বাংলা ভাষার সংবাদপত্রের তালিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Merchantparty (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪৯ নং লাইন: ১৪৯ নং লাইন:
{{মূল|কালি ও কলম}}
{{মূল|কালি ও কলম}}
[[কলি ও কলম]] সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি বিষয়ক বাংলা মাসিক প্রত্রিকা, যা [[ঢাকা]] থেকে প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সাল থেকে এটি বিরতি দিয়ে প্রকাশ হলেও বর্তমানে এটি মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক আবুল খায়ের, এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হলেন শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক [[আনিসুজ্জামান]]। এছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে রয়েছেন, রুবি রহমান এবং লুভা নাহিদ চৌধুরী।
[[কলি ও কলম]] সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি বিষয়ক বাংলা মাসিক প্রত্রিকা, যা [[ঢাকা]] থেকে প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সাল থেকে এটি বিরতি দিয়ে প্রকাশ হলেও বর্তমানে এটি মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক আবুল খায়ের, এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হলেন শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক [[আনিসুজ্জামান]]। এছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে রয়েছেন, রুবি রহমান এবং লুভা নাহিদ চৌধুরী।

== বিডি নিউজ ==
২০১৫ সাল থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা।এটি ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হয়।এর প্রকাশক ও প্রতিষ্ঠাতা আবু মনসুর মুহাম্মাদ গনি,[http://bdnews.one বিডি নিউজ]


== গ্রন্থসূত্র ==
== গ্রন্থসূত্র ==

১৮:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আত্মশক্তি পত্রিকা ২০১১ সাল থেকে ত্রৈমাসিক হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছে । সম্পাদক-প্রদীপ মণ্ডল, আত্মশক্তি কার্যালয়, শিমুলপুর বিশ্ব সেবাসংঘ আশ্রম, শিমুলপুর, পোঃ

ঠাকুরনগর, উত্তর ২৪ পরগণা-৭৪৩২৮৭ ।

এই নিবন্ধে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সংবাদ পত্র, সাময়িক পত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যাদি সংকলন করা হয়েছে। এই তালিকার সর্বাগ্রে আছে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত দিগদর্শন পত্রিকাটি। এই তালিকা আদৌ বিনিঃশেষ নয়।

দিগদর্শন (১৮১৮)

দিগদর্শন প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র। শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগে শ্রীরামপুর থেকে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে প্রথম এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান। চার পৃষ্ঠার পত্রিকাটি ছিল বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক পত্রিকা। এখানে বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ একসঙ্গে প্রকাশিত হত। শ্রীরামপুরের সাংবাদিকেরা একটি নিজস্ব ভাষারীতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।[১] এটি ছিল মাসিক পত্রিকা এবং এখানে ছাত্রদের উপযোগী ইতিহাস, ভূগোল ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত নানা রচনা থাকত।

বেঙ্গল গেজেটি

গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য সম্পাদিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১২২৫ বঙ্গাব্দ, জুন (?) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ।

বেঙ্গল গেজেটি বাঙালি কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। ১৮১৮ সালের মে মাসে শ্রীরামপুর মিশনারিদের দ্বারা প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সমাচার দর্পণ এর প্রায় সমসাময়িক সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত বেঙ্গল গেজেট-এর কোনো সংখ্যা পাওয়া যায় নি, তাই এর সঠিক প্রকাশকাল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। তবে ১৪ মে ১৮১৮ সালে প্রকাশিত গভর্নমেন্ট গেজেট এর একটি বিজ্ঞাপন থেকে এ ধরনের প্রকাশনার প্রস্ত্ততি সম্পর্কে জানা গেছে। ১ জুলাই ১৮১৮ সালের প্রকাশিত আর একটি বিজ্ঞাপন থেকে জানা যায় যে, সাপ্তাহিকটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। দুটি বিজ্ঞাপনই প্রকাশিত হয়েছিল হরচন্দ্র রায়-এর নামে। তবে ১৮২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত The Friend of India ও ১৮৩১ সালের ১১ জুন প্রকাশিত সমাচার দর্পণ পত্রিকা দুটির প্রতিবেদনে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যকে বেঙ্গল গেজেট-এর প্রকাশক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গঙ্গা কিশোর ছিলেন শ্রীরামপুরের নিকটবর্তী বহেরা গ্রামের বাসিন্দা এবং তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শ্রীরামপুর মিশন প্রেসএ একজন কম্পোজিটর হিসেবে। পরবর্তীসময়ে তিনি কলকাতায় এসে নিজে বাংলা বইয়ের প্রকাশনা শুরু করেন। এমনকি ১৮১৮ সালে নিজে ‘বেঙ্গল গেজেট প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানাও প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা হরচন্দ্র রায় সম্ভবত তাঁর ছাপাখানার অংশীদার ছিলেন।

উপরোল্লিখিত বিজ্ঞাপন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বেঙ্গল গেজেট-এ সুন্দর, সংক্ষিপ্ত এবং শুদ্ধ বাংলা ভাষায় বেসামরিক নিয়োগের অনুবাদসমূহ, সরকারি প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালা প্রভৃতি এবং পাঠকদের নিকট আকর্ষণীয় এমন অন্যান্য স্থানীয় বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হতো। পত্রিকার মাসিক চাঁদার হার ছিল দুই রুপি। পত্রিকাটি সম্ভবত এক বছর স্থায়ী হয়েছিল। [ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী]

সমাচার দর্পণ প্রত্রিকা

সমাচার দর্পণ

সমাচার দর্পণ (১৮১৮-১৮৫২) শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত বাংলা ভাষার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র। পত্রিকাটিতে যেসব সংবাদ ছাপান হতো-ক. জজ, কালেক্টর ও অন্য রাজকর্মচারীদের নিয়োগ, খ. ইংল্যান্ড ও ইউরোপ থেকে আগত সংবাদ এবং দেশের নানা সমাচার গ. বাণিজ্যবিষয়ক নতুন সংবাদ, ঘ. জন্ম, বিবাহ ও মৃত্যুবিষয়ক সংবাদ, ঙ. ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস, পন্ডিতলোক এবং বইয়ের বিবরণ, চ. গভর্ণর কর্তৃক জারিকৃত আইন ও হুকুম প্রভৃতির বিবরণ, ছ. ইউরোপিয়দের রচিত বই থেকে এবং ইংল্যান্ড হতে আসা বইয়ের শিল্প ও কলকারখানার বিবরণ।

সমাচার দর্পণ পত্রিকার প্রথম সংখ্যার প্রথম পূষ্ঠা প্রতিলিপি প্রথম পর্যায় (১৮১৮-১৮৪১) ১৮১৮ সালের ২৩ মে (১০ জ্যৈষ্ঠ, ১২২৫) শনিবার সমাচার দর্পণের প্রথম সংখ্যা বের হয়। পত্রিকাটির মূল্য ছিল মাসিক দেড় টাকা। ১৮১৮ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৮২৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পত্রিকাটিতে নিম্নলিখিত শে­াকটি বিদ্যমান ছিল:

দর্পণে মুখ সৌন্দয্যমির কায্যবিচক্ষণা:।

বৃত্তান্তানিহ জানমত্ত সমাচারস্য দর্পণে \

পত্রিকাটির সম্পাদনার ভার মূলত দেশিয় পন্ডিতগণের ওপর পুরোপুরিভাবে ন্যস্ত ছিল। পন্ডিতগণ অনুপস্থিত থাকলে পত্রিকাটিতে নতুন সংবাদ প্রকাশ বন্ধ থাকতো। সমাচার দর্পণের প্রথমাবস্থায় সম্পাদকীয়-বিভাগে পন্ডিত ছিলেন জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ১৮২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি কলকাতা গভর্নমেন্ট সংস্কৃত কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপক পদে যোগদান করলে পন্ডিত তারিণীচরণ চার বৎসর সমাচার দর্পণ সম্পাদনে সহায়তা করেন। যারা বাংলা ভাষা জ্ঞাত নন তাদের জন্য ৬ মে ১৮২৬ তারিখে শ্রীরামপুর হতে সমাচার দর্পণের ফার্সি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ফার্সি সাপ্তাহিক সংস্করণের নাম আত্থবারে শ্রীরামপুর যদিও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

