টেনিদা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
→ছোট গল্প: বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
| ৮৪ নং লাইন: | ৮৪ নং লাইন: | ||
*ভজগৌরাঙ্গ কথা <ref>'''টেনিদা ট্রেজারি''' ব্লগ : https://tenida-treasury.blogspot.in/p/tenida-tales.html</ref> |
*ভজগৌরাঙ্গ কথা <ref>'''টেনিদা ট্রেজারি''' ব্লগ : https://tenida-treasury.blogspot.in/p/tenida-tales.html</ref> |
||
{{div col end}} |
{{div col end}} |
||
মোঃ খালিদ হাসান সজীব 01843682129 |
|||
===নাটিকা=== |
===নাটিকা=== |
||
০৮:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
| টেনিদা | |
|---|---|
 "টেনিদা সমগ্র"-এর প্রচ্ছদে টেনিদা | |
| স্রষ্টা | নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় |
| ডাকনাম | টেনি ভজা |
| লিঙ্গ | পুরুষ |
| ধর্ম | হিন্দু |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
টেনিদা বা টেনি বা ভজহরি মুখার্জি হলো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র।
চরিত্র
টেনিদা মূলত উত্তর কলকাতার পটলডাঙায় বসবাসরত একটি স্থানীয় চরিত্র। টেনিদার প্রকৃত নাম ভজহরি মুখার্জি। পটলডাঙার আশেপাশে বসবাসরত চার তরুণ ছেলেদের একটি দলের নেতা টেনিদা পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলেন না। সাত বারের চেষ্টাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তিনি। টেনিদা বিখ্যাত ছিলেন তার খাঁড়ার মত নাকের জন্যে, গড়ের মাঠে গোরা পেটানোর জন্যে। আর তার বিখ্যাত সংলাপ, "ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক"। টেনিদা সম্বন্ধে গল্পলেখক প্যালারাম লিখেছেন, "টেনিদাকে নইলে আমাদের যে একটি দিনও চলে না। যেমন চওড়া বুক - তেমনি চওড়া মন।" "পাড়ার কারও বিপদ-আপদ হলে টেনিদাই গিয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের আগে। লোকের উপকারে এক মুহুর্তের জন্য তার ক্লান্তি নেই - মুখে হাসি তার লেগেই আছে। ফুটবলের মাঠে সেরা খেলোয়াড়, ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন। আর গল্পের রাজা। এমন করে গল্প বলতে কেউ জানে না।"
টেনিদা গল্প মূলত দুই ধরণের [১], (ক) টেনিদা তাঁর তথাকথিত বীরত্বের বানানো গল্প বর্ণনা করেন।[২] (খ) টেনিদা ও প্যালা[৩] বা চার তরুণ দলের অত্যধিক উল্লসিত অ্যাডভেঞ্চারের আকর্ষণীয় এবং শেষে রহস্যময় পরিস্থিতি মাধ্যমে সমাধানের গল্প বর্ণনা।[৪] এই ছোটগল্প ব্যাপকভাবে কলকাতার উপর ভিত্তি করে রচিত।
সাহিত্যে
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় টেনিদাকে বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও ছোট গল্প এবং একটি নাটকে উপস্থাপিত করেছেন।
উপন্যাস
টেনিদাকে নিয়ে 'চার মূর্তি' নামে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম উপন্যাস লেখেন যা ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে 'অভ্যুদয় প্রকাশ মন্দির' থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পরের উপন্যাস 'চার মূর্তির অভিযান' ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে গ্রন্থাকের প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে টেনিদার আসল নাম যে ভজহরি মুখার্জি তা জানা যায়[n ১] এবং তাঁর বিখ্যাত স্লোগান 'ডি-লা-গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক্ ইয়াক্' এই উপন্যাসেই প্রথম শোনা যায়। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় টেনিদাকে নিতে যে সমস্ত উপন্যাস লিখেছেন, সেগুলি হল-
- চার মূর্তি
- চার মূর্তির অভিযান
- কম্বল নিরুদ্দেশ
- টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক
- ঝাউ-বাংলোর রহস্য
