গারফিল্ড সোবার্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
৮৭ নং লাইন: ৮৭ নং লাইন:
| best bowling4 = 5/43
| best bowling4 = 5/43
| catches/stumpings4 = 41/–
| catches/stumpings4 = 41/–
| date = ১৬ সেপ্টেম্বর
| date = ডিসেম্বর
| year = ২০১৭
| year = ২০১৩
| source = http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/player/52946.html ক্রিকইনফো
| source = http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/player/52946.html ক্রিকইনফো
}}
}}
'''স্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স''' বা '''গ্যারি সোবার্স''' ({{lang-en|Garfield Sobers}}; [[জন্ম]]: [[২৮ জুলাই]], [[১৯৩৬]]) [[বার্বাডোস|বার্বাডোসের]] ব্রিজটাউনে জন্মগ্রহণকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিখ্যাত আন্তর্জাতিক [[ক্রিকেট|ক্রিকেটার]] ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাঁকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটের]] ইতিহাসে সর্বকালের সেরা [[অল-রাউন্ডার]] হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
'''স্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স''' বা '''গ্যারি সোবার্স''' ({{lang-en|Garfield Sobers}}; [[জন্ম]]: [[২৮ জুলাই]], [[১৯৩৬]]) [[বার্বাডোস|বার্বাডোসের]] ব্রিজটাউনে জন্মগ্রহণকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিখ্যাত আন্তর্জাতিক [[ক্রিকেট]] তারকা। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাঁকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটের]] ইতিহাসে সর্বকালের সেরা [[অল-রাউন্ডার]] হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।


[[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]]-[[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] উভয় বিভাগেই তিনি সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই উঁচুমানের এবং বোলিংয়েও কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। [[ফাস্ট বোলিং]] এবং স্পিন - উভয়ভাবেই বোলিং করেছেন '''গারফিল্ড সোবার্স'''।
[[ব্যাটিং (ক্রিকেট)|ব্যাটিং]]-[[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিং]] উভয় বিভাগেই তিনি সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই উঁচুমানের এবং বোলিংয়েও কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। [[ফাস্ট বোলিং]] এবং স্পিন - উভয়ভাবেই বোলিং করেছেন '''গারফিল্ড সোবার্স'''।
১০৯ নং লাইন: ১০৯ নং লাইন:
| accessdate = 5 February 2009}}
| accessdate = 5 February 2009}}
</ref> পাঁচ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে তাঁর বাবা সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় জার্মানদের ইউ-বোটের টর্পেডোর আঘাতই জাহাজডুবির কারণ ছিল।<ref name=GS7/> বার্বাডোসের বে সেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন।
</ref> পাঁচ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে তাঁর বাবা সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় জার্মানদের ইউ-বোটের টর্পেডোর আঘাতই জাহাজডুবির কারণ ছিল।<ref name=GS7/> বার্বাডোসের বে সেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন।

বালক অবস্থায় গ্যারি সোবার্সকে অনুশীলনে বোলিং করার জন্য সাহস জোগাতেন [[ডেনিস অ্যাটকিনসন]]। বার্বাডোসের ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবে ডেনিস অ্যাটকিনসন খেলতেন। তিনি স্ট্যাম্পের ওপর একটি সিলিং রাখতেন ও সোবার্সকে তা স্পর্শ করার কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে সোবার্স বলেছিলেন, সিলিং স্পর্শ করার সুবাদে তিনি নিজের কাছে তা রাখতেন।<ref>Garry Sobers, ''My Autobiography'', Headline, London, 2002, pp. 14–15.</ref> এভাবেই বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন গ্যারি সোবার্স।


