শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
জন্ম মৃত্যু |
পাতার লিঙ্ক |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
== প্রারম্ভিক জীবন == |
== প্রারম্ভিক জীবন == |
||
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ |
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারততে]] [[খুলনা জেলা]]<nowiki/>য় জন্মগ্রহন করেন, তার পিতার নাম ছিল দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটবেলায় [[হুগলী জেলা]]য় চলে আসেন। [[হুগলী মহসিন কলেজ|হুগলী মহসিন কলেজে]] পড়া শেষ করে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এম এস সি পাশ করেন গনিতে। পড়াকালীন প্রবাসীনী দেবীকে বিবাহ করেন তিনি। ১৯২০ সালে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলননে]] যোগ দিয়েছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.anandabazar.com/supplementary/kolkatakorcha/kolkatar-korcha-1.446490|title=শ্রমিক নেতা|last=|first=|date=|website=|publisher=আনন্দবাজার পত্রিকা|access-date=২১ জানুয়ারী, ২০১৮}}</ref> |
||
== বিপ্লবী কর্মকান্ড == |
== বিপ্লবী কর্মকান্ড == |
||
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার চেষ্টায় তিনি ১৯২১ সালে [[সোভিয়েত রাশিয়া]] চলে যান আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে। এই সময় তিনি দীর্ঘ পথ পদব্রজে |
[[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে]] বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার চেষ্টায় তিনি ১৯২১ সালে [[সোভিয়েত রাশিয়া]] চলে যান আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে। এই সময় তিনি দীর্ঘ পথ পদব্রজে অতিক্র্ম করেছিলেন। [[মস্কো]]তে [[লেনিন|লেনিনে]]<nowiki/>র মরদেহ নিয়ে যেদিন শোকমিছিল বের হয় সেইদিন তিনি সেখানে পোউছান ও মিছিলে যোগদান করেন। [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তাননে]] থাকাকালীন সেখানকার হাবিবিয়া কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপনা করতেন, রাজা আমানুল্লার সাথে তার আলাপ হয়। [[কাবুল|কাবুলে]] ব্রিটিশবিরোধী অস্থায়ী ভারত সরকার গঠনে তিনি ছলেন অন্যতম প্রধান স্থপতি। মস্কোতে থাকাকালীন প্রায় সব [[বলশেভিক]] নেতার সংস্পর্শে আসেন তিনি। মস্কোর টয়লার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। পূর্ব ইউরোপের অনেক জায়গা ঘুরে ১৯২৪ সালে [[লন্ডন]] যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাসপোর্টের সমস্যায় থেকে যান ও সাপুরজি সাকলাওয়াতের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সংগী হন শিবনাথ। শ্রমিক নেতা [[ক্লিমেন্ট এট্লি]]<nowiki/>র সহযোগীতায় ১৯২৫ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফেরার পর মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় আসামী বলে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাংগালী চরিতাভিধান|last=প্রথম খন্ড|first=সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০২|isbn=81-85626-65-0|location=কলকাতা|pages=৫২২}}</ref> |
||
== শ্রমিক আন্দোলন == |
== শ্রমিক আন্দোলন == |
||
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের কানপুর সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে ঐতিহাসিক চটকল শ্রমিক ধর্মঘট পরিচালনা করেন। বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তিনি অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন, হিন্দু মজদুর সভা, ক্যালকাটা ট্রাম শ্রমিক সংগঠন, বেঙ্গল চটকল মজদুর |
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের [[কানপুর]] সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে ঐতিহাসিক চটকল শ্রমিক ধর্মঘট পরিচালনা করেন। বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তিনি অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন, হিন্দু মজদুর সভা, ক্যালকাটা ট্রাম শ্রমিক সংগঠন, বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। রেল শ্রমিক সংগঠন ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক আইন পরিষসের সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে প্রায় দশ বছর কারাবাস করেছেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সরকারী আমন্ত্রনে [[চীন]] ভ্রমণ করেন ১৯৭৫ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে সামাজিক ও ত্রানমূলক কাজ করতেন। চটকল শ্রমিকদের জন্য গড়ে তোলেন ভাটপাড়া-[[নৈহাটি]] কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৮:৩৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১১ জুলাই, ১৮৯৭ - ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮২) একজন বাঙালি শ্রমিক নেতা, সাম্যবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সোসালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ ভারততে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহন করেন, তার পিতার নাম ছিল দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটবেলায় হুগলী জেলায় চলে আসেন। হুগলী মহসিন কলেজে পড়া শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস সি পাশ করেন গনিতে। পড়াকালীন প্রবাসীনী দেবীকে বিবাহ করেন তিনি। ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলননে যোগ দিয়েছিলেন।[১]
বিপ্লবী কর্মকান্ড
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার চেষ্টায় তিনি ১৯২১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া চলে যান আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে। এই সময় তিনি দীর্ঘ পথ পদব্রজে অতিক্র্ম করেছিলেন। মস্কোতে লেনিনের মরদেহ নিয়ে যেদিন শোকমিছিল বের হয় সেইদিন তিনি সেখানে পোউছান ও মিছিলে যোগদান করেন। আফগানিস্তাননে থাকাকালীন সেখানকার হাবিবিয়া কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপনা করতেন, রাজা আমানুল্লার সাথে তার আলাপ হয়। কাবুলে ব্রিটিশবিরোধী অস্থায়ী ভারত সরকার গঠনে তিনি ছলেন অন্যতম প্রধান স্থপতি। মস্কোতে থাকাকালীন প্রায় সব বলশেভিক নেতার সংস্পর্শে আসেন তিনি। মস্কোর টয়লার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। পূর্ব ইউরোপের অনেক জায়গা ঘুরে ১৯২৪ সালে লন্ডন যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাসপোর্টের সমস্যায় থেকে যান ও সাপুরজি সাকলাওয়াতের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সংগী হন শিবনাথ। শ্রমিক নেতা ক্লিমেন্ট এট্লির সহযোগীতায় ১৯২৫ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফেরার পর মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় আসামী বলে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।[২]
শ্রমিক আন্দোলন
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের কানপুর সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে ঐতিহাসিক চটকল শ্রমিক ধর্মঘট পরিচালনা করেন। বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তিনি অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন, হিন্দু মজদুর সভা, ক্যালকাটা ট্রাম শ্রমিক সংগঠন, বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। রেল শ্রমিক সংগঠন ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক আইন পরিষসের সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে প্রায় দশ বছর কারাবাস করেছেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সরকারী আমন্ত্রনে চীন ভ্রমণ করেন ১৯৭৫ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে সামাজিক ও ত্রানমূলক কাজ করতেন। চটকল শ্রমিকদের জন্য গড়ে তোলেন ভাটপাড়া-নৈহাটি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি।
তথ্যসূত্র
- ↑ "শ্রমিক নেতা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারী, ২০১৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাংগালী চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫২২। আইএসবিএন 81-85626-65-0।