বঙ্কিম মুখার্জী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
জন্ম
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''বঙ্কিম মুখার্জী''' একজন বাঙালী ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের সাম্যবাদী, শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহ সম্পাদিকা শান্তা ভেলেরাও তার স্ত্রী।
'''বঙ্কিম মুখার্জী''' (মে, ১৮৯৭ - ১৫ নভেম্বর, ১৯৬১) একজন বাঙালী ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের সাম্যবাদী, শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহ সম্পাদিকা শান্তা ভেলেরাও তার স্ত্রী।


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
বঙ্কিম মুখার্জী হাওট্রা জেলার বেলুড়ে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম ছিল যোগেন্দ্রনাথ মুখার্জী। কলকাতার হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজি শিক্ষালাভ করেন তিনি। এম এস সিন পড়ার সময় উত্তর প্রদেশে শিক্ককতার কাজ নেন। এসম্য তার বন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামী রাধারমন মিত্র তার সাথে যান ও ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দলনে যোগদান করেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে উত্তর প্রদেশের জেলে বন্দী থাকেন কিছুদিন। মুক্তি পেয়ে মতিলাল নেহেরুর নির্দেসগে বাঙলায় ফিরে নবগঠিত কংগ্রেস স্বরাজ্য পার্টির বক্তা হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
বঙ্কিম মুখার্জী হাওড়া জেলার বেলুড়ে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম ছিল যোগেন্দ্রনাথ মুখার্জী। কলকাতার হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজি শিক্ষালাভ করেন তিনি। এম এস সিন পড়ার সময় উত্তর প্রদেশে শিক্ককতার কাজ নেন। এসম্য তার বন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামী রাধারমন মিত্র তার সাথে যান ও ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দলনে যোগদান করেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে উত্তর প্রদেশের জেলে বন্দী থাকেন কিছুদিন। মুক্তি পেয়ে মতিলাল নেহেরুর নির্দেসগে বাঙলায় ফিরে নবগঠিত কংগ্রেস স্বরাজ্য পার্টির বক্তা হিসেবে কাজ করতে থাকেন।


== সাম্যবাদী আন্দোলন ==
== সাম্যবাদী আন্দোলন ==
বিপ্লবী ড ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের সংস্পর্শে এসে তিনি সাম্যবাদে আক্ক্রিষ্ট হন। শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯২৭ সালের ওইতিহাসিক চেঙ্গাইল জুট শ্রমিকদের বৃহৎ ধর্মঘট পরিচালনা করেছিলেন। আব্দুল মোমিনের সাথে ১৯২৮-২৯ সালের গাড়োয়ান ধর্মঘট ও ১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় তাকে কারাবরন করতে হয়। ১৯৩৬ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্তিতে যোগ দেন বঙ্কিম মুখার্জী। তিনি ছিলেন সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রিতিষ্ঠাতা ও সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংরেসের নেতা। ১৯৩৬ সালে আসানসোল লেবার কনস্টিতুয়েন্সি থেকে তিনি বঙ্গীয় বিধান পরিষদের সভ্য নির্বাচিত হন। তিনিই ভারতের প্রথম নির্বাচিত কমিউনিস্ট সদস্য।
বিপ্লবী ড ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের সংস্পর্শে এসে তিনি সাম্যবাদে আকৃষ্ট হন। শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯২৭ সালের ওইতিহাসিক চেঙ্গাইল জুট শ্রমিকদের বৃহৎ ধর্মঘট পরিচালনা করেছিলেন। আব্দুল মোমিনের সাথে ১৯২৮-২৯ সালের গাড়োয়ান ধর্মঘট ও ১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় তাকে কারাবরন করতে হয়। ১৯৩৬ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্তিতে যোগ দেন বঙ্কিম মুখার্জী। তিনি ছিলেন সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রিতিষ্ঠাতা ও সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংরেসের নেতা। ১৯৩৬ সালে আসানসোল লেবার কনস্টিতুয়েন্সি থেকে তিনি বঙ্গীয় বিধান পরিষদের সভ্য নির্বাচিত হন। তিনিই ভারতের প্রথম নির্বাচিত কমিউনিস্ট সদস্য।


== সংসদীয় রাজনীতি ==
== সংসদীয় রাজনীতি ==

০৮:৪৮, ১১ জুন ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বঙ্কিম মুখার্জী (মে, ১৮৯৭ - ১৫ নভেম্বর, ১৯৬১) একজন বাঙালী ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের সাম্যবাদী, শ্রমিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন। সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহ সম্পাদিকা শান্তা ভেলেরাও তার স্ত্রী।

প্রারম্ভিক জীবন

বঙ্কিম মুখার্জী হাওড়া জেলার বেলুড়ে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম ছিল যোগেন্দ্রনাথ মুখার্জী। কলকাতার হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজি শিক্ষালাভ করেন তিনি। এম এস সিন পড়ার সময় উত্তর প্রদেশে শিক্ককতার কাজ নেন। এসম্য তার বন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামী রাধারমন মিত্র তার সাথে যান ও ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দলনে যোগদান করেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে উত্তর প্রদেশের জেলে বন্দী থাকেন কিছুদিন। মুক্তি পেয়ে মতিলাল নেহেরুর নির্দেসগে বাঙলায় ফিরে নবগঠিত কংগ্রেস স্বরাজ্য পার্টির বক্তা হিসেবে কাজ করতে থাকেন।

সাম্যবাদী আন্দোলন

বিপ্লবী ড ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের সংস্পর্শে এসে তিনি সাম্যবাদে আকৃষ্ট হন। শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯২৭ সালের ওইতিহাসিক চেঙ্গাইল জুট শ্রমিকদের বৃহৎ ধর্মঘট পরিচালনা করেছিলেন। আব্দুল মোমিনের সাথে ১৯২৮-২৯ সালের গাড়োয়ান ধর্মঘট ও ১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় তাকে কারাবরন করতে হয়। ১৯৩৬ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্তিতে যোগ দেন বঙ্কিম মুখার্জী। তিনি ছিলেন সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রিতিষ্ঠাতা ও সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংরেসের নেতা। ১৯৩৬ সালে আসানসোল লেবার কনস্টিতুয়েন্সি থেকে তিনি বঙ্গীয় বিধান পরিষদের সভ্য নির্বাচিত হন। তিনিই ভারতের প্রথম নির্বাচিত কমিউনিস্ট সদস্য।

সংসদীয় রাজনীতি

স্বাধীনতার পরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (অবিভক্ত) নিষিদ্ধ হলে তাকে আত্মগোগন করতে হয়। ১৯৪৮-৪৯ পর্যন্ত আত্মগোপন করে থাকার পর ১৯৫২ সালে বজবজ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন এবং কংরেস প্রার্থীকে পরাজিত করেন। ১৯৫৭ সালের বিধানসভা ভোতেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে বৃদ্ধ বয়েসেও কারাবাস করেন বঙ্কিম মুখার্জী। পরিষদিয় বক্তা রুপে তিনি ছলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ।

মৃত্যু