১৯৮০ সালে বৈবাহিকসূত্রে তিনি বার্বাডিয়ান-অস্ট্রেলীয় হিসেবে দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করেন।<ref name=cit80>[http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/europe/1356900/Sobers-bat-that-hit-six-sixes-is-up-for-sale.html Telegraph, 19 June 2001, Sobers bat that hit six sixes is up for sale]</ref><ref name=citmarr>[http://in.rediff.com/cricket/2003/jun/09waugh.htm Reuters:Cricket, 9 June 2003, Australia honours Steve Waugh in Queen's Birthday list]</ref> ১৯৯৮ সালে [[Parliament of Barbados|বার্বাডোসের সংসদের]] অধ্যাদেশ বলে দশজনের একজন হিসেবে [[Barbadian National Heroes|বার্বাডোসের জাতীয় বীরের]] মর্যাদা লাভ করেন।<ref name=NationNews>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |title=Sir Garry: What about Wes? |author= |first=Kenmore |last=Bynoe |authorlink= |authorlink2= |url=http://www.nationnews.com/articles/view/sir-garry-what-about-wes/ |agency= |newspaper=[[The Daily Nation (Barbados)|Nation Newspaper]] |publisher= |location= |isbn= |issn= |oclc= |pmid= |pmd= |bibcode= |doi= |id= |date=3 May 2011 @ 12:00 AM |page= |pages= |at= |accessdate=28 June 2011 |language=en |trans_title= |quote=Just a couple of days after Barbados celebrated its heroes, the sole living National Hero, The Right Excellent Sir Garfield Sobers, has expressed amazement that one of his closest comrades on the cricket field, Wesley Hall, has not been given a knighthood by his country. |archiveurl= |archivedate= |deadurl= |ref=|language=en}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.barbadosparliament.com/history.php |title=Parliament's History |author=[[Parliament of Barbados]] |year=2009 |publisher=Barbadosparliament.com |accessdate=15 November 2011 |language=en}}</ref>
১৯৮০ সালে বৈবাহিকসূত্রে তিনি বার্বাডিয়ান-অস্ট্রেলীয় হিসেবে দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করেন।<ref name=cit80>[http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/europe/1356900/Sobers-bat-that-hit-six-sixes-is-up-for-sale.html Telegraph, 19 June 2001, Sobers bat that hit six sixes is up for sale]</ref><ref name=citmarr>[http://in.rediff.com/cricket/2003/jun/09waugh.htm Reuters:Cricket, 9 June 2003, Australia honours Steve Waugh in Queen's Birthday list]</ref> ১৯৯৮ সালে [[Parliament of Barbados|বার্বাডোসের সংসদের]] অধ্যাদেশ বলে দশজনের একজন হিসেবে [[Barbadian National Heroes|বার্বাডোসের জাতীয় বীরের]] মর্যাদা লাভ করেন।<ref name=NationNews>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |title=Sir Garry: What about Wes? |author= |first=Kenmore |last=Bynoe |authorlink= |authorlink2= |url=http://www.nationnews.com/articles/view/sir-garry-what-about-wes/ |agency= |newspaper=[[The Daily Nation (Barbados)|Nation Newspaper]] |publisher= |location= |isbn= |issn= |oclc= |pmid= |pmd= |bibcode= |doi= |id= |date=3 May 2011 @ 12:00 AM |page= |pages= |at= |accessdate=28 June 2011 |language=en |trans_title= |quote=Just a couple of days after Barbados celebrated its heroes, the sole living National Hero, The Right Excellent Sir Garfield Sobers, has expressed amazement that one of his closest comrades on the cricket field, Wesley Hall, has not been given a knighthood by his country. |archiveurl= |archivedate= |deadurl= |ref=|language=en}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.barbadosparliament.com/history.php |title=Parliament's History |author=[[Parliament of Barbados]] |year=2009 |publisher=Barbadosparliament.com |accessdate=15 November 2011 |language=en}}</ref>
১১৫ নং লাইন: ১১৭ নং লাইন:
ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোবার্স। ওভারের এক-একটি বলকে মিডিয়াম পেস থেকে শুরু করে বামহাতি স্পিন করতেন। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] হিসেবেও যে-কোন অবস্থানে থেকে তিনি সফলতা দেখিয়েছেন। তবে উইকেটের কাছাকাছি এলাকাতেই ফিল্ডিং করতে পছন্দ করতেন।
ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোবার্স। ওভারের এক-একটি বলকে মিডিয়াম পেস থেকে শুরু করে বামহাতি স্পিন করতেন। [[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|ফিল্ডার]] হিসেবেও যে-কোন অবস্থানে থেকে তিনি সফলতা দেখিয়েছেন। তবে উইকেটের কাছাকাছি এলাকাতেই ফিল্ডিং করতে পছন্দ করতেন।


