কোচি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৯°৫৮′ উত্তর ৭৬°১৭′ পূর্ব / ৯.৯৭° উত্তর ৭৬.২৮° পূর্ব / 9.97; 76.28
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Cochin_Corporation_Flag.jpg" সরানো হয়েছে, কমন্স হতে Ronhjones এটি মুছে ফেলেছেন কারণ: Copyright violation: derivate work incorporating the nonfree
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
৭৬ নং লাইন: ৭৬ নং লাইন:


এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

==খেলাধূলা==


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৮:৪৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কোচি
കൊച്ചി
Cochin
শহর
ডাকনাম: আরব সাগরের রানী[১][২]
কোচি কেরল-এ অবস্থিত
কোচি
কোচি
কেরল, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৯°৫৮′ উত্তর ৭৬°১৭′ পূর্ব / ৯.৯৭° উত্তর ৭৬.২৮° পূর্ব / 9.97; 76.28
দেশ ভারত
রাজ্যকেরল
জেলাএরনাকুলম
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৫,৯৬,৪৭৩
ভাষা
 • অফিসিয়ালমালায়ালম, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)

কোচি (মালয়ালম: കൊച്ചി) বা কোচিন দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের কেরল অঙ্গরাজ্যের একটি বন্দর শহর। এটি এরনাকুলম জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনাধীন এলাকা। কেরল রাজ্যের সবচেয়ে বড় এই শহরটি মালাবার উপকূলে আরব সাগরের তীরে অবিস্থিত। শহরটি একটি সরু ভূখণ্ডের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। এটি দৈর্ঘ্যে ১৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থে বহুস্থানে ১ মাইলেরও কম প্রশস্ত। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে সমুদ্র প্রণালী দ্বারা এবং পশ্চিম ঘাট থেকে আগত নদীসমূহের মোহনা দ্বারা বিচ্ছিন্ন। বর্ষাকালে এই খাঁড়িগুলিতে নৌচালনা করা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে এগুলির গভীরতা ২ ফুটেরও কম হয়ে যায়, ফলে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এগুলিতে কোন নৌপরিবহন সম্ভব হয় না। বড় জাহাজগুলিকে শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে নোঙর ফেলতে হয়। কোচি মালাবার উপকূলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এটি কেরল রাজ্যের নারকেল তেল উৎপাদনের কেন্দ্র। নারকেল থেকে প্রস্তুত বিভিন্ন দ্রব্য এখানকার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। চাল বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। কোচিতে জাহাজ নির্মাণ, করাত কল, মাছ ধরা এবং নারকেলের ছোবড়ার পাটি বানানো এখানকার প্রধান শিল্প। এখানে রয়েছে সরকারী জাহাজ নির্মাণ কারখানা ( কোচিন শিপ ইয়ার্ড )। কেন্দ্রীয় মৎস্য শিকার কেন্দ্র এবং মৎস্য গবেষণাগার কোচিনে অবস্থিত। এছাড়া কোচিতে একটি তৈল শোধনাগার আছে। এই শহরে আঞ্চলিক কাঁচামাল সরবরাহের উপর ভিত্তি করে রপ্তানীযোগ্য নারিকেল তেল, দড়ি ও মশলা শিল্প গড়ে উঠেছে।

পর্তুগিজেরা ১৫০০ সালে কোচি দখল করে। এর দুই বছর পরে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা এখানে একটি কারখানা স্থাপন করেন। ১৫০৩ সালে পর্তুগিজের এখানে ভারতে ইউরোপীয়দের প্রথম দুর্গ নির্মাণ করে। ১৫৭৭ সালে জেসুইটরা কোচিতে ভারতীয় অক্ষরে প্রথম ছাপা বই প্রকাশ করে। ১৬৩৪ সালে ইংরেজরা এখানে আসে, কিন্তু ওলন্দাজেরা তাদেরকে বিতাড়িত করে। ওলন্দাজেরা ১৬৬৩ সালে কোচিন দখল করে এবং এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে। ব্রিটিশরা ভারত বিজয়ের সময় শহরটি দখল করলেও ওলন্দাজদেরকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত এটি শাসন করতে দেয়। ঐ বছর শহরটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে আসে। ১৯৩৬ সালে কোচিন সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে আসে এবং একটি প্রধান বন্দরের মর্যাদা পায়। ১৯৪৭ সালে কোচি স্বাধীন ভারতের অংশে পরিণত হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কোচি শহরের জনসংখ্যা হল ৫৯৬,৪৭৩ জন।[৪] এর মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৮৬%, । পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৭%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোচি এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

খেলাধূলা

তথ্যসূত্র

  1. K. C. Sivaramakrishnan (২০০৬)। People's Participation in Urban Governance। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 156। আইএসবিএন 81-8069-326-0 
  2. Ganesh Kumar। Modern General Knowledge। Upkar Prakashan। পৃষ্ঠা 194। আইএসবিএন 81-7482-180-5 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ernakulam.nic.in নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২৬, ২০০৭