পদ্মপুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shariful iea (আলোচনা | অবদান)
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: সংশোধন, replaced: সম্পূর্ন → সম্পূর্ণ, ব্যাবহার → ব্যবহার
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
রচনা শৈলী ও বর্ণনার বিন্যাস বিবেচনায় ধারনা করা হয় পদ্মপুরাণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকদের লেখার একটি সংকলন।{{Sfn|Rocher|1986|pp=207-208}} এই পুরাণে বিশ্বতত্ত্ব, পুরাণ, বংশতালিকা, ভূগোল, নদী ও ঋতু, মন্দির ও তীর্থযাত্রা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে ভারতের উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান, [[পুস্করের ব্রহ্মা মন্দির|পুস্করের ব্রহ্মা মন্দিরের]] বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।{{Sfn|Rocher|1986|pp=208-209}} পদ্মপুরাণে [[রাম]] ও [[সীতা|সীতার]] কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে যা [[বাল্মীকি]] প্রণিত মূল [[রামায়ন|রামায়নের]] চেয়ে ভিন্ন। এছাড়াও পদ্মপুরানে আছে ধর্মীয় উৎসব, নীতিকথা ও অতিথীসেবার উপর আলোচনা, [[যোগ ব্যায়াম]], আত্মার উপর ধর্মতাত্বিক আলোচনা, [[একেশ্বরবাদ]], মুক্তি ও একই রকম আরো অনেক বিষয়।{{Sfn|Rocher|1986|pp=206-214}}{{Sfn|Wilson|1864|pp=29-35}}{{Sfn|K P Gietz|1992|pp=289, 820}}
রচনা শৈলী ও বর্ণনার বিন্যাস বিবেচনায় ধারনা করা হয় পদ্মপুরাণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকদের লেখার একটি সংকলন।{{Sfn|Rocher|1986|pp=207-208}} এই পুরাণে বিশ্বতত্ত্ব, পুরাণ, বংশতালিকা, ভূগোল, নদী ও ঋতু, মন্দির ও তীর্থযাত্রা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে ভারতের উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান, [[পুস্করের ব্রহ্মা মন্দির|পুস্করের ব্রহ্মা মন্দিরের]] বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।{{Sfn|Rocher|1986|pp=208-209}} পদ্মপুরাণে [[রাম]] ও [[সীতা|সীতার]] কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে যা [[বাল্মীকি]] প্রণিত মূল [[রামায়ন|রামায়নের]] চেয়ে ভিন্ন। এছাড়াও পদ্মপুরানে আছে ধর্মীয় উৎসব, নীতিকথা ও অতিথীসেবার উপর আলোচনা, [[যোগ ব্যায়াম]], আত্মার উপর ধর্মতাত্বিক আলোচনা, [[একেশ্বরবাদ]], মুক্তি ও একই রকম আরো অনেক বিষয়।{{Sfn|Rocher|1986|pp=206-214}}{{Sfn|Wilson|1864|pp=29-35}}{{Sfn|K P Gietz|1992|pp=289, 820}}


[[জৈন]] ধর্মের অনুসারীরা সম্পূর্ন ভিন্ন একটি পদ্মপুরাণ ব্যাবহার করেন। এই গ্রন্থটি মূলত রামায়নের জৈন সংস্করন।{{Sfn|Rocher|1986|pp=94-95, for context see 90-95 with footnotes}}{{Sfn|Dalal|2014|p=240}}
[[জৈন]] ধর্মের অনুসারীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পদ্মপুরাণ ব্যবহার করেন। এই গ্রন্থটি মূলত রামায়নের জৈন সংস্করন।{{Sfn|Rocher|1986|pp=94-95, for context see 90-95 with footnotes}}{{Sfn|Dalal|2014|p=240}}


==ইতিহাস==
==ইতিহাস==

১৫:০৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পদ্মপুরাণ (সংস্কৃত: पद्म पुराण) হল হিন্দু ধর্মের আঠারোটি পুরণের মধ্যে অন্যতম। [১] এটি একটি সর্বব্যাপী গ্রন্থ যার নাম রাখা হয় পদ্ম ফুলের নামে। এই পদ্মফুলেই ভগবান ব্রহ্মা আবির্ভূত হয়েছিলেন। [১][২] বর্তমানে পদ্মপুরানের আধুনিক সংস্করনসমূহের যে সকল পান্ডুলিপি পাওয়া যায় সেগুলো একে অন্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায় পূর্ব ভারত ও পশ্চিম ভারতে প্রাপ্ত পান্ডুলিপিগুলোতে। এই দুই প্রকার গ্রন্থের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ আলাদা। পদ্মপুরাণ একটি বৃহদায়তন পুস্তক। দাবী করা হয় যে এতে সর্বমোট ৫৫,০০০ টি শ্লোক আছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এর শ্লোকের সংখ্যা ৫০,০০০।[৩][৪] রচনা শৈলী ও বর্ণনার বিন্যাস বিবেচনায় ধারনা করা হয় পদ্মপুরাণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকদের লেখার একটি সংকলন।[৫] এই পুরাণে বিশ্বতত্ত্ব, পুরাণ, বংশতালিকা, ভূগোল, নদী ও ঋতু, মন্দির ও তীর্থযাত্রা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে ভারতের উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান, পুস্করের ব্রহ্মা মন্দিরের বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।[৬] পদ্মপুরাণে রামসীতার কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে যা বাল্মীকি প্রণিত মূল রামায়নের চেয়ে ভিন্ন। এছাড়াও পদ্মপুরানে আছে ধর্মীয় উৎসব, নীতিকথা ও অতিথীসেবার উপর আলোচনা, যোগ ব্যায়াম, আত্মার উপর ধর্মতাত্বিক আলোচনা, একেশ্বরবাদ, মুক্তি ও একই রকম আরো অনেক বিষয়।[২][৩][৭]

জৈন ধর্মের অনুসারীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পদ্মপুরাণ ব্যবহার করেন। এই গ্রন্থটি মূলত রামায়নের জৈন সংস্করন।[৮][৯]

ইতিহাস

অন্যান্য পুরাণের মতো পদ্ম পুরাণের অনেক গুলো সংস্করন আছে। [১০][১১] এদের ভিতর মূল পার্থক্যটি হচ্ছে, বাংলা ভাষায় যে সংস্করনটি পাওয়া যায় সেগুলো পাঁচটি খন্ড ও একটি পরিশিষ্টে বিভক্ত। যেগুলো কখনও প্রকাশিত হয়নি বা অন্য ভাষায় অনুদিত হয়নি।[১০] দ্বিতীয় প্রধান পার্থক্যটি হল, পশ্চিম ভারতে যে পদ্মপুরাণ পাওয়া যায় তাতে ছয়টি খন্ড আছে। এ সংস্করনটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে ভারতে বহুল পঠিত একটি সংস্করন। [১০] তবে বাংলা সংস্করনটি অধিক পুরাতন। [১২] বাংলা সংস্করনে ৩৯ তম অধ্যায়, ধর্ম-শাস্ত্র সংস্কৃত সংস্করনে অনুপস্থিত।[৫]

পদ্মপুরাণ কবে লেখ হয়েছিল তা জানা জায়নি। অনুমান করা হয় যে চতুর্থ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যে শ্লোকগুলো লেখা হয়েছিল।[১৩] কিছু অংশ লেখা হয় ৭৫০ থেকে ১০০০ সালের মধ্যে।[১৪]

তথ্যসূত্র

  1. Dalal 2014, পৃ. 239-240।
  2. Rocher 1986, পৃ. 206-214।
  3. Wilson 1864, পৃ. 29-35।
  4. HH Wilson (1839), Essays on the Puránas. II, The Journal of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland, Vol. 5, No. 2, pages 280-313
  5. Rocher 1986, পৃ. 207-208।
  6. Rocher 1986, পৃ. 208-209।
  7. K P Gietz 1992, পৃ. 289, 820।
  8. Rocher 1986, পৃ. 94-95, for context see 90-95 with footnotes।
  9. Dalal 2014, পৃ. 240।
  10. Rocher 1986, পৃ. 18, 206-214।
  11. Gregory Bailey (২০০৩)। Arvind Sharma, সম্পাদক। The Study of Hinduism। University of South Carolina Press। পৃষ্ঠা 141–142। আইএসবিএন 978-1-57003-449-7 
  12. Rocher 1986, পৃ. 207।
  13. Vanita 2005, পৃ. 144।
  14. Doniger 2010, পৃ. 473।