১৯৫২-৫৩ মৌসুমে [[কেনসিংটন ওভাল|কেনসিংটন ওভালে]] [[Barbados cricket team|বার্বাডোসের]] হয়ে সফরকারী [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত দলের]] বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে তাঁকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হলেও [[Frank King (cricketer)|ফ্রাঙ্ক কিং]] স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করায় তিনি নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পান।<ref name="BGIS"/> এরপর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে ১৬ বছর বয়সে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] তাঁর অভিষেক ঘটে। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অপরাজিত ৭* রান করলেও বোলিংয়ে চমক দেখান। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪/৫০ ও ৩/৯২ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20522.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 7 November 2008.</ref> এক বছর পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] সফরকারী [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’র]] বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20977.html second first-class appearance]</ref> খেলায় তিনি ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এরফলে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ]] তাঁকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অন্তর্ভুক্ত করে।
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে [[কেনসিংটন ওভাল|কেনসিংটন ওভালে]] [[Barbados cricket team|বার্বাডোসের]] হয়ে সফরকারী [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত দলের]] বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে তাঁকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হলেও [[ফ্রাঙ্ক কিং]] স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করায় তিনি নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পান।<ref name="BGIS"/> এরপর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে ১৬ বছর বয়সে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] তাঁর অভিষেক ঘটে। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অপরাজিত ৭* রান করলেও বোলিংয়ে চমক দেখান। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪/৫০ ও ৩/৯২ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20522.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 7 November 2008.</ref> এক বছর পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] সফরকারী [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’র]] বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/20/20977.html second first-class appearance]</ref> খেলায় তিনি ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এরফলে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ]] তাঁকে [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেটে]] অন্তর্ভুক্ত করে।


== টেস্ট ক্রিকেট ==
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১২১ নং লাইন: ১২৩ নং লাইন:
৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে [[১৯৫৩-৫৪ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর|সফরকারী]] [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিংস্টনের [[সাবিনা পার্ক|সাবিনা পার্কে]] অনুষ্ঠিত ৫ম ও চূড়ান্ত টেস্টে [[আল্ফ ভ্যালেন্টাইন|আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের]] পীড়াজনিত কারণেই তাঁর অংশগ্রহণ।<ref name="Sobers: 36">Sobers (2002), p. 36.</ref><ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/21/21007.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 8 November 2008.</ref> বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ঘটলেও বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট প্রাপ্তিসহ ৪/৭৫ লাভ করেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। তারপরও ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরাজিত করেছিল।<ref name="Sobers:38-40">Sobers (2002), pp. 38–40.</ref>
৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে [[১৯৫৩-৫৪ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর|সফরকারী]] [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিংস্টনের [[সাবিনা পার্ক|সাবিনা পার্কে]] অনুষ্ঠিত ৫ম ও চূড়ান্ত টেস্টে [[আল্ফ ভ্যালেন্টাইন|আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের]] পীড়াজনিত কারণেই তাঁর অংশগ্রহণ।<ref name="Sobers: 36">Sobers (2002), p. 36.</ref><ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/21/21007.html CricketArchive: match scorecard]. Retrieved on 8 November 2008.</ref> বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ঘটলেও বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট প্রাপ্তিসহ ৪/৭৫ লাভ করেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। তারপরও ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরাজিত করেছিল।<ref name="Sobers:38-40">Sobers (2002), pp. 38–40.</ref>


তার দল [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়াকে]] পরাভূত করে। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে সোবার্স [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৩৬৫* রান করেন। এ রান করার ফলে তিনি [[বিশ্বরেকর্ড]] করেন যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল। তারপর ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করতে দলকে সহায়তা করেন।
তাঁর দল [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়াকে]] পরাভূত করে। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে [[পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল|পাকিস্তানের]] বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে সোবার্স [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৩৬৫* রান করেন। এ রান করার ফলে তিনি [[বিশ্বরেকর্ড]] করেন যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল। তারপর ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করতে দলকে সহায়তা করেন।