১৮১৭ সালে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠার পরপরই এদেশের লোকদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা শিখবার সাড়া পড়ে যায় একারণে শ্রীরামপুর মিশন ১৮২৯ সাল হতে পত্রিকাটি দ্বিভাষিক (বাংলা ও ইংরেজি) করার ব্যবস্থা করে। ১৮৩২ সাল হতে সপ্তাহে দুবার প্রকাশ আবশ্যকবোধ হলে এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১১ জানুয়ারি বুধবার। ১৮৪০ সালের ১ জুলাই থেকে সম্পাদকের ওপর নতুন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র গবর্ণমেন্ট গেজেট সম্পাদনার ভার ন্যস্ত হওয়ার কারণে ২৫ ডিসেম্বর ১৮৪১ তারিখে সমাচার দর্পণের শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়।

দ্বিতীয় পর্যায় (১৮৪২-৪৩) এ পর্যায়ে পত্রিকাটি ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় ১৮৪২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার দেশিয় সম্পাদক ভগবতীচরণ চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে পত্রিকাটি অল্পদিন চলেছিল।

তৃতীয় পর্যায় (১৮৫১-৫২) এ পর্যায়ে পত্রিকাটি দেড় বছর চলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৮১৮ সাল হতে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত সমাচার দর্পণে মূদ্রিত সব সংবাদ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক দু’খন্ডে প্রকাশিত সংবাদপত্রে সেকালের কথা (১ম খন্ড-১৩৩৯, ২য় খন্ড-১৩৪০) গ্রন্থে প্রদত্ত হয়েছে।

সম্বাদ কৌমুদী

বিকল্প বানান সংবাদ কৌমুদী। এটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। খ্রিস্টান মিশনারিরা সমাচার দর্পণ পত্রিকায় হিন্দুদের ধর্ম বিশবাস কে কটাক্ষ করলে এর জবাব দিতে রাজা রামমোহন এই পত্রিকা প্রকাশ করেন ।প্রথম প্রকাশ ১২২৮ বঙ্গাব্দ তথা ৪ঠা ডিসেম্বর ১৮২১ খ্রিস্টাব্দ। রাজা রামমোহন রায় এবং ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় । রাজা রামমোহন হিন্দুদের নানা ধর্মীয় রীতি - বিশেষত সহমরণের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করলে পত্রিকাটি হিন্দু সমাজে বিরাগভাজন হয়ে ওঠে । ধর্মীয় সংস্কার প্রশ্নে গোড়াপন্থী ভবানীচরণ পরবর্তীকালে ১৮২২ সালে "সমাচার চন্দ্রিকা" নামে একটি নতুন পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন ।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা । অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে প্রকাশিত। তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে এটি প্রাকাশিত হত। সভার দূরবর্তী সদস্যদের ব্রাহ্ম জ্ঞান সম্পর্কে অবহিতকরণ, রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থে বর্ণিত ব্রাহ্ম জ্ঞান , ব্রাহ্ম উপাসনা পদ্ধতি , ব্রাহ্ম লাভের জন্য অপকর্ম থেকে বিরতথাকা ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় এই পত্রিকায় স্থান পেত। তবে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হলেও ভাষা গঠণে এই পত্রিকাটির ভূমিকা মূখ্য হিসেবে দেখা হয় । সরল বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনায় অক্ষয়কুমার দত্তের যে নিপুন দক্ষতা তার বাহনও ছিল এই পত্রিকা । সেকালের বিখ্যাত গদ্য লেখক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বসু এই পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন ।

সুলভ সমাচার

একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ ১২৭৭ বঙ্গাব্দে। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক:

পূর্ণিমা

একটি মাসিক পত্রিকা যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রাগাধুনিক কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। প্রথম প্রকাশ ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দ। এ পত্রিকাটি প্রতি মাসে পূর্ণিমা দিবসে প্রকাশিত হতো।

ঢাকা প্রকাশ

ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ৭ মার্চ ১৮৬১, ১২৬৭ বঙ্গাব্দ। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।

বঙ্গদর্শন

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ (১৮৭২ খৃস্টাব্দ) তারিখে মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সে সময় বাংলা দেশে কোন উন্নতমানের সাময়িক পত্র ছিল না। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১২৮৩ বঙ্গাব্দে এর প্রকাশ স্থগিত থাকে। ১২৮৪ বঙ্গাব্দ থেকে পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয় সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়। শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ১২৯০ বঙ্গাব্দের কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত ৪টি সংখ্যার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩১২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন নবপর্যায়ে ৫ বৎসর প্রকাশিত হয়।

ভ্রমর

মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১২৮১ বঙ্গাব্দ (১৮৭৪ খৃস্টাব্দ)। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সঞ্জিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

বিনোদিনী

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১২৮২ বঙ্গাব্দ (১৮৭৫ খৃস্টাব্দ)। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ভুবনমোহিনী দেবী অর্থাৎ নবীনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

ভারতী

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ শ্রাবণ ১২৮৪ বঙ্গাব্দ (১৮৭৭ খৃস্টাব্দ)। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক স্বর্ণকুমারী দেবী। পরবর্তীতে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ ঠাকুর বাড়ির অনেকে সম্পাদনা করেন।

নবজীবন

একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১৮৮৫ খৃস্টাব্দ। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার।

বীণা

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ বৈশাখ ১২৮৫ (১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ)। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন রাজকৃষ্ণ রায়।

তত্ত্ব-কৌমুদী

এটি ছিল একটি পাক্ষিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ বৈশাখ ১২৮৫ (১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ)। সম্পাদক ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী

বঙ্গবাসী

একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ২৬ অগ্রাহায়ণ, ১২৮৮ (১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ)। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রলাল মিত্র।

বৌদ্ধবন্ধ

একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মুখপত্র হিসাবে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন

হিতবাদী

একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১৭ জৈষ্ঠ্য, ১২৯৮ (১৮৯১)। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য।

প্রবাসী

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ বৈশাখ ১৩০৮ (১৯০১ খ্রিস্টাব্দ)। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়

সবুজ পত্র

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ বৈশাখ ১৩২১ (১৯১৪)। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী।

নারায়ণ

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ বৈশাখ ১৩২১। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাস

মৌচাক

১৯২০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় শিশু কিশোর দের জন্য এই পত্রিকা। সুধীর চন্দ্র সরকার ছিলেন প্রথম সম্পাদক। এই পত্রিকা টি এখনো প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য কবিতা, ছড়া, গল্প ও ক্যুইজ এই পত্রিকার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেকালের প্রথিতযশা সাহিত্যিক দের প্রথম রচনা প্রকাশিত হত এই বিখ্যাত পত্রিকাটিতে। ১৯৩০ সালে হেমেন্দ্রকুমার রায় তাঁর প্রথম রহস্য উপন্যাস টি লেখেন মৌচাক পত্রিকায়। এছাডাও শিবরাম চক্রবর্তী মৌচাকে নিয়মিত লিখতেন।বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ভবানী ভট্টাচার্য মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে মৌচাকে লিখেছিলেন তার প্রথম বাংলা প্রবন্ধ।

ধূমকেতু

এটি ছিল একটি পাক্ষিক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ ২৬ শ্রাবণ ১৩২৯ (ইং-১৯২২)। কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকাটির জন্য অভিনন্দন বাণী লিখেছিলেন-" আয় রে চলে আয়, রে ধূমকেতু..."

