পীরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১১২ নং লাইন: | ১১২ নং লাইন: | ||
* মোকলেসুর রহমান - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য; |
* মোকলেসুর রহমান - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য; |
||
* ডা: আব্দুল মালেক - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য; |
* ডা: আব্দুল মালেক - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য; |
||
সারা জীবন নিরীহ মানুষের সাথে কাজ করেছেন এবং শিক্ষাক্ষেত্র প্রসারে ব্যাপক ভুমিকা পালন করেন |
|||
তার চলাফেরা সাধারণ মানুষের মতো ছিলো |
|||
এককথাই অসাধারণ মনের মানুষ হিসাবে সারা পীরগঞ্জ বাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন |
|||
* ডা: আব্দুর রাজ্জাক - বিশিষ্ট সমাজ সেবক |
|||
সর্ব প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন কারী (পীরগন্জ,ঠাকুরগাঁও) |
|||
== উল্লেখযোগ্য স্থান == |
== উল্লেখযোগ্য স্থান == |
১৭:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
Pirgonj পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) | |
---|---|
Upazila | |
Location in Bangladesh | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫১.৩′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২৫.৮৫৫০° উত্তর ৮৮.৩৬৭° পূর্ব | |
Country | Bangladesh |
Division | Rangpur Division |
District | Thakurgaon District |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫৩.৩ বর্গকিমি (১৩৬.৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৪৩,৫৩৫ |
সময় অঞ্চল | BST (ইউটিসি+6) |
Postal code | 5110 |
ওয়েবসাইট | Official Map of Pirganj |
পীরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান
ঠাকুরগাঁও জেলা হতে ২০ কি:মি: দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। পীরগঞ্জ আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। ইহা ২৫৹৫৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮৹১৫' ও ৮৮৹২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।[২] এই উপজেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পূর্বে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকাইল উপজেলা অবস্থিত।
নামকরণ
পীরগঞ্জ উপজেলার নামকরণ এর কারণ ও সময়কাল নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত কোন ইতিহাস না থাকলেও অধিকাংশের মতে এই জনপদে সুলতানি আমলে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং ইসলামী ধ্যান-ধারণার গোড়াপত্তন হয়েছিল পীর মাশায়েখ সমাজের সাধক পুরুষ হযরত পীর সিরাজউদ্দিন আউলিয়া সাহেবের হাত ধরে। সমসাময়িক অনেক পীর আউলিয়া পীরগঞ্জে ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম দুর্লভপুর গ্রামের পীর বাহারানা সৈয়দ, সাটিয়া গ্রামের পীর শাহজাহী, ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়া গ্রামের পীর দরবগাজী এবং পীরগঞ্জ সংলগ্ন গোগর গ্রামের বনপীর। পীর-মাশায়েখ ও আউলিয়াগণের পদচারণায় মুখরিত এই জনপদ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে শুরু করে। পীর আউলিয়াগণের এই অঞ্চল পরিচিতি পেতে থাকে পীরগঞ্জ নামে। তবে নামকরণের এই ভিত্তির বিষয়ে জনশ্রুতি ছাড়া সঠিক ইতিহাস এর সন্ধান পাওয়া যায়না। পীরগঞ্জ প্রশাসনিকভাবে থানা হিসেবে গঠিত হয় ১৮৭০ সালে এবং ১৯৮৩ সালের ৭ ই নভেম্বর এটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
পীরগঞ্জ উপজেলার ইতিহাস
এটি স্বীকৃত যে ঠাকুরগাঁও অঞ্চল সুপ্রাচীন ইতিহাসে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। কতিপয় ইতিহাসবিদের মতে এই অঞ্চলেই রচিত হয়েছিলো চর্যাপদের কয়েকটি পদ। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই জনপদটিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার বহু মূল্যবান নিদর্শন। উপমহাদেশে মুসলমানদের আগমনের প্রাক্কালে এই অঞ্চলেও অনেক পীর, আউলিয়া, দরবেশ ধর্মসাধক ও ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে চলে আসেন। পীরগঞ্জ অঞ্চলের ইসলাম ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে পীর সিরাজউদ্দীন অন্যতম।
১৭৯৩ সালে পীরগঞ্জ অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] হাজী মো: দানেশ এর নেতৃত্বে পীরগঞ্জের অনেকেই এই উপজেলার শোষিত ও নিপীড়িত গণমানুষ তেভাগা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো। ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশের ন্যায় এ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ হানাদার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। ১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল পাক সেনারা ভাতারমারী ফার্ম সংলগ্ন সড়কে অনেক নিরীহ বাঙালীকে হত্যা করেছিলো। দীর্ঘ প্রতিরোধ শেষে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন হয়।
প্রশাসনিক এলাকা
- মৌজা: ১৭৩ টি;
