শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hiwamy (আলোচনা | অবদান)
মাতা
Hiwamy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
জন্ম ১৭ মার্চ, ১৯২০ [[ফরিদপুর]] জেলার [[গোপালগঞ্জের]] (বর্তমানে জেলা) [[টুঙ্গিপাড়া]] গ্রামে। পিতা শেখ লুত্‍ফর রহমান এবং মাতা জাহেদা খাতুন।। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে [[কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজ]] থেকে বিএ পাস করেন। সে'বছর দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ভর্তি হন।
জন্ম ১৭ মার্চ, ১৯২০ [[ফরিদপুর]] জেলার [[গোপালগঞ্জের]] (বর্তমানে জেলা) [[টুঙ্গিপাড়া]] গ্রামে। পিতা শেখ লুত্‍ফর রহমান এবং মাতা জাহেদা খাতুন।। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে [[কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজ]] থেকে বিএ পাস করেন। সে'বছর দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ভর্তি হন।


১৯৪৯ সালে [[পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগ|পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগের]] নির্বাচনে একজন যুগ্ম-সচিব নির্বাচিত হবার পর শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে একজন রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ফরিদপুর জেলে কারাবরণ করেন। ১৯৬৬ সালে দলের প্রধান হবার আগ পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৯ সালে [[পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগ|পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগের]] নির্বাচনে একজন যুগ্ম-সচিব নির্বাচিত হবার পর শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে একজন রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ফরিদপুর জেলে কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি [[ইউনাইটেড ফ্রন্ট|ইউনাইটেড ফ্রন্টের]] হয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ তে তিনি [[আতাউর রহমান খান|আতাউর রহমান খানের]] কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি দলের গঠনে মনেনিবেশ করেন এবং দলকে তৃনমূল পর্যায়ে সক্রিয় করে তোলেন। এই সময়ে দলের ভেতর তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে দলের প্রধান হবার আগ পর্যন্ত তিনি মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৬ সালে তিনি ছয়-দফা আন্দোলনের সুচনা করেন যার মূল বক্তব্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন। এতে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শংকিত হয়ে উঠে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৬ সালের মে মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে তাকে [[আগরতলা ষড়যন্ত্র মামল|আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার]] একজন আসামী হিসেবে আবার গ্রেফতার করা হয়। জনগণের দাবীর মূখে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

১৯৭০ এর সাধারন নির্বাচনে জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়-দফা দাবীকে সমর্থন জানালে তাঁর দল আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৪টি সীটের মধ্যে ১৬২টিতে জয়ী হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগড়িষ্ঠতা পাবার পরও [[জুলফিকার আলী ভুট্টো|ভুট্টো]] ও [[ইয়াহিয়া খান|ইয়াহিয়ার]] সামরিক জান্তা মুজিবকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল ঘোষনা করলে মুজিব সর্বাত্নক [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনের]] ডাক দেন।

এই অবস্থায় [[৭ মার্চ]], [[১৯৭১]] ঢাকার [[রেসকোর্স ময়দান|রেসকোর্স ময়দানের]] বিশাল জনসভায় এক ঐতিহাসিক ভাষনে শেখ মুজিব সামরিক জান্তার সমালোচনা করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যার্থতার জন্য। এই জনসভাতেই তিনি বলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।"


''নিবন্ধটি অসম্পূর্ন। আপনি চাইলে একে সমৃদ্ধ করতে পারেন।''
''নিবন্ধটি অসম্পূর্ন। আপনি চাইলে একে সমৃদ্ধ করতে পারেন।''

১৩:১০, ১৭ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চিত্র:Mujib.png
শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামেও পরিচিত; জন্ম ১৭ মার্চ, ১৯২০; মৃত্যু ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫) বাংলাদেশের জনগণের অবিসংবাদিত নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীরাষ্ট্রপতি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের (তত্‍কালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শোষন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে এবং শেষে এই প্রতিবাদ যুদ্ধে রূপ নেয় পাক হানাদার বাহিনী শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে।

জন্ম ১৭ মার্চ, ১৯২০ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জের (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। পিতা শেখ লুত্‍ফর রহমান এবং মাতা জাহেদা খাতুন।। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। সে'বছর দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

১৯৪৯ সালে পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগের নির্বাচনে একজন যুগ্ম-সচিব নির্বাচিত হবার পর শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে একজন রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ফরিদপুর জেলে কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ইউনাইটেড ফ্রন্টের হয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ তে তিনি আতাউর রহমান খানের কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি দলের গঠনে মনেনিবেশ করেন এবং দলকে তৃনমূল পর্যায়ে সক্রিয় করে তোলেন। এই সময়ে দলের ভেতর তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে দলের প্রধান হবার আগ পর্যন্ত তিনি মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৬ সালে তিনি ছয়-দফা আন্দোলনের সুচনা করেন যার মূল বক্তব্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন। এতে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শংকিত হয়ে উঠে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৬ সালের মে মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন আসামী হিসেবে আবার গ্রেফতার করা হয়। জনগণের দাবীর মূখে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

১৯৭০ এর সাধারন নির্বাচনে জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়-দফা দাবীকে সমর্থন জানালে তাঁর দল আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৪টি সীটের মধ্যে ১৬২টিতে জয়ী হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগড়িষ্ঠতা পাবার পরও ভুট্টোইয়াহিয়ার সামরিক জান্তা মুজিবকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল ঘোষনা করলে মুজিব সর্বাত্নক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

এই অবস্থায় ৭ মার্চ, ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় এক ঐতিহাসিক ভাষনে শেখ মুজিব সামরিক জান্তার সমালোচনা করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যার্থতার জন্য। এই জনসভাতেই তিনি বলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।"

নিবন্ধটি অসম্পূর্ন। আপনি চাইলে একে সমৃদ্ধ করতে পারেন।