হাপু গান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:
* [[আখড়াই গান]]
* [[আখড়াই গান]]
* [[হোলবোল]]
* [[হোলবোল]]
* [[জাওয়া গান]]


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৬:৫১, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হাপু গান পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বাঁকুড়া-মুর্শিদাবাদ জেলার একটি প্রাচীন গান। এই গানের প্রসার ব্যাপক না হলেও এর গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। সাধারণভাবে একে দুঃখ-বেদনার ও হাহাকারের গান বলা হলেও গভীরভাবে শুনলে বোঝা যায় হাপু গানে যে মূল সুরটি ধ্বনিত হয় তা হল প্রতিবাদী সুর।

নামকরণ

বিভিন্ন অঞ্চলে এই গান বিভিন্ন নাম পরিচিত। অঞ্চলভেদে এটি ‘হাপু’, ‘হাবু’ অথবা ‘হাফু’ নাম পরিচিত। তবে সর্বজনীনভাবে 'হাপু' নামটিই যথার্থ। ‘হাপু’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় ‘হা’ এবং ‘পু’। 'হা' এবং 'পু' এই দুটি মাত্রা এই গানে বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এই গানের নাম হাপু বলে মনে করা হয়।[১] ‘হা’ শব্দের অর্থ হা-অন্ন, বা হাহাকার এবং ‘পু’ শব্দের অর্থ পূরণ। অর্থাৎ প্রাকৃতিক সম্পদচূত্য মানুষ গান গেয়ে তাঁরা নিজেদের হাহাকার বা কষ্ট পূরণ করত, অর্থাৎ হৃতসর্বস্বের হাহাকারই এই হাপু গান।[২]

বৈশিষ্ট্য

হাপু গানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ড: আশুতোষ মহাশয় বলেছেন[৩]-

সাধারণত দুইজন লোক একসঙ্গে এই গান গাহিয়া থাকে। একজনের হাতে মদিরা বা গোপীযন্ত্র থাকে, আর একজনের হাতে ছোট একখানি লাঠি। লাঠিধারী লোকটি গান গায় এবং তাহার সঙ্গী লোকটি ধুয়া ধরে। গাহিবার পদ্ধতিটি একটু অদ্ভুত। এক পদ করিয়া গান গায়, আর মুখে একপ্রকার শব্দ করিয়া নিজের পিঠেই লাঠি দিয়ে তাল ভাজে। অবিশ্রাম লাঠি চালনার ফলে এনেকের পিঠের কালশিরা দাগ পরিয়া যায়। কতকটা নমস্কারের ভঙ্গিতে লাঠিটাই হাত দিয়া ধরিয়া থাকে।

সমাজজীবন

হাপু গানের মধ্যে দিয়ে তত্কালীন সমাজজীবনের ছবি ভেসে ওঠে। একই সঙ্গে গ্রামবাংলার অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিকাঠামোর একটি প্রেক্ষাপট পাওয়া যায়।যেমন-

১.

২.

ছড়ার ঢঙে হাপুগান

বাংলা ছড়াসাহিত্যের জগতে হাপু গানের বিশেষ ভূমিকা আছে। মুহম্মদ আয়ুব হোসেনের লিপিবদ্ধ গানগুলি থেকে ছড়ার ঢঙে হাপু গানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়। হাপু গানের গঠনকে পুরোপুরি ছড়ার গঠন বলা যায়।[১] যেমন-

আবার দেখা যায়,

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. লোকসঙ্গীত চর্চা। ৩৭/৫, বেনিয়াটোলা লেন, কলকাতা-০৯: শীতল চৌধুরী। ১৯৯৮। পৃষ্ঠা ১১। 
  2. "আনন্দবাজার পত্রিকা - মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৪ 
  3. প্রথম খণ্ড (১৯৬২)। বাংলার লোক-সাহিত্য। ক্যালকাটা বুক হাউজ ১/১, কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা-১২: শ্রীআশুতোষ ভট্টাচার্য। পৃষ্ঠা ২৭০।  line feed character in |location= at position 20 (সাহায্য)