- গ্রাম: ১৭৩ টি;
- পৌরসভা: ১ টি (পীরগঞ্জ পৌরসভা)
- ইউনিয়নঃ এই উপজেলা ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সেগুলো হচ্ছে- ভোমরাদহ, কোষারাণীগঞ্জ, খনগাঁও, সৈয়দপুর, পীরগঞ্জ, হাজীপুর, দৌলতপুর, সেনগাঁও, জাবর হাট ও বৈরচুনা ইউনিয়ন।
ভাষা ও সংস্কৃতি
বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত পীরগঞ্জ উপজেলাতেও আঞ্চলিক ভাষার ঐতিহ্য রয়েছে। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা এলাকার মানুষের ভাব বিনিময়ের অকৃত্রিম মাধ্যম। আঞ্চলিক বাংলা ভাষার পাশাপাশি শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত সমাজে শুদ্ধ বাংলা চর্চাও রয়েছে।
পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় রয়েছে সাধু ভাষার ক্রিয়াপদের একত্র উচ্চারণ কৌশল, উর্দু, হিন্দি, অসমিয়, উড়িয়া, নেপালী শব্দের সরাসরি বা কিছুটা বিকৃত উচ্চারণ। ফলে পীরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা থেকে ভিন্নতা পেয়েছে। এই উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসীর বসবাস।
উপজেলার পাড়িয়া, মল্লিকপুর, করনাই, বড়বাড়ি, দস্তমপুর, বৈরচুনা, চক-বাসুদেবপুরসহ আরও বেশকিছু জায়গায় আদিবাসি সাঁওতালরা বসবাস করে। তারা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এখানে কিছু সংখ্যক ওঁড়াও, মুন্ডা ও মুসোহর আদিবাসী রয়েছে। তারা তাদের নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে।
আবহমানকাল ধরে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানে এই অঞ্চলে অর্পূব এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি বিরাজ করছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলের মত এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যেও আচার-ব্যবহার, অভ্যাস, রীতিনীতি, চলাফেরা, ধ্যান-ধারনায় ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এখানকার লোক সংখ্যা ২,৪৩,৫৩৫ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১,২২,৫৫৩ জন এবং মহিলা ১,২০,৯৮২জন। এখানে মোট ভোটার: ১,৫৮,৮৯৪ জন। উপজাতিয় অধিবাসী ৩,৬১৪ জন।
১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ছিল ১,৮৩,২৯২ জন।
শিক্ষা
ক) প্রাইমারী স্কুল : ১৭৭ টি
খ) এনজিও কর্তৃক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র : ১ টি
গ) কিন্ডারগার্ডেন : ১৮ টি
ঘ) নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২০ টি
ঙ) মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ৬৫ টি
চ) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ০৬ টি
ছ) ডিগ্রী কলেজ : ৪ টি (১ টি সরকারি ও ৩ টি বে-সরকারি)
জ) মাদ্রাসা : এবতেদায়ী: ১০ টি
ঝ) কারিগরি বিদ্যালয় : ০৩ টি
ঞ) কারিগরি কলেজ : ০৯ টি
শিক্ষার হার : ৪৭.৮% [৪]
অর্থনীতি
- হাটবাজার
- হাটবাজারের সংখ্যা: ১৯ টি।
নদীসমূহ
পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩ টি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে টাঙ্গন নদী, কাহালাই নদী ও লাচ্ছি নদী।[৫][৬]
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- গোলাম মোস্তফা - অধ্যাপক, শহীদ বুদ্ধিজীবী;
- মোঃ ইমদাদুল হক - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য;
- মোকলেসুর রহমান - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য;
- ডা: আব্দুল মালেক - রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য;
সারা জীবন নিরীহ মানুষের সাথে কাজ করেছেন এবং শিক্ষাক্ষেত্র প্রসারে ব্যাপক ভুমিকা পালন করেন তার চলাফেরা সাধারণ মানুষের মতো ছিলো এককথাই অসাধারণ মনের মানুষ হিসাবে সারা পীরগঞ্জ বাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন
- ডা: আব্দুর রাজ্জাক - বিশিষ্ট সমাজ সেবক
সর্ব প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন কারী (পীরগন্জ,ঠাকুরগাঁও)
উল্লেখযোগ্য স্থান
- রাজভিটা - জাবরহাট ইউনিয়ন।
- পীরডাঙ্গী কবরস্থান - বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ কবরস্থান।
- ফানসিটি শিশুপার্ক - পীরগঞ্জ পৌরসভার বিপরীত দিকে।
- শালবন - থুমনিয়া, সাগুনী ও জগন্নাথপুর।
- সাগুনী রাবার ড্যাম।
স্বাস্থ্য
- উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র : ১ টি
- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ১ টি
- ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র : ৭ টি
- কমিউনিটি ক্লিনিক : ২২ টি
- প্রাইভেট ক্লিনিক : ৩ টি
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে পীরগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ http://pirganjthakurgaon.yolasite.com
- ↑ ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
- ↑ (২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৩৫, ISBN 978-984-8945-17-9।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৬১৭, ISBN 984-70120-0436-4.
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |