বল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Rafi Bin Tofa (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
Spelling and punctuation correction ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Classical mechanics|cTopic=Fundamental concepts}} |
{{Classical mechanics|cTopic=Fundamental concepts}} |
||
'''বল''' ({{lang-en|Force}}) |
'''বল''' ({{lang-en|Force}}) হলো এমন একটি বাহ্যিক প্রভাব যা কোনো বস্তুর গতির, দিকের বা আকৃতিগত পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম। বল সম্পর্কে একটি সহজাত ধারণা হলো— টানা বা ঠেলা, যা কোনো ভরযুক্ত বস্তুর বেগের পরিবর্তন ঘটায়। এর মাধ্যমে স্থির বস্তু গতি লাভ করতে পারে বা গতিশীল বস্তুর বেগের পরিবর্তন ঘটতে পারে এমনকি স্থিতিশীলও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বড় বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি করে বা নমনীয় বস্তুকে বিকৃত করতে পারে। বল প্রকাশ করতে এর মান ও দিক উভয়েরই প্রয়োজন , তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি। পদার্থবিজ্ঞানী নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রানুসারে , <math>F=ma</math>, অর্থাৎ কোনো বস্তুর ত্বরণের ওপর প্রযুক্ত নিট বল এর সমানুপাতিক এবং ভর এর ব্যস্তানুপাতিক। ধারণা করা হয় এই নীতি আলোর বেগ এর কাছাকাছি গেলে ভেস্তে যায়। নিউটনের আসল সূত্র অবশ্য সর্বদা সত্য। যা বলে,বস্তুর ভর বেগের পরিবর্তনের হার এর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। |
||
[[চিত্র:Force examples.svg|290px|thumb|কোন বস্তুকে ঠেললে, ধাক্কা দিলে বল সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘটতে পারে [[চৌম্বকত্ব|চৌম্বকত্বের]] কারণে, বা অন্য কোন কিছু যা যেকোন ভরের বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি করে]] |
[[চিত্র:Force examples.svg|290px|thumb|কোন বস্তুকে ঠেললে, ধাক্কা দিলে বল সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘটতে পারে [[চৌম্বকত্ব|চৌম্বকত্বের]] কারণে, বা অন্য কোন কিছু যা যেকোন ভরের বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি করে]] |
||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
== মৌলিক বল == |
== মৌলিক বল == |
||
ঘুরে ফিরে এ সব বলই চারটি [[মৌলিক বল|মৌলিক বলের]] একক কিংবা যৌথ প্রকাশ। বলগুলি |
ঘুরে ফিরে এ সব বলই চারটি [[মৌলিক বল|মৌলিক বলের]] একক কিংবা যৌথ প্রকাশ। বলগুলি হলো [[মহাকর্ষ|মহাকর্ষ বল]], [[তাড়িতচৌম্বক বল]], [[সবল নিউক্লীয় বল]] এবং [[দুর্বল নিউক্লীয় বল]]। |
||
== মহাকর্ষ বল == |
== মহাকর্ষ বল == |
||
[[মহাবিশ্ব|মহাবিশ্বের]] যে |
[[মহাবিশ্ব|মহাবিশ্বের]] যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে [[মহাকর্ষ]] বলে। তারাদের আবদ্ধ করে [[গ্যালাক্সী|গ্যালাক্সি]] তৈরির কাজটি মহাকর্ষ বলের দ্বারাই হয়েছে। এর পাল্লা অসীম আর [[আপেক্ষিক সবলতা]] 1।মহাকর্ষ বল চারটি মৌলিক বলের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম বল মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভরের কোনো বস্তু স্থাপন করলে এর উপর যে বল প্রযুক্ত হয় তাকে ঐ ক্ষেত্রের দরুন ঐ বিন্দুর আকর্ষণ বল বা মহাকর্ষীয় প্রাবল্য বলে। |
||
== তড়িৎ চৌম্বক বল == |
== তড়িৎ চৌম্বক বল == |
||
দুটি আহিত [[কণা]] তাদের [[আধান|আধানের]] কারণে একে অপরের উপর যে [[আকর্ষণ]] বা [[বিকর্ষণ]] বল প্রয়োগ করে, তাকে |
