দারাসবাড়ি মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NahidHossain (আলোচনা | অবদান) অ সংশোধন |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) -বিষয়শ্রেণী:চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা; -বিষয়শ্রেণী:প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল হটক্যাটের মাধ্যমে |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox religious building |
{{Infobox religious building |
||
| name = দারাসবাড়ি মসজিদ |
| name = দারাসবাড়ি মসজিদ |
||
| native_name = |
|||
| native_name_lang = |
|||
| image = Darasbari Mosque (cropped).jpg |
| image = Darasbari Mosque (cropped).jpg |
||
| image_size = |
| image_size = |
||
| alt = দারাসবাড়ি মসজিদ (দক্ষিন পূর্ব |
| alt = দারাসবাড়ি মসজিদ (দক্ষিন পূর্ব কোণ থেকে) |
||
| caption = দারাসবাড়ি মসজিদ |
| caption = দারাসবাড়ি মসজিদ |
||
| map_type = |
| map_type = |
||
৮৯ নং লাইন: | ৮৭ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''দারাসবাড়ি মসজিদ''' |
'''দারাসবাড়ি মসজিদ''' বা '''দারাসবাড়ি''' [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা|চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার]] [[শিবগঞ্জ উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ|শিবগঞ্জ উপজেলার]] [[ছোট সোনা মসজিদ]] ও [[কোতোয়ালী দরজা|কোতোয়ালী দরজার]] মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে অবস্থিত বাংলার প্রথম যুগের মুসলিম স্থাপত্য কীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।<ref name="গৌড়ের ইতিহাস">{{cite book |last=চক্রবর্তী |first1=রজনীকান্ত |url=http://50.30.47.15/ebook/bangla/Gourer_Itihas.pdf |format=PDF |title=গৌড়ের ইতিহাস |edition=1 & 2 |location=বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩ |publisher=ডেভ'স পাবলিশিং |date=জানুয়ারি ১৯৯৯ }}</ref> |
||
==অবস্থান== |
==অবস্থান== |
||
১২০ নং লাইন: | ১১৭ নং লাইন: | ||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
⚫ | |||
{{সূত্র তালিকা}} |
{{সূত্র তালিকা}} |
||
⚫ | |||
{{রাজশাহী বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা}} |
{{রাজশাহী বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা}} |
||
{{বাংলাদেশের মসজিদ}} |
{{বাংলাদেশের মসজিদ}} |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মসজিদ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মসজিদ]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রাচীন নিদর্শন]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রাচীন নিদর্শন]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার প্রত্নস্থল]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার প্রত্নস্থল]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান]] |
১৬:৩১, ২১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
দারাসবাড়ি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
জেলা | চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা |
অঞ্চল | রাজশাহী |
মালিকানা | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
পবিত্রীকৃত বছর | ১৪৭৯ (আনুমানিক) |
অবস্থা | সংরক্ষিত |
অবস্থান | |
অবস্থান | চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | শামসুদ্দিন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ৯ |
উপাদানসমূহ | ইট, টেরাকোটা ও টাইল |
দারাসবাড়ি মসজিদ বা দারাসবাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ছোট সোনা মসজিদ ও কোতোয়ালী দরজার মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে অবস্থিত বাংলার প্রথম যুগের মুসলিম স্থাপত্য কীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।[১]
অবস্থান
দারাসবাড়ি মসজিদ এর অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। মসজিদটির অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে মহানন্দা নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ রাইফেলস-এর সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি ; এই ঘাটিঁর অদূরে অবস্থিত দখল দরওয়াজা। দখল দরওয়াজা থেকে প্রায় এক কি্লোমিটার হেঁটে আমবাগানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে একটি দিঘী পার হয়ে দক্ষিণ পশ্চিমে ঘোষপুর মৌজায় দারাসবাড়ি মসজিদ ও দারাসবাড়ি মাদ্রাসা অবস্থিত।
ইতিহাস
দর্স অর্থ পাঠ। সম্ভবতঃ একসময় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা ছিল এখানে। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখশ কর্তৃক আবিস্কৃত একটি আরবী শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। জেনারেল ক্যানিংহাম তার নিজের ভাষাতে একে দারাসবাড়ি বা কলেজ বলেছেন।[২]
অবকাঠামো
দীর্ঘদিন মাটিচাপা পড়েছিল এ মসজিদ। সত্তর দশকের প্রথমভাগে খনন করে এটিকে উদ্ধার করা হয়। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে, বর্তমানে চারপাশে গাছগাছালির ঘের। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান। এর সংলগ্ন সমসাময়িক আরেকটি স্থাপনা হহলো দারাসবাড়ি মাদ্রাসা। দিঘীর এক পারে মসজিদ এবং অন্য পারে মাদ্রাসা অবস্থিত। আকারে এটি ছোট সোনা মসজিদের চেয়েও বড়।
ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তক্ষেত্র দুই অংশে বিভক্ত। এর আয়তন ৯৯ ফুট ৫ ইঞ্চি, ৩৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। পূর্ব পার্শ্বে একটি বারান্দা, যা ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি। বারান্দার খিলানে ৭টি প্রস্ত্তর স্তম্ভের উপরের ৬টি ক্ষুদ্রাকৃতি গম্বুজ এবং মধ্যবর্তীটি অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। উপরে ৯টি গম্বুজের চিহ্নাবশেষ রয়েছে উত্তর দক্ষিণে ৩টি করে জানালা ছিল। উত্তর পশ্চিম কোণে মহিলাদের নামাজের জন্য প্রস্তরস্তম্ভের উপরে একটি ছাদ ছিল। এর পরিচয় স্বরূপ এখনও একটি মেহরাব রয়েছে। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম দেয়ালে পাশাপাশি ৩টি করে ৯টি কারুকার্য খচিত মেহরাব বর্তমান রয়েছে। এই মসজিদের চারপার্শ্বে দেয়াল ও কয়েকটি প্রস্তর স্তম্ভের মূলদেশ ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফি শাহী লিপিটি এখন কোলকাতা জাদুঘরে রক্ষিত আছে।
চিত্রশালা
-
দারাসবাড়ি মসজিদ
-
দারাসবাড়ি মসজিদ
-
দারাসবাড়ি মসজিদ
-
দারাসবাড়ি মসজিদ
-
দারাসবাড়ি মসজিদ
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (PDF) (1 & 2 সংস্করণ)। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩: ডেভ'স পাবলিশিং।
- ↑ মোহাম্মদ জাকারিয়া, আবুল কালাম (এপ্রিল ১৯৯৮)। "রাজশাহী বিভাগ - ইতিহাস-ঐতিহ্য"। বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস - বরেন্দ্র অঞ্চলের পূরাকীর্তি (১ম সংস্করণ)। পৃষ্ঠা ৩২০।