এছাড়াও নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী আশা দেবী কলম ধরেছিলেন টেনিদা পাঠকদের অনুরোধে। তাঁর হাত দিয়ে 'টেনিদার অজলাভ' উপন্যাস ও কয়েকটি ছোটগল্পও বেরিয়েছে। পটলা, মুসুরী ইত্যাদি চরিত্র সঙ্গ দিয়েছে টেনিদাকে।[৬]
ছোট গল্প
- একটি ফুটবল ম্যাচ
- দধীচি, পোকা ও বিশ্বকর্মা
- খট্টাঙ্গ ও পলান্ন
- মৎস্য-পুরাণ
- পেশোয়ার কী আমীর
- কাক-কাহিনী
- ক্রিকেট মানে ঝিঁঝিঁ
- পরের উপকার করিও না
- চেঙ্গিস আর হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
- ঢাউস
- নিদারুণ প্রতিশোধ
- তত্ত্বাবধান মানে-জীবে প্রেম
- দশাননচরিত
- দি গ্রেট ছাঁটাই
- ক্যামোফ্লেজ
- কুট্টিমামার হাতের কাজ
- সাংঘাতিক
- বন-ভোজনের ব্যাপার
- কুট্টিমামার দন্ত কাহিনী
- প্রভাতসঙ্গীত
- ভজহরি ফিল্ম কর্পোরেশন
- চামচিকে আর টিকিট চেকার
- ব্রহ্মবিকাশের দন্তবিকাশ
- টিকটিকির ল্যাজ
- বেয়ারিং ছাঁট
- কাঁকড়াবিছে
- হনোলুলুর মাকুদা
- হালখাতার খাওয়াদাওয়া
- ঘুঁটেপাড়ার সেই ম্যাচ
- টেনিদা আর ইয়েতি
- একাদশীর রাঁচি যাত্রা
- ন্যাংচাদার হাহাকার
- ভজগৌরাঙ্গ কথা [৭]
নাটিকা
টেনিদাকে নিয়ে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় 'পরের উপকার করিও না' নামে একটিমাত্র নাটক রচনা করেছেন। নাটকটি তাঁর 'পরের উপকার করিও না' গল্পের নাট্যরূপ।[৮] এই নাটকে টেনিদা তার আসল নাম ভজহরি মুখোপাধ্যায় নামে উপস্থাপিত হয়েছে। নাটকের অন্যান্য চরিত্ররা তাঁকে টেনিদা নামে না ডেকে ভজাদা নামে সম্বোধিত করেছে।[৯]
ব্লগ
টেনিদা ট্রেজারি ব্লগে প্রদর্শিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকা ও বার্ষিকীতে টেনিদা-কাহিনির প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সচিত্র বিবরণ : https://tenida-treasury.blogspot.in/
পাদটীকা
- ↑ ভজহরি মুখার্জি--স্বর্ণেন্দু সেন--কুশল মিত্র--কমলেশ ব্যানার্জি--
নামগুলো শুনে চমকে চমকে উঠছ তো? ভাবছ - এ আবার কারা? হুঁ, হুঁ - ভাববার কথাই বটে। এ হল আমাদের চার মূর্তির ভালো নাম - আগে স্কুলের খাতায় ছিল। এখন কলেজের খাতায়। ভজহরি হচ্ছে আমাদের দুর্দান্ত টেনিদা, স্বর্ণেন্দু হল ঢাকাই হাবুল, কুশল হচ্ছে হতভচ্ছাড়া ক্যাবলা, আর কমলেশ? আন্দাজ করে নাও।[৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ টেনিদা ট্রেজারি ব্লগ : https://tenida-treasury.blogspot.in/p/tale-types.html
- ↑ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬)। "টেনিদা আর ইয়েতি"। টেনিদা সমগ্র। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন 81-7215-502-6।
- ↑ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬)। "ভজহরি ফিল্ম কর্পোরেশন"। টেনিদা সমগ্র। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন 81-7215-502-6।
- ↑ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬)। "ঝাউ-বাংলোর রহস্য"। টেনিদা সমগ্র। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন 81-7215-502-6।
- ↑ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬)। "চার মূর্তির অভিযান"। টেনিদা সমগ্র। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ৮৫। আইএসবিএন 81-7215-502-6।
- ↑ বৃহৎ টেনিদা সংকলন।শৈব্যা প্রকাশন। কলকাতা
- ↑ টেনিদা ট্রেজারি ব্লগ : https://tenida-treasury.blogspot.in/p/tenida-tales.html
- ↑ টেনিদা ট্রেজারি ব্লগ : https://tenida-treasury.blogspot.in/p/tenida-play.html
- ↑ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৯৬)। "পরের উপকার করিও না"। টেনিদা সমগ্র। কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ৪৮১-৪৮৮। আইএসবিএন 81-7215-502-6।