ফনী ভূষণ মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সমাপ্ত
সংশোধন
২২ নং লাইন: ২২ নং লাইন:


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

{{Reflist|30em}}
{{Reflist|30em}}
==আরও দেখুন==
[[মোশতাক আহমেদ মন্ত্রীসভা]]

[[বিষয়শ্রেণী:১৯০১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এ মৃত্যু]]

০৭:৫০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফনী ভূষণ মজুমদার
উপাধিমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলআওয়ামী লীগ

ফনী ভূষণ মজুমদার আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী।

প্রথম জীবন

ফনী ভূষণ মজুমদারের জন্ম ১৯০১ সালে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সেন্দিয়া গ্রামে। পিতার নাম সতীশ চন্দ্র মজুমদার এবং তিনি প্রথমে মাদারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে, পরে বাঁকুড়া কলেজ এবং কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশুনা করেন। তিনি সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, কলকাতা থেকে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[১][২]

পেশাগত জীবন

তিনি ১৯১৯ সালে বিপ্লবী দলে যোগ দেন এবং গুপ্ত সমিতির সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯২৫ সালে মাদারীপুর শান্তি সেনাবাহিনীর সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারনে তিনি ১৯৩০ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কারাভোগ করেন। তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন[৩] তিনি ১৯৪০ সালে সুভাষচন্দ্র বসু সঙ্গে হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হন। তিনি জেল থেকে মুক্তি পান ১৯৪৬ সালে।

তিনি ১৯৪৮ সালে মাদারীপুর মহকুমা তাঁতী সমবায় সমিতি গঠন করেন । ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকার কারনে তিনি ১৯৪৮ সালে এবং ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সময়ে কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৪৯ সাল থেকে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রাদেশিক পরিষদে নিরবান করেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারী হলে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। তিনি পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে ১৯৬৫ সালে গ্রেপ্তার হন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন তিনি ১৯৬৯ সালে মুক্তি পান।

ফনী ভূষণ মজুমদার ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক কাউন্সিল, অঞ্চল-২ -এর(যশোর-ফরিদপুর) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের লোকসভায়ও ভাষণ দেন।

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে তিনি খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড পরবর্তীসময়ে তিনি মোশতাক আহমেদ মন্ত্রীসভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ছিলেন।[৪][৫] তিনি ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মৃত্যু

১৯৮১ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "Majumdar, Phanibhushan - Banglapedia"en.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৬ 
  2. "Reminiscence of Revolutionary Leader Phani Bhusan Majumder (1902-1981) | Asian Tribune"asiantribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৬ 
  3. Rahman, Sheikh Mujibur (২০১২-০৬-০১)। Sheikh Mujibur Rahman: The Unfinished Memoirs (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin UK। আইএসবিএন 9788184757033 
  4. "Phani Bhushan Majumder and memories of a war"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৬ 
  5. "Bangabandhu's men - on Aug 15 and after"The Daily Star। ২০১২-০৮-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৫-০৬ 

আরও দেখুন

মোশতাক আহমেদ মন্ত্রীসভা