নবদ্বীপের ভদ্রকালী মাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পশ্চিমবাংলা (আলোচনা | অবদান) নতুন পাতা |
পশ্চিমবাংলা (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
| Mount = সিংহ |
| Mount = সিংহ |
||
}} |
}} |
||
'''ভদ্রকালী মাতা''' হলেন পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের বাঙালিদের শাক্তরাস উৎসবের শক্তি আরাধনার পৌরাণিক দেবী। তিনি প্রধানত [[বাংলার]] কুলদেবী। বাংলায় হাজার হাজার বছর ধরে তাঁর আরাধনা হয়ে আসছে। পালযুগের পাওয়া মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিগুলি প্রকৃত পক্ষে ভদ্রকালী রূপেই আরাধনা করা হত বলে মনে করা হয়। শ্রী শ্রী চণ্ডী ও মার্কেন্ডেও পুরাণ অনুযায়ী দেবী ভদ্রকালী রূপে মহিষ মর্দন করেন, তাই তিনি মহিষাসুরমর্দিনী। আবার দেবী সরস্বতীকেও ভদ্রকালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। [[ |
'''ভদ্রকালী মাতা''' হলেন পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের বাঙালিদের শাক্তরাস উৎসবের শক্তি আরাধনার পৌরাণিক দেবী। তিনি প্রধানত [[বাংলার]] কুলদেবী। বাংলায় হাজার হাজার বছর ধরে তাঁর আরাধনা হয়ে আসছে। পালযুগের পাওয়া মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিগুলি প্রকৃত পক্ষে ভদ্রকালী রূপেই আরাধনা করা হত বলে মনে করা হয়। শ্রী শ্রী চণ্ডী ও মার্কেন্ডেও পুরাণ অনুযায়ী দেবী ভদ্রকালী রূপে মহিষ মর্দন করেন, তাই তিনি মহিষাসুরমর্দিনী। আবার দেবী সরস্বতীকেও ভদ্রকালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। [[নবদ্বীপের শাক্তরাস]] উৎসবে ভদ্রকালীর আরাধনা ৪০০ বছরেরও অধিক প্রাচীন বলে মনে করা হয়। [[বাল্মীকি]] রামায়ণ অনুযায়ী পাতালপুরির রাক্ষসরাস মহীরাবনের আরাধ্যাদেবী হলেন ভদ্রকালী। মহীরাবন রাম ও লক্ষণকে পাতালে নিয়ে যায় দেবীর সামনে বলি দেওয়ার জন্য। কিন্তু, রাম ভক্ত হুনুমান মহিরাবন বধ করে রাম ও লক্ষণকে নিয়ে উদ্বার করেন। রামের নির্দেশে হুনুমান মহিরাবনের দেবী ভদ্রকালীকে মর্তলোকে নিয়ে আসেন এবং বঙ্গদেশে বর্ধমানের ক্ষিরগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন। [[নবদ্বীপের শাক্তরাস]] উৎসবে দেবীকে এই রূপেই আরাধনা করা হয় ।। |
১৯:০০, ২৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভদ্রকালী মাতা |
---|
ভদ্রকালী মাতা হলেন পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের বাঙালিদের শাক্তরাস উৎসবের শক্তি আরাধনার পৌরাণিক দেবী। তিনি প্রধানত বাংলার কুলদেবী। বাংলায় হাজার হাজার বছর ধরে তাঁর আরাধনা হয়ে আসছে। পালযুগের পাওয়া মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিগুলি প্রকৃত পক্ষে ভদ্রকালী রূপেই আরাধনা করা হত বলে মনে করা হয়। শ্রী শ্রী চণ্ডী ও মার্কেন্ডেও পুরাণ অনুযায়ী দেবী ভদ্রকালী রূপে মহিষ মর্দন করেন, তাই তিনি মহিষাসুরমর্দিনী। আবার দেবী সরস্বতীকেও ভদ্রকালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবদ্বীপের শাক্তরাস উৎসবে ভদ্রকালীর আরাধনা ৪০০ বছরেরও অধিক প্রাচীন বলে মনে করা হয়। বাল্মীকি রামায়ণ অনুযায়ী পাতালপুরির রাক্ষসরাস মহীরাবনের আরাধ্যাদেবী হলেন ভদ্রকালী। মহীরাবন রাম ও লক্ষণকে পাতালে নিয়ে যায় দেবীর সামনে বলি দেওয়ার জন্য। কিন্তু, রাম ভক্ত হুনুমান মহিরাবন বধ করে রাম ও লক্ষণকে নিয়ে উদ্বার করেন। রামের নির্দেশে হুনুমান মহিরাবনের দেবী ভদ্রকালীকে মর্তলোকে নিয়ে আসেন এবং বঙ্গদেশে বর্ধমানের ক্ষিরগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন। নবদ্বীপের শাক্তরাস উৎসবে দেবীকে এই রূপেই আরাধনা করা হয় ।।