কল্লোল

কল্লোল ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভেতরে সংগঠিত হওয়া একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী সাময়িক পত্র। কল্লোল নব্য লেখক দের প্রধান মুখপাত্র ছিল যাঁদের অন্যতম ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু। অনান্য সাময়িক পত্রিকারা যারা কল্লোল পত্রিকা কে অনুসরণ করে – উত্তরা (১৯২৫), প্রগতি (১৯২৬), কালিকলম (১৯২৬) এবং পূর্বাশা (১৯৩২)।

শনিবারের চিঠি

এই সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রটি ১৯৩০-৪০-এর দশকে কোলকাতাকেন্দ্রিক বাঙলা সাহিত্যের জগতে বিশেষ সাড়া জাগিয়েছিল। এর সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল আক্রমণাত্মক ; তবে তা সে সময়কার সাহিত্যপ্রেরণাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। এর প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস। পত্রিকাটি দু‌পর্যায়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১০ই শ্রাবণ ১৩৩১ (১৯২৪ খৃস্টাব্দ)। প্রতিষ্ঠাদা সম্পাদক যোগানন্দ দাস। ভাদ্র ১৩৩৪ এবং ফালগুন ১৩৩৪ শেকে সজনীকান্ত দাষ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে যারা লিখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মোহিতলাল মজুমদার এবং নিরোদ সি চৌধুরী। এঁদের ভাষা ছিল ব্যঙ্গময়। সমালোচনার লক্ষ্য ছিল পিত্ত জ্বালিয়ে দেয়া।

পরিচয়

অবিভক্ত ভারতে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদকঃ কবি-সাহিত্যিক সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

বিচিত্রা

এটি একটি মাসিক পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ আষাঢ় ১৩৩৪ (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)। সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রগতি

এটি একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ আষাঢ় ১৩৩৪ (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ)। সম্পাদক অজিতকুমার দত্ত এবং বুদ্ধদেব বসু

দেশ

সাপ্তাহিক শিল্প-সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত। প্রথম প্রকাশ ৮ই অগ্রাহায়ণ ১৩৪০(১৯৩৩ খৃস্টাব্দ)। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার।

কবিতা

কলকাতায় বসবাসকালে বুদ্ধদেব বসু প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগিতায় ১৯৩৫ সালে ত্রৈমাসিক কবিতা (আশ্বিন ১৩৪৪) পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। পঁচিশ বছরেরও অধিককাল তিনি পত্রিকাটির ১০৪টি সংখ্যা সম্পাদনা করে আধুনিক কাব্যআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তৃতীয় বর্ষ ১ম সংখ্যা (আশ্বিন ১৩৪৪) থেকে বুদ্ধদেব ও সমর সেন এবং ষষ্ঠ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা (চৈত্র ১৩৪৭) থেকে বুদ্ধদেব বসু একাই এর সম্পাদক ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায়, সদিচ্ছায়, অনুশাসনে এবং নিয়ন্ত্রণে আধুনিক বাংলা কবিতা তার যথার্থ আধুনিক রূপ লাভ করে। এটি কবি বুদ্ধদেব বসুর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্রমবিকাশে কবিতা পত্রিকার ভূমিকা দূরসঞ্চারী। আধুনিক বাংলা কবিতার সমৃদ্ধি, প্রসার ও তা জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে কবিতার তুলনারহিত।

চতুরঙ্গ

পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হুমায়ুন কবির (১৯৩৯)

সমকাল

মাসক সাহিত্য পত্ত্রকা। সম্পাদক সিকান্দর আবু জাফর

উদয়ন

সোভিয়েট রাশিয়ার দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক সাময়িক পত্র।

কণ্ঠস্বর

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ কর্তৃক সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ। ১৯৭৬ পর্যন্ত এটি প্রকাশিত হয়।

উত্তরাধিকার

বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা।

ভারত বিচিত্রা

ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক সাময়িক পত্র। সম্পাদক কবি বেলাল চৌধুরী

জিজ্ঞাসা

কলকাতা থেকে প্রকাশিত উচ্চমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শিবনারায়ণ রায়। পরবর্তী পর্যায়ের (২০০৩) সম্পাদকমণ্ডলীঃ স্বরাজ সেনগুপ্ত, অতীন্দ্রমোহন গুণ, ভবানীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং মীরাতুন নাহার। প্রথম সংখ্যাঃ বৈশাখ, ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ তথা ১৯৮০ খ্রীস্টাব্দ। [২]

লোকায়ত

সমাজ-সাহিত্য বিষয়ক উচ্চমানের পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ঢাকা ১৯৮২। -দার্শনিক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা সাহিত্য পত্রিকা [৩]

দ্বিতীয় চিন্তা

ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১৯৮৫ খ্রীস্টাব্দ। সম্পাদকঃ ইফ্‌ফাত আরা

অধুনা

ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম প্রকাশ ১৯৮৬ খৃস্টাব্দ। সম্পাদক শামসুর রাহমান

একবিংশ

একবিংশ একটি বাংলা ছোট পত্রিকা বা সাহিত্য পত্রিকা। খোন্দকার আশরাফ হোসেন সম্পাদিত এই প্রত্রিকাটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত।

শিল্পতরু

ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদক কবি আবিদ আজাদ। উপদেষ্টা আবদুল মান্নান সৈয়দ। প্রথম প্রকাশ ১৯৮৭ খৃস্টাব্দ।

সুন্দরম

ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদক মুস্তফা নুরুল ইসলাম। প্রথম প্রকাশঃ ১৯৯৩।

নতুন দিগন্ত

ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।[৪]

কালি ও কলম

কলি ও কলম সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি বিষয়ক বাংলা মাসিক প্রত্রিকা, যা ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। ২০০৪ সাল থেকে এটি বিরতি দিয়ে প্রকাশ হলেও বর্তমানে এটি মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক আবুল খায়ের, এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হলেন শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে রয়েছেন, রুবি রহমান এবং লুভা নাহিদ চৌধুরী।

বিডি নিউজ

২০১৫ সাল থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা।এটি ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হয়।এর প্রকাশক ও প্রতিষ্ঠাতা আবু মনসুর মুহাম্মাদ গনি,বিডি নিউজ

গ্রন্থসূত্র

  • প্রভাতকুমার দাস, ‌‌জীবনানন্দ দাশ‌‌, প্রকাশকঃ পশ্চিমবাংলা আকাদেমি, কলকাতা। ১৯৯৯। পৃঃ ২৬৭-২৭৩।
  • অমিত্রসূদন ভট্টাচর্য, বঙ্গদর্শন পত্রিকা ও বঙ্কিমচন্দ্র, প্রকাশক: মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রা: লি:, কলকাতা। ১৪১৫। পৃ: ২২৩-২২৮।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলা সাহিত্য পরিচয়, ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তুলসী প্রকাশনী, কলকাতা, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ। , পৃ. ৩০৩
  2. ‌‌জিজ্ঞাসা- শিবনারায়ণ রায় বিশেষ সংখ্যা, সপ্তবিংশ বর্ষ, ২য়-৩য় যৌথ সংখ্যা, ২০০৯, রেনেসাঁ পাবলিশার্স, ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জ্জি স্ট্রিট, ২য় তলা, কলকাতা-৭০০ ০৭৩, ভারত।
  3. বাংলা একাডেমী লেখক অভিধান, ২০০৭, ঢাকা
  4. নতুন দিগন্ত পত্রিকার ওয়েব পৃষ্ঠা