বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (GR) File renamed: File:Kutupalong Refugee Camp.jpg → File:Kutupalong Refugee Camp (John Owens-VOA).jpg File renaming criterion #1: At the original uploader’s request. |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[File:Kutupalong Refugee Camp.jpg|thumb|right|বাংলাদেশের কুতুপালং রেফিউজি ক্যাম্প (জন ওয়েইন / [[Voice of America|ভিওএর]] দ্বারা)মার্চ ২০১৭-তে তোলা ছবি]] |
[[File:Kutupalong Refugee Camp (John Owens-VOA).jpg|thumb|right|বাংলাদেশের কুতুপালং রেফিউজি ক্যাম্প (জন ওয়েইন / [[Voice of America|ভিওএর]] দ্বারা)মার্চ ২০১৭-তে তোলা ছবি]] |
||
'''বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তু''' বলতে [[মায়ানমার]] থেকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] আগত [[রোহিঙ্গা]] শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের বুঝানো হয়ে থাকে।<ref>{{Cite news|url=http://www.bbc.com/news/world-asia-38799586|title=Rohingya refugees in Bangladesh face relocation to island|date=2017-01-30|work=BBC News|access-date=2017-03-20|language=en-GB}}</ref> |
'''বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তু''' বলতে [[মায়ানমার]] থেকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] আগত [[রোহিঙ্গা]] শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের বুঝানো হয়ে থাকে।<ref>{{Cite news|url=http://www.bbc.com/news/world-asia-38799586|title=Rohingya refugees in Bangladesh face relocation to island|date=2017-01-30|work=BBC News|access-date=2017-03-20|language=en-GB}}</ref> |
০৬:৩৯, ২০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তু বলতে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের বুঝানো হয়ে থাকে।[১]
ইতিহাস
রোহিঙ্গা মায়ানমারের একটি মুসলিম সংখ্যালঘু জাতি, যাদেরকে অনেক মায়ানমারি বৌদ্ধরা বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী হিসাবে হিসেবে গণ্য করে।[২] রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ সরকার মায়ানমার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবার জন্য বলছে।[৩] মায়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৪][৫] রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং চরমপন্থী বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত।[৬] মায়ানমার রোহিঙ্গাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।[৭] ১৯৭০ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে বাস করতে শুরু করে, ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক ৩,০০,০০০- ৫,০০,০০০-এর মতো শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। অধিকাংশ শরণার্থী টেকনাফ-কক্সবাজার হাইওয়ে বরাবর অবস্থিত নাফ নদীর সমান্তরালে বাস করে, যা বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত।[৮] বেশিরভাগ শরণার্থীরা কক্সবাজার বা এর কাছাকাছি অবস্থিত, পর্যটনশিল্পের উপর নির্ভরশীল একটি উপকূলবর্তী এলাকায় বাস করে।[৯]
বাংলাদেশ মনে করে শরণার্থীদের দ্বারা এলাকাটির পর্যটন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। শরণার্থীদের অপরাধ এবং কক্সবাজারে ২০১২ রামু সহিংসতার জন্যও দোষারূপ করা হয়।[১০] বাংলাদেশ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এদেশে অনাগমনমুখী নীতি তৈরির অনুসরণ করছে।[১১] অধিকাংশ শরণার্থী অনিবন্ধিত রয়ে গেছে, শুধুমাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী নিজেদের ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবন্ধন করেছে। আনুমানিক ২,০০,০০০-এর অধিক শরণার্থী অনিবন্ধিত অবস্থায় বাংলাদেশে বসবাস করছে।[১২] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট, ডিসেম্বর ২০১৬-এর একটি প্রতিবেদনে বলেছে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং রোহিঙ্গাদের বাসভবন দখলে তত্ত্বাবধান করছে।[১৩] পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থীরা আদিবাসী জনগোষ্ঠী সরিয়ে দিচ্ছে।[১৪] এছাড়াও তাদের ইয়াবা আমদানি করার জন্য নিন্দা করা হচ্ছে।[১৫][১৬][১৭]
স্থানান্তর
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বঙ্গোপসাগরের একটি দূরবর্তী দ্বীপ টেঙ্গার চড়ে স্থানান্তরের পরিকল্পনা প্রস্তাব করে। পরিকল্পনাটি মানবাধিকার কর্মী এবং ইউএনএইচসিআর-এর সমালোচনায় কার্যকর হয়নি।
অক্টোবর এবং নভেম্বর ২০১৬- এর মধ্যে, প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী মায়ানমার থেকে আসে। বাংলাদেশ সরকার স্থানান্তরের পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।[১৮] টেঙ্গার চর জোয়ারের সময় নিমজ্জিত হয়ে যায়। মেঘনা নদীতে পলল জমে এটি ২০০০ সালে গঠিত হয়। বেশীর ভাগ মানচিত্রে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না,[১৯] এবং এটি ৩০ কিলোমিটার দূরে হাতিয়া দ্বীপে অবস্থিত যা নিকটবর্তী বসবাসকারী এলাকা।[২০] বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উদ্বাস্তুদের জন্য দ্বীপটিকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করছে।[২১]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Rohingya refugees in Bangladesh face relocation to island"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Bangladesh wants to move Muslim refugees to an island to stop them 'mingling' with citizens"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Bangladesh PM asks Myanmar to take back Rohingya refugees"। Channel NewsAsia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Rohingya Refugees in Bangladesh to Be Relocated to Remote, Inhospitable Island - The Boston Globe"। BostonGlobe.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Shining a light on Rohingya refugees - Global Journalist"। Global Journalist (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ Kullab, Samya (২০১৭-০২-২৩)। "The Trouble With Thengar Char"। Foreign Affairs। আইএসএসএন 0015-7120। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Myanmar army: Charges of abuse of Rohingya unsubstantiated"। Herald-Whig (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "A fight to survive for Rohingya refugees in Bangladesh"। aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Bangladesh resurrects plan to move Rohingya refugees to flooded island"। Reuters। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ Diplomat, Sumit Ganguly and Brandon Miliate , The। "Refugees and Neighbors: Rohingya in Bangladesh"। The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Exile island"। The Economist। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ France-Presse, Agence (২০১৫-০৫-২৭)। "Bangladesh plans to move Rohingya refugees to island in the south"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ Hussain, Maaz। "Rohingya Refugees in Bangladesh Vow Never to Return to Myanmar"। VOA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Rights group accuses Bangladesh of ethnic cleansing, pushing Buddhists out with Rohingya refugees from Myanmar"। hindustantimes.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Bangladesh to ban cold pill chemical to fight meth surge | Dhaka Tribune"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Myanmar Rohingya refugees sucked into booming Bangladesh drug trade"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Myanmar nationals among 8 held with yaba pills worth Tk24cr | Dhaka Tribune"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ Sattar, Maher (২০১৭-০১-৩১)। "Rohingya Refugees in Bangladesh to Be Relocated to Remote Island"। The New York Times। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Rohingya refugees in Bangladesh face relocation to island"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ "Bangladesh: Reject Rohingya Refugee Relocation Plan"। Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।
- ↑ Rahman, Shaikh Azizur; agencies (২০১৭-০২-০২)। "Plan to move Rohingya to remote island prompts fears of human catastrophe"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০।