পূর্বাঞ্চল পর্বতমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Tawhid Zubaer (আলোচনা | অবদান) বানান ঠিক করা হয়েছে ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা |
|||
২৩ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
| easiest-route = |
| easiest-route = |
||
}} |
}} |
||
'''পাটকাই''' ({{lang-en|Patkai}}) হচ্ছে [[উত্তর-পূর্ব ভারত]] ও [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] সীমান্তে |
'''পাটকাই''' ({{lang-en|Patkai}}) হচ্ছে [[উত্তর-পূর্ব ভারত]] ও [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] সীমান্তে অবস্থিত পর্বতমালা<ref>[http://www.indianetzone.com/4/patkai_hills_or_purvanchal_ranges.htm indianetzone.com]</ref>। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকেরা এখানে বসবাস করে। পাটকাই পর্বত [[অসম]], [[অরুণাচল প্রদেশ]], [[নাগাল্যান্ড]] ছাড়াও [[মায়ানমার]] দেশেও বিস্তৃত। পাটকাই পর্বত থেকে অসমের [[বুঢ়িদিহিং নদী|বুঢ়িদিহিং]] ও [[নদিহিং নদী|নদিহিং নদীর]] উৎপত্তি হয়েছে। |
||
==ইতিহাস ও ভূগোল== |
==ইতিহাস ও ভূগোল== |
১৩:৫২, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পাটকাই | |
---|---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
শিখর | Mount Saramati[১] |
উচ্চতা | ৩,৮২৬ মিটার (১২,৫৫২ ফুট) |
ভূগোল | |
অবস্থান | India, Burma |
পাটকাই (ইংরেজি: Patkai) হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তে অবস্থিত পর্বতমালা[২]। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকেরা এখানে বসবাস করে। পাটকাই পর্বত অসম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ছাড়াও মায়ানমার দেশেও বিস্তৃত। পাটকাই পর্বত থেকে অসমের বুঢ়িদিহিং ও নদিহিং নদীর উৎপত্তি হয়েছে।
ইতিহাস ও ভূগোল
পাটকাই পর্বত বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গাড়ি চলাচল করার জন্য ষ্টিলওয়েল পথ নির্মাণ করা হয়েছিল। অসমের রাজনৈতিক ইতিহাসের সহিত পাটকাইয়ের সম্পর্ক সুগভীর।চীনের য়ুনান প্রদেশে অবস্থিত মংমাও রাজ্য থেকে আগত রাজকুমার চুকাফা পাটকাই পর্বত অতিক্রম করে অসমে আহোম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আহোম রাজ্য আক্রমণ করার জন্য মানেরা পাটকাইয়ের গিরিপথে অসমে এসেছিলেন। এই গিরিপথেই চিংফৌ, তাংসা, নক্তে ইত্যাদি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীরা অসমে প্রবেশ করেন। কয়েকটি ছোট ছোট জনজাতি পাটকাইয়ের পাদদেশে স্থাপিত হয়েছিল।
জৈব বৈচিত্র
অঞ্চলটি জৈব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। অরুণাচলের নামদফা রাষ্ট্রীয় উদ্যান বিশ্ববিখ্যাত। এই রাষ্ট্রীয় উদ্যানে বাংলা বাঘ দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের প্রকাশ করা এক গবেষণা পত্রের অনুযায়ী নামদফা অঞ্চলে ১৩ প্রকারের কেঁচো, ৫ প্রকারের জোক, ৪৩০ প্রকারের পতঙ্গ, ১৪০ প্রকারের প্রজাপতি, ৭৬ প্রকারের মাছ, ২৫ প্রকারের পাখি রয়েছে।
জনগোষ্ঠী
পাটকাই পর্বতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনজাতির মানুষের আবাসস্থল। এই জনগোষ্ঠী সমূহের জীবন, সমাজ ও পরম্পরাগত সংস্কৃতি প্রাকৃতিক অবস্থার জন্য বিপন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে পাটকাই অঞ্চলে বসবাস করা কয়েকটি জনগোষ্ঠীর লোক তাদের মাতৃভাষা হারিয়েছেন। পাটকাইয়ে থাকা নগা জনগোষ্ঠীর কিছু লোক অরুণাচলের বহুসংখ্যক জনগোষ্ঠীর লোক এখানেই বসবাস করেন। এদের মধ্যে খামতি, চিংফৌ, টাংসা[৩], টুটসা, নক্তে, ওয়াংসু[৪] ইত্যাদিরা উল্লেখযোগ্য জনজাতি। এই প্রধান জনজাতির মধ্যে উপজাতিও রয়েছে। টাংসা জনজাতির মধ্যে ১৮টি উপজাতি আছে।