চিলারায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tawhid Zubaer (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Tawhid Zubaer (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
২৮ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
চিলারায়ের জন্ম হয় ১৫১০ সনে ।
চিলারায়ের জন্ম হয় ১৫১০ সনে ।
==শিক্ষা==
==শিক্ষা==
ভাতৃ নরনারায়ন ও চিলারায় বারানস ক্ষেত্রে ব্রহ্মানন্দ বিশারদ নামক সন্যাসি থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন ।তাঁরা বারানস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সকল হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও যুদ্ধ বিদ্যায় নিপুন হন।
চিলারায়ের ভাই নরনারায়ণ ও চিলারায় বারানস ক্ষেত্রে ব্রহ্মানন্দ বিশারদ নামক সন্ন্যাসী থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। তাঁরা বারানস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সকল হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও যুদ্ধ বিদ্যায় নিপুণ হন।


==রাজ অভিষেক==
==রাজ অভিষেক==

১৪:১০, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চিলারায়
ধুবুরীতে অবস্থিত চিলারায়ের প্রতিমূর্তি
রাজত্বনরনারায়ণ
জন্ম১৫১০ সন
মৃত্যু১৫৭৭ সন
পিতাবিশ্বসিংহ
মাতাপদ্মাবতী দেবী

চিলারায়(ইংরেজি: Chilarai;অসমীয়া: চিলাৰায়) কোচ রাজবংশের সাহসী ও পারদর্শি সেনাপতি ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম শুক্লধ্বজ।[১] কমতা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাপক বিশ্বসিংহ তাঁর পিতা ছিলেন। কোচ রাজবংশের রাজা নরনারায়ণ তাঁর ভাই ছিলেন। তিনি নরনারায়নের সুদক্ষ সেনাপতি ছিলেন।তিনি ঘুড়ির (অসমীয়া ভাষায় চিলা) বেগে রণ করিতেন বলে তাঁকে চিলারায় বলা হয়। [২] দেওয়ান বা মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত ছিলেন বলে তাঁর অপর নাম চিলারায় দেওয়ান। তিনি যুদ্ধে কছাড়ী, আহোম ও ভূটিয়া সৈন্যদের পরাস্ত করেছিলেন।

জন্ম

চিলারায়ের জন্ম হয় ১৫১০ সনে ।

শিক্ষা

চিলারায়ের ভাই নরনারায়ণ ও চিলারায় বারানস ক্ষেত্রে ব্রহ্মানন্দ বিশারদ নামক সন্ন্যাসী থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। তাঁরা বারানস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সকল হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ও যুদ্ধ বিদ্যায় নিপুণ হন।

রাজ অভিষেক

চিলারায়ের পিতা বিশ্বসিংহ মৃত্যুর পূর্বে ভবিষৎ নির্ধারন করে রেখেছিলেন। সেইমতে, জেষ্ঠ পুত্র নরসিংহ বিদেশ যাওয়া, নরনারায়ন নিজ দেশে রাজত্ব করা ও চিলারায়কে রনধর্ম পালন করার জন্য আদেশ দেন। ১৫৩৩ সনে বিশ্বসিংহের মৃত্যু হয়। সেইসময়ে নরনারায়ন ও চিলারায় বারানসীতে শিক্ষা গ্রহন করিতেছিলেন। সুযোগ পেয়ে নরসিংহ রাজসিংহাসনে বসেন। রতনী ধাই নামক ব্যক্তি স্বর্গীয় রাজার আদেশ উলঙ্ঘন হওয়া দেখে নাগভোগ নামক সন্ন্যাসীর হাতে চিঠি দিয়ে নরনারায়ন ও চিলারায়কে রাজধানী আসার নির্দেশ করেন। রাজধানী পৌছে নরনারায়ন ও চিলারায় নরসিংহকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন। ১৫৩৪ সনে নরনারায়ন রাজসিংহাসনে বসেন । রাজ অভিষেক হওয়ার সময় চিলারায়ের নাম দেওয়া হয় সগ্রাম সিংহ ।

কোচ রাজ্য বিস্তার

নরনারায়ন সিংহাসনে বসে পিতৃ রাজ্য বিস্তার করার কল্পনা করেন। চিলারায়ের সাহায্যে নরনারায়ন রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। ১৫৬৩ সনের জুন মাসে চিলারায় আহোমের রাজধানী গড়গাঁও দখল করে। তিনি কাছাড় আক্রমণ করে রাজধানী মাইবং দখল কর। ফলস্বরুপ কছাড়ী রাজা কোচ রাজ্যের বশ্যতা স্বীকার করেন। কাছাড় জয় করে তিনি মণিপুর, শ্রী হট্ট, খাইরাম,চট্টগ্রাম, ডিমরুয়া ইত্যাদি রাজ্য জয় করেন। জয়ন্তীয়া রাজা, ত্রিপুরার রাজা ও সিলেটের রাজা তাঁর সৈন্যের হাতে মৃত্যুবরন করেন।

গৌড় রাজ্য আক্রমণ

গৌড় রাজ্য আক্রমণের সময় চিলারায় বন্দী হন। কিন্তু তাঁর ব্যবহারে পরিতুষ্ট হবে গৌড় রাজমাতা তাঁকে মুক্তি দেন ও পাঁচটি কন্যার সহিত বিবাহ করান। বাহার বন্দ, শেরপুর, গয়বারী ও দহকনীয়া সর্বমোট পাঁচটি পরগনা যৌতুক হিসেবে প্রাপ্ত করেন । অন্য এক ইতিহাস মতে করতোয়া নদীর পূর্ব অংশে থাকা অঞ্চলসমূহ যৌতুক রুপে প্রাপ্ত করেন। সেই সময়ে তিনি পুরুষত্তম বিদ্যাবাগীশ, পীতাম্বর সিদ্ধান্ত ও বাগীশ নামক পণ্ডিতদের গৌড় রাজ্য থেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।

বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার

চিলারায় ও নরনারায়ন শৈব ভক্ত ছিলেন। তাঁরা শিব-পার্বতীকে আরাধনা করার জন্য অসংখ্যা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু চিলারায় মহাপুরুষ শংকরদেবের সান্নিধ্যে আসার পর শংকরদেব প্রচারিত বৈষ্ণব ধর্মের প্রতি মোহিত হন। অবশেষে নরনারায়ন মহাপুরুষ শংকরদেবের গুন পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হন ও রাজসভায় পণ্ডিতের স্থান দেন। চিলারায় পরিবার সহ বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেন। মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব চিলারায় ও নরনারায়নের সহযোগীতায় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন।

মৃত্যু

১৫৭১ সনে বসন্ত রোগে চিলারায়ের মৃত্যু হয়।

বীর চিলারায় পুরস্কার

বীর চিলারায়ের স্মরনে ২০০৫ সন থেকে অসম সরকার তাঁর জন্মদিবসটিকে বীর চিলারায় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য ঘোষণা করেন। তদুপরি সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের বীর চিলারায় নামক পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তথ্যসূত্র