চিত্তরঞ্জন দাশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
৯৬ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুন্সিগঞ্জ জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুন্সিগঞ্জ জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুন্সিগঞ্জের বিপ্লবী ও রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুন্সিগঞ্জের বিপ্লবী]]

১৮:০৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস
জন্ম(১৮৭০-১১-০৫)৫ নভেম্বর ১৮৭০
মৃত্যু১৬ জুন ১৯২৫(1925-06-16) (বয়স ৫৪)
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
শিক্ষাবি.এ
মাতৃশিক্ষায়তনপ্রেসিডেন্সী কলেজ
পেশাআইনজীবী, রাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মালঞ্চ, সাগরসঙ্গীত, অন্তর্যামী, ডালিম
উপাধিদেশবন্ধু
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীবসন্তী দেবী
পিতা-মাতাভুবনমোহন দাশ
নিস্তারিণী দেবী

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (৫ নভেম্বর ১৮৭০ - ১৬ জুন ১৯২৫) হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি স্বরাজ্য পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়ের অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের আয় অর্জনকারী উকিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সম্পদ অকাতরে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে আছেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

চিত্তরঞ্জন দাশ বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার তেলিরবাগ নামক গ্রামে এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[১] তাঁর পিতা ভুবন মোহন দাস কলকাতা হাইকোর্টের সলিসিটার ছিলেন। ভবানীপুর লন্ডন মিশনারি স্কুলে তার শিক্ষা আরম্ভ হয়। ১৮৯০ সালে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ. পাস করেন।[২]

কর্মজীবন

১৮৯৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেন। ১৯০৮ সালে অরবিন্দ ঘোষের বিচার তাকে পেশাগত মঞ্চের সম্মুখ সারিতে নিয়ে আসে। তিনি এত সুনিপুণ দক্ষতায় মামলাটিতে বিবাদী পক্ষ সমর্থন করেন যে অরবিন্দকে শেষ পর্যন্ত বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তিনি ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় (১৯১০-১১) বিবাদী পক্ষের কৌশলী ছিলেন। তিনি দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় আইনেই দক্ষ ছিলেন।

মৃত্যু

১৯২৫ সালের ১৬ই জুন চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন। উদার মতবাদ ও দেশের প্রতি দরদের কারণে তিনি হিন্দু মুসলমান সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অর্জন করেন এবং তার এই উদার মতবাদের জন্য জনগণ তাকে দেশবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন।

তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সম্বন্ধে বলেনঃ

এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।।

তথ্যসূত্র

  1. "মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২৪ 
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২২৩-২৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