মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপসারণ; [[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষা প্র...
৮১ নং লাইন: ৮১ নং লাইন:


[[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]]
[[বিষয়শ্রেণী:ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]]

১৫:৪২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ
Muminunnisa Govt. Mohila College
মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের প্রধান দরজা
ধরনপাবলিক
স্থাপিত১৯৫৯
অধিভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষএন. এম. শাহজাহান সরকার
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৮০
শিক্ষার্থী৭,০০০+ [১]
অবস্থান
ময়মনসিংহ
,
ঢাকা
,
বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ওয়েবসাইটঅফিশিয়াল ওয়েবসাইট
মানচিত্র

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি সরকারী কলেজ। শহরের টাউনহলের বিপরীতে এই কলেজটির অবস্থান। এই কলেজটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষা বাস্তবায়নে এই কলেজ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ইতিহাস

প্রায় ৭০ বছর পূর্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষাকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে এই কলেজ স্থাপিত হয়। সর্বজনপরিচিত সমাজসেবক আলহ্বাজ সজুতুর রহমান খান,মজুতুর রহমান খান (এম.আর খান),আলহ্বাজ ফয়েজ উদ্দিন খান, মফিজ উদ্দিন খান সাহেবদের মাতা মুমিনুন্নিসা এর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এম. আর. খান কোম্পানি ১৯৫২ সালে মুমিনুন্নিসা কলেজের ভূমি ক্রয় করে দালান তৈরি করেন এবং প্রথমে নিজেদের ব্যাবস্থাপনায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হতো । এই কোম্পানিটি সকল ভাই এর সমন্বয়ে পার্টনারশিপ কোম্পানি যা ব্রিটিশ আমল থেকে চা, পাটের ব্যাবসা সহ অনেক ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই কলেজের অবকাঠামোর সিংহভাগ অর্থই এই কোম্পানি প্রদান করে। এম.আর. খান সাহেব নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধনী ও সমাজসেবক ব্যাক্তিগণের নিকট হতেও কলেজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। বেগম মুমিনুন্নিসার জন্ম ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার কামারগাও ইউনিয়নের উলামাকান্দি গ্রামে।পরিনত বয়সে পার্শবর্তি হুগলা ইউনিয়নে বিশিষ্ট গৃহস্ত মরহুম এলাদাত খান সাহেবের একমাত্র পুত্র জনাব দুর্লভ খান এর সহিত নিকা্হ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বেগম মুমিনুন্নিসা মৃত্যুর পর তারঁ শসুরবাড়ী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হুগলা ইউনিয়নের ভিকুনিয়া গ্রামে চীরশায়িত রয়েছেন। গণশিক্ষা অধিদপ্ত্রের পরিচালক মোঃ শামসুল হক ২৯ শে জুলাই ১৯৫৯ সালে এই কলেজ উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন শিক্ষাবিদ আলহ্বাজ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। বিজ্ঞান শাখা চালু হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮-৯৯ সেশনে ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাস্টার্স কোর্স শুরু হয় ২০০১-২০০২ সেশনে। উদ্ভিদবিদ্যায় ২০১৩-১৪ সেশনে ও প্রাণীবিদ্যায় অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনে চালু হয়।[২]

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা

দুইটি অনুষদে বিভাগের সংখ্যা ১৪ টি। বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৮০ জন। বর্তমানে ৩ জন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ১৩ জন, সহকারী অধ্যাপক ২০ জন, প্রভাষক ৩৫ জন, প্রদর্শক ৪ জন এবং একজন করে শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহগ্রন্থাগারিক কর্মরত রয়েছেন।[৩]

শিক্ষা ব্যবস্থা

উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখায়,স্নাতক (পাস) কোর্সে বিএ, বিএসএস, বিএসসি,স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভূগোল ও পরিবেশ, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা এবং স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে বাংলা, ইংরেজী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণিত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন ও অর্থনীতি পড়ানো হয়।[৪]

ছাত্রীনিবাস

ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য দুইটি ছাত্রী হোস্টেল আছে।[৫]

গ্রন্থাগার

সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটিতে পুস্তকসংখ্যা প্রায় ১৬০০০ ।

অর্জন

১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার পায়। ১৯৯৮ সালে কলেজের প্রিন্সিপাল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে পুরষ্কার পান। ঢাকা বোর্ড কর্তৃক আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বৈত ব্যাডমিন্টনে রানার্সআপ হয় কলেজের মেয়েরা।[৬]

কৃতী শিক্ষার্থী

বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইফফাত আরা এই কলেজ থেকে ১৯৬৮ অনার্স পাস করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "ছাত্রী সংখ্যা" 
  2. "ইতিহাস" 
  3. "প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা" 
  4. "শিক্ষা ব্যবস্থা" 
  5. "ছাত্রীনিবাস" 
  6. "অর্জন"