কেলেচি ইহেয়ানাচো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪৯ নং লাইন: | ৪৯ নং লাইন: | ||
==== ২০১৬-১৭ মৌসুম ==== |
==== ২০১৬-১৭ মৌসুম ==== |
||
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কেলেচি ইহিয়ানাচোর দেয়া মৌসুমের প্রথম গোল এবং এসিস্টের সাহায্যে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। এর চারদিন পর উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে বুরুশিয়া মঞ্চেনগ্লাডবাচের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামা কেলেচির একটি গোলের সাহায্যে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে সিটি, যা কোন ইউরোপিয়ান লিগে দেয়া তার প্রথম গোল। ৪-০ গোলে জয়ের দুইদিনপর প্রিমিয়ার লিগে বোর্ন্মাউথের বিপক্ষে আবারো গোল দিন এবং এসিস্ট করেন, এই গোলের সাহায্যে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১০ম গোল করেন। প্রিমিয়ার লিগে রায়ান গিগস, ওয়েইন রুনি, মাইকেল ওয়েন, রোমেলু লুকাকু ও নিকোলাস আনেলকার পর ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০ বছরের কম বয়সে ১০ টি গোল দেয়ার রেকর্ড করেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগে সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে নিজের ৪র্থ গোল দেন, ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। |
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কেলেচি ইহিয়ানাচোর দেয়া মৌসুমের প্রথম গোল এবং এসিস্টের সাহায্যে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। এর চারদিন পর উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে বুরুশিয়া মঞ্চেনগ্লাডবাচের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামা কেলেচির একটি গোলের সাহায্যে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে সিটি, যা কোন ইউরোপিয়ান লিগে দেয়া তার প্রথম গোল। ৪-০ গোলে জয়ের দুইদিনপর প্রিমিয়ার লিগে বোর্ন্মাউথের বিপক্ষে আবারো গোল দিন এবং এসিস্ট করেন, এই গোলের সাহায্যে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১০ম গোল করেন। প্রিমিয়ার লিগে [[রায়ান গিগস]], [[ওয়েইন রুনি]], [[মাইকেল ওয়েন]], [[রোমেলু লুকাকু]] ও [[নিকোলাস আনেলকা|নিকোলাস আনেলকার]] পর ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০ বছরের কম বয়সে ১০ টি গোল দেয়ার রেকর্ড করেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগে [[সাউথহ্যাম্পটন ফুটবল ক্লাব|সাউথহ্যাম্পটনের]] বিপক্ষে নিজের ৪র্থ গোল দেন, ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। |
||
২০১৬ সালের অক্টোবরে কেলেচি ইহিয়ানাচো ফিফা গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন, যা পরে বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার রেনাটো সানচেজ জিতে। এর আগে এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে তার ক্লাব সতীর্থ [[রাহিম স্টার্লিং|রাহিম স্টারলিং]] ও সার্হিও আগুয়েরো এবং পাঁচবারের ব্যালন-ডি-অর জয়ী লিওনেল মেসি অন্যতম। |
২০১৬ সালের অক্টোবরে কেলেচি ইহিয়ানাচো ফিফা গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন, যা পরে বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার [[রেনাটো সানচেজ]] জিতে। এর আগে এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে তার ক্লাব সতীর্থ [[রাহিম স্টার্লিং|রাহিম স্টারলিং]] ও [[সার্হিও আগুয়েরো]] এবং পাঁচবারের ব্যালন-ডি-অর জয়ী [[লিওনেল মেসি]] অন্যতম। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
০৯:৪৪, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৭ বছর আগে Sajid Ahmed Nijhu (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেলেচি প্রোমিস ইহিয়ানাচো | ||
জন্ম | ৩ অক্টোবর ১৯৯৬ | ||
জন্ম স্থান | ইমো, নাইজেরিয়া | ||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার সিটি | ||
জার্সি নম্বর | ৭২ |
কেলেচি প্রোমাইস ইহিয়ানাচো (জন্ম: ৩ অক্টোবর ১৯৯৬) একজন নাইজেরিয়ান পেশাদার ফুটবলার, যিনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং নাইজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
ইহিয়ানাচো নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যে জন্মগ্রহন করেন। সেখানে স্থানীয় টায়ে ফুটবল একাডেমীতে খেলা শুরু করেন।
ম্যানচেস্টার সিটি
ইহিয়ানাচো ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার সিটি একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমের আগে ম্যানচেস্টার সিটির যুবদল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যায়, তখন তিনি প্রথমবার দলে সুযোগ পায়। স্পোর্টিং কানসাস সিটি'র বিপক্ষে সেবার অভিষেক হয়ে কেলেচির, সেই ম্যাচে তার দেয়া একটি গোলের সুবাদে ৪-১ গোলের বিশাল জয় পায় ম্যানচেস্টার সিটি। উয়েফা যুব লিগে ম্যানচেস্টার সিটি অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে তিনি খেলেন, তবে প্রথম ম্যাচেই মাত্র ১১ মিনিট সময়ে তিনি ইনজুরি হন।
২০১৫-১৬ মৌসুম
২০১৫ সালের জুলাইয়ে নতুন মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য ম্যানচেস্টার সিটি অস্ট্রেলিয়ার খেলতে যায়, সেখানে সিনিয়র দলে ডাক পান। সেখানে ২০১৫ ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়েন্স কাপে রোমার বিপক্ষে ১ টি গোল দেন।
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট কেলেচি প্রিমিয়ার লিগের ১ম ম্যাচের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হন। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ব্রোমের বিপক্ষে বদলি খেলোয়ার হিসেবে নামে, ম্যাচটি ৩-০ গোলে জয়লাভ করে ম্যানচেস্টার সিটি। এর ১৯ দিন পর রাহিম স্টারর্লিং এর বদলে প্রথমবারের মত একাদশে জায়গা পায়, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে ওয়ার্টফোর্টের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়লাভ করে ম্যানচেস্টার সিটি। ১২ সেপ্টেম্বরে উইলফ্রেড বনির বদলি হিসেবে নেমে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে শেষ মুহুর্তে দলের একমাত্র গোলটি করেন।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এফএ কাপের ৪র্থ পর্বে অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচে কেলেচি তার প্রথম হ্যাট্রিক করেন। সেই মাসে সামির নাসরির ইনজুরির কারনে উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে দলে সুযোগ পান।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল স্টোক সিটির বিপক্ষে তার দেয়া জোড়া গোলের সুবাদে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে ম্যান সিটি। ২৬ এপ্রিল উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে সেমিফাইনালে বদলি হিসেবে নামেন। এর ৫ দিন পর
সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জোড়া গোল দেন, সেই ম্যাচটি ৪-২ গোলে জায় পায় ম্যানচেস্টার সিটি। কেলেচি ইহিয়ানাচো প্রিমিয়ার লিগে ৮ টি গোল দিয়ে ২০১৫-১৬ মৌসুম শেষ করেন। সেবার প্রতি ৯৩.৯ মিনিটে ১ টি করে গোল দেন কেলেচি, যা লিগের সেরা। ২০১৫-১৬ মৌসুমের সব ম্যাচ মিলিয়ে ১৪ টি গোল এবং ৫ টি এসিস্ট করেন, যা তাকে ম্যানচেস্টার সিটির ৩য় সর্বোচ্চ গোলদাতা খেতাব এনে দেয়।
২০১৬-১৭ মৌসুম
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কেলেচি ইহিয়ানাচোর দেয়া মৌসুমের প্রথম গোল এবং এসিস্টের সাহায্যে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। এর চারদিন পর উয়েফা চ্যাম্পিয়েন্স লিগে বুরুশিয়া মঞ্চেনগ্লাডবাচের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামা কেলেচির একটি গোলের সাহায্যে ৪-০ গোলে জয়লাভ করে সিটি, যা কোন ইউরোপিয়ান লিগে দেয়া তার প্রথম গোল। ৪-০ গোলে জয়ের দুইদিনপর প্রিমিয়ার লিগে বোর্ন্মাউথের বিপক্ষে আবারো গোল দিন এবং এসিস্ট করেন, এই গোলের সাহায্যে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১০ম গোল করেন। প্রিমিয়ার লিগে রায়ান গিগস, ওয়েইন রুনি, মাইকেল ওয়েন, রোমেলু লুকাকু ও নিকোলাস আনেলকার পর ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০ বছরের কম বয়সে ১০ টি গোল দেয়ার রেকর্ড করেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগে সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে নিজের ৪র্থ গোল দেন, ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
২০১৬ সালের অক্টোবরে কেলেচি ইহিয়ানাচো ফিফা গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন, যা পরে বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার রেনাটো সানচেজ জিতে। এর আগে এই পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে তার ক্লাব সতীর্থ রাহিম স্টারলিং ও সার্হিও আগুয়েরো এবং পাঁচবারের ব্যালন-ডি-অর জয়ী লিওনেল মেসি অন্যতম।
তথ্যসূত্র
১. "Iheanacho: Kelechi Promise Iheanacho" BDFutbol. Retrieved 30 December 2015.
২. Samuel Luckhurst. "Man City starlet Kelechi Iheanacho could signal start of Blues' new order" . men.
৩. "Man City set to miss out on Nigerian wonderkid" Talksport. 31 December 2013. Retrieved 20 June 2015.
বহিঃসংযোগ
- Kelechi Iheanacho career statistics at Soccerbase
- Kelechi Iheanacho profile at Soccerway
- profile at Manchester City F.C.
- Kelechi Iheanacho – FIFA competition record
- Kelechi Iheanacho – UEFA competition record