মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Mzz Tanmay (আলোচনা | অবদান) |
Mzz Tanmay (আলোচনা | অবদান) তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন |
||
২৫ নং লাইন: | ২৫ নং লাইন: | ||
'''মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়''' ({{lang-en|Mawlana Bhashani Science and Technology University}}) (সংক্ষেপে '''মাভাবিপ্রবি''') বাংলাদেশের একটি সরকারী পর্যায়ে পরিচালিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অন্তর্গত [[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইলের]] সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর]] নামানুসারে। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। |
'''মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়''' ({{lang-en|Mawlana Bhashani Science and Technology University}}) (সংক্ষেপে '''মাভাবিপ্রবি''') বাংলাদেশের একটি সরকারী পর্যায়ে পরিচালিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় [[ঢাকা বিভাগ|ঢাকা বিভাগের]] অন্তর্গত [[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইলের]] সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী|মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর]] নামানুসারে। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। |
||
প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকুল্যে ১৫০ জন। |
প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকুল্যে ১৫০ জন। <ref name="প্রথম সমাবর্তন " /> |
||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
১৯:১৯, ১২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চিত্র:Mbstu logo.jpg | |
লাতিন: Mawlana Bhashani Science and Technology University | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দিন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৫০ |
শিক্ষার্থী | ৩০০০ |
স্নাতক | ২৫০০ |
স্নাতকোত্তর | ৫০০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর, ৫৭ একর (২৩০৬৭০.৮১৬ বর্গমিটার) |
সংক্ষিপ্ত নাম | মাভাবিপ্রবি / MBSTU |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | mbstu.ac.bd |
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Mawlana Bhashani Science and Technology University) (সংক্ষেপে মাভাবিপ্রবি) বাংলাদেশের একটি সরকারী পর্যায়ে পরিচালিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাঙ্গাইলের সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামানুসারে। এখানকার পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। শিক্ষকের সংখ্যা সাকুল্যে ১৫০ জন। [১]
ইতিহাস
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর অধ্যাপক ড. মোঃ ইউসুফ শরীফ আহমেদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি - বিভাগ দুটি নিয়ে এর দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়।
২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর এর শিক্ষায়তনিক কার্যক্রম শুরু হয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের সর্বমোট ৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন শিক্ষক নিয়ে। প্রায় ৮ মাসের শিক্ষায়তনিক সময় পর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং ক্রিমিনোলজি এ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স নামক দুটি নতুন বিভাগ খোলা হয় লাইফ সায়েন্স অনুষদের অধীনে। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষে কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের অধীনে বায়োটেকনোলজি এ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফুড টেকনোলজি এ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগ চালু করা হয়।
২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ব্যচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সাধারণ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে গণিত ও পরিসংখ্যান, রসায়ন] এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে যাত্রা করেছে অর্থনীতি বিভাগ। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে লাইফ সায়েন্স অনুষদের অধীনে যুক্ত হয় ফার্মেসী ও বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ দুটি।
ক্যাম্পাস
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে মাওলানা ভাসানীর স্মৃতিধন্য সন্তোষে অবস্থিত। এই ক্যাম্পাসের আয়তন প্রায় ৫৭ একর (২৩০৬৭০.৮১৬ বর্গমিটার)। এই জায়গার ভেতরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন, পাঁচটি আবাসিক শিক্ষার্থী হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, খেলার মাঠ ইত্যাদি অবস্থিত। এছাড়া ক্যাম্পাসের অধিভুক্ত জায়গার ভেতরই মাওলানা ভাসানীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঐতিহাসিক দরবার হল, প্রখ্যাত সুফি সাধক পীর শাহ জামানের নামানুসারে পীর শাহ জামান দীঘি, মাওলানা ভাসানীর মাজার, একটি মসজিদসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই অধিভুক্ত জায়গা ছাড়াও সন্তোষের অদূরে হ্রদখোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি রয়েছে, যেখানে শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অনুষদ এবং বিভাগসমূহ
প্রকৌশল অনুষদ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ,
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ,
- বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগ।
জীববিজ্ঞান অনুষদ
- খাদ্যপ্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ,
- পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগ,
- অপরাধবিদ্যা ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগ,
- জৈবপ্রযুক্তি ও বংশগতি প্রকৌশল বিভাগ,
- ফার্মেসী বিভাগ,
- বায়োকেমিস্ট্রি এ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।
সাধারণ বিজ্ঞান অনুষদ
- গণিত বিভাগ,
- পরিসংখ্যান বিভাগ,
- রসায়ন বিভাগ,
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ
- অর্থনীতি বিভাগ।
শিক্ষায়তনিক পঞ্জিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত। একটি সেমিস্টার ১৮.৪ সপ্তাহ ধরে চলে এবং প্রত্যেক সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হয়। একটি নতুন শিক্ষাবর্ষ সাধারণত চলমান শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরেই শুরু হয়ে থাকে। প্রত্যেক সেমিস্টারের শেষে একটি সাধারণ পরীক্ষা (সেমিস্টার ফাইনাল) নেয়া হয়। এছাড়াও পুরো সেমিস্টার জুড়েই শিক্ষার্থীদের নানারকম ক্লাস টেস্টে অবতীর্ণ হতে হয়।
ভর্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে কেউ ভর্তি হতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার আগ্রহী প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন করতে হয়, যাদের মধ্য হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
ক্যাম্পাস জীবন
সাপ্তাহিক ছুটির দিন (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) বাদে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস হয়ে থাকে। প্রায়শই শিক্ষার্থীদের জন্য নানান জায়গায় শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ছাত্রদের জন্য এবং বাকি ২টি ছাত্রীদের জন্য। নানারকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আরো কয়েকটি হল স্থাপনার বিষয়গুলো বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরকম প্রশাসনিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করে এর প্রশাসনিক কার্যালয়। প্রশাসনিক কার্যালয়ের অধীনস্থ আরো নানারকম উপবিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি শারীরিক শিক্ষা বিভাগ, যেটি শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় খেলাধুলার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক চর্চা কেন্দ্রটি পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার সুবিধাদি প্রদান করে।
বছরজুড়েই ক্যাম্পাসে নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলে এবং বিশেষ দিবস উদযাপিত হয়। যেমন - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাওলানা ভাসানীর জন্ম ও প্রয়াণ দিবস, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত বরণ ইত্যাদি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নানারকম সেমিনার বা কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজিত হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের জ্ঞান ভাগাভাগি করে নেবার সুযোগ পান।
গ্রন্থাগার
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন সম্পূরক বিষয়ের ওপরেও পর্যাপ্ত বই রয়েছে। এর বাইরেও নানাবিধ বিষয়ের ওপর রয়েছে প্রচুর বই। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গ্রন্থাগারেই রয়েছে জেরক্স মেশিন। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ছাড়াও প্রত্যেকটি বিভাগেই রয়েছে সেমিনার লাইব্রেরী; যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দরকারি বইয়ের পর্যাপ্ত সংগ্রহ রয়েছে।
ক্যাফেটেরিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সুবিশাল ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বল্প মূল্যে মান-সম্পূর্ণ খাবারের ব্যাবস্থা রয়েছে। শিক্ষকদের জন্য আলাদা ও উন্নত ব্যাবস্থা রয়েছে। ক্যাফেটেরিয়াটি ছাত্রছাত্রীদের মিলনকেন্দ্র পরিণত হয়েছে। এইখানে প্রায় সব ধরনের খাবারের ব্যাবস্থা রয়েছে। এইখানে প্রায় বিভিন্ন খাওয়াদাওয়ার অনুস্থান আয়োজন করা হয়। ক্লাসের ক্লান্তি দূর করতে এবং বিরতির সময় ছাত্রছাত্রীরা ক্যাফেটেরিয়াতে আসেন।
চিকিৎসা কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সামনেই মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত। তিনজন এমবিবিএস ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে মেডিক্যাল অফিসার ও কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে উঠা মেডিক্যাল সেন্টারটি ছাত্রদের সকল শারীরিক অসুস্থতার আরোগ্যসাধন করে থাকে। এখানে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে ঔষধ সরবরাহ করে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য মেডিক্যাল সেন্টারের নিজস্ব একটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
ব্যায়ামাগার
শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগে সুসজ্জিত ব্যায়ামাগার আছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা নিয়িমত ব্যায়াম করার সুযোগ রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছাত্র/ছাএীদের জন্য খোলা থাকে এবং সন্ধ্যা ৬টা -রাত ৯টা পর্যন্ত শিক্ষকদের খোলা থাকে।
যাতায়াত
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মাইক্রোবাসের এবং মিনিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাস রয়েছে। যেগুলো প্রায় ১ ঘণ্টা পর পর ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াত করে।
আবাসন ব্যবস্থা
শিক্ষার্থীদের আবাসন এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সংযুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫টি হল রয়েছে। প্রত্যেক হল পরিচালনার জন্য একজন প্রভোস্ট এবং একজন সহকারী প্রভোস্ট নিযুক্ত আছেন। হলগুলো হলঃ
- ছাত্র হল
- মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হল,
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল,
- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হল।
- ছাত্রী হল
- আলেমা খাতুন ভাসানী হল,
- শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হল।
সংগঠন
- মাভাবিপ্রবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
- মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি
- স্বপ্ন
- সমকাল সুহৃদ সমাবেশ - মাভাবিপ্রবি
- মাভাবিপ্রবি চলচ্চিত্র সংসদ
- সোসাইটি অফ ক্রিমিনোলজি এ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স
- বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজি
- মাভাবিপ্রবি বায়োটেকনোলজি ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক
- মাভাবিপ্রবি সোসাইটি অব আইসিটি
- মাভাবিপ্রবি কম্পিউটার ক্লাব
- মাওলানা ভাসানী রোটার্যাক্ট ক্লাব, টাঙ্গাইল (রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮০, বাংলাদেশ)
- ধ্রুবতারা টেকনো কালচারাল ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি লিও ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- মাভাবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব
- মাভাবিপ্রবি কেন্দ্রীয় নাট্য সংসদ
- মাভাবিপ্রবি ছাত্র কল্যাণ পরিষদ
- রক্তদান সংগঠন বাঁধন
- অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন
২০১০ সালে 'মাভাবিপ্রবি অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন'-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
সমাবর্তন
১ম সমাবর্তন
৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। [২] সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সর্বমোট ১১৯০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। [৩] যার মধ্যে ১০৬৯ জন স্নাতক সম্মান/ ইঞ্জনিয়ারিং এবং ১২১ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা জীবনে অন্যান্য কৃতিত্বের জন্য ৫১ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স , ভাইস চ্যান্সেলর’স, ডিন’স এই তিনটি ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক প্রদান পদক দেয়া হয়। [১] অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর এম নুরুল ইসলাম ।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন"। নতুন বার্তা। ঢাকা। ৬ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ রিয়াজ উদ্দিন রিপন (এপ্রিল ১৭, ২০১৩)। "সমাবর্তন উৎসব ,ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"। দৈনিক ইত্তেফাক । ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত"। বিডিনিউজ২৪.কম। ঢাকা। ৬ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
- http://mbstu.ac.bd/index.html
- http://mbstu.ac.bd/Prospectus%20M.Sc%20in%20Textile%20Engineering.pdf
- http://textile-mbstu.page.tl/Home.htm
- http://www.ugc.gov.bd/
বহিঃসংযোগ
- মাভাবিপ্রবি প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১
- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ওয়েবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |