অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
'''অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস''' ([[ইংরেজি]]: On the Origin of Species) ১৮৫৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর [[লন্ডন]] থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক [[চার্লস ডারউইন]]। বইটির পুরো নাম ''On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life'' যার বাংলা করলে দাঁড়ায় "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে"। ১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল "দি অরিজিন অফ স্পিসিস" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে "[[প্রাকৃতিক নির্বাচন|প্রাকৃতিক নির্বাচনের]] মাধ্যমে [[বিবর্তন]]" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এতে একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উদ্ভবের পক্ষে প্রচুর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। ডারউইন ১৮৩০-এর দশকে [[এইচএমএস বিগ্‌ল|বিগ্‌ল জাহাজে]] করে [[এইচএমএস বিগ্‌লের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা|বিশ্ব ভ্রমণের]] মাধ্যমে অর্জিত সকল অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জীব প্রজাতির নমুনা এবং পরবর্তী গবেষণা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ফলাফল এই বইয়ে একত্র করেন।
'''অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস''' ([[ইংরেজি]]: On the Origin of Species) ১৮৫৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর [[লন্ডন]] থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক [[চার্লস ডারউইন]]। বইটির পুরো নাম ''On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life'' যার বাংলা করলে দাঁড়ায় "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে"। ১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল "দি অরিজিন অফ স্পিসিস" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে "[[প্রাকৃতিক নির্বাচন|প্রাকৃতিক নির্বাচনের]] মাধ্যমে [[বিবর্তন]]" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এতে একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উদ্ভবের পক্ষে প্রচুর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। ডারউইন ১৮৩০-এর দশকে [[এইচএমএস বিগ্‌ল|বিগ্‌ল জাহাজে]] করে [[এইচএমএস বিগ্‌লের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা|বিশ্ব ভ্রমণের]] মাধ্যমে অর্জিত সকল অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জীব প্রজাতির নমুনা এবং পরবর্তী গবেষণা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ফলাফল এই বইয়ে একত্র করেন।


বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।<ref name="quammen">ডেভিড কোয়ামেন; ভূমিকা, ''অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস, দি ইলাস্ট্রেটেড এডিশন''; স্টার্লিং পাবলিশিং কোম্পানি ইনকর্পোরেটেড; ২০০৮; পৃ. V</ref> বইটির শুরুর বাক্য দুটি এই বিনয়ের পরিচয় দেয়- "প্রকৃতিবিদ হিসেবে এইচ.এম.এস 'বিগ্‌ল'-এ কাজ করার সময় দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসকারী জীবকূলের বণ্টন এবং সেখানকার বর্তমান অধিবাসীদের সাথে অতীতের অধিবাসীদের সম্পর্ক বিষয়ক কিছু তথ্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছিল। আমার মনে হয়েছে, এই তথ্যগুলো প্রজাতির উৎপত্তি বিষয়ের উপর কিছু আলো ফেলতে পারে, আমাদের সেরা দার্শনিকদের একজন যে বিষয়টিকে বলেছিলেন সকল রহস্যের বড় রহস্য।" এখানে ডারউইন যে দার্শনিকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি হলেন বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ [[জন হার্শেল]]; কেমব্রিজের ছাত্র থাকার সময় তিনি হার্শেলের প্রাকৃতিক দর্শনের ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হার্শেল প্রজাতির জন্মে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব আছে মনে করতেন। বলা যায়, ডারউইন হার্শেলের রহস্যানুভূতি নিজেও অণুভব করেছেন, কিন্তু রহস্যটির যে সমাধানে উপনীত হয়েছেন তা হার্শেলের তুলনায় অনেক আলাদা।
বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।<ref name="quammen">ডেভিড কোয়ামেন; ভূমিকা, ''অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস, দি ইলাস্ট্রেটেড এডিশন''; স্টার্লিং পাবলিশিং কোম্পানি ইনকর্পোরেটেড; ২০০৮; পৃ. V</ref> বইটির শুরুর বাক্য দুটি এই বিনয়ের পরিচয় দেয়- "প্রকৃতিবিদ হিসেবে এইচ.এম.এস 'বিগ্‌ল'-এ কাজ করার সময় দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসকারী জীবকূলের বণ্টন এবং সেখানকার বর্তমান অধিবাসীদের সাথে অতীতের অধিবাসীদের সম্পর্ক বিষয়ক কিছু তথ্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছিল। আমার মনে হয়েছে, এই তথ্যগুলো প্রজাতির উৎপত্তি বিষয়ের উপর কিছু আলো ফেলতে পারে, আমাদের সেরা দার্শনিকদের একজন যে বিষয়টিকে বলেছিলেন সকল রহস্যের বড় রহস্য।" এখানে ডারউইন যে দার্শনিকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি হলেন বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ [[জন হার্শেল]]; কেমব্রিজের ছাত্র থাকার সময় তিনি হার্শেলের প্রাকৃতিক দর্শনের ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হার্শেল প্রজাতির জন্মে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব আছে মনে করতেন। বলা যায়, ডারউইন হার্শেলের রহস্যানুভূতি নিজেও অনুভব করেছেন, কিন্তু রহস্যটির যে সমাধানে উপনীত হয়েছেন তা হার্শেলের তুলনায় অনেক আলাদা।


শুরুর বাক্যে দুটিতে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার যে জীবদের উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, আর্মাডিলো, রিয়া নামক বিশালকায় উড়তে অক্ষম পাখি, ঘোড়ার বিলুপ্ত কিছু প্রজাতি, এবং মেগাথেরিয়াম গণের অন্তর্ভুক্ত দানবীয় আকারের একটি অধুনাবিলুপ্ত স্লথের জীবাশ্ম। এর পাশাপাশি গালাপাগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখে তিনি প্রথম বিবর্তনীয় তত্ত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন।<ref name="quammen"/>
শুরুর বাক্যে দুটিতে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার যে জীবদের উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, আর্মাডিলো, রিয়া নামক বিশালকায় উড়তে অক্ষম পাখি, ঘোড়ার বিলুপ্ত কিছু প্রজাতি, এবং মেগাথেরিয়াম গণের অন্তর্ভুক্ত দানবীয় আকারের একটি অধুনাবিলুপ্ত স্লথের জীবাশ্ম। এর পাশাপাশি গালাপাগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখে তিনি প্রথম বিবর্তনীয় তত্ত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন।<ref name="quammen"/>
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
{{Wikisource|On the Origin of Species|অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস}}
{{Wikisource|On the Origin of Species|অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস}}
* ইন্টারনেটে চার্লস ডারউইনের রচনাসমগ্র:
* ইন্টারনেটে চার্লস ডারউইনের রচনাসমগ্র:
** [http://darwin-online.org.uk/contents.html Table of contents], ডারউইনের সকল রচনার তালিকা ও পুরো লেখার লিংক। [http://darwin-online.org.uk/EditorialIntroductions/Freeman_OntheOriginofSpecies.html ''On the Origin of Species'']-এর ছয়টি ব্রিটিশ সংস্করণের লেখা ও ছবির লিংক রয়েছে, ষষ্ঠ সংস্করণে সংযোজন ও সংশোধনও আছে, এছাড়া আছে প্রথম মার্কিন সংস্করণ, ডেনীয়, ওলন্দাজ, ফরাসি, জার্মান, পোলীয়, রুশ ও স্পেনীয় ভাষার অণুবাদ।
** [http://darwin-online.org.uk/contents.html Table of contents], ডারউইনের সকল রচনার তালিকা ও পুরো লেখার লিংক। [http://darwin-online.org.uk/EditorialIntroductions/Freeman_OntheOriginofSpecies.html ''On the Origin of Species'']-এর ছয়টি ব্রিটিশ সংস্করণের লেখা ও ছবির লিংক রয়েছে, ষষ্ঠ সংস্করণে সংযোজন ও সংশোধনও আছে, এছাড়া আছে প্রথম মার্কিন সংস্করণ, ডেনীয়, ওলন্দাজ, ফরাসি, জার্মান, পোলীয়, রুশ ও স্পেনীয় ভাষার অনুবাদ।
** [http://darwin-online.org.uk/Variorum/index.html Online Variorum], ষষ্ঠ ব্রিটিশ সংস্করণগুলোর মধ্যে সকল পরিবর্তন দেখানো আছে।
** [http://darwin-online.org.uk/Variorum/index.html Online Variorum], ষষ্ঠ ব্রিটিশ সংস্করণগুলোর মধ্যে সকল পরিবর্তন দেখানো আছে।
* {{In Our Time|On the Origin of Species|b00gd3wy|On_the_Origin_of_Species}}
* {{In Our Time|On the Origin of Species|b00gd3wy|On_the_Origin_of_Species}}

১৭:৫৬, ১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস
১৮৫৯-এর সংস্করণের শিরোনাম[১]
লেখকচার্লস ডারউইন
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
বিষয়প্রাকৃতিক নির্বাচন
বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান
ধরনবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান
প্রকাশকজন মারে
প্রকাশনার তারিখ
২৪শে নভেম্বর, ১৮৫৯[২]
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ (হার্ডব্যাক)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৫০২
আইএসবিএনN/A {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ অক্ষর
ওসিএলসি৩৫২২৪২
পূর্ববর্তী বইOn the Tendency of Species to form Varieties; and on the Perpetuation of Varieties and Species by Natural Means of Selection 
পরবর্তী বইFertilisation of Orchids 

অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস (ইংরেজি: On the Origin of Species) ১৮৫৯ সালের ২৪ শে নভেম্বর লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ যার লেখক চার্লস ডারউইন। বইটির পুরো নাম On the Origin of Species by Means of Natural Selection, or the Preservation of Favoured Races in the Struggle for Life যার বাংলা করলে দাঁড়ায় "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবন সংগ্রামে আনুকূল্য প্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে"। ১৮৭২ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে বড় শিরোনামটি পরিবর্তন করে কেবল "দি অরিজিন অফ স্পিসিস" রাখা হয়েছিল। বইটির মাধ্যমে ডারউইন বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষের সাথে "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন" তত্ত্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এতে একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উদ্ভবের পক্ষে প্রচুর প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। ডারউইন ১৮৩০-এর দশকে বিগ্‌ল জাহাজে করে বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে অর্জিত সকল অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জীব প্রজাতির নমুনা এবং পরবর্তী গবেষণা, অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সকল ফলাফল এই বইয়ে একত্র করেন।

বইটি বিজ্ঞান, দর্শন ও সাধারণভাবে জীবকূলের উৎপত্তির ইতিহাস বিষয়ে পূর্বতন সকল চিন্তাধারাকে পিছনে ফেলে নতুন যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণার গোড়াপত্তন করলেও, লক্ষ্যণীয় যে বইটির লেখক এতে প্রচণ্ড বিনয় ও সদালাপের পরিচয় দিয়েছেন। কারণ ডারউইন নিজে অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি মানুষের উপর কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভার চাপিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খুব সাধারণ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।[৩] বইটির শুরুর বাক্য দুটি এই বিনয়ের পরিচয় দেয়- "প্রকৃতিবিদ হিসেবে এইচ.এম.এস 'বিগ্‌ল'-এ কাজ করার সময় দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসকারী জীবকূলের বণ্টন এবং সেখানকার বর্তমান অধিবাসীদের সাথে অতীতের অধিবাসীদের সম্পর্ক বিষয়ক কিছু তথ্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছিল। আমার মনে হয়েছে, এই তথ্যগুলো প্রজাতির উৎপত্তি বিষয়ের উপর কিছু আলো ফেলতে পারে, আমাদের সেরা দার্শনিকদের একজন যে বিষয়টিকে বলেছিলেন সকল রহস্যের বড় রহস্য।" এখানে ডারউইন যে দার্শনিকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি হলেন বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ জন হার্শেল; কেমব্রিজের ছাত্র থাকার সময় তিনি হার্শেলের প্রাকৃতিক দর্শনের ভক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু হার্শেল প্রজাতির জন্মে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব আছে মনে করতেন। বলা যায়, ডারউইন হার্শেলের রহস্যানুভূতি নিজেও অনুভব করেছেন, কিন্তু রহস্যটির যে সমাধানে উপনীত হয়েছেন তা হার্শেলের তুলনায় অনেক আলাদা।

শুরুর বাক্যে দুটিতে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার যে জীবদের উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, আর্মাডিলো, রিয়া নামক বিশালকায় উড়তে অক্ষম পাখি, ঘোড়ার বিলুপ্ত কিছু প্রজাতি, এবং মেগাথেরিয়াম গণের অন্তর্ভুক্ত দানবীয় আকারের একটি অধুনাবিলুপ্ত স্লথের জীবাশ্ম। এর পাশাপাশি গালাপাগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখে তিনি প্রথম বিবর্তনীয় তত্ত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র

  1. Darwin 1859, পৃ. iii
  2. Freeman, Richard B. (1977), "On the Origin of Species", The Works of Charles Darwin: An Annotated Bibliographical Handlist (2nd ed.), Folkestone, England: Dawson, ISBN 0-7129-0740-8
  3. ডেভিড কোয়ামেন; ভূমিকা, অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস, দি ইলাস্ট্রেটেড এডিশন; স্টার্লিং পাবলিশিং কোম্পানি ইনকর্পোরেটেড; ২০০৮; পৃ. V

বহিঃসংযোগ

  • ইন্টারনেটে চার্লস ডারউইনের রচনাসমগ্র:
    • Table of contents, ডারউইনের সকল রচনার তালিকা ও পুরো লেখার লিংক। On the Origin of Species-এর ছয়টি ব্রিটিশ সংস্করণের লেখা ও ছবির লিংক রয়েছে, ষষ্ঠ সংস্করণে সংযোজন ও সংশোধনও আছে, এছাড়া আছে প্রথম মার্কিন সংস্করণ, ডেনীয়, ওলন্দাজ, ফরাসি, জার্মান, পোলীয়, রুশ ও স্পেনীয় ভাষার অনুবাদ।
    • Online Variorum, ষষ্ঠ ব্রিটিশ সংস্করণগুলোর মধ্যে সকল পরিবর্তন দেখানো আছে।
  • বিবিসির ইন আওয়ার টাইম-এ On the Origin of Species
  • The Origin of Species: An Outline, বইটির একটি ছোট সহজবোধ্য রূপরেখা।
  • Origin of Species, অডিওসহ পুরো বই।
  • Victorian Science Texts
  • Darwin Correspondence Project Home Page, ক্রেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গ্রন্থাগার
  • Archive.org-এর পিডিএফ স্ক্যান
  • On the Origin of Species ১৮৬০-এর মার্কিন সংস্করণ, বায়োডাইভার্সিটি হেরিটেজ গ্রন্থাগারে বিনামূল্যে দেখা যাবে।