সাকিব আল হাসান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
Spelling and info check ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
Data update ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৯ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
| testdebutagainst = ভারত |
| testdebutagainst = ভারত |
||
| testcap = ৪৬ |
| testcap = ৪৬ |
||
| lasttestdate = |
| lasttestdate = ১৮ মার্চ |
||
| lasttestyear = ২০১৭ |
| lasttestyear = ২০১৭ |
||
| lasttestagainst = শ্রীলঙ্কা |
| lasttestagainst = শ্রীলঙ্কা |
||
৫৩ নং লাইন: | ৫৩ নং লাইন: | ||
| club8 = [[অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স]]<ref>{{cite web|url=http://www.prothom-alo.com/sports/article/115506/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97_%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC|title=বিগ ব্যাশে আগ্রহের কেন্দ্রে সাকিব|date=4 January 2014|work=প্রথম আলো}}</ref> |
| club8 = [[অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স]]<ref>{{cite web|url=http://www.prothom-alo.com/sports/article/115506/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97_%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC|title=বিগ ব্যাশে আগ্রহের কেন্দ্রে সাকিব|date=4 January 2014|work=প্রথম আলো}}</ref> |
||
| year8 = ২০১৪-বর্তমান |
| year8 = ২০১৪-বর্তমান |
||
| club9 = [[Melbourne Renegades|মেলবোর্ন |
| club9 = [[Melbourne Renegades|মেলবোর্ন রেনেগেডস]] |
||
| year9 = ২০১৫ |
| year9 = ২০১৫ |
||
| club10 = [[Rangpur Riders|রংপুর রাইডার্স]] |
| club10 = [[Rangpur Riders|রংপুর রাইডার্স]] |
১৬:২৯, ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সাকিব আল হাসান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাগুরা, খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ মার্চ ১৯৮৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ময়না | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো বামহাতি অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অলরাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৬) | ১৮ মে ২০০৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ মার্চ ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮১) | ৬ আগস্ট ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৭৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১১) | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪- বর্তমান | খুলনা বিভাগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০–২০১১ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১–বর্তমান | কলকাতা নাইট রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২–২০১৩ | খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩, ২০১৬–বর্তমান | ঢাকা ডায়নামাইটস[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | লিচেস্টারশায়ার[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস[৩] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স[৪] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | মেলবোর্ন রেনেগেডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ | রংপুর রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬-বর্তমান | করাচি কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেট আর্কাইভ ডট কম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ |
সাকিব আল-হাসান (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। সাকিব ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁর খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাঁকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়, হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একজন খেলোয়াড়-"দ্য ওয়ান ম্যান আর্মি"। এছাড়াও তাঁর রয়েছে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কৃতিত্ব। সাকিব ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে এক নম্বর অল-রাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন| সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৪,০০০ করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি টি২০তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ রান পূর্ণ করেন ৷ এছাড়া দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টি২০তে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট লাভ করেন ৷
প্রথম জীবনে এবং যুব ক্রিকেটে
তরুণ বয়সেই সাকিব খেলাপাগল ছিলেন। তাঁর বাবা খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতেন এবং এক কাজিন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে। এরকম ফুটবল পাগল পরিবারে বড় হওয়া সত্ত্বেও সাকিবের ক্রিকেট দক্ষতা ছিল অসাধারণ। গ্রাম-গ্রামান্তরে তাঁকে খেলার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হত। এরকমই এক ম্যাচে সাকিব এক আম্পায়ারকে অভিভূত করেছিলেন যিনি পরবর্তীতে সাকিবকে ইসলামপুর পাড়া ক্লাব ( মাগুরা ক্রিকেট লীগের একটি দল) এর সাথে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেন। সাকিব তাঁর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও দ্রুতগতির বোলিং অব্যাহত রাখেন, সেই সাথে প্রথমবারের মত স্পিন বোলিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও সফল হন। ফলস্বরূপ, ইসলামপুর দলে খেলার সুযোগ পান এবং প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। সত্যিকারের ক্রিকেট বল দিয়ে এটাই ছিল তাঁর প্রথম করা বল। এর আগ পর্যন্ত তিনি টেপড টেনিস বল দিয়েই খেলতেন।
মাত্র পনের বছর বয়সেই সাকিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সুযোগ পান। ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (অপর দুটি দেশ ছিল ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সহায়তা করেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৩৫.১৮ গড়ে তিনি মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সূচনালগ্নে
২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। একই ট্যুরে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফরহাদ রেজা ও মুশফিকুর রহিমের। সাকিব ও রেজাকে তখন "দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভা" হিসেবে গণ্য করা হত, সকল ডিপার্টমেন্টে যাদের দক্ষতা অসামান্য। তৎকালীন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের বক্তব্য এ প্রসঙ্গে স্মরণযোগ্য: "তরুণদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এখনই সময় তাদের আন্তর্জাতিক লেভেলে খেলার সুযোগ করে দেয়া।" একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় সাকিবের অভিষেক হয় ৬ই আগস্ট। তার প্রথম শিকার হন এলটন চিগুম্বুরা। ৩৯-১, এই ছিল তাঁর সেদিনকার বোলিং ফিগার। ব্যাট হাতে তিনি ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাহরিয়ার নাফিস সেদিন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রাখেন। ম্যাচটি ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ যাতে জিম্বাবুয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয়। একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাকিব, ফরহাদ রেজা ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ফলে, বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ এ।[৫]
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আয়োজিত '২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ' এ হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন ১৫ জনের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ডাক পান এই তরুণ ক্রিকেটার।[৬] টুর্নামেন্টের দ্বিতীর পর্বে যেতে সক্ষম হয় এই দল এবং ৭ নম্বর টিম হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করে।[৭] শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দলটি বড়সড় রকমের অঘটনের জন্ম দেয়।[৮] তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব - এ তিনজনের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ সহজেই ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। টুর্নামেন্টে সাকিব ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৯ ম্যাচে তিনি ২৮.৮৫ গড়ে ২০২ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল (২১৬)। সাকিব ৪৩.১৪ গড়ে ৭টি উইকেটও নেন।[৯]
সে বছরই মে মাসে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে'র এক সফরে ভারত বাংলাদেশে আসে। মে মাসের ১৮ তারিখ সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। অভিষেকটা ঠিক স্বপ্নের মত হয়নি তার জন্য। এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে এই অলরাউন্ডার ২৭ রান করেন এবং ১৩ ওভার বল করে উইকেটশূণ্য অবস্থায় থাকেন। ম্যাচটি ড্র হয়। ভারত টেস্ট সিরিজ জেতে ১-০ ব্যবধানে এবং ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ তে। সিরিজ শেষে ডেভ হোয়াটমোর দলের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন এবং হাবিবুল বাশারের স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ আশরাফুল।[১০][১১] সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আইসিসি টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায়।[১২] ম্যাচটিতে সাকিব ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশী যিনি টি-২০ ফরম্যাটে ৩টির বেশি উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। অক্টোবর মাসে ঘোষণা করা হয় যে, জেমি সিডন্স, অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন সহকারী কোচ, বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে আসছেন।[১৩] সিডন্স বাংলাদেশের উন্নতিকল্পে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেন এবং প্রতিভাবান তরুণদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশি বেশি সুযোগ দেবার ঘোষণা দেন।
২০০৭-এর ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ দল দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে নিউজিল্যান্ড আসে।[১৪] প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও পরের টেস্টেই সাকিব এনামুল হক জুনিয়রকে রিপ্লেস করেন তার ব্যাটিং কোয়ালিটির জন্য। এটা ছিল সাকিবের চতুর্থ টেস্ট। তখন পর্যন্ত সাকিব টেস্টে উইকেটশূন্য ছিলেন। সাকিবের প্রথম টেস্ট শিকার হন নিউজিল্যান্ডের ক্রেইগ কামিং। নিউজিল্যান্ড জেতে এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে।[১৫] ওয়ানডে সিরিজেও নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে। তিন ম্যাচে সাকিব ১০.৩৩ গড়ে ৩১ রান করেন এবং ৪২.৩৩ গড়ে তিনটি উইকেট নেন।[১৬] ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ সফরে আসে। দুটো টেস্টেই সফরকারী দল জয়লাভ করে। সাকিব ১২২ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট নেন এবং ব্যাট হাতে ৭৫ রান করেন।[১৭][১৮] ওয়ানডে সিরিজেও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-০ তে জয় পায়। এ সিরিজেই সাকিব ওয়ানডেতে ১০০০ রানের মাইলস্টোন অতিক্রম করেন। ৩৯টি ম্যাচ খেলে সাকিবের ব্যাটিং গড় তখন ৩৫.৩৭।
বিশ্বের সেরা অল-রাউন্ডার হয়ে ওঠা (২০০৮-২০০৯)
সাকিব আল হাসানের গড় জুন ১৭, ২০১৫ | |||||
---|---|---|---|---|---|
ম্যাচ | রান | ব্যাটিং গড় | উইকেট | বোলিং গড় | |
টেস্ট | ৪০ | ২৭৪১ | ৩৯.৭২ | ১৪৬ | ৩৩.১০ |
ওডিআই | ১৫০ | ৪২২১ | ৩৪.৮০ | ১৯৫ | ২৮.২৫ |
একজন অল-রাউন্ডার হওয়া সত্ত্বেও অক্টোবর,২০০৮ এর নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ ট্যুরের আগ পর্যন্ত সাকিবকে বোলার নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবেই গণ্য করা হত। টেস্টে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও ওয়ানডেতে কিন্তু প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যেই থাকতেন তিনি। ট্যুরের আগ দিয়ে কোচ জিমি সিডন্স জানালেন, সাকিবকে স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবেই টেস্ট সিরিজ খেলানো হবে। কোচকে হতাশ করেননি সাকিব। উদ্বোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৭টি উইকেট। তখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী বোলারের টেস্টে এটাই ছিল বেস্ট বোলিং ফিগার। বাংলাদেশ সিরিজ হারে ২-০ তে, কিন্তু সাকিব ১৭.৮০ গড়ে ১০টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পায়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়।[১৯] শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বাগতিক দল সিরিজ হারে ২-১ এ।[২০] সাকিব ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে মাশরাফি মুর্তজা (৭ উইকেট)'র পেছনে থেকে সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[২১]
পরের মাসেই বাংলাদেশ দল দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়।[২২] সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স এখানেও অব্যাহত থাকে। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন সাকিব উইকেটশূন্য থাকলে মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, বাংলাদেশের তৎকালীন সহকারী কোচ, তাকে বলে 'ফ্লাইট' দেবার পরামর্শ দেন। গুরুর উপদেশ শিরোধার্য করে সাকিব দ্বিতীয় দিনেই পাঁচ-পাঁচটি উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব আবারও এক ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন। সিরিজ শেষে সাকিবের ঝুলিতে জমা হয় ২০.৮১ গড়ে ১১টি উইকেট।[২৩] সাকিবের বোলিং দেখে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার ক্যারি ও' কীফে তাকে 'বিশ্বের সেরা ফিঙ্গার স্পিনার' হিসেবে অভিহিত করেন। ২০০৮ এর ডিসেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কা এদেশে দুটি টেস্ট ও একটি ত্রি-দেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট (অপর দলটি ছিল জিম্বাবুয়ে) খেলতে আসে।[২৪] দুটো টেস্টই শ্রীলঙ্কা জিতে নেয়। সেই সাথে ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালও। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সাকিবের করা ৯২* রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের একমাত্র জয়ের স্বাদ এনে দেয়।[২৫] সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
২২ জানুয়ারী, ২০০৯ সাকিব আইসিসি'র ওডিআই অল-রাঊন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন।[২৬] ২০১১ সালে আইপিএল এর নিলামে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনে নেয়।
সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে
২০০৯ এর শুরুতে বাংলাদেশের টানা কয়েকটি হার এবং দীর্ঘ রানখরার কারণে আশরাফুলের অধিনায়কত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তখন থেকেই বিসিবি সাকিবকে জাতীয় দলের 'সম্ভাব্য কর্ণধার' হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে। বিসিবি অবশ্য এতো দ্রুত সাকিবের কাঁধে অধিনায়কত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি ছিল না। পরবর্তীতে 'টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ,২০০৯' এর প্রথম পর্বেই বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেবার ফলে আশরাফুলের অধিনায়কত্বের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে। জুন, ২০০৯ এর মাশরাফিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়, সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক।[২৭]
জুলাই মাসে বাংলাদেশ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে যায়। প্রথম টেস্টেই মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। খেলার শেষ দিনে তিনি মাঠেই নামতে পারেননি এবং তার জায়গায় অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সাকিব যেন নতুন রূপে জ্বলে ওঠেন। তিনি ও মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকের নেত্ত্ব দেন এবং দু'জনে মিলে মোট ১৩টি উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে এক ঐতিহাসিক জয় এনে দেন।[২৮] দেশের বাইরে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম এবং সর্বসাকুল্যে দ্বিতীয় টেস্ট বিজয়।[২৯] ওয়েস্ট-ইন্ডিয়ান দলটি অবশ্য খানিকটা অনভিজ্ঞ ছিল। বেতনাদি নিয়ে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও 'খেলোয়াড় সংগঠনের' মধ্যে রেষারেষি চলছিল। দলের প্রথম একাদশ এ সিরিজটি বর্জন করে এবং সম্পূর্ণ নতুন একটি দল মাঠে খেলতে নামে। সাতজন খেলোয়াড়ের টেস্ট অভিষেক হয় এই ম্যাচে। দলের নেতৃত্ত্বে ছিলেন ফ্লয়েড রেইফার, যিনি কিনা শেষ ১০ বছরে মাত্র ৪টি টেস্ট খেলেছিলেন।[৩০]
অধিনায়কের দায়িত্বে (২০০৯-২০১০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মাশরাফির ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতির কারণে সিরিজের বাকি সময়টা সাকিবই বাংলাদেশকে নেত্ত্ব দেন। ২২ বছর ১১৫ দিন বয়সে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও ইতিহাসের পঞ্চম কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সাকিবের নেত্ত্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টও জিতে নেয় এবং দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়।[৩১] ব্যাট হাতে ১৬ ও ৯৬* রান করে এবং বল হাতে ৫৯/৩ ও ৭০/৫ উইকেট নিয়ে সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ-দুটো পুরস্কারই নিজের ঝুলিতে পুরেন। গোটা সিরিজে তিনি ৫৩.০০ গড়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১৮.৭৬ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে কেমার রোচের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[৩২] টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জেতার পর বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজও ৩-০ তে জেতে। সিরিজে সাকিব দুটি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ব্যাটিং গড় ছিল ৪৫.০০।[৩৩] ৪৮.০০ গড়ে তিনি দুটো উইকেটও নেন। এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ওয়ানডে সিরিজেও তিনি 'সেরা খেলোয়াড়ে'র খেতাব জিতে নেন।
জিম্বাবুয়ে
মাশরাফি আহত অবস্থায় থাকায় সাকিবকেই আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিব মাত্র ৬৪ বলে ১০৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে ও দলকে ২-০ তে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন।[৩৪] সাকিব সিরিজ শেষ করেন ৪২.৫০ গড়ে ১৭০ রান করে, পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে। ৩৯.৬৬ গড়ে নেন মোট ৬ট উইকেট। ৪-১ এ সিরিজ জয় শেষে কুঁচকির ব্যথা সারানোর জন্য সাকিব অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান।[৩৫] ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই ব্যথাটা তাকে ভোগাচ্ছিল। ব্যথাকে উপেক্ষা করেই তিনি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে নেত্ত্ব দেবার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো বছর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সাকিব আইসিসি কর্ত্ক 'টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯' ও 'ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯' এর জন্য মনোনীত হন।[৩৬] সাকিবই প্রথম বাংলাদেশী যিনি এ ধরণের ক্যাটাগরীতে মনোনয়ন পেয়েছেন।
২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয় যে, পরের মাসে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফি-ই বাংলাদেশকে নেত্ত্ব দেবেন এবং সাকিব আবারও সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।[৩৭] কিন্তু মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরি থেকে সময়মত সেরে উঠতে না পারায় সাকিবকেই অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়।[৩৮] উদ্বোধনী খেলায় হারলেও সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় [৩৯] এবং ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়[৪০] নভেম্বর মাসে 'দ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স' সাকিবকে 'বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার' ঘোষণা করে।
ইংল্যান্ড সফর ও এশিয়া কাপ
২০১০-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে ইংল্যান্ড। সবগুলো ম্যাচেই ইংল্যান্ড জয় পায়।[৪১] টেস্ট ও ওয়ানডে- দুটোতেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন সাকিব (টেস্টে ৯ উইকেট ও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট)।[৪২][৪৩] দ্বিতীয় টেস্টের দু'ইনিংসে সাকিব যথাক্রমে ৪৯ ও ৯৬ রান করেন এবং ১২৪ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। দুটো টেস্টই শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ম্যাচের ত্তীয় দিনে আম্পায়ারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত অবশ্য যথেষ্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনক হারের জন্য সাকিব আম্পায়ারদের পরোক্ষভাবে দোষারোপ করেন [৪৪]। সে বছরই মে মাসে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড ট্যুরে যায়। এবারও বাংলাদেশ ২-০তে টেস্ট সিরিজ হারে এবং ৮টি উইকেট নিয়ে সাকিব সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[৪৫] ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে দিয়ে বাংলাদেশ 'এশিয়া কাপ, ২০১০' খেলার উদ্দেশ্যে শ্রীলঙ্কা যায়। তিনটি ম্যাচের প্রতিটিতেই বাংলাদেশ হারে।[৪৬] সাকিব ও শফিউল ৫টি করে উইকেট নিয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। সেই সাথে অল-রাউন্ডার হিসেবেও নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এই দ্বিবিধ জটিলতার কারণে জুলাই মাসে সাকিব অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। দলের দায়িত্ব পুণরায় মাশরাফির কাঁধে বর্তায়। ব্যাপারটাকে সিডন্স ব্যাখ্যা করেন এভাবে, "দেখুন, সাকিব বুঝেশুনেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। ব্যাটিংয়ে ওর ফর্মটা খারাপ যাচ্ছিল। ওর একটু রেস্ট দরকার।"[৪৭] শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে এসে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারাতে সমর্থ হয়।[৪৮] বাংলাদেশ সিরিজ হারে ২-১ এ। ইংল্যান্ড সফর শেষে বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি এবং স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১টি করে ওয়ানডে খেলার কথা ছিল। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় এবং আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড-উভয়ের কাছেই বাংলাদেশ হারে।[৪৪]
জুলাই মাসে সাকিব পূর্ব-নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী ইংল্যান্ডের সেকেন্ড ডিভিশন কাউন্টি দল ওরচেস্টারশায়ারে যোগ দেন। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশী যিনি কাউন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ দলের পক্ষেই সাকিব করেন তাঁর ফার্স্টক্লাস ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং (৩২/৭, মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে)। ৮টি ফার্স্টক্লাস ম্যাচ খেলে সাকিব ২৫.৫৭ গড়ে করেন ৩৬৮ রান এবং ২২.৩৭ গড়ে নেন মোট ৩৫টি উইকেট।[৪৯][৫০] ওরচেস্টারশায়ার প্রথম ডিভিশন লীগে উন্নীত হয় এবং সাকিবও দলের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। দুটো অর্ধ-শতকের সাহায্যে সাকিব ৩৭.৪ গড়ে করেন ১৮৭ রান এবং ১৭.৭৭ গড়ে নেন ৯টি উইকেট।[৫১][৫২] এশিয়া কাপ ২০১২ এ বাংলাদেশ অভাবনীয় খেলে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পাকিস্তান এর বিপক্ষে খেলার। চূড়ান্ত খেলায় বাংলাদেশ মাত্র ২ রান এ হেরে যায়। সাকিব সেখানেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন।
নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে
অক্টোবর, ২০১০ এ পাঁচ ওয়ানডে'র একটি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে আসে। প্রথম ম্যাচেই মাশরাফি অ্যাংকেল ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।[৫৩] ফলশ্রুতিতে সাকিব অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। সাকিব একেবারে সামনে থেকে দলকে নেত্ত্ব দেন। ব্যাট হাতে করেন ৫৮রান, বল হাতে নেন ৪টি উইকেট। দল জেতে ৯ রানে।[৫৪] চতুর্থ ম্যাচে সাকিব আবারও শতক হাঁকান এবং তিন উইকেট নিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ৪-০তে।[৫৫] পূর্ণশক্তির কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরুদ্ধে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। ২১৩ রান করে সাকিব সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১১ উইকেট নিয়ে হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। মাশরাফি ততদিনে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। এতৎসত্ত্বেও সাকিবকেই দলের অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। প্রথম ম্যাচে পরাজয়র পর প্রেস কনফারেন্সে সাকিব বলেন, "দায়িত্বটা নিতে আমি ঠিক মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার ভূমিকা নিয়েও আমি সন্তুষ্ট না।[৫৬]" সিরিজের বাকি তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জয় পায়[৫৭], একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ১৫৬ রান করে সাকিব বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন, বল হাতে নেন ৯টি মূল্যবান উইকেট।[৫৮][৫৯]
অধিনায়কত্ব হারানোর পরবর্তী সময় (২০১১–বর্তমান)
নতুন নেতৃত্বের বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামে অক্টোবর ২০১১। অধিনায়কত্ব থেকে মুক্তির পর, বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট এবং ওডিআইয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন।[৬০][৬১] এরপর, সাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী এবং উইকেট শিকারী হন দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।[৬২][৬৩] সিরিজের ২য় টেস্টে তিনি প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে একটি শতরান (তাঁর সেরা ইনিংস ১৪৪) এবং একই টেস্টে ৫ উইকেট নেন।[৬৪] সিরিজের পর তিনি আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন।[৬৫]
২০১২ সালের এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলার জন্য সাকিব আল হাসান ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। এই সিরিজে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠে এবং মাত্র ২ রানে হেরে যায়।[৬৬] সিরিজে সাকিব ৪ ম্যাচে ৩টি অর্ধ-শতক এবং অপর ম্যাচে ৪৯ রান করেন। এছাড়া বল হাতে ৬টি উইকেট নেন।
১০-১৪ জুন, ২০১৫ তারিখে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে দেশীয় রেকর্ড গড়েন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বৃষ্টিবিঘ্নিত একমাত্র টেস্টে তিনি ২০০৪ রান তোলেন। এরফলে দেশের মাটিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই সহস্রাধিক রান করতে পেরেছেন তিনি। এছাড়াও ১০৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশে সর্বাধিক টেস্ট উইকেট পেয়েছেন তিনি।[৬৭]
২০১২ সালের আইপিএলে সাকিব ক্রিকইনফো ওয়েবসাইটে সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হন, তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হয়।[৬৮]
ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০১৫
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৬৯] এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[৭০] ১৮ ফেব্রুয়ারি ম্যানুকা ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ-পর্বের প্রথম খেলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন সাকিব। মুশফিককে সাথে নিয়ে ১০০ রানের একটি জুটি গড়ে তোলেন যা বাংলাদেশের জয়ে ভুমিকা রাখে। প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান একদিনের আন্তর্জাতিকে ৪,০০০ রান সংগ্রহ করেন। [৭১] অর্ধ-শতকের পাশাপাশি ২ উইকেট লাভ করে বাংলাদেশ দলকে ১০৫ রানে জয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
রেকর্ড ও পরিসংখ্যান
টেস্ট-ওয়ানডেতে রান ও উইকেটের ‘ডাবল’
টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই দেশের মাটিতে ২০০০ রান এবং ১০০ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তির অধিকারী সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই অনন্য রেকর্ড গড়েন। সাকিবের আগে এই কীর্তি ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের।[৭২]
টেস্ট ম্যাচ
রেকর্ডস:
- সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদুল্লাহকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ: ১৪৫ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০[৭৩]
- এক ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান: ৭/৩৬ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৭ অক্টোবর ২০০৮[৭৪]
- বাংলাদেশের সেরা বোলিং গড় (কমপক্ষে ১৫টি উইকেট প্রাপ্ত বোলারদের মধ্যে) ২১ ম্যাচে ৭৫ উইকেট, ৩২.১৩ গড়ে[৭৫]
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার:'[৭৬]
তারিখ | প্রতিপক্ষ | ভেন্যু | রেকর্ডস |
---|---|---|---|
২৬–৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ | শ্রীলঙ্কা | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা | ব্যাটিং ২৬ এবং ৯৬; বোলিং: ৫/৭০ এবং ১/১৩৪[৭৭] |
১৭–২০ জুলাই ২০০৯ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ব্যাটিং: ১৬ এবং ৯৬*; বোলিং ৩/৫৯ এবং ৫/৭০[৭৮] |
ক্যারিয়ার পারফরম্যান্স:
ব্যাটিং[৭৯] | বোলিং[৮০] | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিপক্ষ | ম্যাচ | রান | গড় | সর্বোচ্চ স্কোর | ১০০/৫০ | রান | উইকেট | গড় | সেরা |
ইংল্যান্ড | ৪ | ৫০০ | ২৫.২৫ | ৯৬ | ০/১ | ৬২৮ | ১৭ | ৩৬.৯৪ | ৫/১২১ |
ভারত | ৫ | ১৫৬ | ১৯.৫০ | ৩৪ | ০/০ | ৪৮৮ | ১৩ | ৩৭.৫৩ | ৫/৬২ |
নিউজিল্যান্ড | ৬ | ৪৭৯ | ৫৯.৮৭ | ২১৭ | ১/৩ | ৫৪৭ | ২০ | ২৮.৩০ | ৭/৩৬ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৪ | ১২১ | ১৫.১২ | ৪০ | ০/০ | ৩৫১ | ১২ | ২৯.২৫ | ৬/৯৯ |
পাকিস্তান | ৪ | ৪১২ | ৬৮.৬৬ | ১৪৪ | ১/৩ | ৫৭৩ | ৯ | ৬৩.৮৮ | ৬/৮২ |
শ্রীলঙ্কা | ৩ | ১৯২ | ৩২.০০ | ৯৬ | 0/১ | ৮৩৬ | ২০ | ৪০.৮০ | ৫/৭০ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৬ | ৫৩২ | ৫৩.২০ | ৯৭ | ০/৫ | ৭৮৪ | ২৯ | ২৭.০৩ | ৫/৬৩ |
সর্বমোট | ৪০ | ২৭৪১ | ৩৯.৭২ | ২১৭ | ৩/১৯ | ৪৮৩৩ | ১৪৬ | ৩৩.১০ | ৭/৩৬ |
ওডিআই ম্যাচ
রেকর্ডস
- ৫ম উইকেট জুটিতে - রাকিবুল হাসানকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ জুটি বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১২ মার্চ ২০০৮[৮১] <<< রানের কথা উল্লেখ নেই>>>
- ৯ম উইকেট জুটিতে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ জুটি বনাম পাকিস্তান, ১৬ এপ্রিল ২০০৭[৮১]
- বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা ব্যাটিং গড়: ৩৪.৯৮[৮২]
- বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি: ৫টি।[৮৩]
ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার:[৮৪]
তারিখ | প্রতিপক্ষ | রেকর্ডস |
---|---|---|
জানুয়ারি ২০০৯ | জিম্বাবুয়ে | ৩৫.০০ গড়ে ৭০ রান; ৮.৩৩ গড়ে ৬টি উইকেট[৮৫] |
জানুয়ারি ২০০৯ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৪২.৫০ গড়ে ১৭০রান; ৩৯.৬৬ গড়ে ৬টি উইকেট |
অক্টোবর ২০১০ | নিউজিল্যান্ড | ৭১.০০ গড়ে ২১৩রান; ১৫.৯০ গড়ে ১১টি উইকেট |
মার্চ ২০১২ | ৪ম্যাচে ৬টি উইকেট,৩টি অর্ধ-শতক এবং অপর ম্যাচে ৪৯ রান |
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার:[৭৬]
তারিখ | প্রতিপক্ষ | ভেন্যু | রেকর্ড |
---|---|---|---|
১৫ ডিসেম্বর, ২০০৬ | স্কটল্যান্ড | বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম | ব্যাটিং: ২০*; বোলিং: ৫/৭০[৮৬] |
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ | জিম্বাবুয়ে | হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে | ব্যাটিং: ৬৮; বোলিং: ১/৪০[৮৭] |
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ | কানাডা | এন্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড, সেন্ট জোনস, এন্টিগুয়া এন্ড বারমুডা | ব্যাটিং: ১৩৪*; বোলিং: ২/৩৬[৮৮] |
১৬ এপ্রিল, ২০০৮ | পাকিস্তান | মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মুলতান, পাকিস্তান | ব্যাটিং: ১০৮; বোলিং: ১/৩৪[৮৯] |
১৪ জানুয়ারী, ২০০৯ | শ্রীলঙ্কা | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা | ব্যাটিং: ৯২*; বোলিং: ০/২৪[৯০] |
২৮ জুলাই, ২০০৯ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | উইন্ডসর পার্ক, রোজিও | ব্যাটিং: ৬৫; বোলিং: ১/৪২[৯১] |
১১ আগস্ট, ২০০৯ | জিম্বাবুয়ে | কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব, বুলাওয়ে | ব্যাটিং: ১০৪; বোলিং: ২/৩৯[৯২] |
৫ অক্টোবর, ২০১০ | নিউজিল্যান্ড | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা | ব্যাটিং ৫৮; বোলিং ৪/৪১[৯৩] |
১৪ অক্টোবর, ২০১০ | নিউজিল্যান্ড | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা | ব্যাটিং: ১০৬; বোলিং: ৩/৫৪[৯৪] |
ক্যারিয়ার পারফরম্যান্স:
ব্যাটিং[৯৫] | বোলিং[৯৬] | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিপক্ষ | ম্যাচ | রান | গড় | সর্বোচ্চ স্কোর | ১০০ / ৫০ | রান | উইকেট | গড় | সেরা বোলিং ফিগার |
অস্ট্রেলিয়া | ৪ | ৪৭৮ | ১৯.৫০ | ২৭ | ০/০ | ১২৩ | ৪ | ৩০.৭৫ | ২/৩৮ |
বারমুডা | ২ | ৬৮ | – | ৪২* | ০/০ | ৪৮ | ৩ | ১৬.০০ | ২/১২ |
কানাডা | ১ | ১৩৪ | – | ১৩৪* | ১/০ | ৩৬ | ২ | ১৮.০০ | ২/৩৬ |
ইংল্যান্ড | ৭ | ১৪৮ | ২৪.৬৬ | ৫৭* | ০/১ | ২৮৮ | ৯ | ৩২.০০ | ৩/৩২ |
ভারত | ৬ | ২০০ | ৩৩.৩৩ | ৮৫ | ০/৩ | ২৭৯ | ৬ | ৪৬.৫০ | ২/৪৩ |
আয়ারল্যান্ড | ৬ | ৯৫ | ২৪.১১ | ৫০ | ০/১ | ২১৭ | ৯ | ২৪.১১ | ২/১৬ |
কেনিয়া | ৩ | ৫৮ | ২৯.০০ | ২৫* | ০/০ | ৮৬ | ৩ | ২৮.৬৬ | ২/৩২ |
নেদারল্যান্ডস | ১ | ১৫ | ১৫.০০ | ১৫ | ০/০ | ৩৬ | ২ | ১৮.০০ | ২/৩৬ |
নিউজিল্যান্ড | ১৪ | ৩২৯ | ২৭.৪১ | ১০৬ | ১/১ | ৫৩৪ | ২৪ | ২২.২৫ | ৪/৩৩ |
পাকিস্তান | ৬ | ২১৭ | ৩৬.১৬ | ১০৮ | ১/১ | ২৯০ | ৭ | ৪১.৪২ | ২/৫০ |
স্কটল্যান্ড | ২ | ৬৪ | ৬৪.০০ | ৪৪ | ০/০ | ২১ | ২ | ১০.৫০ | ১/৮ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬ | ১৪৭ | ২৪.৫০ | ৫২ | ০/২ | ২৬৮ | ৫ | ৫৩.৬০ | ২/৪৮ |
শ্রীলঙ্কা | ১০ | ২৫৭ | ৩২.১২ | ৯২* | ০/২ | ৩৩০ | ৫ | ৬৬.০০ | ২/২২ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৫ | ১৩৫ | ২৭.০০ | ৬৫ | ০/২ | ১৪৬ | ৩ | ৪৮.৬৬ | ১/২৬ |
জিম্বাবুয়ে | ২৯ | ৮৮৯ | ৪৪.৪৫ | ১০৫* | ২/৪ | ১,০১৪ | ৪৫ | ২২.৫৩ | ৪/৩৯ |
সর্বমোট | ১০২ | ২,৮৩৪ | ৩৪.৯৮ | ১৩৪* | ৫/১৭ | ৩,৭১৬ | ১২৯ | ২৮.৮০ | ৪/৩৩ |
মিরপুরে সাকিব আল হাসানের টেস্ট রেকর্ড
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৮৯ রানের মধ্য দিয়ে পূর্ন হয় মিরপুর স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের ১০০০ রান। মিরপুরে নিজের ১৩শ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামেন সাকিব আল হাসান। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের পরিসংখ্যন ১৩ ম্যাচ ২৫ ইনিংস ১০৫৮ রান এবং গড় ৪৬.০০[৯৭]
৫ উইকেটসমূহ
দেখুন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের পাঁচ-উইকেট লাভের তালিকা
ব্যক্তিগত জীবন
২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঢাকার হোটেল রূপসী বাংলা'য় তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তামিম ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।[৯৮] বর্তমানে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।[৯৯]
বিতর্ক
মাঠে ও মাঠের বাইরে বিভিন্ন কার্যকলাপের কারণে সাকিব বিভিন্ন সময় সমলোচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের ২য় ওডিআই[১০০] চলাকালীন ড্রেসিংরুমে অশালীন অঙ্গভঙ্গি[১০১] প্রদর্শন করায় তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও তিন লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে তাকে।[১০২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কার
২০১৪ সালের জুলাইয়ে তাকে জাতীয় দল থেকে ৬ মাসের জন্য ও বাংলাদেশের বাইরের ক্লাব ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করে।[১০৩][১০৪] জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহার সাথে দুর্ব্যবহার, মাঠে অশোভন আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান দাবি করেন।[১০৪] যদিও এই শাস্তি দেয়ার জন্য বোর্ডকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন তারকা ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এই অভিযোগের প্রতিবাদ করেন[১০৫] [১০৬] [১০৭]; অনেকে অভিযোগ করেন সাকিব ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছে।
পরবর্তীতে ২৬ই আগস্ট বিসিবির বোর্ড সভায় সাকিবের ইতিবাচক আচরণের কথা বিবেচনা করে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুসারে সাকিব একই বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর[১০৮] থেকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ খেলা শুরু করতে পারবেন। সাময়িক নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেন এবং প্রথম টেস্টে ৫৯ রানের বিনিময়ে প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন।[১০৯]
কীর্তিগাঁথা
সাকিব ২০১১ সালের পর নিজের ৩য় সেঞ্চুরি করেন সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।[১১০] বৃহস্পতিবার প্রথম ঘন্টাতেই ত্রয়োদশবারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব।[১১১] জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের চতুর্দশ পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে সাকিব সাকলাইন মুশতাক ও মাইকেল হোল্ডিংয়ের অর্জনকে পিছনে রেখে দেন। বামহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক টেস্টে দুইবার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির পর সাকিবও এ তালিকায় যুক্ত হন। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রান ও ৫/৮০ পান। পরবর্তীতে ৫/৪৪ পান দ্বিতীয় ইনিংসে। তার এ কৃতিত্বে জিম্বাবুয়ে ১৬২ রানে পরাজিত হয় ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[১১২] নাতসাই মুশাঙউইকে আউট করে সাকিব তার দশম উইকেট পূর্ণ করেন।[১১৩] সাকিবের সেঞ্চুরি ও দশ উইকেট প্রাপ্তির পূর্বে ১৯৮৩ সালে ফয়সালাবাদে ভারতের বিপক্ষে ইমরান খান সর্বশেষ এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। একমাত্র অন্য খেলোয়াড় ইয়ান বোথাম এ তালিকায় রয়েছেন। তন্মধ্যে সাকিব প্রথম স্পিনার হিসেবে। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়াসিম আকরাম তিন টেস্টের সিরিজে সেঞ্চুরিসহ তিনবার পাঁচ উইকেট পান। তারপরই সাকিবের এ অর্জন। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ উইকেট লাভের দিক দিয়ে সাকিবের অবস্থান পঞ্চম। তার সম্মুখে রয়েছেন সিডনি বার্নস, ক্ল্যারি গ্রিমেট, মুত্তিয়া মুরালিধরন, রিচার্ড হ্যাডলি। তবে হার্বার্ট সাটক্লিফ করেছেন মাত্র ১২ ইনিংসে।[১১১]
আরও দেখুন
- তামিম ইকবাল
- বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
- আনামুল হক
- উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের পাঁচ-উইকেট লাভের তালিকা
তথ্যসূত্র
- ↑ সাইয়েদা আকতার বিবিসি বাংলা, ঢাকা (২০১২-১১-১৪)। "বিপিএল নিলামে সাকিবের দাম তিন কোটি টাকা - BBC Bangla - খবর"। Bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪।
- ↑ "সাকিব ঝড়ে জিতল লিস্টারশায়ার"। Banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪।
- ↑ Khawaja Ashraful Hawak, Md Abdul Wadud (২০১৩-০৭-২৯)। ".. I N T E R N E T :.. E D I T I O N"। S A M A K A L। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪।
- ↑ "বিগ ব্যাশে আগ্রহের কেন্দ্রে সাকিব"। প্রথম আলো। ৪ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Mahmud named Bangladesh team manager"। Cricinfo।
- ↑ "Mashud left out of Bangladesh squad"। Cricinfo।
- ↑ "Points Table - World Cup 2006/07 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Brilliant Bangladesh stun India"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - ICC World Cup, 2006/07 - Records - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Whatmore quits as Bangladesh coach"। Cricinfo।
- ↑ "Ashraful named Bangladesh captain"। Cricinfo।
- ↑ "Ashraful slams his way to fastest fifty in Bangladesh win"। Cricinfo।
- ↑ "Siddons accepts to coach Bangladesh - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "New Zealand coast to innings victory"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - Bangladesh in New Zealand ODI Series, 2007/08 - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - South Africa in Bangladesh Test Series, 2007/08 - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - South Africa in Bangladesh Test Series, 2007/08 - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Bangladesh maul sorry New Zealand"। Cricinfo।
- ↑ "Results - Bangladesh v New Zealand 2008-09 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - New Zealand in Bangladesh ODI Series, 2008/09 - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Results - South Africa v Bangladesh 2008-09 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ বোলিং রেকর্ডস: বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, ২০০৮-'০৯
- ↑ "Results - Sri Lanka in Bangladesh - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Shakib powers Bangladesh to final"। Cricinfo।
- ↑ "Shakib takes top spot among ODI allrounders"। Cricinfo।
- ↑ "Mortaza named Bangladesh captain"। Cricinfo।
- ↑ "Shakib, Mahmudullah make up for Mortaza's absence"। Cricinfo।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "West Indies name replacement squad"। Cricinfo।
- ↑ "2nd Test: West Indies v Bangladesh at St George's, Jul 17-20, 2009 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - Bangladesh in West Indies Test Series, 2009 - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - Bangladesh in West Indies ODI Series, 2009 - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Shakib scripts convincing win"। Cricinfo।
- ↑ "Shakib to undergo treatment in Australia"। Cricinfo।
- ↑ "Dhoni, Dilshan pick up maximum nominations"। Cricinfo।
- ↑ "Mortaza appointed captain for Zimbabwe series"। Cricinfo।
- ↑ "Injured Mortaza to miss Zimbabwe ODIs - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "We can still win this 4-1 - Shakib"। Cricinfo।
- ↑ "Results - Bangladesh v Zimbabwe 2009/10 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Results - Bangladesh v England 2009/10 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - England in Bangladesh Test Series, 2009/10 - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - England in Bangladesh ODI Series, 2009/10 - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ ক খ "Shakib blames board for lack of review system"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Bangladesh in England Test Series, 2010 - Records - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Results - Asia Cup 2010 - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Bangladesh in England: Siddons sees captaincy future for Shakib - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "England v Bangladesh 2nd ODI: Bangladesh seal historic victory - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "New Zealand in Bangladesh 2010: Mashrafe Mortaza ruled out due to injury - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Bangladesh v New Zealand: All-round Shakib inspires Bangladesh to historic win - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "New Zealand in Bangladesh 2010: Bangladesh reap rewards of hard work - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Bangladesh v Zimbabwe: 'I was not prepared for captaincy' - Shakib Al Hasan - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Bangladesh v Zimbabwe: Shakib praises Bangladesh recovery - Cricket - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - Zimbabwe in Bangladesh ODI Series, 2010/11 - Most runs - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "Cricket Records - Records - Zimbabwe in Bangladesh ODI Series, 2010/11 - Most wickets - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ Records / West Indies in Bangladesh ODI Series, 2011/12 / Most wickets, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-২১
- ↑ Records / West Indies in Bangladesh Test Series, 2011/12 / Most wickets, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-২১
- ↑ Pakistan in Bangladesh Test Series, 2011/12: Most wickets, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১
- ↑ Pakistan in Bangladesh Test Series, 2011/12: Most runs, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১
- ↑ Ravindran, Siddarth (২০ ডিসেম্বর ২০১১), Pakistan in charge despite Shakib's six-for, ESPNcricinfo, সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১১
- ↑ Shakib becomes No. 1 Test allrounder, Cricinfo, ২২ ডিসেম্বর ২০১১, সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-২৭
- ↑ "Final: Bangladesh v Pakistan at Dhaka, Mar 22, 2012 | Cricket Scorecard"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪।
- ↑ Jeswant, Bishen। "Rainy draws and sparkling debuts, Bangladesh v India, only Test, Fatullah, 5th day"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৪, ২০১৫।
- ↑ "IPL 2012 performance analysis: Dale Steyn, Chris Gayle take pole position | Cricket News | Indian Premier League 2012"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৪।
- ↑ Isam, Mohammad। "Soumya Sarkar in Bangladesh World Cup squad"। ESPNCricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Bangladesh Squad"। Cricinfo।
- ↑ "ICC World Cup: Shakib Al Hasan First Bangladesh Batsman to Cross 4000 ODI Runs"। NDTV। NDTV। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "টেস্ট–ওয়ানডের 'ডাবলে' ক্যালিসের পরই সাকিব"। প্রথম আলো। ১৭ জুন ২০১৫।
- ↑ টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিগুলো, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ ইনিংসে বাংলাদেশের বেস্ট বোলিং ফিগারসমূহ, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিং গড়, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৯
- ↑ ক খ সাকিবের অ্যাওয়ার্ড জয়ী ম্যাচগুলো (13), Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০১
- ↑ f50998 t1903 বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা, ১ম টেস্ট, ২০০৮-০৯, CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ f51423 t1926 ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ, দ্বিতীয় টেস্ট, ২০০৮-০৯, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০১
- ↑ স্ট্যাটগুরু — সাকিব আল-হাসান - টেস্ট ব্যাটিং - ক্যারিয়ার সামারী, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ স্ট্যাটগুরু - সাকিব আল-হাসান - টেস্ট বোলিং - ক্যারিয়ার সামারী, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-০৮
- ↑ ক খ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিগুলো, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানেরা, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১২
- ↑ ওডিআইতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানো ব্যাটসম্যানেরা, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-১৯
- ↑ Events for which Shakib Al Hasan (3), Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০১
- ↑ জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর, ২০০৮-০৯, Cricket Archive, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর ২০০৬-০৭ (১ম ওয়ানডে), CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর ২০০৬/০৭ (১ম ওয়ানডে, Cricinfo.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫
- ↑ বাংলাদেশ বনাম কানাডা, ত্রিদেশীয় সিরিজ ২০০৬/০৭, CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫
- ↑ বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ২০০৭/০৮ (চতুর্থ ওয়ানডে), CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৩
- ↑ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা, ত্রিদেশীয় সিরিজ 2২০০৮/০৯, CricketArchive.com, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫
- ↑ বাংলাদেশের ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফর ২০০৯ (২য় ওয়ানডে), সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
- ↑ বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর, ২০০৯ (২য় ওয়ানডে), সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
- ↑ নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর, ২০১০/১১ (১ম ওয়ানডে), সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
- ↑ নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর, ২০১০/১১ (চতুর্থ ওয়ানডে), সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-১৫
- ↑ "স্ট্যাটগুরু - সাকিব আল-হাসান - ওডিআই ব্যাটিং - ক্যারিয়ার সামারী"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১২।
- ↑ "স্ট্যাটগুরু - সাকিব আল-হাসান - ওডিআই বোলিং - ক্যারিয়ার সামারী"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১২।
- ↑ মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড,জুন ২০১৫,পৃষ্ঠা-৩৫
- ↑ Isam, Mohammad (১২ ডিসেম্বর ২০১২), Shakib ties knot with US-based girl, Cricinfo, সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১২
- ↑ "পৃথিবীর আলোয় সাকিব-শিশিরের 'রাজকন্যা'"। bdnews24.com।
- ↑ "2nd ODI: Bangladesh v Sri Lanka at Dhaka, Feb 20, 2014 - Cricket Scorecard - ESPN Cricinfo"। Cricinfo।
- ↑ "তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন সাকিব আল হাসান"। ittefaq.com.bd।
- ↑ "অশোভন আচরণের দায়ে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব"। প্রথম আলো। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ মোহাম্মদ ইসলাম। "Shakib Al Hasan suspended for six months by BCB"। ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ জুলাই, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "ছয় মাস নিষিদ্ধ সাকিব"। জুলাই ০৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আষাঢ় ১৪২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সাকিবের পাশে সুবর্ণা"। প্রথম আলো। জুলাই ০৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আষাঢ় ১৪২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সাকিবের মুখে কোনো কথা নেই"। প্রথম আলো। জুলাই ০৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আষাঢ় ১৪২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সাকিবের জন্য মানববন্ধন"। প্রথম আলো। জুলাই ০৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আষাঢ় ১৪২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সাকিবের শাস্তি কমলো"। bdnews24.com।
- ↑ "সাকিবেই শেষ জিম্বাবুয়ে"। প্রথম আলো। ২৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Muthu, Alagappan (নভেম্বর ৪, ২০১৪)। "Zimbabwe hit by Shakib, Tamim tons; Bangladesh v Zimbabwe, 2nd Test, Khulna, 2nd day"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৭, ২০১৪।
- ↑ ক খ Jeswant, Bishen (নভেম্বর ৭, ২০১৪)। "Shakib joins Imran, Botham; Bangladesh v Zimbabwe, 2nd Test, Khulna, 5th day"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৮, ২০১৪।
- ↑ "'Had my eye on this record' - Shakib; Bangladesh v Zimbabwe, 2nd Test, Khulna, 5th day"। espncricinfo। নভেম্বর ৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৮, ২০১৪।
- ↑ Muthu, Alagappan (নভেম্বর ৭, ২০১৪)। "Shakib five-for spurs series win; Bangladesh v Zimbabwe, 2nd Test, Khulna, 5th day"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৮, ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
- সাকিবের ক্রিকইনফো প্রোফাইল
- ফ্রম মাগুরা টু নাম্বার ১, উৎপল শুভ্র
- সাকিবের হাত ধরে বাংলাদেশের জয়
- সাকিবের ক্রিকেট আর্কাইভ প্রোফাইল
- বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডাররা
- জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ
- পরিসংখ্যান, সাকিব আল হাসান
- ইতিহাস রচনা করলো বাংলাদেশ
- সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়কেরা
- সাকিব অধিনায়ক হওয়ায় মাশরাফিও খুশি
- রকিবুল ও সাকিবের হাত ধরে দেশের বাইরে প্রথম জয়
- সাকিবের উপর লেখা বই 'সাকিব আল হাসান - আপন চোখে ভিন্ন চোখে'
পূর্বসূরী মাশরাফি বিন মর্তুজা |
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০৯-২০১০ |
উত্তরসূরী মাশরাফি বিন মর্তুজা |
পূর্বসূরী মাশরাফি বিন মর্তুজা |
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ২০১০-২০১১ |
উত্তরসূরী মুশফিকুর রহিম |
- বাংলাদেশী ক্রিকেটার
- ১৯৮৭-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক
- বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটার
- বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট সেঞ্চুরিকারী
- বাংলাদেশের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেটার
- ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- বাংলাদেশের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- খুলনা বিভাগের ক্রিকেটার
- খুলনার ব্যক্তিত্ব
- খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের ক্রিকেটার
- কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটার
- ওরচেস্টারশায়ারের ক্রিকেটার
- লিচেস্টারশায়ারের ক্রিকেটার
- বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের ক্রিকেটার
- অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার
- মেলবোর্ন রেনেগেডসের ক্রিকেটার
- বিশ্বের ১নং ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার