রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
বানান
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
}}
}}


'''রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ''', [[শিবনাথ শাস্ত্রী]] রচিত একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ ।<ref>[http://banglapedia.search.com.bd/HT/S_0333.htm বাংলাপেডিয়া শিবনাথ শাস্ত্রী]</ref>. গ্রন্থটি তাঁর লেখা অন্যতম শ্রেষ্ট প্রবন্ধ পুস্তক। গ্রন্থটি ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির এক উৎকৃষ্ট নির্ভরযোগ্য দলিল রুপে পরিচিত।
'''রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ''', [[শিবনাথ শাস্ত্রী]] রচিত একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ । <ref>[http://banglapedia.search.com.bd/HT/S_0333.htm বাংলাপেডিয়া শিবনাথ শাস্ত্রী]</ref>. গ্রন্থটি তাঁর লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ পুস্তক। গ্রন্থটি ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির এক উৎকৃষ্ট নির্ভরযোগ্য দলিল রূপে পরিচিত।


১৩ই আগষ্ট ১৮৯৮ সালে [[রামতনু লাহিড়ী]]র জীবনাবসান ঘটে। তাঁর শ্রাদ্ববাসরে আনেকের সহিত রামতনুর পুত্র শরৎকুমারও তাঁর পিতার একটি জীবনী লেখার জন্য শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়কে অনুরোধ করেন। রামতনুর মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯০১ সালে শিবনাথ শাস্ত্রী এই গ্রন্থটি রচনায় প্রবৃত্ত হন।১৯০৩ সালে রচনাটি শেষ করেন।<Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮ </ref>
[[১৩ই আগষ্ট]] [[১৮৯৮]] সালে [[রামতনু লাহিড়ী]]র জীবনাবসান ঘটে। তাঁর শ্রাদ্ধবাসরে অনেকের সঙ্গে রামতনুর পুত্র শরৎকুমারও তাঁর পিতার একটি জীবনী লেখার জন্য [[শিবনাথ শাস্ত্রী]] মহাশয়কে অনুরোধ করেন। রামতনুর মৃত্যুর তিন বছর পর [[১৯০১]] সালে [[শিবনাথ শাস্ত্রী]] এই গ্রন্থটি রচনায় প্রবৃত্ত হন। [[১৯০৩]] সালে রচনাটি শেষ করেন। <Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮ </ref>


রামতনু লাহিড়ীর সঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রীর পরিচয় [[২২শে আগষ্ট]] [[১৮৬৯]] সালে ও তার পর থেকে তা দীর্ঘ ২৯ বছরের গাঢ় পরিচয় ঘনীভূত হয়েছিল।<Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-৫০ </ref> প্রথমে শাস্ত্রী মশাই শুধু মাত্র রামতনু লাহিড়ীর জীবনী লিখবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখেছিলেন [[১৮১৩]] সাল থেকে [[১৮৯৮]] সাল পর্যন্ত রামতনু লাহিড়ীর জীবন ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসের সহিত ব্যাপ্ত। তাই পরে ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’যুক্ত করেন। <Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮ </ref>


স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে ১৯ শতকের যেসব মনীষী [[বাংলার নবজাগরণ|নবজাগরণের]] সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাঁরাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন। চরিত্র গ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্য যে এর ঐতিহাসিকতায় একথা তিনি জানতেন। তাই গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করনের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন-{{cquote| মনে এই একটা সন্তোষ রহিল যে, বঙ্গদেশের সামাজিক ইতিবৃত্তের কয়েক অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়ের কিয়দংশ রাখিয়া গেলাম; এবং যে সকল মানুষ জন্মিয়া বঙ্গদেশকে লোকচক্ষে উন্নয় করিয়াছেন তাঁহাদের জীবনের স্থূল কথা রাখিয়া গেলাম।}} <Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৮ </ref>
রামতনু লাহিড়ীর সহিত শিবনাথ শাস্ত্রী পরিচয় ২২শে আগষ্ট ১৮৬৯ সালে ও তার পর থেকে তা দীর্ঘ ২৯ বছরের গাঢ় পরিচয় ঘনিভূত হয়েছিল।<Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-৫০ </ref> প্রথমে শাস্ত্রী মশাই শুধু মাত্র রামতনু লাহিড়ীর জীবনী লিখবেন ভেবেচজিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখেছিলেন ১৮১৩ সাল থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত রামতনু লাহিড়ীর জীবন ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসের সহিত ব্যাপ্ত। তাই পরে ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’যুক্ত করেন।<Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮ </ref>

স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে ১৯ শতকের যেসব মনীষী নব্জাগরণের সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল, তারাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন।চরিত্র গ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্যযে এর ঐতিহাসিকতায় একথা তিনি জানতেন। তাই গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করনের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন-{{cquote| মনে এই একটা সন্তোষ রহিল যে, বঙ্গদেশের সামাজিক ইতিবৃত্তের কয়েক অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়ের কিয়দংশ রাখিয়া গেলাম; এবং যে সকল মানুষ জন্মিয়া বঙ্গদেশকে লোকচক্ষে উন্নয় করিয়াছেন তাঁহাদের জীবনের স্থূল কথা রাখিয়া গেলাম।}}<Ref>শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৮ </ref>


অন্যদিকে গ্রন্থটি ছিল এক শতাব্দী ধরে বাঙ্গালীর অনুশীলিত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তার সমন্বায়িত ইতিহাস। গ্রন্থটির ইংরাজি অনুবাদক স্যার রোপার লেথব্রিজ<ref>[https://www.vedamsbooks.com/no38538.htm A History of the Renaissance in Bengal : Ramtanu Lahiri: Brahman and Reformer/Sivanath Sastri<!-- Bot generated title -->]</ref>তাই মন্তব্য করেছেন –{{cquote| The pandit’s work is quite the most scholarly book of its kind, as well as the most serious and sustained effort to combine, in a biographical work, original and Western modes of thought that has yet appeared in Bengali}}
অন্যদিকে গ্রন্থটি ছিল এক শতাব্দী ধরে বাঙ্গালীর অনুশীলিত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তার সমন্বায়িত ইতিহাস। গ্রন্থটির ইংরাজি অনুবাদক স্যার রোপার লেথব্রিজ<ref>[https://www.vedamsbooks.com/no38538.htm A History of the Renaissance in Bengal : Ramtanu Lahiri: Brahman and Reformer/Sivanath Sastri<!-- Bot generated title -->]</ref>তাই মন্তব্য করেছেন –{{cquote| The pandit’s work is quite the most scholarly book of its kind, as well as the most serious and sustained effort to combine, in a biographical work, original and Western modes of thought that has yet appeared in Bengali}}

১১:৫২, ৬ মার্চ ২০০৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ
[[চিত্র:|200px]]
লেখকশিবনাথ শাস্ত্রী
দেশভারত
ভাষাবাংলা
বিষয়জীবনীমূলক
প্রকাশনার তারিখ
১৯০৪
ইংরেজিতে প্রকাশিত
১৯০৭

রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ , শিবনাথ শাস্ত্রী রচিত একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ । [১]. গ্রন্থটি তাঁর লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ পুস্তক। গ্রন্থটি ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির এক উৎকৃষ্ট নির্ভরযোগ্য দলিল রূপে পরিচিত।

১৩ই আগষ্ট ১৮৯৮ সালে রামতনু লাহিড়ীর জীবনাবসান ঘটে। তাঁর শ্রাদ্ধবাসরে অনেকের সঙ্গে রামতনুর পুত্র শরৎকুমারও তাঁর পিতার একটি জীবনী লেখার জন্য শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়কে অনুরোধ করেন। রামতনুর মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯০১ সালে শিবনাথ শাস্ত্রী এই গ্রন্থটি রচনায় প্রবৃত্ত হন। ১৯০৩ সালে রচনাটি শেষ করেন। [২]

রামতনু লাহিড়ীর সঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রীর পরিচয় ২২শে আগষ্ট ১৮৬৯ সালে ও তার পর থেকে তা দীর্ঘ ২৯ বছরের গাঢ় পরিচয় ঘনীভূত হয়েছিল।[৩] প্রথমে শাস্ত্রী মশাই শুধু মাত্র রামতনু লাহিড়ীর জীবনী লিখবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখেছিলেন ১৮১৩ সাল থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত রামতনু লাহিড়ীর জীবন ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসের সহিত ব্যাপ্ত। তাই পরে ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’যুক্ত করেন। [৪]

স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে ১৯ শতকের যেসব মনীষী নবজাগরণের সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাঁরাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন। চরিত্র গ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্য যে এর ঐতিহাসিকতায় একথা তিনি জানতেন। তাই গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করনের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন-

[৫]

অন্যদিকে গ্রন্থটি ছিল এক শতাব্দী ধরে বাঙ্গালীর অনুশীলিত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তার সমন্বায়িত ইতিহাস। গ্রন্থটির ইংরাজি অনুবাদক স্যার রোপার লেথব্রিজ[৬]তাই মন্তব্য করেছেন –

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাপেডিয়া শিবনাথ শাস্ত্রী
  2. শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮
  3. শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-৫০
  4. শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৭-২৮
  5. শিবনাথ শাস্ত্রী –বারিদবরন ঘোষ-সাহিত্য অকাদেমি - পৃষ্টা-২৮
  6. A History of the Renaissance in Bengal : Ramtanu Lahiri: Brahman and Reformer/Sivanath Sastri