== কীর্তিগাঁথা ==
== কীর্তিগাঁথা ==

১৭:৪৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দ্য রাইট এক্সিলেন্ট
স্যার গারফিল্ড সোবার্স
২০১২ সালে স্যার গারফিল্ড সোবার্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স
জন্ম (1936-07-28) ২৮ জুলাই ১৯৩৬ (বয়স ৮৭)
ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
ডাকনামগ্যারি
উচ্চতা৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
স্লো লেফট-আর্ম চায়নাম্যান
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮৪)
৩০ মার্চ ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৫ এপ্রিল ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ ১১)
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫২-১৯৭৪বার্বাডোস
১৯৬১-১৯৬৪সাউথ অস্ট্রেলিয়া
১৯৬৮-১৯৭৪নটিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৯৩ ৩৮৩ ৯৫
রানের সংখ্যা ৮০৩২ ২৮৩১৪ ২৭২১
ব্যাটিং গড় ৫৭.৭৮ ০.০০ ৫৪.৮৭ ৩৮.৩২
১০০/৫০ ২৬/৩০ ০/০ ৮৬/১২১ ১/১৮
সর্বোচ্চ রান ৩৬৫* ৩৬৫* ১১৬*
বল করেছে ২১৫৯৯ ৬৩ ৭০৭৮৯ ৪৩৮৭
উইকেট ২৩৫ ১০৪৩ ১০৯
বোলিং গড় ৩৪.০৩ ৩১.০০ ২৭.৭৪ ২১.৯৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৬
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৭৩ ১/৩১ ৯/৪৯ ৫/৪৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০৯/– ১/– ৪০৭/– ৪১/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৪ ডিসেম্বর ২০১৩

স্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স বা গ্যারি সোবার্স (ইংরেজি: Garfield Sobers; জন্ম: ২৮ জুলাই, ১৯৩৬) বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাঁকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই তিনি সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন খুবই উঁচুমানের এবং বোলিংয়েও কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছেন। ফাস্ট বোলিং এবং স্পিন - উভয়ভাবেই বোলিং করেছেন গারফিল্ড সোবার্স

প্রারম্ভিক জীবন

বার্বাডোসের ব্রিজটাউন এলাকার ওয়ালকট এভিনিউতে শামন্তথেলমা সোবার্স দম্পতির সন্তানরূপে ২৮ জুলাই, ১৯৩৬ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স।[১][২][৩] তিনি ছিলেন পরিবারের ছয় সন্তানের মধ্যে পঞ্চম।[১][৪] জন্মকালীন সময়ে তাঁর উভয় হাতেই দুইটি অতিরিক্ত আঙ্গুল ছিল যা শৈশবকালেই ধারালো ছোড়ার সাহায্যে অঙ্গচ্ছেদন করা হয়েছিল।[৫][৬] পাঁচ বছর বয়সে জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে তাঁর বাবা সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের ইউ-বোটের টর্পেডোর আঘাতই জাহাজডুবির কারণ ছিল।[১] বার্বাডোসের বে সেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন।

বালক অবস্থায় গ্যারি সোবার্সকে অনুশীলনে বোলিং করার জন্য সাহস জোগাতেন ডেনিস অ্যাটকিনসন। বার্বাডোসের ওয়ান্ডেরার্স ক্রিকেট ক্লাবে ডেনিস অ্যাটকিনসন খেলতেন। তিনি স্ট্যাম্পের ওপর একটি সিলিং রাখতেন ও সোবার্সকে তা স্পর্শ করার কথা বলতেন। এ প্রসঙ্গে সোবার্স বলেছিলেন, সিলিং স্পর্শ করার সুবাদে তিনি নিজের কাছে তা রাখতেন।[৭] এভাবেই বামহাতি স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন গ্যারি সোবার্স।

১৯৮০ সালে বৈবাহিকসূত্রে তিনি বার্বাডিয়ান-অস্ট্রেলীয় হিসেবে দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করেন।[৮][৯] ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের সংসদের অধ্যাদেশ বলে দশজনের একজন হিসেবে বার্বাডোসের জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেন।[১০][১১]

খেলোয়াড়ী জীবন

ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ব্যতিক্রমধর্মী বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোবার্স। ওভারের এক-একটি বলকে মিডিয়াম পেস থেকে শুরু করে বামহাতি স্পিন করতেন। ফিল্ডার হিসেবেও যে-কোন অবস্থানে থেকে তিনি সফলতা দেখিয়েছেন। তবে উইকেটের কাছাকাছি এলাকাতেই ফিল্ডিং করতে পছন্দ করতেন।

১৯৫২-৫৩ মৌসুমে কেনসিংটন ওভালে বার্বাডোসের হয়ে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শুরুতে তাঁকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করা হলেও ফ্রাঙ্ক কিং স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করায় তিনি নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পান।[৪] এরপর ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫৩ তারিখে ১৬ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটে। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অপরাজিত ৭* রান করলেও বোলিংয়ে চমক দেখান। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪/৫০ ও ৩/৯২ করেন।[১২] এক বছর পর তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সফরকারী মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)’র বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন।[১৩] খেলায় তিনি ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে টেস্ট ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করে।

টেস্ট ক্রিকেট

পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ব্যাটিং গড়
অস্ট্রেলিয়া ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান
৯৯.৯৪
দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রেইম পোলক
৬০.৯৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ জর্জ হ্যাডলি
৬০.৮৩
ইংল্যান্ড হার্বার্ট সাটক্লিফ
৬০.৭৩
ইংল্যান্ড এডি পেন্টার
৫৯.২৩
ইংল্যান্ড কেন ব্যারিংটন
৫৮.৬৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ এভারটন উইকস
৫৮.৬১
ইংল্যান্ড ওয়ালি হ্যামন্ড
৫৮.৪৫
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ গারফিল্ড সোবার্স
৫৭.৭৮
ইংল্যান্ড জ্যাক হবস
৫৬.৯৪
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্লাইড ওয়ালকট
৫৬.৬৮
ইংল্যান্ড লেন হাটন
৫৬.৬৭

উৎস: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস।

৩০ মার্চ, ১৯৫৪ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অনুষ্ঠিত ৫ম ও চূড়ান্ত টেস্টে আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের পীড়াজনিত কারণেই তাঁর অংশগ্রহণ।[১৪][১৫] বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ঘটলেও বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। প্রথম ইনিংসের উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট প্রাপ্তিসহ ৪/৭৫ লাভ করেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করেন। তারপরও ইংল্যান্ড ৯ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পরাজিত করেছিল।[১৬]

তাঁর দল অস্ট্রেলিয়াকে পরাভূত করে। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫* রান করেন। এ রান করার ফলে তিনি বিশ্বরেকর্ড করেন যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল। তারপর ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করতে দলকে সহায়তা করেন।

কীর্তিগাঁথা

টেস্ট ক্রিকেটে তিনি প্রায় বিশ বছর জড়িত ছিলেন। সর্বমোট নয়জন বার্বাডিয়ান ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তন্মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ৩৯বার নেতৃত্ব দেন তিনি। [১৭] এছাড়াও বার্বাডিয়ানদের মধ্যে সর্বাধিক টেস্ট রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর সংগৃহীত ৮,০৩২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ। [১৮] তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কাউন্টিতে নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন।

১৯৭৪ সালে বর্ণাঢ্য ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন গ্যারি সোবার্স। এ সময়ে তিনি ৮,০৩২ রান করেন যা তৎকালীন সময়ে বিশ্বরেকর্ড ছিল। এছাড়াও তিনি ২৬টি সেঞ্চুরি করেন।

