প্রেমানন্দ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সূত্র
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩২ নং লাইন: ৩২ নং লাইন:


== মৃত্যু ==
== মৃত্যু ==
প্রফুল্ল রায় হত্যা মামলায় মুক্তি পেলেও অঅন্যায়ভাবে ১ নং বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স এক্ট অনুসারে তাকে পুলিশ আবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। জেলে থাকার সময় তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে [[রাঁচি]]<nowiki/>র মানসিক হসপিটালে পাঠানো হয়। সেখানেই এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|last=প্রথম খন্ড|first=সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০২|isbn=81-85626-65-0|location=কলকাতা|pages=৩২০}}</ref>
প্রফুল্ল রায় হত্যা মামলায় মুক্তি পেলেও অন্যায়ভাবে ১ নং বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স এক্ট অনুসারে তাকে পুলিশ আবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। জেলে থাকার সময় তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে [[রাঁচি]]<nowiki/>র মানসিক হসপিটালে পাঠানো হয়। সেখানেই এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|last=প্রথম খন্ড|first=সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০২|isbn=81-85626-65-0|location=কলকাতা|pages=৩২০}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৫:১৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রেমানন্দ দত্ত
জন্ম
মৃত্যু১৯২৪
আন্দোলনভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন

প্রেমানন্দ দত্ত বাঙালী সশস্ত্র বিপ্লববাদী।

জন্ম

জন্ম: চট্টগ্রাম। মৃত্যু: রাঁচি, ঝাড়খণ্ড।

প্রারম্ভিক জীবন।

পিতা হরিশ চন্দ্র দত্ত ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের আচার্য। প্রেমানন্দ চট্টগ্রাম বন্দরের প্রিভেনটিভ অফিসারের কাজ করতেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের আহবানে সাড়া দিয়ে চাকরি ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং কারাবরণ করেন। চা বাগানে শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে কর্মচারীদের ঘোষিত ধর্মঘটে অংশ নিয়ে আবার জেলে যান।

বিপ্লবী দলে

মাস্টারদা সূর্য সেনের অনুগামী ও বিপ্লবী অনন্ত সিংহ তার বন্ধু ছিলেন। চট্টগামের একই পাড়ায় তাদের বাড়ি ছিল। ১৯২৩ সালে তারা শারীরশিক্ষা ক্লাব গড়ে তোলেন যা ছিল গোপনে বিপ্লবী রাজনীতির চর্চাকেন্দ্র। মুলত অনন্ত সিংহের অনুপ্রেরণাতেই প্রেমানন্দ বিপ্লবী দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেন। অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত ও নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করতেন[১]

প্রফুল্ল রায় হত্যা

চট্টগ্রামে বিপ্লবীদের ওপর নজর রাখার জন্যে ব্রিটিশ পুলিশের গোয়েন্দা সাব-ইন্সপেক্টর প্রফুল্ল রায় কুখ্যাত ছিল। এই ব্যক্তি অনন্ত সিংহকে গ্রেপ্তার করলে প্রেমানন্দ দত্ত প্রতিশোধ নিতে সচেষ্ট হন। প্রফুল্ল রায়ের সাথে বন্ধুত্ব করে চট্টগ্রাম পল্টনের মাঠে নির্জন জায়গায় নিয়ে ১৯২৪ এর ২৪শে মে তাকে গুলি করে হত্যা করেন। প্রফুল্ল মৃত্যুকালীন জবানবন্দীতে প্রেমানন্দের নাম বলে যায় এবং তিনি গ্রেপ্তার হন।[২] ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত তার হয়ে মামলা লড়েন। মামলার প্রধান সাক্ষী রায়বাহাদুর সতীশ রায়কে সুকৌশলে জেরা করে, আইনি জটিলতার মারপ্যাঁচে ফেলে প্রেমানন্দ দত্তকে বেকসুর খালাস করেন যতীন্দ্রমোহন।[৩] হাইকোর্টে এপিলে গেলে সেখানেও নিরপরাধ প্রমানিত হন তিনি[৪]

মৃত্যু

প্রফুল্ল রায় হত্যা মামলায় মুক্তি পেলেও অন্যায়ভাবে ১ নং বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স এক্ট অনুসারে তাকে পুলিশ আবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। জেলে থাকার সময় তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে রাঁচির মানসিক হসপিটালে পাঠানো হয়। সেখানেই এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।[৫]

তথ্যসূত্র

  1. প্রথম খন্ড, অনন্ত সিংহ (১৯৬৮)। অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম। কলকাতা: বিদ্যোদয় লাইব্রেরি প্রা: লি:। পৃষ্ঠা ১৮৪। 
  2. Manasi Bhattacharya। Chittagong Summer 1930। HarperCollins publishers। পৃষ্ঠা Timeline। 
  3. প্রসাদ দাস মুখোপাধ্যায়, সূর্যসেন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম (১৯৯৫)। চট্টগ্রাম সশস্ত্র বিপ্লবে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহনের ভূমিকা। বহরমপুর: সূর্যসেনা প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭৪। 
  4. অনন্ত সিংহ (১৯৬৮)। অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম প্রথম খন্ড। কলকাতা: বিদ্যোদয় লাইব্রেরী প্রা: লি:। পৃষ্ঠা ২১৫, ২১৬। 
  5. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩২০। আইএসবিএন 81-85626-65-0