শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সূত্র যোগ
জন্ম মৃত্যু
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঙালি শ্রমিক নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সোসালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছিলেন।
'''শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়''' (১১ জুলাই, ১৮৯৭ - ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮২) একজন বাঙালি শ্রমিক নেতা, সাম্যবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সোসালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছিলেন।


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==

১৮:৩০, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১১ জুলাই, ১৮৯৭ - ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮২) একজন বাঙালি শ্রমিক নেতা, সাম্যবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সোসালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিটিশ ভারতে খুলনা জেকায় জন্মগ্রহন করেন, তার পিতার নাম ছিল দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটবেলায় হুগলী জেলায় চলে আসেন। হুগলী মহসীন কলেজে পড়া শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এস সি পাশ করেন গনিতে। পড়াকালীন প্রবাসীনী দেবীকে বিবাহ করেন তিনি। ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনে আন্দোলনে যোগ দিয়্যেছিলেন।[১]

বিপ্লবী কর্মকান্ড

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার চেষ্টায় তিনি ১৯২১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া চলে যান আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে। এই সময় তিনি দীর্ঘ পথ পদব্রজে অতিক্রক করেছিলেন। মস্কোতে লেনিনের মরদেহ নিয়ে যেদিন শোকমিছিল বের হয় সেইদিন তিনি সেখানে পোউছান ও মিছিলে যোগদান করেন। আফগানিস্তানে থাকাকালীন সেখানকার হাবিবিয়া কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপনা করতেন, রাজা আম্নুল্লার সাথে তার আলাপ হয়। কাবুলে ব্রিটিশবিরোধী অস্থায়ী ভারত সরকার গঠনে তিনি ছলেন অন্যপ্তম প্রধান স্থপতি। মস্কোতে থাকাকালীন প্রায় সব বলশেভিক নেতার সংস্পর্শে আসেন তিনি। মস্কোর টয়লার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। পূর্ব ইউরপের অনেক জায়গা ঘুরে ১৯২৪ সালে লন্ডন যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাসপোর্টের সমস্যায় থেকে যান ও সাপুরজি সাকলাওয়াতের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সংগী হন শিবনাথ। শ্রমিক নেতা ক্লিমেন্ট এটলির সহযগীতায় ১৯২৫ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফেরার পর মীরাট ষড়যন্ত্র মামলায় আসামী বলে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।[২]

শ্রমিক আন্দোলন

শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের কানপুর সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে ঐতিহাসিক চটকল শ্রমিক ধর্মঘট পরিচালনা করেন। বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে তিনি অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন, হিন্দু মজদুর সভা, ক্যালকাটা ট্রাম শ্রমিক সংগঠন, বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিওয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। রেল শ্রমিক সংগঠন ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক আইন পরিষসের সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে প্রায় দশ বছর কারাবাস করেছেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সরকারী আমন্ত্রনে চীন ভ্রমণ করেন ১৯৭৫ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে সামাজিক ও ত্রানমূলক কাজ করতেন। চটকল শ্রমিকদের জন্য গড়ে তোলেন ভাটপাড়া-নৈহাটি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি।

তথ্যসূত্র

  1. "শ্রমিক নেতা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারী, ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাংগালী চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫২২। আইএসবিএন 81-85626-65-0