হেয়াত মামুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে |
সম্প্রসারণ |
||
৪৮ নং লাইন: | ৪৮ নং লাইন: | ||
==সাহিত্যকর্ম== |
==সাহিত্যকর্ম== |
||
তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। ''জঙ্গনামা'' (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। ''সর্বভেদবাণী'' (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন। |
তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। ''জঙ্গনামা'' (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। ''সর্বভেদবাণী'' (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন। |
||
”যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ” - তাঁর বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি। |
|||
==গ্রন্থের তালিকা== |
==গ্রন্থের তালিকা== |
||
৫৮ নং লাইন: | ৬০ নং লাইন: | ||
* ''আম্বিয়াবাণী'' (১৭৫৮) |
* ''আম্বিয়াবাণী'' (১৭৫৮) |
||
==সম্মাননা== |
|||
==লিগ্যাসি== |
|||
কবি হেয়াত মামুদের সম্মানে [[বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়|বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের]] একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে ''কবি হেয়াত মামুদ ভবন''।<ref name="ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম">{{cite news |author= |title=বেরোবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত |url=http://www.campuslive24.com/campus.89261.live24/ |date=ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ |accessdate=ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ |work=ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম }}</ref> |
কবি হেয়াত মামুদের সম্মানে [[বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়|বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের]] একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে ''কবি হেয়াত মামুদ ভবন''।<ref name="ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম">{{cite news |author= |title=বেরোবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত |url=http://www.campuslive24.com/campus.89261.live24/ |date=ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ |accessdate=ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ |work=ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম }}</ref> |
||
==মৃত্যু== |
==মৃত্যু== |
||
ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। প্রতি বছর ঝাড়বিশিলায় কবির মাজার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে।<ref name="The Daily Nayadiganta">{{cite news |author= |title=আজ সাধক কবি হেয়াত মামুদের মৃত্যুবার্ষিকী |url=http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/1355 |date=ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫ |accessdate=সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬ |work=The Daily Nayadiganta }}</ref> এছাড়াও সরকারি জেলা পরিষদের উদ্যোগে কবির স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত করা হয়েছে। |
|||
ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
৭২ নং লাইন: | ৭৪ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:১৬৯৩-এ জন্ম]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৬৯৩-এ জন্ম]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৭৬০-এ মৃত্যু]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৭৬০-এ মৃত্যু]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:রংপুর জেলার ব্যক্তিত্ব]] |
১২:০৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হেয়াত মামুদ | |
---|---|
জন্ম | হেয়াত মামুদ ১৬৬৩ ঝাড়বিশিলা, রংপুর |
মৃত্যু | ১৭৬০ রংপুর |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নিচে দেখুন |
আদি নিবাস | রংপুর |
পিতা-মাতা |
|
হেয়াত মামুদ (১৬৯৩-১৭৬০) ছিলেন মধ্যযুগের বাঙালী কবি।[১]
প্রাথমিক জীবন
মামুদ ১৬৯৩ সালে রংপুর জেলার ঘোড়াঘাটের অধীন ঝাড়বিশিলা গ্রামে জন্ম নেন। তাঁর পিতা শাহ কবীর ছিলেন ঘোড়াঘাট সরকারের দেওয়ান এবং তিনি নিজে ছিলেন ওই সরকারের কাজী।[১] ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন এবং সূফী সাধনার প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ।
সাহিত্যকর্ম
তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।[১] হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তাঁর সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। জঙ্গনামা (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। সর্বভেদবাণী (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন।
”যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ” - তাঁর বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি।
গ্রন্থের তালিকা
কাব্যগ্রন্থ
- জঙ্গনামা (১৭২৩)
- সর্বভেদবাণী (১৭৩২)
- হিতজ্ঞানবাণী (১৭৫৩)
- আম্বিয়াবাণী (১৭৫৮)
সম্মাননা
কবি হেয়াত মামুদের সম্মানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে কবি হেয়াত মামুদ ভবন।[২]
মৃত্যু
ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। প্রতি বছর ঝাড়বিশিলায় কবির মাজার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে।[৩] এছাড়াও সরকারি জেলা পরিষদের উদ্যোগে কবির স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ওয়াকিল আহমদ (জানুয়ারি ২০০৩)। "হেয়াত মামুদ"। সিরাজুল ইসলাম। হেয়াত মামুদ[[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর , ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "বেরোবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত"। ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম। ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪।
- ↑ "আজ সাধক কবি হেয়াত মামুদের মৃত্যুবার্ষিকী"। The Daily Nayadiganta। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬।
আরো পড়ুন
- মযহারুল ইসলাম। কবি হেয়াত মামুদ। আগামী প্রকাশনী। আইএসবিএন 9844015502।