পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবী [[রজনীকান্ত সরকার]], [[শরৎচন্দ্র সেন]] এবং [[গুণেন্দ্রনাথ রায়]] [[জাতীয় কংগ্রেস]] ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল '''লোকসেবক সঙ্ঘ''' গড়ে তোলেন। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে তাঁদের সুদৃঢ় আন্দোলন করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ এই আন্দোলন তীব্র ভাবে প্রতিভাত হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার মানভূম জেলা ভেঙ্গে  [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যে সঙ্গে একটি নতুন জেলা (বর্তমান [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[পুরুলিয়া জেলা]]) সংযুক্ত করতে বাধ্য করেন।
+মানভূমে '''বাংলা ভাষা আন্দোলন''' ১৯১২ সালে শুরু হয়। ১৯৫৬ সালের আগে [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া]] [[বিহার|বিহারের]] অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজনৈতিক ভাবে বিহারের স্কুল-কলেজ-সরকারি দপ্তরে [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।<ref name=":ভাষা আন্দোলনে মানভূম">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.anandabazar.com/state/do-we-still-remember-the-bengali-language-movement-of-manbhum-1.759167|title=ভাষা আন্দোলনে মানভূম|last=নন্দদুলাল আচার্য|first=|date=২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮|work=|newspaper=আনন্দবাজার পত্রিকা|language=bn|access-date=2018-02-23|via=}}</ref> সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আন্দোলন করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু, [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অবশেষে পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবী [[রজনীকান্ত সরকার]], [[শরৎচন্দ্র সেন]] এবং [[গুণেন্দ্রনাথ রায়]] [[জাতীয় কংগ্রেস]] ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল '''লোকসেবক সঙ্ঘ''' গড়ে তোলেন। [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে তাঁদের সুদৃঢ় আন্দোলন করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ এই আন্দোলন তীব্র ভাবে প্রতিভাত হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার মানভূম জেলা ভেঙ্গে  [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যে সঙ্গে একটি নতুন জেলা (বর্তমান [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[পুরুলিয়া জেলা]]) সংযুক্ত করতে বাধ্য করেন।
 ==আরো দেখুন==