সাদাত খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
বিষয়শ্রেণী
৩২ নং লাইন: ৩২ নং লাইন:


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}


[[বিষয়শ্রেণী:১৮২২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮২২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিপ্লবী]]

১৬:০১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সাদাত খান
জন্ম২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২২
মধ্যপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যুঅক্টোবর, ১৮৭৪
আন্দোলনসিপাহী বিদ্রোহ

সাদাত খান (২২ ফেব্রুয়ারি ১৮২২- ১ অক্টোবর, ১৮৭৪) ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা ও শহীদ

প্রারম্ভিক জীবন

তার পূর্বপুরুষেরা মধ্যপ্রদেশের অধিবাসী ছিলেন। সকলেই হোলকার রাজাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করতেন। সাদাত খান নিজেও ছিলেন হোলকারের ইন্দোর আর্মির অশ্বারোহী ডিভিসনের অফিসার[১]

বিদ্রোহে যোগদান

১৮৫৭ সালের ১ জুলাই ৩৫ বছর বয়েসে চাকরি ছেড়ে নিজস্ব বাহিনী ও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ অনুগামী নিয়ে বিদ্রোহে যোগ দেন। তার অনুগামীদের মধ্যে তার নিজের ভাই সর্দার খান ছাড়াও ছিলেন ভগীরথ শিলাওয়াত, বংশ গোপাল, দুর্গা প্রসাদ, দেবী সিং প্রমুখ। কর্নেল ট্রাভার্সকে মাত্র তিন ঘন্টার যুদ্ধে পরাজিত করে ইন্দোরের ব্রিটিশ রাজভবন দখল করেন, ব্রিটিশ রাজপুরুষেরা পেছনের দরজা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। নিজেকে এরপর ইন্দোরের রাজা বলে ঘোষনা করেন তিনি। সমরকুশলী সেনাপতি হওয়ার কারনে একাধিক যুদ্ধে তার রণনীতিতে ব্রিটিশ বাহিনী অপদস্থ হয়েছে। গোয়ালিয়র, সহজপুর, রাজগড়, গুনা, শিভপুরার ইংরেজকুঠিগুলি সাদাত খানের আক্রমনে ধ্বংস হলে ১৭৫৭ এর ১০ অক্টোবর জেনারেল গ্রেথেড বিপুল বাহিনী নিয়ে সাদাতের মোকাবিলা করেন। আগ্রার কাছে এই যুদ্ধে সাদাত খান প্রথম পরাজিত হন ও পলায়নে সক্ষম হন। তার সৈন্যদের অনেকেই ধরা পড়ে, তাদের ফাঁসি হয়[২]। ( ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি গ্রন্থে কার্ল মার্ক্স এই যুদ্ধের কথা লিখেছেন)[৩]

পলাতক জীবন

পলাতক অবস্থায় তিনি বিভিন্ন সময় নিজস্ব বাহিনী নিয়ে ঝটিকা আক্রমন করেছেন ইংরেজের ওপর। ১৭ বছর ধরে পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। তার মাথার দাম ঘোষিত হয় তৎকালীন আমলে ৫০০০ টাকা। মহাবিদ্রোহ দমিত হলেও আলেয়ার, সালেম্বুর, উজ্জয়িনী, বংশওয়াড়ায় বিভিন্ন জায়গায় ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছেন এই বিদ্রোহী[১]

ফাঁসি

বংশওয়াড়ার জংগলে তাকে ১৮৭৪ সালের জানুয়ারি তে গ্রেপ্তার করা হয় ও বিচারে মৃত্যুদন্ড হয়। ইন্দোরের যে রেসিডেন্সি দখল করে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন তার সামনের গাছেই সাদাত খানের ফাঁসি হয় ১ অক্টোবর ১৮৭৪[৪]। তার ভাই সর্দার খানেরও ফাঁসি হয়েছিল। তাকে যেখানে ফাঁসি দেওয়া হয় সেইস্থানে একটি স্মারকস্তম্ভ বর্তমান[১]

তথ্যসূত্র

  1. Isha Badoniya (July 2, 2015)। "Total Recall"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ 22.01.2017  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. শান্তিময় রায় (২০১৩)। ভারতের মুক্তি সংগ্রামে মুসলিম অবদান। কলকাতা: মল্লিক ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১২১। আইএসবিএন 81-7999-030-3 
  3. প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ, মার্ক্স, এঙ্গেলস (১৯৭১)। ২০ সেপ্টেম্বর। মস্কো: প্রগতি প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২০২। 
  4. পুরন্দর ভাট, সাদাতখানের শাহাদত (২০১৬)। ফেসবুক থেকে রাস্তায়। কলকাতা: অপ্রচলিত পত্রিকা প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭৮।