অনুরাধা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৬৬ নং লাইন: ৬৬ নং লাইন:
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলনের|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৫ দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন।
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলনের|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৫ দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন।


ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন।
ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৮:৩২, ৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অনুরাধা গান্ধী
Anuradha Ghandy
চিত্র:Anuradha Ghandy.jpg
Source - bbc.co.uk - © [2009] BBC
জন্ম
Anuradha Shanbag

১৯৫৪ (1954)
মৃত্যু১২ এপ্রিল ২০০৮(2008-04-12) (বয়স ৫৩–৫৪)
মৃত্যুর কারণFalciparum Malaria
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামNarmada, Varsha, Rama, Anu, Janaki
মাতৃশিক্ষায়তনElphinstone College, মুম্বাই
পরিচিতির কারণProminent Figure of Maoist movement in India
দাম্পত্য সঙ্গীকোবাদ গান্ধী (বি. ১৯৮৩)
পিতা-মাতাকুমুদ (মা)
গণেশ (বাবা)

অনুরাধা গান্ধী (১৯৫৪ - ১২ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় সাম্যবাদী, লেখক, এবং বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।[১] তিনি বেশিরভাগ প্রচারণার সাথে, এবং সিপিআই এর শহরাঞ্চলের মধ্যে বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন।[২] তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন।[৩]

মার্কসবাদী আন্দোলন দ্বারা খসড়াকৃত নীতিগত কাগজপত্রের ভেতরে অনুরাধা বর্ণবিভেদ এবং "নারীবাদ এবং মার্কসবাদ"-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি দণ্ডকারন্যের মতো কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্রিক এলাকায় গেরিলাদেরকে সম্ভাব্য শ্রমিক সমবায় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করেন। তিনি পার্টিতে প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক ধারণার আধিপত্যের উপর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন।[৪]

জ্যোতি পানোয়ানি লিখেছিলেন "নকশাল হুমকি', মনমোহন সিংহ বলেন, 'দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি'। কিন্তু আমি মনে করি একটি মেয়ে যে সবসময় হাসত এবং যে সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধ জীবন ছেড়ে দিয়েছিল অন্যদের জীবনকে পরিবর্তন করতে"। জ্যোতি পানোয়ানি হচ্ছেন অনুরাধার ১৯৭০-এর দশকে কলেজের বন্ধু, যে তার মৃত্যু সম্বন্ধে লিখেছিলেন।[৫]

শৈশব

আগের প্রজন্মের সাম্যবাদী, গণেশ ও কুমুদ শনবাগের[৪] মুম্বাই সিপিআই অফিসে বিবাহ হয় এবং এরকম একটি পরিবারে অনুরাধার জন্ম হয়।[৪] তারা ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত পার্টিতে ছিলেন, তখনও বর্তমানের মতো মাওবাদী ও মার্কসবাদী দলের মধ্যে ভাগ ছিল না।[৪] পরে গণেশ প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্য হন, এবং ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতেন।[৪] কুমুদ একজন সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবে তার জীবন কাটিয়েছেন, এবং বর্তমানে তিনি এক নারী দলের সঙ্গে জড়িত আছেন।

তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এমনভাবে লালনপালন করেন যে, তারা পরে বিপ্লবী হয়ে ওঠে। অনুরাধার ভাই, বিশিষ্ট মুম্বাই-ভিত্তিক নাট্যকার, প্রগতিশীল নাটক লিখতেন। অনুরাধা সান্তাক্রুজে জে বি ক্ষুদে স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেি স্কুলটি শিশুদের বৈচিত্রময় মতামত এবং ধারনার উন্মুক্ত ছিল এবং সেখানে অনেক পড়তে উৎসাহিত করা হতো। সেখানে যেমন ধ্রুপদী নাচ এবং থিয়েটারের ক্ষেত্রে বিকাশের আয়োজন ছিলো।[৪]

পরিবারটি খুবি কমিউনিস্ট ভাবাপন্ন ছিলো, যেখানে অনুরাধা কলেজে পড়ার সময় রাজনীতিতে যুক্ত হন। সেই সময়টি ছিলো ভারতে সাম্যবাদ প্রচারের প্রধান সময়, যখন অন্যান্য সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সংগে ১৯৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায়, চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পক্ষে তুমুল প্রচারণা চলছিলো। এটা সেই সময় যখন নকশালবাড়ি অস্তিত্বে এসেছিল,[২] যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বিপ্লবের আগুন জ্বেলেছিল, অনুরাধা তখন PROYOM নামে একটি বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন নকশাল আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৫ দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন।

ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "List of banned organisations"Ministry of Home Affairs। Ministry of Home Affairs (India)। 
  2. Manoj Prasad, Zahid Rafiq (২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Maoist who went to school in Doon, London"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 
  3. Special Correspondent (এপ্রিল ২৯, ২০০৮)। "Maoist leader Anuradha dead"The Hindu 
  4. Rahul Pandita (সেপ্টেম্বর ২৬, ২০০৯)। "The Rebel"OPEN 
  5. Jyoti Punwani (এপ্রিল ২০, ২০০৮)। "Memories of a Naxalite friend"The Times of India