জাওয়া গান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Bangali ind (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
Bangali ind (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৮ নং লাইন: | ১৮ নং লাইন: | ||
===জাওয়া নাচ=== |
===জাওয়া নাচ=== |
||
== উৎসব == |
|||
== বৈচিত্র্য == |
== বৈচিত্র্য == |
০৬:৩০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৬ বছর আগে Bangali ind (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
জাওয়া গান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চল তথা পুরুলিয়া জেলার পশ্চিমাংশে প্রচলিত গান। এখানের বর্ষাকালীন একটি শস্য উত্সব 'জাওয়া পরব'কে কেন্দ্র করে এখানে জাওয়া গান গাওয়া হয়। এই উৎসব ভাদু উত্সবের সমসাময়িক হলেও ভাদু উৎসবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।[১]
সময়কাল
ভাদ্র মাসে নতুন শস্য়রোপণের সময় জাওয়া উৎসব শুরু হয়। শস্য়রোপণের সময়ই এই গান গাওয়া হয়। বাংলার আরেকটি শস্য় উৎসব করম পরবের সময় এই গান গাওয়া হলেও দুটি এক উৎসব নয়। করম পরব ধানরোপণের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।[২]
সুর ও তাল
জাওয়া গানের সুরের মধ্যে একটি মিষ্টতা আছে। এর গানের তাল খুব দ্রুত। গানের সুর ক্রমশ চড়ার দিকে চলতে থাকে। গানের অন্তিম পর্বে তাল এতটাই দ্রুত থাকে যে কথা প্রায় বোঝাই যায় না। সেই সময় নৃত্যও দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। যারা এই নাচের সঙ্গে অভ্যস্ত তারা বাদে এই নাচ করতে পারা খুব কঠিন।
উৎসবকেন্দ্রীক গান
জাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গাওয়া খুব কম গানই পাওয়া যায়। গানে গাছ ও পাতার কথা আছে এমন গান হল- ১.
“ | সাইরের আইডে নীলকন্ঠের গাছ, তাই পাত করে লহু লহু। |
” |
২.
“ | শাল তলার বালি আলো জাওয়া পাতার লো এমনি জাওয়া লগ্ন হবে, বাঁশ পাতাটার পারা লো। |
” |
জাওয়া নাচ
বৈচিত্র্য
এই গানের সঙ্গে শস্য়রোপণের অথবা জাওয়া উৎসবের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গানের মধ্যে শস্য় সম্পর্কিত কথা পাওয়া যায় না। জীবনের বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ে এই গান শুনতে পাওয়া যায়। যেমন-
“ | বিরি বাড়ী জতহিতে রাঙ্গামাটি উঠি গেল, বাবু ভায়া গামছা গাবায়, |
” |
এই গানে গামছার চটক দেখে ভানুমতীর বিস্ময়ের কথা আছে। এখানে ''বিরি'' অর্থ 'কলাই', ''জতহিতে'' অর্থ 'কর্ষণে', ''কুলি'' অর্থ গাঁয়ের রাস্তা এবং ''লহর শালে'' অর্থ 'যেখানে হাসিঠাট্টা চলে'।