কই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
FerdousBot (আলোচনা | অবদান) |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৫২ নং লাইন: | ৫২ নং লাইন: | ||
== অর্থনৈতিক গুরুত্ব == |
== অর্থনৈতিক গুরুত্ব == |
||
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে কই মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং সুস্বাদু বটে। চাষাবাদ পদ্ধতি পরিবর্তেন মাধ্যে প্রতি বছর প্রচুর কই মাছ উৎপাদন সম্ভব। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে করবে সতেজ। |
|||
== রন্ধনপ্রণালী == |
== রন্ধনপ্রণালী == |
০৭:০৩, ৫ জুলাই ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কৈ | |
---|---|
কৈ মাছ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Perciformes |
উপবর্গ: | Anabantoidei |
পরিবার: | Anabantidae |
গণ: | Anabas |
Species | |
কই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুব সুস্বাদু মাছগুলোর অন্যতম। বর্তমানে এটি খুব দামী মাছ হিসাবে পরিচিত।
শ্রেনীবিন্যাস
বৈজ্ঞানিক নাম Anabas cobojius। মাছটিকে ইংরেজিতে Gangetic koi বলে। এটি Anabantidae পরিবারের অন্তর্গত। এটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের স্থানীয় মাছ।
বাসস্থান
এটি মিষ্টি জলের মাছ। সাধারণত নদী, খাল এবং বিলে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে পুকুরেও চাষ করা যায়।
চাষ পদ্ধতি
দেশী কই মাছের চাষ পদ্ধতি খুব সহজ নয়। দেশী কই পুকুরে চাষ সম্ভব হলেও তা লাভজনক নয়। চার মাসে থাই কৈ-এর বৃদ্ধি যেখানে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হয় সেখানে দেশী কৈ-এর বৃদ্ধি হয় মাত্র ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম।
পুকুর নির্বাচন ও পুকুর প্রস্তুতি
• ছোট বড় সব পুকুরেই চাষ করা যায় তবে পুকুরের আয়তন ২০-২৫ শতাংশ এবং গভীরতা ১.০-১.৫ মিটার হলে ভালো হয়।
• পুকুরের পাড় মেরামত, কিছু জলজ আগাছা সংরৰণ ও বার বার জাল টেনে রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করতে হবে।
• প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন প্রয়োগের ৪-৫ দিন পর শতাংশ প্রতি ৮-১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
• কৈ মাছ যাতে পুকুর থেকে উঠে যেতে না পারে সে জন্য বাঁশের তৈরী বেড়া বা নাইলনের নেট দিয়ে পুকুরের চার দিকে বেড়া দিতে হবে। একই সাথে এই বেড়া সাপ, গুঁইসাপ, ব্যাঙ, বেজী, উদ প্রতিরোধ করে।
পোনা মজুদ, খাদ্য প্রয়োগ ও উৎপাদন
• প্রাকৃতিক উৎস বা হ্যাচারী থেকে সুস্থ্য ও সবল পোনা সংগ্রহ করে প্রতি শতাংশে ২৫০-৩০০ টি পোনা মজুদ করা যায়।
• পোনা মজুদের পর মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৬-৮ শতাংশে হারে ৩৫-৪০ শতাংশ আমিষযুক্ত সম্পূরক খাবার দিনে ৩ বার দিতে হবে। এ জন্য সকাল, দুপুর ও বিকেলে দিতে হবে।
• যথাযথ নিয়মে পরিচর্যা করলে ৬ মাসের মধ্যে কৈ মাছ গড়ে ৪০-৫০ গ্রাম হয় এবং প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি উৎপাদন পাওয়া যায়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে কই মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং সুস্বাদু বটে। চাষাবাদ পদ্ধতি পরিবর্তেন মাধ্যে প্রতি বছর প্রচুর কই মাছ উৎপাদন সম্ভব। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে করবে সতেজ।