দুটি আহিত [[কণা]] তাদের [[আধান|আধানের]] কারণে একে অপরের উপর যে [[আকর্ষণ]] বা [[বিকর্ষণ]] বল প্রয়োগ করে, তাকে তড়িৎচৌম্বক বল বলে। এই বল [[ইলেকট্রন|ইলেকট্রনকে]] নিউক্লিয়াসের সাথে আবদ্ধ করে পরমাণু তৈরি করে। এই বলেরও পাল্লা অসীম আর আপেক্ষিক সবলতা 10<sup>39</sup>। |
||
== সবল নিউক্লিয় বল == |
== সবল নিউক্লিয় বল == |
০৮:১৩, ৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চিরায়ত বলবিজ্ঞান |
---|
বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ |
বল (ইংরেজি: Force) হলো এমন একটি বাহ্যিক প্রভাব যা কোনো বস্তুর গতির, দিকের বা আকৃতিগত পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম। বল সম্পর্কে একটি সহজাত ধারণা হলো— টানা বা ঠেলা, যা কোনো ভরযুক্ত বস্তুর বেগের পরিবর্তন ঘটায়। এর মাধ্যমে স্থির বস্তু গতি লাভ করতে পারে বা গতিশীল বস্তুর বেগের পরিবর্তন ঘটতে পারে এমনকি স্থিতিশীলও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বড় বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি করে বা নমনীয় বস্তুকে বিকৃত করতে পারে। বল প্রকাশ করতে এর মান ও দিক উভয়েরই প্রয়োজন , তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি। পদার্থবিজ্ঞানী নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রানুসারে , , অর্থাৎ কোনো বস্তুর ত্বরণের ওপর প্রযুক্ত নিট বল এর সমানুপাতিক এবং ভর এর ব্যস্তানুপাতিক। ধারণা করা হয় এই নীতি আলোর বেগ এর কাছাকাছি গেলে ভেস্তে যায়। নিউটনের আসল সূত্র অবশ্য সর্বদা সত্য। যা বলে,বস্তুর ভর বেগের পরিবর্তনের হার এর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক।
প্রকারভেদ
প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রকার বলের প্রভাব দেখা যায়। যেমন:
মৌলিক বল
ঘুরে ফিরে এ সব বলই চারটি মৌলিক বলের একক কিংবা যৌথ প্রকাশ। বলগুলি হলো মহাকর্ষ বল, তাড়িতচৌম্বক বল, সবল নিউক্লীয় বল এবং দুর্বল নিউক্লীয় বল।
মহাকর্ষ বল
মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে। তারাদের আবদ্ধ করে গ্যালাক্সি তৈরির কাজটি মহাকর্ষ বলের দ্বারাই হয়েছে। এর পাল্লা অসীম আর আপেক্ষিক সবলতা 1।মহাকর্ষ বল চারটি মৌলিক বলের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম বল মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভরের কোনো বস্তু স্থাপন করলে এর উপর যে বল প্রযুক্ত হয় তাকে ঐ ক্ষেত্রের দরুন ঐ বিন্দুর আকর্ষণ বল বা মহাকর্ষীয় প্রাবল্য বলে।
তড়িৎ চৌম্বক বল
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের উপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল প্রয়োগ করে, তাকে তড়িৎচৌম্বক বল বলে। এই বল ইলেকট্রনকে নিউক্লিয়াসের সাথে আবদ্ধ করে পরমাণু তৈরি করে। এই বলেরও পাল্লা অসীম আর আপেক্ষিক সবলতা 1039।
সবল নিউক্লিয় বল
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউক্লীয়ন (নিউক্লিয় উপাদান)-গুলোকে একত্রে আবদ্ধ রাখে যে শক্তিশালী বল, তাকে সবল নিউক্লিয় বল বলে। এই বল প্রোটন ও নিউট্রনকে আবদ্ধ করে নিউক্লিয়াস তৈরি করে। এর পাল্লা 10−15 m এবং আপেক্ষিক সবলতা 1041।
দুর্বল নিউক্লিয় বল
যে স্বল্প পাল্লার ও স্বল্পমানের বল নিউক্লিয়াসের মধ্যে মৌলিক কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া করে অনেক নিউক্লিয়াসে অস্থিতিশীলতার উদ্ভব ঘটায়, তাকে দুর্বল নিউক্লিয় বল বলে। অধিকাংশ তেজস্ক্রিয় বিক্রিয়াগুলো দুর্বল নিউক্লিয় বলের কারণে ঘটে। এর পাল্লা 10−16 m এবং আপেক্ষিক সবলতা 1030।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |