খনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mithila 6174 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Mithila 6174-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Masum-al-hasan-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{About|[[লীলাবতী]]|}}
{{About|[[লীলাবতী]]|}}


'''খনা''' ছিলেন প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত মহিলা জ্যোতিষী।যিনি বচন রচনার জন্যেই অধিক সমাদৃত। কথিত আছে তার আসল নাম '''[[লীলাবতী]]'''। মূলতঃ খনার ভবিষ্যতবাণীগুলোই '[[খনার বচন]]' নামে বহুল পরিচিত।
'''খনা''', বা '''ক্ষণা''' ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী; যিনি বচন রচনার জন্যেই বেশি সমাদৃত। কথিত আছে তার আসল নাম '''[[লীলাবতী]]'''। মূলতঃ খনার ভবিষ্যতবাণীগুলোই '[[খনার বচন]]' নামে বহুল পরিচিত।


== জন্ম ==
== জন্ম ==
মনে করা হয়, ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব হয়েছিল।<ref name="banglapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BE |title=খনা |website=banglapedia}}</ref> পশ্চিমবঙ্গের [[উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা]]র অন্তর্গত [[বারাসাত মহকুমা|বারাসত মহকুমা]]র দেউলি গ্রামে (বর্তমানে [[চন্দ্ৰকেতুগড়]] প্রত্নস্থল, যেটি ''খনামিহিরের ঢিবি'' নামে পরিচিত) তাঁর নিবাস ছিল বলে জনশ্রুতি আছে তাঁর পিতার নাম ছিল অনাচার্য। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ছিলেন সিংহলরাজের কন্যা।
মনে করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব হয়েছিল।<ref name="banglapedia">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BE |title=খনা |website=banglapedia}}</ref> কিংবদন্তি অনুসারে তিনি বাস করতেন পশ্চিমবঙ্গের [[উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা]]র [[বারাসাত মহকুমা]]র দেউলিয়া গ্রামে (বর্তমানে [[চন্দ্ৰকেতুগড়]] প্রত্নস্থল, যেটি ''খনামিহিরের ঢিবি'' নামে পরিচিত)। তার পিতার নাম ছিল অনাচার্য। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ছিলেন সিংহলরাজের কন্যা।


== বিবাহ ==
== বিবাহ ==

২১:৪০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খনা, বা ক্ষণা ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী; যিনি বচন রচনার জন্যেই বেশি সমাদৃত। কথিত আছে তার আসল নাম লীলাবতী। মূলতঃ খনার ভবিষ্যতবাণীগুলোই 'খনার বচন' নামে বহুল পরিচিত।

জন্ম

মনে করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব হয়েছিল।[১] কিংবদন্তি অনুসারে তিনি বাস করতেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাত মহকুমার দেউলিয়া গ্রামে (বর্তমানে চন্দ্ৰকেতুগড় প্রত্নস্থল, যেটি খনামিহিরের ঢিবি নামে পরিচিত)। তার পিতার নাম ছিল অনাচার্য। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ছিলেন সিংহলরাজের কন্যা।

বিবাহ

বিক্রমপুরের রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজ সভার প্রখ্যাত জোতির্বিদ বরাহপুত্র মিহিরকে খনার স্বামীরূপে পাওয়া যায়। কথিত আছে বরাহ তার পুত্রের জন্ম কোষ্ঠি গণনা করে পুত্রের আয়ূ এক বছর দেখতে পেয়ে শিশু পুত্র মিহিরকে একটি পাত্রে করে সমুদ্র জলে ভাসিয়ে দেন। পাত্রটি ভাসতে ভাসতে সিংহল দ্বীপে পৌছলে সিংহলরাজ শিশুটিকে লালন পালন করেন এবং পরে কন্যা খনার সাথে বিয়ে দেন।

কর্ম

খনা এবং মিহির দু'জনেই জ্যোতিষশাস্ত্রে দক্ষতা অর্জন করেন। মিহির একসময় বিক্রমাদিত্যের সভাসদ হন। একদিন পিতা বরাহ এবং পুত্র মিহির আকাশের তারা গণনায় সমস্যায় পরলে, খনা এ সমস্যার সমাধান দিয়ে রাজা বিক্রমাদিত্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গণনা করে খনার দেওয়া পূর্বাভাস রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হতো বলে রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে দশম রত্ন হিসেবে আখ্যা দেন।[২]

মৃত্যু

রাজসভায় প্রতিপত্তি হারানোর ভয়ে প্রতিহিংসায় বরাহের আদেশে মিহির খনার জিহ্বা কেটে দেন। এর কিছুকাল পরে খনার মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "খনা"banglapedia 
  2. "ক্ষণা"bani.com.bd 

বহিঃসংযোগ