দ্বিতীয় দিয়েগো দে আলমাগ্রো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{Infobox person
|name = দ্বিতীয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো
|name = দ্বিতীয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো
|birth_date = আনুমানিক ১৫২০
|birth_date = আনুমানিক ১৫২০

১৬:৩৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দ্বিতীয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো
জন্মআনুমানিক ১৫২০
মৃত্যু১৬ সেপ্টেম্বর, ১৫৪২ (বয়স ২১–২২)
জাতীয়তাপানামানীয়
পরিচিতির কারণফ্রান্সিসকো পিসার্‌রো’র হত্যাকারী

দ্বিতীয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো (স্পেনীয়: Diego de Almagro II; জন্ম: ১৫২০ - মৃত্যু: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৫৪২) স্পেনীয় অভিযাত্রী ফ্রান্সিসকো পিসার্‌রো’র হত্যাকারী ছিলেন। এল মজো নামে পরিচিত দিয়েগো ডে আলমাগ্রো নিজ পিতা জনপ্রিয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো’র সন্তান ও স্থানীয় আদিবাসী পানামীয় ইন্ডিয়ান ছিলেন।

পেরু গমন

১৫৩১ সালে এল মজো স্বীয় পিতার সাথে সংঘবদ্ধ দল নিয়ে পেরু সফরে যান। তাঁরা ইনকা সাম্রাজ্যের উত্তরাংশে পৌঁছেন। বাবার সাথে একত্রে ১০০ স্পেনীয় সৈনিকের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, দলীয় নেতা ফ্রান্সিসকো পিসার্‌রো দক্ষিণাংশের দিকে চলে যান। কাজামারকার যুদ্ধে মাত্র ১৬৭জন স্পেনীয় সৈনিককে নিয়ে ৫,০০০ আদিবাসীর নেতা সাপা ইনকা আতাহুয়াল্পাকে আটক করেন। প্রকৃতপক্ষে আতাহুয়াল্পার ৮০,০০০ সৈনিক ছিল। কিন্তু তাঁরা সতর্ক না থাকায় ৫,০০০ লোক নিয়েই এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৫৩৩ সালে এল মজো ও তাঁর বাবা দিয়েগো কাজামারকায় পৌঁছেন। কিন্তু আটককৃতদের কাছ থেকে কোন সোনা-দানা পাননি ও ইনকাদের হত্যা করার চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। ২৬ জুলাই তাঁদের হুমকি বাস্তবে পরিণত হয়।

আলমাগ্রো পিসার্‌রো’র সাথে একত্রে কোস্কো যান ও ইনকাদের রাজধানী দখল করে নেন। ১৫৩৫ সালে তিনি দক্ষিণ দিকে চলে যান। অন্যদিকে পিসার্‌রো সিয়াদাদ ডে লস রেয়েসের (রাজাদের শহর, বর্তমানের লিমা) সন্ধান পান। ১৫৩৬ সালে ১,০০,০০০ ইনকা যোদ্ধাদের নিয়ে ম্যানকো ইনকা কোস্কো পুণরায় দখল করে নেন। আলমাগ্রো দক্ষিণে ফিরে আসেন। তাঁদেরকে পিঁছু হটিয়ে ১৫৩৭ সালে কোস্কোর ক্ষমতায় আসেন।

শাস্তিভোগ

তাঁর বাবাকে শাস্তি দিয়ে ২৬ জুন, ১৫৪১ তারিখে এল মজো নিজেই সিংহাসনে আরোহণ করে। কিছু অনুসারীকে সাথে নিয়ে তিনি লিমায় পিজারো’র প্রাসাদ স্থানান্তরে সক্ষম হন। অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফ্রান্সিসকো পিজারোকে যুদ্ধে নিহত করেন। ফ্রান্সিসকো জেগে উঠেন। হত্যাকারীদের দুইজনকে নিহত করেন। কিন্তু, ধস্তাধস্তিতে বক্ষবন্ধনী খুলে যায় ও গলায় ছুরিকাহত হন। ফ্রান্সিসকো মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে থাকেন ও রক্তের বন্যায় ক্রস চিহ্ন তৈরি হয়। তিনি প্রভু যীশু খ্রীস্টের সহায়তা কামনা করেন। পিজারো’র মৃত্যুর পর এল মজো একদল চাটুকারের কাছ থেকে গভর্নর হিসেবে মনোনীত হন। তবে, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় কাজকো থেকে সমর্থকদের নিয়ে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে তিনি পরাজিত হন ও ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৫৪২ তারিখে চুপাসের যুদ্ধে তিনি ধৃত হন। সংক্ষিপ্ত বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর নগর চত্ত্বরে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।[১]

তথ্যসূত্র

  1. MacQuarrie, Kim (২০০৮)। The Last Days of the Incas। Simon & Schuster। পৃষ্ঠা 344। আইএসবিএন 0743260503। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-২১ 

আরও দেখুন

‎* অফেলিয়া হুপার