সোবার্স ক্রিকেট বিষয়ক বেশ কয়েকটি পুস্তক রচনা করেছেন। এছাড়াও, ১৯৬৭ সালে ‘বোনাভেঞ্চার এন্ড দ্য ফ্ল্যাশিং ব্লেড’ শীর্ষক উপন্যাস এবং একই বছরে জে.এস. বার্কারের সাথে যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাস নামের বই প্রকাশ করেন।

সম্মাননা

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে বর্ষসেরা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[১৯] ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শীর্ষ অল-রাউন্ডার হবার সুবাদে ১৯৭০ সালে ক্রিকেট সোসাইটি ওয়েথেরাল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে লাভ করেন ওয়াল্টার লরেন্স ট্রফি।

২০০০ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তিনি শতাব্দীর সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে মনোনীত হন। ১০০ সদস্যের ক্রিকেট বোদ্ধাদের নিয়ে গড়া কমিটির মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক ৯০ ভোট পান। তাঁর সম্মুখে ছিলেন ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (১০০)। এছাড়াও, জ্যাক হবস (৩০), শেন ওয়ার্ন (২৭) ও ভিভ রিচার্ডস (২৫) এ তালিকায় ছিলেন।

২০০৪ সালে আইসিসি কর্তৃক প্রবর্তিত স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি তাঁর নাম অনুসরণে রাখা হয়। ট্রফির নামকরণের পর সোবার্স তাঁর পছন্দের কমিটিতে বিখ্যাত ক্রিকেটার রিচি বেনো, সুনীল গাভাস্কারমাইকেল হোল্ডিংকে রাখেন। পরবর্তীতে আইসিসি কর্তৃক তাঁদেরকে ‘একজন ব্যক্তিকে নির্ধারণপূর্বক ক্রিকেটের সম্মান বৃদ্ধিকল্পে ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রদানে’ ক্ষমতা প্রদান করেছিল।

তথ্যসূত্র

  1. Sobers, p. 7.
  2. Wisden Cricketer of the Year 1964. Retrieved on 16 August 2009.
  3. CricketArchive – confirmation of name. Retrieved on 16 August 2009.
  4. Barbados Government Information Service. Retrieved on 7 November 2008.
  5. Sobers, p. 6.
  6. "Boy born with 24 fingers and toes"। BBC News। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  7. Garry Sobers, My Autobiography, Headline, London, 2002, pp. 14–15.
  8. Telegraph, 19 June 2001, Sobers bat that hit six sixes is up for sale
  9. Reuters:Cricket, 9 June 2003, Australia honours Steve Waugh in Queen's Birthday list
  10. Bynoe, Kenmore (3 May 2011 @ 12:00 AM)। "Sir Garry: What about Wes?"Nation Newspaper (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ 28 June 2011Just a couple of days after Barbados celebrated its heroes, the sole living National Hero, The Right Excellent Sir Garfield Sobers, has expressed amazement that one of his closest comrades on the cricket field, Wesley Hall, has not been given a knighthood by his country.  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  11. Parliament of Barbados (২০০৯)। "Parliament's History" (ইংরেজি ভাষায়)। Barbadosparliament.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১ 
  12. CricketArchive: match scorecard. Retrieved on 7 November 2008.
  13. second first-class appearance
  14. Sobers (2002), p. 36.
  15. CricketArchive: match scorecard. Retrieved on 8 November 2008.
  16. Sobers (2002), pp. 38–40.
  17. "Records / West Indies / Test matches / Most matches as captain"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৯ 
  18. "Records / West Indies / Test matches / Most runs"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৯ 
  19. "Wisden Cricketers of the Year" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ফ্রাঙ্ক ওরেল
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৬৪-৬৫ থেকে ১৯৭১-৭২
উত্তরসূরী
রোহন কানহাই
পূর্বসূরী
নরম্যান হিল
নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৬৮-১৯৭১
উত্তরসূরী
ব্রায়ান বোলাস
পূর্বসূরী
ব্রায়ান বোলাস
নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৭৩
উত্তরসূরী
জ্যাক বন্ড
রেকর্ড
পূর্বসূরী
লেন হাটন
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান
৩৬৫*
উত্তরসূরী
ব্রায়ান লারা